বৃটেনে ব্রেক্সিট বিরোধী ঐতিহাসিক বিক্ষোভ
নতুন
গণভোটের দাবিতে ব্রেক্সিট বিরোধী ঐতিহাসিক বিক্ষোভ হয়েছে লন্ডনের রাজপথে।
শনিবার এতে অংশ নেন কয়েক লাখ মানুষ। ৩৭ বছরের মধ্যে আরেক ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটে
এদিন। সরকারি ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও হাউজ অব কমন্সের অধিবেশন বসে। তাতে
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ব্রেক্সিট চুক্তির সর্বশেষ খসড়া ৩২২-৩০৬ ভোটে
প্রত্যাখ্যাত হয়। ফলে আন্দোলনকারীদের আন্দোলনে গতি পায়। পিপলস ভোট নামের
সংগঠনের আয়োজনে এই বিক্ষোভকে এ যাবতকালের সর্ববৃহৎ বিক্ষোভ বলে অভিহিত করা
হচ্ছে। পার্লামেন্টে বরিস জনসন পরাজিত হওয়ার পর বিক্ষোভকারীদের মৌখিক
দুয়োধ্বনির মুখে পড়েছেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির এমপি জ্যাকব রিজ-মগ
(৫০), তার ছেলে পিটার থিওডর আলফেজে (১২), এমপি আন্দ্রেয়া লিডসাম, মাইকেল গভ
সহ অনেকেই।
বিক্ষোভকারীরা তাদেরকে দেখেই বিশ্বাসঘাতক, শেম অন ইউ স্লোগান দিতে থাকে। তারা হাউজ অব কমন্স থেকে বেরুতেই এমন অবস্থার মুখে পড়েন। তখন পুলিশ তাদেরকে প্রহরা দিয়ে বাসা পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। এই বিক্ষোভে সারা বৃটেন থেকে সমবেত হয়েছিলেন ব্রেক্সিট বিরোধী সমর্থকরা। ১৯৮০র দশকে ফকল্যান্ড যুদ্ধের পর এই প্রথমবার কোনো শনিবার বৃটেনে পার্লামেন্ট অধিবেশন বসে। এ সময় পার্লামেন্টের বাইরে এবং বিভিন্ন স্থানে সমবেত হতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। তারা আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশনগুলোতেও অবস্থান নেন। হাইড পার্ক থেকে শুরু হয়ে বিক্ষোভকারীরা ছড়িয়ে পড়েন তাফালগড় স্কয়ার এবং পার্লামেন্ট পর্যন্ত। এ সময় তাদের হাতে ছিল বিভিন্ন প্লাকার্ড। তার একটিতে লেখা ছিল, আমার বয়স ১৭ বছর। ব্রেক্সিট আমার ভবিষ্যত চুরি করেছে। অন্যটিতে লেখা, বৃটেন ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের শান্তি কোনো কিছু নয়। এর আগে দুটি বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন ৫ থেকে ১০ লাখ মানুষ। রেকর্ড সংখ্যক ১৭০টিরও বেশি কোচ ভাড়া করা হয়েছিল বিক্ষোভকারীদের লন্ডনে নেয়ার জন্য। তাতে অর্থায়ন করেছিলেন স্থানীয় সেলিব্রেটিরা। বৃটিশ ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় এসব খবর বেশ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে।
অনলাইন ডেইলি মেইল লিখেছে, শনিবার ছিল এমপি জ্যাকব রিজ-মগ ও তার ছেলের জন্য একটি হতাশার দিন। এদিন পার্লামেন্টে ব্রেক্সিটের খসড়া চুক্তি প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর তারা পার্লামেন্টের বাইরে বিক্ষোভকারীদের রোষানলে পড়েন। তাদেরকে দেখেই বিক্ষোভকারীরা বিশ্বাসঘাতক, শেম অন ইউ এবং স্কামবাগ বলে চিৎকার করতে থাকেন। এমনকি তাদেরকে নাৎসী বলেও সম্বোধন করা