মালচিং পদ্ধতিতে লাউ চাষে দিদারের সাফল্য by এস আলম তুহিন
পরিবেশবান্ধব
‘মালচিং পদ্ধতি’ ব্যবহার করে দেশি জাতের লাউ উৎপাদনে অসাধারণ সাফল্য
দেখিয়েছে মাগুরা সদর উপজেলার শিবরামপুর গ্রামের তরুণ কৃষক দিদার। কৃষক
দিদার জানান, ‘মালচিং মেথড’ ভারত ও ইসরাইলে খুবই জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রথম এই পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পেরে তিনি মাগুরার
কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরে যোগাযোগ করেন। তখন তারা এ পদ্ধতির কলাকৌশল
সম্পর্কে তাকে জানালে তিনি ফসল উৎপাদনে উৎসাহিত হন। দিদার ও কৃষি বিভাগ
সূত্রে জানা যায়, প্রচলিত পদ্ধতিতে লাউ বীজ সরাসরি জমিতে লাগানো হয়। কিন্তু
মালচিং মেথড অনুযায়ী মালচিং পেপারে মুড়িয়ে অঙ্কুরিত বীজ জমিতে রোপণ করা
হয়। এ পদ্ধতিতে প্রথমে মালচিং পলিথিন দিয়ে একটি বীজতলা নির্মাণ করা হয়।
এরপর লাউ বীজ সেখানে স্থাপন করা হয়।
এবার মালচিং পেপার ছিদ্র করে বীজ অঙ্কুরিত হওয়ার পর, তা মাচায় প্রতিস্থাপন করা হয় ধীরে ধীরে। যেহেতু বীজগুলো পলিথিন দিয়ে মোড়ানো থাকে, তাই কোনো কীট-পতঙ্গ আক্রমণ করতে পারে না। ফলে কীটনাশক ব্যবহারেরও প্রয়োজন হয় না। একই কারণে ক্ষতিকর সূর্যালোকও এর ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না। সাধারণ পদ্ধতিতে অনেক সময় বৃষ্টি হলে বীজতলা বা ক্ষেত থেকে সার ধুয়ে যায়। মালচিং পেপার দিয়ে মোড়ানো থাকায় এখানে সেই সম্ভাবনাও নেই।
দিদার বলেন, মালচিং পদ্ধতিতে যে পেপারটি ব্যবহার হয় তা সরাসরি চায়না থেকে বাংলাদেশের বাজারে আসে তারপর আমরা তা ক্রয় করি। এবার ৬০ শতক জমিতে ৩শ’ লাউ বীজ রোপণ করেছি। সার, বীজ ও অন্যান্য উপকরণ বাবদ আমার ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। খরচ বাদে আমার প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকার অধিক আয় হবে। বর্তমানে আমার ক্ষেতে ৬-৭ জন শ্রমিক কাজ করে। প্রতিদিন ১৫০-২০০ লাউ ক্ষেত থেকে কাটা হয়। মাগুরাসহ বাইরের জেলার ব্যাপারীরা ক্ষেত থেকেই লাউ ক্রয় করে নিয়ে যায়। শীত মৌসুমে লাউয়ের চাহিদা আরো বাড়তে থাকে বলে তিনি মনে করেন। লাউ উৎপাদনে সাধারণত অন্যান্য ফসলের তুলনায় পরিশ্রম কম। তবে, মালচিং পদ্ধতি লাউ চাষ করলে ফলন ভালো পাওয়া যায় বলে জানান। তিনি আরো জানান, বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরসহ বিভিন্ন জেলায় মালচিং পদ্ধতিটি ফসল চাষ করে অনেক কৃষক সাফল্য অর্জন করেছেন। তাদের এ পদ্ধতি দেখে মাগুরাতে এ পদ্ধতিতে চাষে আগ্রহী হই। শুধু লাউ নয়, এর আগে তিনি এ পদ্ধতি ব্যবহার করে দেশি জাতের সবজি ভেনডি, করলা, শসা, খিরে ও তরমুজের চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন। জেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাহিদুল আমিন বলেন, ‘প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে এ পদ্ধতিতে কমপক্ষে ৫০ ভাগ সার ও কীটনাশকের ব্যবহার কম লাগে, যা পরিবেশবান্ধব। প্রচলিত পদ্ধতিতে জমিতে ৫-৬ বার সেচ দিতে হয়, সেখানে এ পদ্ধতিতে মাত্র দুবার সেচ দেয়াই যথেষ্ট। