বীমা খাতেও দুরবস্থা মেয়াদ শেষেও টাকা ফেরত পান না গ্রাহকরা by এম এম মাসুদ
জীবন
বীমা কোম্পানিগুলোর আয়ের গতি শ্লথ হয়ে পড়েছে। প্রতিবছর এ খাতের গ্রস
প্রিমিয়াম আয়ের প্রবৃদ্ধি কমছে। দেশি-বিদেশি ৩২ জীবন বীমা কোম্পানির গ্রস
প্রিমিয়াম আয় বর্তমানে ১০ হাজার কোটি টাকার নিচে অবস্থান করছে। অন্যদিকে
বীমা কোম্পানিগুলোতে পলিসি করে বিপাকে পড়েছে গ্রাহকরা। মেয়াদ শেষ হলেও
পাচ্ছে না তাদের পাওনা টাকা। এ নিয়ে বীমা কোম্পানি আর নিয়ন্ত্রক সংস্থা
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তারা। জানা
গেছে, ৫৬০৯ গ্রাহকের কয়েক কোটি টাকার বীমা দাবি পরিশোধ করছে না নামিদামি
৫টি বীমা কোম্পানি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বীমা খাতে দুরবস্থার জন্য বেশিরভাগ কোম্পানির ব্যবস্থাপনাই দায়ী। কারণ কোম্পানিগুলো সময়োপযোগী পণ্য-সেবা দিতে পারছে না।
বীমা দাবি নিয়ে কালক্ষেপণের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া বীমা সম্পর্কে গণমানুষের আস্থার সংকট রয়েছে। জানা গেছে, বীমা খাতে গতি আনতে ২০১০ সালে আইন প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা পুনর্গঠনসহ বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু তারপরও এ খাতে গতি ফেরেনি। বরং নিয়ন্ত্রক সংস্থার কড়াকড়ি আরোপ, নতুন কোম্পানির কারণে অসুস্থ প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি ও দাবি পরিশোধ নিয়ে জটিলতাসহ আরো কিছু কারণে এ খাতের এগিয়ে চলার গতি শ্লথ হয়ে পড়েছে। সময়ের সঙ্গে কোম্পানিগুলোর গ্রস প্রিমিয়াম আয়ের প্রবৃদ্ধিও কমছে।
সূত্র জানায়, ২০১০ সালে জীবন বীমা খাতে ১৮ কোম্পানি ছিল। ওই বছর কোম্পানিগুলো প্রায় ৫ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা গ্রস প্রিমিয়াম আয় করেছিল। আর প্রিমিয়াম আয়ের প্রবৃদ্ধি ছিল ১৮.৪০ শতাংশ। নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাড়াকড়ির ফলে পরের বছর থেকে আয় কমতে থাকে। ২০১৫ সালে এসে ওই প্রবৃদ্ধি সর্বনিম্ন ৩.৩৯ শতাংশে নেমে যায়।
এর আগের দুবছরের ইতিবাচক ধারায় কোম্পানিগুলো কিছুটা এগোলেও ২০১৭ সাল শেষেও গ্রস প্রিমিয়াম আয়ের প্রবৃদ্ধি এখনও ৮.০৩ শতাংশে আটকে আছে। ওই বছরে প্রায় ৮ হাজার ১৯৮ কোটি টাকা গ্রস প্রিমিয়াম আয় করেছে কোম্পানিগুলো। ৮ বছরে জীবন বীমা কোম্পানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২টি হলেও গ্রস প্রিমিয়াম আয়ের প্রবৃদ্ধি এখনও ২০১০ সালের অর্ধেকের কম রয়ে গেছে। এসব কোম্পানির গ্রস প্রিমিয়াম আয় এখন ১০ হাজার কোটি টাকার নিচে অবস্থান করছে। বাজারে নতুন কোম্পানি আসলে বীমা ব্যবসার পরিধি বাড়বে বলে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও বাস্তব চিত্র এখনও উল্টো। নতুন ১৪ কোম্পানি অনুমোদনের পর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুরোনো ব্যবসা ভাগাভাগি হচ্ছে। কোম্পানির তুলনায় ব্যবসার পরিধি বাড়েনি। বরং এ খাতে অসুস্থ প্রতিযোগিতা আরো প্রকট হয়েছে।
এ বিষয়ে একটি বীমা কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, সময়ের সঙ্গে দেশের জীবন বীমা খাতের পরিধি বাড়ছে।
