ইলিয়াস কোথায়- সাত বছরেও উত্তর মেলেনি by ওয়েছ খছরু
সিলেট
বিএনপি ঘরানার রাজনীতিবিদরা হিসাব মেলাতে পারেননি। ইলিয়াস আলী নিখোঁজের
বিষয়টি এখনো তাদের কাছে ‘রহস্যময়’। তাদের ধারণা- ইলিয়াস আলীকে ‘গুম’ করে
রাখা হয়েছে। তিনি এখনো বেঁচে আছেন। আবার ফিরবেন রাজনীতিতে, মাতাবেন সিলেটের
রাজপথ। সেই আশায় ইলিয়াসের জন্য তাদের অন্তহীন অপেক্ষা। অপেক্ষা পরিবারেও।
পরিবারেরও দাবি- ইলিয়াস আলীকে জোরপূর্বক কোথাও আটকে রাখা হয়েছে।
তাদের মন বলছে- ইলিয়াস আলী ফিরে আসবেন। কিন্তু দীর্ঘ সাত বছরেও ইলিয়াস নিখোঁজের রহস্য উন্মোচিত হয়নি।
মেলেনি কোনো উত্তরও। এই অবস্থায় রাজনীতিতেও পট-পরিবর্তন হয়েছে। ইলিয়াসের অবর্তমানে হাল ধরেছেন তার স্ত্রী বেগম তাহসিনা রুশদীর লুনা। তিন সন্তানকে নিয়ে তিনিও স্বামীর অপেক্ষায় রয়েছেন। ২০১২ সালের ১৭ই এপ্রিল ঢাকার বনানী থেকে নিখোঁজ হন বিএনপির তখনকার সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী। সঙ্গে গাড়ি চালক আনসার আলীও। তার নিখোঁজের পর সিলেটজুড়ে আন্দোলন শুরু হয়। বিশ্বনাথে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন। গঠন করা হয় ইলিয়াস মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ। এই সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে সিলেটে লাগাতার আন্দোলন চললেও ইলিয়াসের কোনো খোঁজ মিলেনি। এদিকে- ইলিয়াসের পর গুম হয়েছিলেন বিএনপির আরেক শীর্ষ নেতা সালাহ উদ্দিন আহমদ। কয়েক মাস পর তাকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলং-এ পাওয়া যায়।
কিন্তু ইলিয়াসের কোনো হদিস মিলেনি। নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর গ্রামের বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথের রামধানা গ্রামে। বয়োবৃদ্ধ মা সূর্যবান বিবি ছেলের আশায় এখনো পথ চেয়ে আছেন। তাদের পরিবারের ধারণা- ইলিয়াস আলী বেচে আছেন। তাকে আটকে রাখা হয়েছে। তিনি ফিরে আসবেন। এ কারণে তাদের অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে না। ইলিয়াস আলীর ছোটো ভাই সিলেট জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আসকির আলী বর্তমানে লন্ডন প্রবাসী। কয়েক দিন আগে বাংলাদেশ ত্যাগের প্রাক্কালে তিনি ইলিয়াসের সন্ধানের দাবি জানিয়ে গেছেন।
বলেন- ইলিয়াস আলীকে গুম করা হয়েছে। আমাদের সব সময়ের দাবি হচ্ছে ইলিয়াস আলীকে অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে দেয়া। তার পথ পানে চেয়ে আছেন আমাদের বৃদ্ধা মা। তার সন্তানরাও পিতা ফিরে আসার অপেক্ষায় রয়েছেন। একটি পরিবারের মানবিক দিক বিবেচনা করে ইলিয়াস আলীকে দ্রুত ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান তিনি। এদিকে- সিলেট বিএনপি নেতারাও ইলিয়াস আলী ফিরে আসার অপেক্ষায় রয়েছেন। তারা জানান- বিএনপির তুখোড় নেতাদের ইচ্ছে করেই গুম নামক কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। যে পরিকল্পনায় একের পর এক গুমের ঘটনা ঘটানো হয়ে সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেন তারা।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আলী আহমদ মানবজমিনকে জানিয়েছেন- ‘এরই সরকারের অগণতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে কেউ যাতে আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলতে না পারে এ কারণে ইলিয়াস আলীর মতো সাহসী ও সংগ্রামী নেতাদের গুম করা হয়েছে। যেহেতু আমরা মনে করি বর্তমান সরকারই তাকে গুম করে রেখেছে সেহেতু সরকারি হেফাজতে তিনি রয়েছেন। এ কারনে আমরা অক্ষত অবস্থায় ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেয়ার জোর দাবি জানিয়ে আসছি।’ তিনি বলেন- ‘ইলিয়াসের মতো সিলেটের দিনার সহ দেশের সাহসী নেতাদের সরকার পরিকল্পনা মতো গুম করে আটকে রেখেছে। এর ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে এখন চেয়ারপার্সনকে আটকে রাখা হয়েছে।’
ইলিয়াস মুক্তি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও মহানগর বিএনপি নেতা মতিউল বারী চৌধুরী খুরশেদ জানিয়েছেন- ‘গুমের সংস্কৃতি রাজনীতিতে কোনভাবেই মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না। এতে করে রাজনীতিতে অশুভ অশনি সংকেত দেখা দেয়। এখনকার রাজনীতিতে এই অবস্থা এখন চলছে।’ তিনি বলেন- ‘ইলিয়াস আলীকে অন্যায় ভাবে গুম করে রাখা মানবতা বিরোধী অপরাধের শামিল। আমরা মনে করি- একদিন গুম নামক মানবতা বিরোধী কর্মকাণ্ডের বিচারও বাংলাদেশে হবে।’
