কর্মক্ষেত্রে ভালো থাকার তাঁদের ৫ উপায়
কর্মক্ষেত্রে
সফলতা পেতে আমরা কত কিছুই না করি। অনেকে ‘জান’ দিয়ে খেটেও কাঙ্ক্ষিত
সাফল্য না পেয়ে হতাশায় মুষড়ে পড়েন। নিজের খামতি কোথায় খুঁজতে বসেন। ভাবেন,
চাকরিটাই ছেড়ে দেবেন। কর্মক্ষেত্রে সফলতার সংক্ষিপ্ত পথ বাতলে দিতে গিয়ে
‘দুর্জনেরা’ বসকে ‘তৈলমর্দনের’ পরামর্শ দেন। তবে ভুলেও সে ফাঁদে পা দেবেন
না। সাময়িকভাবে তা আপনার উন্নতিতে কিছু ভূমিকা রাখতে পারলেও হোঁচট খাওয়ার
আশঙ্কা প্রায় শতভাগ। কারণ, যখন ছিটকে পড়বেন, তখন ঘুরে দাঁড়ানোর আর সুযোগ
পাবেন না। বসের খেয়ালের শিকার হয়ে যেকোনো সময় কর্মজীবনের স্থায়ী সমাপ্তি
ঘটতে পারে। বরং নিজের আসন পাকাপোক্ত করতে পরিশ্রম করে সফলতার শীর্ষে আরোহণ
করা ব্যক্তিদের অনুসরণের চেষ্টা করুন। তাঁদের সৎ গুণের কোনো কোনোটির সঙ্গে
নিজের মিল খুঁজে পেতে পারেন, সঠিক পরিচর্যার অভাবে যা এত দিন পাখা মেলতে
পারেনি। তাঁদের কর্মকাণ্ডে খুঁজে পেতে পারেন সাফল্যের মন্ত্র। খুঁজে পেতে
পারেন এমন কিছু, যা আপনার জন্য অনুসরণ করা কঠিন কিছু নয়।
এমন পাঁচ ক্ষেত্রের বিখ্যাত ব্যক্তিদের অনুসরণযোগ্য পাঁচটি সাফল্যমন্ত্র তুলে ধরেছে মার্কিন পডকাস্ট থ্রাইভ গ্লোবাল। জীবন থেকে দুশ্চিন্তা দূর করার লক্ষ্য নিয়ে তৈরি জীবনযাপনবিষয়ক এই ডিজিটাল মিডিয়ায় মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস, মার্কিন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব অপরাহ উইনফ্রে, মার্কিন লেখক ম্যালকম গ্ল্যাডওয়ে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস এবং সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামার পাঁচটি আচরণের কথা তুলে ধরা হয়েছে। সেগুলো তুলে ধরেছেন থ্রাইভ গ্লোবালের সহকারী সম্পাদক রেবেকা ম্যুলার।
বিল গেটসের মতো আশ্রয় নিন প্রকৃতির কাছে
গবেষণা বলছে, কাজের ভারে যখন নাভিশ্বাস ওঠে, তখন প্রকৃতির সান্নিধ্য আপনাকে মুক্তি দিতে পারে। প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটানো ব্যক্তি কর্মক্ষেত্রে কোন বিষয়ে আলোকপাত করতে হবে, তা ভালোভাবে বুঝতে পারেন। এ ব্যাপারে বিল গেটস নিজস্ব একটি রীতি মেনে চলেন। তিনি প্রতিবছর পুরো দুই সপ্তাহ সময় কাটান জঙ্গলে। প্রকৃতি থেকে তুলে নেন ‘নির্যাস’। এই রীতির নাম দিয়েছেন তিনি ‘থিং উইক’ মানে ‘ভাবনার সপ্তাহ’। সপ্তাহজুড়ে কর্মযজ্ঞ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হন। তাঁর প্রতিদিনকার করপোরেট হালচালের মধ্যে সৃষ্টিশীল হওয়ার উদ্দীপনা পান। যেহেতু আমরা সবাই বছরের দুই সপ্তাহ দুর্গম এলাকায় বিলীন হয়ে যেতে পারি না, তাই আমরা বিল গেটসের এই পরামর্শের একটি দিক গ্রহণ করতে পারি। লম্বা ছুটি নিয়ে চলে যেতে পারি প্রকৃতির কাছে। এমনকি কাজের সময় দুপুরের খাবারের বিরতিতে চলে যেতে পারি আশপাশের পার্কে।