কিন্তু মান বাড়ছে না। তার মতে, সময়োপযোগী বীমা পণ্য, গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণ, স্বল্প সময়ে দাবি পরিশোধ ও গ্রাহকবান্ধব করে কোম্পানিকে গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। ফলে এ খাত ধুকছে। গ্রাহকরা সন্তুষ্ট হলে কোম্পানি এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোম্পানিগুলোকে সময়োপযোগী পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। অন্যথায় অস্তিত্ব সংকটে পড়বে এ খাত।
বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের সভাপতি ও পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিএম ইউসুফ আলী বলেন, গত কয়েক বছরে জীবন বীমা কোম্পানিগুলোকে খুব খারাপ সময় পার করতে হয়েছে। তবে এখন কোম্পানিগুলো অতীতের দুর্নাম কাটিয়ে উঠছে।
এদিকে জমানো টাকা ফিরে পেতে প্রতিদিনই গ্রাহকরা আইডিআরের অফিসে ভিড় করছেন। সরজমিন দেখা গেছে, পলিসির টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য প্রতিদিনই আইডিআরের কর্মকর্তাদের রুমের সামনে গ্রাহকের লাইন। দীর্ঘদিন কোম্পানির কাছে ধরনা দিয়ে শেষ পর্যন্ত আসছে আইডিআরের কাছে। কর্মকর্তাদের সামনে গ্রাহকরা কান্নায় ভেঙে পড়ছে। পলিসির মেয়াদ শেষ হলেও বছরের পর বছর কোম্পানিগুলো গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করছে না। এসব পলিসির বিপরীতে সুদ ছাড়া টাকার পরিমাণ ৩ কোটি। কিন্তু সুদসহ হিসাব করলে তা কয়েক কোটি ছাড়িয়ে যাবে।
আইডিআরের তথ্য অনুসারে, ৫ কোম্পানির বিরুদ্ধে ৫৬০৯ গ্রাহককে পলিসির টাকা পরিশোধ না করার অভিযোগ জমা পড়েছে। এ ছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে যেসব নিয়ন্ত্রণ সংস্থার কাছে পৌঁছাতে পারেনি, সে সংখ্যা হিসাব করলে তা ২০-২৫ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। আইডিআরের কাছেই ২ হাজার ৩৪৪টিঅভিযোগ রয়েছে। এছাড়া আইডিআরের বাইরে থাকা অভিযোগ তদন্ত করলে বিশাল আকারে পৌঁছাবে।
আইডিআরের নির্বাহী পরিচালক ড. রেজাউল ইসলাম বলেন, কয়েকটি কোম্পানি গ্রাহককে পলিসির টাকা দিচ্ছে না। সমপ্রতি এ ব্যাপারে আইডিআরের কাছে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে। কোম্পানিগুলো টাকা না দিয়ে বিভিন্ন ভাবে গ্রাহককে হয়রানি করছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। কারণ গ্রামের গরিব মানুষ খুব কষ্ট করে টাকা জমা দিয়েছে। মেয়াদ শেষ হলেও কোম্পানিগুলো তাদের টাকা দিচ্ছে না। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমরা প্রতিটি কোম্পানির সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করে কঠোর বার্তা দিয়েছি। আর টাকা পরিশোধের সময়ও বেঁধে দেয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা না দিলে বাধ্য হয়েই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
নিয়ম অনুসারে একজন গ্রাহক জীবন বীমায় কিস্তিতে টাকা জমা রাখে। এই কিস্তি মাসিক, তিন মাস অথবা ছয় মাসের হতে পারে। এসব পলিসির মেয়াদ ৫ থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত। জীবনের আর্থিক নিরাপত্তার জন্য এই দীর্ঘ সময় তারা স্বল্প আয় থেকে একটু একটু করে টাকা জমা রাখে। বীমা আইন অনুসারে, পলিসির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিশ্রুত টাকা দিতে হয়। আর ৯০ দিনের বেশি হলে বাকি দিনগুলোর সুদসহ টাকা পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু কোম্পানিগুলো টাকা পরিশোধ না করে গ্রাহককে বছরের পর বছর হয়রানি করছে। এরা পলিসির টাকা আত্মসাৎ করেছে।
বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন বলেন, গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করছে না, এ ধরনের কোম্পানির সংখ্যা বেশি নয়। তবে কয়েকটি কোম্পানি এ খাতের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তিনি বলেন, এ খাতের আস্থা অর্জনের জন্য সবার আগে গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করতে হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বীমা খাতে দুরবস্থার জন্য বেশিরভাগ কোম্পানির ব্যবস্থাপনাই দায়ী। কারণ কোম্পানিগুলো সময়োপযোগী পণ্য-সেবা দিতে পারছে না।
বীমা দাবি নিয়ে কালক্ষেপণের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া বীমা সম্পর্কে গণমানুষের আস্থার সংকট রয়েছে। জানা গেছে, বীমা খাতে গতি আনতে ২০১০ সালে আইন প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা পুনর্গঠনসহ বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু তারপরও এ খাতে গতি ফেরেনি। বরং নিয়ন্ত্রক সংস্থার কড়াকড়ি আরোপ, নতুন কোম্পানির কারণে অসুস্থ প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি ও দাবি পরিশোধ নিয়ে জটিলতাসহ আরো কিছু কারণে এ খাতের এগিয়ে চলার গতি শ্লথ হয়ে পড়েছে। সময়ের সঙ্গে কোম্পানিগুলোর গ্রস প্রিমিয়াম আয়ের প্রবৃদ্ধিও কমছে।
সূত্র জানায়, ২০১০ সালে জীবন বীমা খাতে ১৮ কোম্পানি ছিল। ওই বছর কোম্পানিগুলো প্রায় ৫ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা গ্রস প্রিমিয়াম আয় করেছিল। আর প্রিমিয়াম আয়ের প্রবৃদ্ধি ছিল ১৮.৪০ শতাংশ। নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাড়াকড়ির ফলে পরের বছর থেকে আয় কমতে থাকে। ২০১৫ সালে এসে ওই প্রবৃদ্ধি সর্বনিম্ন ৩.৩৯ শতাংশে নেমে যায়।
এর আগের দুবছরের ইতিবাচক ধারায় কোম্পানিগুলো কিছুটা এগোলেও ২০১৭ সাল শেষেও গ্রস প্রিমিয়াম আয়ের প্রবৃদ্ধি এখনও ৮.০৩ শতাংশে আটকে আছে। ওই বছরে প্রায় ৮ হাজার ১৯৮ কোটি টাকা গ্রস প্রিমিয়াম আয় করেছে কোম্পানিগুলো। ৮ বছরে জীবন বীমা কোম্পানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২টি হলেও গ্রস প্রিমিয়াম আয়ের প্রবৃদ্ধি এখনও ২০১০ সালের অর্ধেকের কম রয়ে গেছে। এসব কোম্পানির গ্রস প্রিমিয়াম আয় এখন ১০ হাজার কোটি টাকার নিচে অবস্থান করছে। বাজারে নতুন কোম্পানি আসলে বীমা ব্যবসার পরিধি বাড়বে বলে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও বাস্তব চিত্র এখনও উল্টো। নতুন ১৪ কোম্পানি অনুমোদনের পর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুরোনো ব্যবসা ভাগাভাগি হচ্ছে। কোম্পানির তুলনায় ব্যবসার পরিধি বাড়েনি। বরং এ খাতে অসুস্থ প্রতিযোগিতা আরো প্রকট হয়েছে।
এ বিষয়ে একটি বীমা কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, সময়ের সঙ্গে দেশের জীবন বীমা খাতের পরিধি বাড়ছে।
কিন্তু মান বাড়ছে না। তার মতে, সময়োপযোগী বীমা পণ্য, গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণ, স্বল্প সময়ে দাবি পরিশোধ ও গ্রাহকবান্ধব করে কোম্পানিকে গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। ফলে এ খাত ধুকছে। গ্রাহকরা সন্তুষ্ট হলে কোম্পানি এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোম্পানিগুলোকে সময়োপযোগী পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। অন্যথায় অস্তিত্ব সংকটে পড়বে এ খাত।
বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের সভাপতি ও পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিএম ইউসুফ আলী বলেন, গত কয়েক বছরে জীবন বীমা কোম্পানিগুলোকে খুব খারাপ সময় পার করতে হয়েছে। তবে এখন কোম্পানিগুলো অতীতের দুর্নাম কাটিয়ে উঠছে।
এদিকে জমানো টাকা ফিরে পেতে প্রতিদিনই গ্রাহকরা আইডিআরের অফিসে ভিড় করছেন। সরজমিন দেখা গেছে, পলিসির টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য প্রতিদিনই আইডিআরের কর্মকর্তাদের রুমের সামনে গ্রাহকের লাইন। দীর্ঘদিন কোম্পানির কাছে ধরনা দিয়ে শেষ পর্যন্ত আসছে আইডিআরের কাছে। কর্মকর্তাদের সামনে গ্রাহকরা কান্নায় ভেঙে পড়ছে। পলিসির মেয়াদ শেষ হলেও বছরের পর বছর কোম্পানিগুলো গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করছে না। এসব পলিসির বিপরীতে সুদ ছাড়া টাকার পরিমাণ ৩ কোটি। কিন্তু সুদসহ হিসাব করলে তা কয়েক কোটি ছাড়িয়ে যাবে।
আইডিআরের তথ্য অনুসারে, ৫ কোম্পানির বিরুদ্ধে ৫৬০৯ গ্রাহককে পলিসির টাকা পরিশোধ না করার অভিযোগ জমা পড়েছে। এ ছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে যেসব নিয়ন্ত্রণ সংস্থার কাছে পৌঁছাতে পারেনি, সে সংখ্যা হিসাব করলে তা ২০-২৫ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। আইডিআরের কাছেই ২ হাজার ৩৪৪টিঅভিযোগ রয়েছে। এছাড়া আইডিআরের বাইরে থাকা অভিযোগ তদন্ত করলে বিশাল আকারে পৌঁছাবে।
আইডিআরের নির্বাহী পরিচালক ড. রেজাউল ইসলাম বলেন, কয়েকটি কোম্পানি গ্রাহককে পলিসির টাকা দিচ্ছে না। সমপ্রতি এ ব্যাপারে আইডিআরের কাছে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে। কোম্পানিগুলো টাকা না দিয়ে বিভিন্ন ভাবে গ্রাহককে হয়রানি করছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। কারণ গ্রামের গরিব মানুষ খুব কষ্ট করে টাকা জমা দিয়েছে। মেয়াদ শেষ হলেও কোম্পানিগুলো তাদের টাকা দিচ্ছে না। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমরা প্রতিটি কোম্পানির সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করে কঠোর বার্তা দিয়েছি। আর টাকা পরিশোধের সময়ও বেঁধে দেয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা না দিলে বাধ্য হয়েই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
নিয়ম অনুসারে একজন গ্রাহক জীবন বীমায় কিস্তিতে টাকা জমা রাখে। এই কিস্তি মাসিক, তিন মাস অথবা ছয় মাসের হতে পারে। এসব পলিসির মেয়াদ ৫ থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত। জীবনের আর্থিক নিরাপত্তার জন্য এই দীর্ঘ সময় তারা স্বল্প আয় থেকে একটু একটু করে টাকা জমা রাখে। বীমা আইন অনুসারে, পলিসির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিশ্রুত টাকা দিতে হয়। আর ৯০ দিনের বেশি হলে বাকি দিনগুলোর সুদসহ টাকা পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু কোম্পানিগুলো টাকা পরিশোধ না করে গ্রাহককে বছরের পর বছর হয়রানি করছে। এরা পলিসির টাকা আত্মসাৎ করেছে।
বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন বলেন, গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করছে না, এ ধরনের কোম্পানির সংখ্যা বেশি নয়। তবে কয়েকটি কোম্পানি এ খাতের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তিনি বলেন, এ খাতের আস্থা অর্জনের জন্য সবার আগে গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করতে হবে।
No comments