‘কংগ্রেস সরকার পাকিস্তানকে দুই টুকরো করেছিল, প্রধানমন্ত্রীর তা বলা উচিত’
কপিল সিব্বাল |
ভারতের
প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা কপিল সিব্বাল প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে ৩৭০ ধারা ইস্যুকে
রাজনৈতিক সুবিধার জন্য ব্যবহারের অভিযোগ করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে
মানুষের সামনে এটাও বলা উচিত যে, ১৯৭১ সালে তাঁদের সরকার পাকিস্তানকে দুই
টুকরো করেছিল। শনিবার তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে ওই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন আসার সাথে সাথে নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ আসল বিষয়গুলো ভুলে যান এবং কখনও তারা এনআরসি সম্পর্কে কথা বলেন, কখনও তারা ৩৭০ ধারা নিয়ে কথা বলেন। আসলে ৩৭০ ধারার কথায় জনগণের পেট ভরাবে না, মানুষ কর্মসংস্থান পাবে না।’
কপিল সিব্বাল বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে ৩৭০ ধারা সম্পর্কে কথা বলেছেন। ৩৭০ ধারা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্ত জনগণকে তাদের এটাও বলা উচিত যে, কংগ্রেস সরকারের সময়ে পাকিস্তান দুই টুকরা হয়েছিল। কিন্তু আমি জানি যে, তিনি এটি বলবেন না কারণ এটি বলার মতো সাহস তার নেই।’
দেশে অর্থনীতির অবস্থার কথা উল্লেখ করে কপিল সিব্বাল বলেন, 'আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বলছে যে ভারতে মন্দা রয়েছে কিন্তু সরকার তা মানতে রাজি নয়।’
তিনি বলেন, ‘মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় বেকারত্ব বেড়েছে এবং কৃষকদের অবস্থা আগের চেয়ে আরও খারাপ হয়ে উঠেছে। যদিও বিজেপি এসকল বিষয় এড়িয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন পরিসংখ্যান উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানব উন্নয়ন সূচকে ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলো থেকে ভালো।’
মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় আগামী ২১ অক্টোবর বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ফল ঘোষণা হবে ২৪ অক্টোবর। বিজেপি জাতীয়তাবাদের হাওয়া তুলে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল, এনআরসি, অনুপ্রবেশ, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, সন্ত্রাসবাদ ইত্যাদি ইস্যুতে ভোট বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে, প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস ও অন্যরা বেকারত্ব, অর্থনৈতিক দুর্দশা, কৃষকদের সমস্যাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে সফল হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন আসার সাথে সাথে নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ আসল বিষয়গুলো ভুলে যান এবং কখনও তারা এনআরসি সম্পর্কে কথা বলেন, কখনও তারা ৩৭০ ধারা নিয়ে কথা বলেন। আসলে ৩৭০ ধারার কথায় জনগণের পেট ভরাবে না, মানুষ কর্মসংস্থান পাবে না।’
কপিল সিব্বাল বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে ৩৭০ ধারা সম্পর্কে কথা বলেছেন। ৩৭০ ধারা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্ত জনগণকে তাদের এটাও বলা উচিত যে, কংগ্রেস সরকারের সময়ে পাকিস্তান দুই টুকরা হয়েছিল। কিন্তু আমি জানি যে, তিনি এটি বলবেন না কারণ এটি বলার মতো সাহস তার নেই।’
দেশে অর্থনীতির অবস্থার কথা উল্লেখ করে কপিল সিব্বাল বলেন, 'আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বলছে যে ভারতে মন্দা রয়েছে কিন্তু সরকার তা মানতে রাজি নয়।’
তিনি বলেন, ‘মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় বেকারত্ব বেড়েছে এবং কৃষকদের অবস্থা আগের চেয়ে আরও খারাপ হয়ে উঠেছে। যদিও বিজেপি এসকল বিষয় এড়িয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন পরিসংখ্যান উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানব উন্নয়ন সূচকে ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলো থেকে ভালো।’
মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় আগামী ২১ অক্টোবর বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ফল ঘোষণা হবে ২৪ অক্টোবর। বিজেপি জাতীয়তাবাদের হাওয়া তুলে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল, এনআরসি, অনুপ্রবেশ, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, সন্ত্রাসবাদ ইত্যাদি ইস্যুতে ভোট বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে, প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস ও অন্যরা বেকারত্ব, অর্থনৈতিক দুর্দশা, কৃষকদের সমস্যাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে সফল হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
No comments