অপরাহর মতো বৈঠকের আগে উদ্দেশ্য ঠিক করুন
প্রতিটি বৈঠকের আগে অপরাহ উইনফ্রে নিজেকে তিনটি প্রশ্ন করেন, ‘এই বৈঠকের লক্ষ্য কী? কোনটি গুরুত্বপূর্ণ? এতে কি কাজ হবে?’ বৈঠক শুরুর আগে এমন তিনটি বিষয় সামনে রাখেন অপরাহ। তিনি মনে করেন, বৈঠকে উপস্থিত প্রত্যেকের মধ্যে সম্ভাবনা আছে। তিনি নিজে বৈঠকের লক্ষ্যের ওপর আলোকপাত করেন, উপস্থিত অন্যদেরও তা করতে বলেন। মার্কিন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, অভিনেত্রী, টক শোর জনপ্রিয় উপস্থাপক অপরাহ উইনফ্রে বলেন, এভাবে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য বা অভিপ্রায় ঠিক করার গুণটি তাঁর পেশাগত জীবনকে শাণিত করতে সহায়তা করেছে। তাঁর এই কৌশলের সঙ্গে একমত মনোবিদেরাও। গবেষণা বলছে, অফিসের বৈঠকের আগে এবং বৈঠকের সময়ে কী করবেন বা বলবেন বা উদ্দেশ্য কী, তা আগে ভেবে রাখলে বৈঠকটি হবে ফলপ্রসূ এবং তা বিষয়বস্তুতে আলোকপাত করতে ও আলোচনাকে কার্যকরী করতে সহায়তা করবে।
ম্যালকমের ই-মেইল নিয়ম অনুসরণ করতে পারেন
কাজের সময়কে সুবিন্যস্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কোন সময়টায় আপনি ভালো কাজ করতে পারেন, তা খুঁজে বের করুন এবং সেই সময়টাকে যথাযথভাবে বাঁচিয়ে রাখুন। লেখক ম্যালকম গ্ল্যাডওয়েল এ ব্যাপারে নিজের একটি তরিকা দিয়েছেন। ম্যালকম নিউইয়র্কের দীর্ঘ সময়ের লেখক, তাঁর বই সর্বোচ্চ বিক্রির তালিকায় রয়েছে। ম্যালকম বলেন, নিজের ক্ষেত্রে তিনি ই-মেইল পড়ার সময়টাকে সেই যথাযথ সময় হিসেবে খুঁজে পেয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, প্রতি ২৪ ঘণ্টায়, বিশেষ করে পরদিন ই-মেইল দেখার সময়টা তিনি কাজে সবচেয়ে ভালো আলোকপাত করতে পারেন। আপনি যদি কারও ফোন বা বার্তার জবাব না দেন, তাহলে ভুল-বোঝাবুঝি থেকে রেহাই দিতে পারে ই-মেইল। ওই ব্যক্তিদের ই-মেইল করলে তাঁরা ভুল না বুঝে আপনাকে ঠিকই বুঝে নেন। গত গ্রীষ্মে থ্রাইভ গ্লোবালের প্রতিষ্ঠাতা আরিয়ানা হাফিংটনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘যদি প্রত্যেকে ই-মেইলে জবাব দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার এই নিয়ম মেনে চলেন, তাহলে পৃথিবী আরও সুন্দর হতে পারে।’
জেফ বেজোসের ‘টু পিৎজা’ নিয়ম
