বৃটিশ রাজনীতিতে নাটকীয়তা: ইইউতে স্বাক্ষরবিহীন চিঠি পাঠালেন জনসন
বৃটিশ
রাজনীতিতে একের পর এক নাটকীয়তা। ডেভিড ক্যামেরন থেকে শুরু হয়ে সেই
নাটকীয়তা এখনও চলছে। প্রতি মুহূর্তে পাল্টে যাচ্ছে দৃশ্যপট। শুরুটা সেই
ব্রেক্সিটকে নিয়েই। একে একে দু’জন প্রধানমন্ত্রীর বিদায়ের পর এর
গুরুদায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। কিন্তু তিনিও একের পর
এক পরাজয়ের মুখোমুখি হচ্ছেন। নানা নাটকীয়তার জন্ম হয়েছে এরই মধ্যে বৃটেনে।
তবে সর্বশেষ শনিবার ৩৭ বছরের মধ্যে প্রথমবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে
পার্লামেন্ট অধিবেশন বসে।
একে ঐতিহাসিক বলা হচ্ছে। এতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে করা জনসনের সর্বশেষ ব্রেক্সিট চুক্তির খসড়া নিয়ে আলোচনার পর তা ভোটে দেয়া হয়। কিন্তু এমপিরা তা প্রত্যাখ্যান করেন। ফলে নীতিগতভাবে না হলেও আইনগতভাবে বাধ্য হয়েই ব্রেক্সিট সম্পাদনের সময়সীমা আবার বর্ধিত করতে নতুন করে তাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বারস্থ হতে হয়েছে জনসনকে। তাই তিনি নিজের স্বাক্ষরবিহীন চিঠি পাঠিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে। এতে ব্রেক্সিট সম্পাদনের সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদন করা হয়েছে। এর সঙ্গে আরো একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। তাতে স্বাক্ষর রয়েছে বরিস জনসনের। এতে তিনি বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন ব্রেক্সিট বিলম্বিত করা একটি ভুল। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
আগামী ৩১ শে অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিট সম্পাদনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে বৃটেনের। কিন্তু নতুন চুক্তির খসড়ার ওপর ভোটে হাউজ অব কমন্সে হেরে যান জনসন। ফলে আইনগতভাবে তিনি বাধ্য হন ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ওই সময়সীমা বৃদ্ধি করতে অনুরোধ করতে। এর আগেই এমপিরা সময়সীমা বৃদ্ধির বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাস করেছিলেন। ওদিকে বরিস জনসনের পাঠানো চিঠি হাতে পাওয়ার কথা টুইটে জানিয়েছেন ইউরোপিয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাস্ক। এ নিয়ে কি জবাব দেয়া হবে সে বিষয়ে তিনি ইউরোপিয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান।
এর আগে হাউজ অব কমন্সের ঐতিহাসিক অধিবেশনে হেরে প্রধানমন্ত্রী তার একজন সিনিয়র কূটনীতিককে নির্দেশ দেন তিনি যেন ব্রেক্সিট সম্পাদনের সময়সীমা বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি চিঠির ফটোকপি পাটিয়ে দেন ইউরোপিয় ইউনিয়নের নেতাদের কাছে। এই চিঠিতে বরিস জনসন স্বাক্ষর করেন নি। দি¦তীয় চিঠিটিতে তিনি স্বাক্ষর করেছেন। তাতে ব্রেক্সিট বিলম্বিত করাকে তিনি ব্যক্তিগতভাবে অন্যায় বলে মনে করেন বলে জানিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রেক্সিট নিয়ে যে চুক্তি হয়েছে তা পর্যালোচনা করে আইনে পরিণত করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে সরকার। বরিস জনসন দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করেন যে, তা ৩১ শে অক্টোবরের মধ্যে সম্পন্ন করা যেতে পারে।
বরিস জনসনের স্বাক্ষরবিহীন চিঠি সম্পর্কে ব্রাসেলসে বৃটেনের প্রতিনিধি স্যার টিম ব্যারো একটি কভার নোট লিখেছেন। তাতে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, প্রথম চিঠিটি পার্লামেন্টের আইনের আওতায় সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে কেন সেই চিঠিতে বরিস জনসন স্বাক্ষর করেন নি এর জবাব হতে পারে এমন- এর আগে জনসন বলেছেন, ব্রেক্সিট বিলম্বিত করতে বলার চেয়ে তিনি একটি পরিখার মধ্যে পড়ে মরাকে বেছে নেবেন। তিনটি ডকুমেন্ট পাঠানোর বিষয়কে বিতর্কিত বলে বর্ণনা করেছেন বিবিসির পলিটিক্যাল এডিটর লরা কুয়েন্সবার্গ। এতে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে বরিস জনসন আদালতকে পাশ কাটিয়ে চলার চেষ্টা করছেন কিনা তা নিয়ে একটি লড়াই হতে পারে। বিষয়টি আদালতের দিকে যাচ্ছে। খুব সহসাই বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে ফয়সালা হতে পারে। এর আগে ডনাল্ড ট্রাস্ক সহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের ফোন করেছেন বরিস জনসন। তাতে তিনি প্রথম চিঠি সম্পর্কে বলেছেন, ‘ওই চিঠিটি বৃটিশ পার্লামেন্টের। আমার তরফ থেকে নয়।’