হয়। তবে ব্রেক্সিটপন্থিরা পাল্টা স্লোগান দেন। তারা বলতে থাকেন, লড়াই চালিয়ে যান জ্যাকব। কোনো চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিট করুন। এ ছাড়া কনজারভেটিভ দলের এমপি আন্দ্রেয়া লিডসাম ও মাইকেল গভও ভয়াবহ অবমাননাকর অবস্থায় পড়েন। তাদেরকেও কড়া পুলিশ প্রহরায় হাউজ অব কমন্স ত্যাগ করতে হয়। এসব ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন স্কাই নিউজের রাজনৈতিক প্রতিনিধি লুইস গুডল।
বিক্ষোভকারীরা তাদেরকে দেখেই বিশ্বাসঘাতক, শেম অন ইউ স্লোগান দিতে থাকে। তারা হাউজ অব কমন্স থেকে বেরুতেই এমন অবস্থার মুখে পড়েন। তখন পুলিশ তাদেরকে প্রহরা দিয়ে বাসা পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। এই বিক্ষোভে সারা বৃটেন থেকে সমবেত হয়েছিলেন ব্রেক্সিট বিরোধী সমর্থকরা। ১৯৮০র দশকে ফকল্যান্ড যুদ্ধের পর এই প্রথমবার কোনো শনিবার বৃটেনে পার্লামেন্ট অধিবেশন বসে। এ সময় পার্লামেন্টের বাইরে এবং বিভিন্ন স্থানে সমবেত হতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। তারা আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশনগুলোতেও অবস্থান নেন। হাইড পার্ক থেকে শুরু হয়ে বিক্ষোভকারীরা ছড়িয়ে পড়েন তাফালগড় স্কয়ার এবং পার্লামেন্ট পর্যন্ত। এ সময় তাদের হাতে ছিল বিভিন্ন প্লাকার্ড। তার একটিতে লেখা ছিল, আমার বয়স ১৭ বছর। ব্রেক্সিট আমার ভবিষ্যত চুরি করেছে। অন্যটিতে লেখা, বৃটেন ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের শান্তি কোনো কিছু নয়। এর আগে দুটি বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন ৫ থেকে ১০ লাখ মানুষ। রেকর্ড সংখ্যক ১৭০টিরও বেশি কোচ ভাড়া করা হয়েছিল বিক্ষোভকারীদের লন্ডনে নেয়ার জন্য। তাতে অর্থায়ন করেছিলেন স্থানীয় সেলিব্রেটিরা। বৃটিশ ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় এসব খবর বেশ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে।
অনলাইন ডেইলি মেইল লিখেছে, শনিবার ছিল এমপি জ্যাকব রিজ-মগ ও তার ছেলের জন্য একটি হতাশার দিন। এদিন পার্লামেন্টে ব্রেক্সিটের খসড়া চুক্তি প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর তারা পার্লামেন্টের বাইরে বিক্ষোভকারীদের রোষানলে পড়েন। তাদেরকে দেখেই বিক্ষোভকারীরা বিশ্বাসঘাতক, শেম অন ইউ এবং স্কামবাগ বলে চিৎকার করতে থাকেন। এমনকি তাদেরকে নাৎসী বলেও সম্বোধন করা হয়। তবে ব্রেক্সিটপন্থিরা পাল্টা স্লোগান দেন। তারা বলতে থাকেন, লড়াই চালিয়ে যান জ্যাকব। কোনো চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিট করুন। এ ছাড়া কনজারভেটিভ দলের এমপি আন্দ্রেয়া লিডসাম ও মাইকেল গভও ভয়াবহ অবমাননাকর অবস্থায় পড়েন। তাদেরকেও কড়া পুলিশ প্রহরায় হাউজ অব কমন্স ত্যাগ করতে হয়। এসব ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন স্কাই নিউজের রাজনৈতিক প্রতিনিধি লুইস গুডল।
No comments