এর আগে বলা হয়েছে, কর্মক্ষেত্রের বৈঠক সফল করতে সুনির্দিষ্ট বিষয়ে আলোকপাত করা জরুরি। তবে বেশিসংখ্যক লোকের সরব উপস্থিতিতে এমন একটি বৈঠকও কেচে যেতে পারে। ব্যাপক প্রস্তুতির দারুণ একটি বৈঠক এভাবে ভেস্তে যাওয়ার বিষয় সম্পর্কে খুব ভালো করেই জানেন আমাজনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জেফ বেজোস। তাই এ ধরনের পরিস্থিতি ঠেকাতে নিজস্ব একটি নিয়ম অনুসরণ করেন তিনি। বৈঠকের ক্ষেত্রে ‘টু পিৎজা নিয়ম’ প্রয়োগ করেন। দুটির বেশি পিৎজার প্রয়োজন হবে—এতসংখ্যক কর্মী নিয়ে বৈঠক আয়োজনকে নিরুৎসাহিত করেন তিনি। অর্থাৎ বৈঠকে কর্মীর সংখ্যা কম রাখেন তিনি। বেজোস বলেন, তাঁর এই নিয়ম কাজের গতি বাড়ায়। মূল কাজকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কাজে সময় ব্যয় না করে কর্মীরা নিজস্ব চিন্তাভাবনা ভাগাভাগি করতে পারেন।
ভারমুক্ত হোন মিশেল ওবামার মতো
কাজের দিনটিকে ফলপ্রসূ করার নানা উপায় সম্পর্কে আমরা প্রচুর কথা বলে থাকি। দ্রুততার সঙ্গে পৌঁছাতে চাই লক্ষ্যে। তবে প্রায়ই আমরা ভুলে যাই, সফলতার সূত্রগুলোর মধ্যে কর্মক্ষেত্রের ভেতরে-বাইরে কী ঘটছে, তা-ও অন্তর্ভুক্ত হয়। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামার ব্যক্তিগত কষ্টের অভিজ্ঞতা থেকে উদ্দীপনা পেতে পারেন। তিনি বলেছিলেন, কর্মজীবনে একবার গর্ভপাতের খবরে তিনি প্রচণ্ড বিষণ্ন হয়ে পড়েছিলেন, এটা প্রভাব ফেলছিল তাঁর কাজকর্মে। পরে বিষণ্নতা কাটাতে নিজেই উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে বুঝিয়েছিলেন, এখন নিজেকে নিয়ে এবং নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা সবার আগে ভাবতে হবে। নিজেকে দায়ী না করে সুখকে প্রাধান্য দিতে হবে। আপনিও এই ভাবনা প্রয়োগ করে নিজেকে ভারমুক্ত করতে পারেন। যা ঘটে গেছে তা নিয়ে খোঁচাখুঁচি না করে নিজেকে গুরুত্ব দিন। এভাবে ভাবলে কর্মক্ষেত্রে চাপ কম অনুভূত হবে। আমরা কোন কোন বিষয়কে প্রাধান্য দেব, তা আরও ভালোভাবে নির্ধারণ করতে পারব।
এমন পাঁচ ক্ষেত্রের বিখ্যাত ব্যক্তিদের অনুসরণযোগ্য পাঁচটি সাফল্যমন্ত্র তুলে ধরেছে মার্কিন পডকাস্ট থ্রাইভ গ্লোবাল। জীবন থেকে দুশ্চিন্তা দূর করার লক্ষ্য নিয়ে তৈরি জীবনযাপনবিষয়ক এই ডিজিটাল মিডিয়ায় মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস, মার্কিন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব অপরাহ উইনফ্রে, মার্কিন লেখক ম্যালকম গ্ল্যাডওয়ে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস এবং সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামার পাঁচটি আচরণের কথা তুলে ধরা হয়েছে। সেগুলো তুলে ধরেছেন থ্রাইভ গ্লোবালের সহকারী সম্পাদক রেবেকা ম্যুলার।
বিল গেটসের মতো আশ্রয় নিন প্রকৃতির কাছে