একে ঐতিহাসিক বলা হচ্ছে। এতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে করা জনসনের সর্বশেষ ব্রেক্সিট চুক্তির খসড়া নিয়ে আলোচনার পর তা ভোটে দেয়া হয়। কিন্তু এমপিরা তা প্রত্যাখ্যান করেন। ফলে নীতিগতভাবে না হলেও আইনগতভাবে বাধ্য হয়েই ব্রেক্সিট সম্পাদনের সময়সীমা আবার বর্ধিত করতে নতুন করে তাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বারস্থ হতে হয়েছে জনসনকে। তাই তিনি নিজের স্বাক্ষরবিহীন চিঠি পাঠিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে। এতে ব্রেক্সিট সম্পাদনের সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদন করা হয়েছে। এর সঙ্গে আরো একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। তাতে স্বাক্ষর রয়েছে বরিস জনসনের। এতে তিনি বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন ব্রেক্সিট বিলম্বিত করা একটি ভুল। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
আগামী ৩১ শে অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিট সম্পাদনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে বৃটেনের। কিন্তু নতুন চুক্তির খসড়ার ওপর ভোটে হাউজ অব কমন্সে হেরে যান জনসন। ফলে আইনগতভাবে তিনি বাধ্য হন ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ওই সময়সীমা বৃদ্ধি করতে অনুরোধ করতে। এর আগেই এমপিরা সময়সীমা বৃদ্ধির বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাস করেছিলেন। ওদিকে বরিস জনসনের পাঠানো চিঠি হাতে পাওয়ার কথা টুইটে জানিয়েছেন ইউরোপিয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাস্ক। এ নিয়ে কি জবাব দেয়া হবে সে বিষয়ে তিনি ইউরোপিয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান।
এর আগে হাউজ অব কমন্সের ঐতিহাসিক অধিবেশনে হেরে প্রধানমন্ত্রী তার একজন সিনিয়র কূটনীতিককে নির্দেশ দেন তিনি যেন ব্রেক্সিট সম্পাদনের সময়সীমা বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি চিঠির ফটোকপি পাটিয়ে দেন ইউরোপিয় ইউনিয়নের নেতাদের কাছে। এই চিঠিতে বরিস জনসন স্বাক্ষর করেন নি। দি¦তীয় চিঠিটিতে তিনি স্বাক্ষর করেছেন। তাতে ব্রেক্সিট বিলম্বিত করাকে তিনি ব্যক্তিগতভাবে অন্যায় বলে মনে করেন বলে জানিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রেক্সিট নিয়ে যে চুক্তি হয়েছে তা পর্যালোচনা করে আইনে পরিণত করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে সরকার। বরিস জনসন দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করেন যে, তা ৩১ শে অক্টোবরের মধ্যে সম্পন্ন করা যেতে পারে।
বরিস জনসনের স্বাক্ষরবিহীন চিঠি সম্পর্কে ব্রাসেলসে বৃটেনের প্রতিনিধি স্যার টিম ব্যারো একটি কভার নোট লিখেছেন। তাতে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, প্রথম চিঠিটি পার্লামেন্টের আইনের আওতায় সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে কেন সেই চিঠিতে বরিস জনসন স্বাক্ষর করেন নি এর জবাব হতে পারে এমন- এর আগে জনসন বলেছেন, ব্রেক্সিট বিলম্বিত করতে বলার চেয়ে তিনি একটি পরিখার মধ্যে পড়ে মরাকে বেছে নেবেন। তিনটি ডকুমেন্ট পাঠানোর বিষয়কে বিতর্কিত বলে বর্ণনা করেছেন বিবিসির পলিটিক্যাল এডিটর লরা কুয়েন্সবার্গ। এতে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে বরিস জনসন আদালতকে পাশ কাটিয়ে চলার চেষ্টা করছেন কিনা তা নিয়ে একটি লড়াই হতে পারে। বিষয়টি আদালতের দিকে যাচ্ছে। খুব সহসাই বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে ফয়সালা হতে পারে। এর আগে ডনাল্ড ট্রাস্ক সহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের ফোন করেছেন বরিস জনসন। তাতে তিনি প্রথম চিঠি সম্পর্কে বলেছেন, ‘ওই চিঠিটি বৃটিশ পার্লামেন্টের। আমার তরফ থেকে নয়।’
No comments