তাদের মন বলছে- ইলিয়াস আলী ফিরে আসবেন। কিন্তু দীর্ঘ সাত বছরেও ইলিয়াস নিখোঁজের রহস্য উন্মোচিত হয়নি।
মেলেনি কোনো উত্তরও। এই অবস্থায় রাজনীতিতেও পট-পরিবর্তন হয়েছে। ইলিয়াসের অবর্তমানে হাল ধরেছেন তার স্ত্রী বেগম তাহসিনা রুশদীর লুনা। তিন সন্তানকে নিয়ে তিনিও স্বামীর অপেক্ষায় রয়েছেন। ২০১২ সালের ১৭ই এপ্রিল ঢাকার বনানী থেকে নিখোঁজ হন বিএনপির তখনকার সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী। সঙ্গে গাড়ি চালক আনসার আলীও। তার নিখোঁজের পর সিলেটজুড়ে আন্দোলন শুরু হয়। বিশ্বনাথে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন। গঠন করা হয় ইলিয়াস মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ। এই সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে সিলেটে লাগাতার আন্দোলন চললেও ইলিয়াসের কোনো খোঁজ মিলেনি। এদিকে- ইলিয়াসের পর গুম হয়েছিলেন বিএনপির আরেক শীর্ষ নেতা সালাহ উদ্দিন আহমদ। কয়েক মাস পর তাকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলং-এ পাওয়া যায়।
কিন্তু ইলিয়াসের কোনো হদিস মিলেনি। নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর গ্রামের বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথের রামধানা গ্রামে। বয়োবৃদ্ধ মা সূর্যবান বিবি ছেলের আশায় এখনো পথ চেয়ে আছেন। তাদের পরিবারের ধারণা- ইলিয়াস আলী বেচে আছেন। তাকে আটকে রাখা হয়েছে। তিনি ফিরে আসবেন। এ কারণে তাদের অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে না। ইলিয়াস আলীর ছোটো ভাই সিলেট জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আসকির আলী বর্তমানে লন্ডন প্রবাসী। কয়েক দিন আগে বাংলাদেশ ত্যাগের প্রাক্কালে তিনি ইলিয়াসের সন্ধানের দাবি জানিয়ে গেছেন।
বলেন- ইলিয়াস আলীকে গুম করা হয়েছে। আমাদের সব সময়ের দাবি হচ্ছে ইলিয়াস আলীকে অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে দেয়া। তার পথ পানে চেয়ে আছেন আমাদের বৃদ্ধা মা। তার সন্তানরাও পিতা ফিরে আসার অপেক্ষায় রয়েছেন। একটি পরিবারের মানবিক দিক বিবেচনা করে ইলিয়াস আলীকে দ্রুত ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান তিনি। এদিকে- সিলেট বিএনপি নেতারাও ইলিয়াস আলী ফিরে আসার অপেক্ষায় রয়েছেন। তারা জানান- বিএনপির তুখোড় নেতাদের ইচ্ছে করেই গুম নামক কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। যে পরিকল্পনায় একের পর এক গুমের ঘটনা ঘটানো হয়ে সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেন তারা।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আলী আহমদ মানবজমিনকে জানিয়েছেন- ‘এরই সরকারের অগণতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে কেউ যাতে আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলতে না পারে এ কারণে ইলিয়াস আলীর মতো সাহসী ও সংগ্রামী নেতাদের গুম করা হয়েছে। যেহেতু আমরা মনে করি বর্তমান সরকারই তাকে গুম করে রেখেছে সেহেতু সরকারি হেফাজতে তিনি রয়েছেন। এ কারনে আমরা অক্ষত অবস্থায় ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেয়ার জোর দাবি জানিয়ে আসছি।’ তিনি বলেন- ‘ইলিয়াসের মতো সিলেটের দিনার সহ দেশের সাহসী নেতাদের সরকার পরিকল্পনা মতো গুম করে আটকে রেখেছে। এর ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে এখন চেয়ারপার্সনকে আটকে রাখা হয়েছে।’
ইলিয়াস মুক্তি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও মহানগর বিএনপি নেতা মতিউল বারী চৌধুরী খুরশেদ জানিয়েছেন- ‘গুমের সংস্কৃতি রাজনীতিতে কোনভাবেই মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না। এতে করে রাজনীতিতে অশুভ অশনি সংকেত দেখা দেয়। এখনকার রাজনীতিতে এই অবস্থা এখন চলছে।’ তিনি বলেন- ‘ইলিয়াস আলীকে অন্যায় ভাবে গুম করে রাখা মানবতা বিরোধী অপরাধের শামিল। আমরা মনে করি- একদিন গুম নামক মানবতা বিরোধী কর্মকাণ্ডের বিচারও বাংলাদেশে হবে।’
No comments