গবেষণা বলছে, কাজের ভারে যখন নাভিশ্বাস ওঠে, তখন প্রকৃতির সান্নিধ্য আপনাকে মুক্তি দিতে পারে। প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটানো ব্যক্তি কর্মক্ষেত্রে কোন বিষয়ে আলোকপাত করতে হবে, তা ভালোভাবে বুঝতে পারেন। এ ব্যাপারে বিল গেটস নিজস্ব একটি রীতি মেনে চলেন। তিনি প্রতিবছর পুরো দুই সপ্তাহ সময় কাটান জঙ্গলে। প্রকৃতি থেকে তুলে নেন ‘নির্যাস’। এই রীতির নাম দিয়েছেন তিনি ‘থিং উইক’ মানে ‘ভাবনার সপ্তাহ’। সপ্তাহজুড়ে কর্মযজ্ঞ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হন। তাঁর প্রতিদিনকার করপোরেট হালচালের মধ্যে সৃষ্টিশীল হওয়ার উদ্দীপনা পান। যেহেতু আমরা সবাই বছরের দুই সপ্তাহ দুর্গম এলাকায় বিলীন হয়ে যেতে পারি না, তাই আমরা বিল গেটসের এই পরামর্শের একটি দিক গ্রহণ করতে পারি। লম্বা ছুটি নিয়ে চলে যেতে পারি প্রকৃতির কাছে। এমনকি কাজের সময় দুপুরের খাবারের বিরতিতে চলে যেতে পারি আশপাশের পার্কে।
অপরাহর মতো বৈঠকের আগে উদ্দেশ্য ঠিক করুন
প্রতিটি বৈঠকের আগে অপরাহ উইনফ্রে নিজেকে তিনটি প্রশ্ন করেন, ‘এই বৈঠকের লক্ষ্য কী? কোনটি গুরুত্বপূর্ণ? এতে কি কাজ হবে?’ বৈঠক শুরুর আগে এমন তিনটি বিষয় সামনে রাখেন অপরাহ। তিনি মনে করেন, বৈঠকে উপস্থিত প্রত্যেকের মধ্যে সম্ভাবনা আছে। তিনি নিজে বৈঠকের লক্ষ্যের ওপর আলোকপাত করেন, উপস্থিত অন্যদেরও তা করতে বলেন। মার্কিন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, অভিনেত্রী, টক শোর জনপ্রিয় উপস্থাপক অপরাহ উইনফ্রে বলেন, এভাবে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য বা অভিপ্রায় ঠিক করার গুণটি তাঁর পেশাগত জীবনকে শাণিত করতে সহায়তা করেছে। তাঁর এই কৌশলের সঙ্গে একমত মনোবিদেরাও। গবেষণা বলছে, অফিসের বৈঠকের আগে এবং বৈঠকের সময়ে কী করবেন বা বলবেন বা উদ্দেশ্য কী, তা আগে ভেবে রাখলে বৈঠকটি হবে ফলপ্রসূ এবং তা বিষয়বস্তুতে আলোকপাত করতে ও আলোচনাকে কার্যকরী করতে সহায়তা করবে।
ম্যালকমের ই-মেইল নিয়ম অনুসরণ করতে পারেন
কাজের সময়কে সুবিন্যস্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কোন সময়টায় আপনি ভালো কাজ করতে পারেন, তা খুঁজে বের করুন এবং সেই সময়টাকে যথাযথভাবে বাঁচিয়ে রাখুন। লেখক ম্যালকম গ্ল্যাডওয়েল এ ব্যাপারে নিজের একটি তরিকা দিয়েছেন। ম্যালকম নিউইয়র্কের দীর্ঘ সময়ের লেখক, তাঁর বই সর্বোচ্চ বিক্রির তালিকায় রয়েছে। ম্যালকম বলেন, নিজের ক্ষেত্রে তিনি ই-মেইল পড়ার সময়টাকে সেই যথাযথ সময় হিসেবে খুঁজে পেয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, প্রতি ২৪ ঘণ্টায়, বিশেষ করে পরদিন ই-মেইল দেখার সময়টা তিনি কাজে সবচেয়ে ভালো আলোকপাত করতে পারেন। আপনি যদি কারও ফোন বা বার্তার জবাব না দেন, তাহলে ভুল-বোঝাবুঝি থেকে রেহাই দিতে পারে ই-মেইল। ওই ব্যক্তিদের ই-মেইল করলে তাঁরা ভুল না বুঝে আপনাকে ঠিকই বুঝে নেন। গত গ্রীষ্মে থ্রাইভ গ্লোবালের প্রতিষ্ঠাতা আরিয়ানা হাফিংটনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘যদি প্রত্যেকে ই-মেইলে জবাব দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার এই নিয়ম মেনে চলেন, তাহলে পৃথিবী আরও সুন্দর হতে পারে।’
জেফ বেজোসের ‘টু পিৎজা’ নিয়ম
এর আগে বলা হয়েছে, কর্মক্ষেত্রের বৈঠক সফল করতে সুনির্দিষ্ট বিষয়ে আলোকপাত করা জরুরি। তবে বেশিসংখ্যক লোকের সরব উপস্থিতিতে এমন একটি বৈঠকও কেচে যেতে পারে। ব্যাপক প্রস্তুতির দারুণ একটি বৈঠক এভাবে ভেস্তে যাওয়ার বিষয় সম্পর্কে খুব ভালো করেই জানেন আমাজনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জেফ বেজোস। তাই এ ধরনের পরিস্থিতি ঠেকাতে নিজস্ব একটি নিয়ম অনুসরণ করেন তিনি। বৈঠকের ক্ষেত্রে ‘টু পিৎজা নিয়ম’ প্রয়োগ করেন। দুটির বেশি পিৎজার প্রয়োজন হবে—এতসংখ্যক কর্মী নিয়ে বৈঠক আয়োজনকে নিরুৎসাহিত করেন তিনি। অর্থাৎ বৈঠকে কর্মীর সংখ্যা কম রাখেন তিনি। বেজোস বলেন, তাঁর এই নিয়ম কাজের গতি বাড়ায়। মূল কাজকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কাজে সময় ব্যয় না করে কর্মীরা নিজস্ব চিন্তাভাবনা ভাগাভাগি করতে পারেন।
ভারমুক্ত হোন মিশেল ওবামার মতো
কাজের দিনটিকে ফলপ্রসূ করার নানা উপায় সম্পর্কে আমরা প্রচুর কথা বলে থাকি। দ্রুততার সঙ্গে পৌঁছাতে চাই লক্ষ্যে। তবে প্রায়ই আমরা ভুলে যাই, সফলতার সূত্রগুলোর মধ্যে কর্মক্ষেত্রের ভেতরে-বাইরে কী ঘটছে, তা-ও অন্তর্ভুক্ত হয়। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামার ব্যক্তিগত কষ্টের অভিজ্ঞতা থেকে উদ্দীপনা পেতে পারেন। তিনি বলেছিলেন, কর্মজীবনে একবার গর্ভপাতের খবরে তিনি প্রচণ্ড বিষণ্ন হয়ে পড়েছিলেন, এটা প্রভাব ফেলছিল তাঁর কাজকর্মে। পরে বিষণ্নতা কাটাতে নিজেই উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে বুঝিয়েছিলেন, এখন নিজেকে নিয়ে এবং নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা সবার আগে ভাবতে হবে। নিজেকে দায়ী না করে সুখকে প্রাধান্য দিতে হবে। আপনিও এই ভাবনা প্রয়োগ করে নিজেকে ভারমুক্ত করতে পারেন। যা ঘটে গেছে তা নিয়ে খোঁচাখুঁচি না করে নিজেকে গুরুত্ব দিন। এভাবে ভাবলে কর্মক্ষেত্রে চাপ কম অনুভূত হবে। আমরা কোন কোন বিষয়কে প্রাধান্য দেব, তা আরও ভালোভাবে নির্ধারণ করতে পারব।
No comments