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় মালচিং পদ্ধতিতে লাউসহ নানা সবজি আবাদ হলেও মাগুরায় এই প্রথমবারের মতো আবাদ হলো। দিদারের সাফল্যে আমরাও গর্বিত। এখন চেষ্টা করছি, এ পদ্ধতিকে কীভাবে এ জেলায় আরো কৃষকদের মাঝে জনপ্রিয় করা যায়।’
ইতিমধ্যে দিদারের সাফল্য দেখে জেলার অনেক যুবক মালচিং চাষে ফসল উৎপাদনে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে কিভাবে, কোন পদ্ধতিতে চাষ করতে হয়। আমরা তাদের সঠিক পরামর্শ দিয়ে উৎসাহিত করছি।
এবার মালচিং পেপার ছিদ্র করে বীজ অঙ্কুরিত হওয়ার পর, তা মাচায় প্রতিস্থাপন করা হয় ধীরে ধীরে। যেহেতু বীজগুলো পলিথিন দিয়ে মোড়ানো থাকে, তাই কোনো কীট-পতঙ্গ আক্রমণ করতে পারে না। ফলে কীটনাশক ব্যবহারেরও প্রয়োজন হয় না। একই কারণে ক্ষতিকর সূর্যালোকও এর ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না। সাধারণ পদ্ধতিতে অনেক সময় বৃষ্টি হলে বীজতলা বা ক্ষেত থেকে সার ধুয়ে যায়। মালচিং পেপার দিয়ে মোড়ানো থাকায় এখানে সেই সম্ভাবনাও নেই।
দিদার বলেন, মালচিং পদ্ধতিতে যে পেপারটি ব্যবহার হয় তা সরাসরি চায়না থেকে বাংলাদেশের বাজারে আসে তারপর আমরা তা ক্রয় করি। এবার ৬০ শতক জমিতে ৩শ’ লাউ বীজ রোপণ করেছি। সার, বীজ ও অন্যান্য উপকরণ বাবদ আমার ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। খরচ বাদে আমার প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকার অধিক আয় হবে। বর্তমানে আমার ক্ষেতে ৬-৭ জন শ্রমিক কাজ করে। প্রতিদিন ১৫০-২০০ লাউ ক্ষেত থেকে কাটা হয়। মাগুরাসহ বাইরের জেলার ব্যাপারীরা ক্ষেত থেকেই লাউ ক্রয় করে নিয়ে যায়। শীত মৌসুমে লাউয়ের চাহিদা আরো বাড়তে থাকে বলে তিনি মনে করেন। লাউ উৎপাদনে সাধারণত অন্যান্য ফসলের তুলনায় পরিশ্রম কম। তবে, মালচিং পদ্ধতি লাউ চাষ করলে ফলন ভালো পাওয়া যায় বলে জানান। তিনি আরো জানান, বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরসহ বিভিন্ন জেলায় মালচিং পদ্ধতিটি ফসল চাষ করে অনেক কৃষক সাফল্য অর্জন করেছেন। তাদের এ পদ্ধতি দেখে মাগুরাতে এ পদ্ধতিতে চাষে আগ্রহী হই। শুধু লাউ নয়, এর আগে তিনি এ পদ্ধতি ব্যবহার করে দেশি জাতের সবজি ভেনডি, করলা, শসা, খিরে ও তরমুজের চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন। জেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাহিদুল আমিন বলেন, ‘প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে এ পদ্ধতিতে কমপক্ষে ৫০ ভাগ সার ও কীটনাশকের ব্যবহার কম লাগে, যা পরিবেশবান্ধব। প্রচলিত পদ্ধতিতে জমিতে ৫-৬ বার সেচ দিতে হয়, সেখানে এ পদ্ধতিতে মাত্র দুবার সেচ দেয়াই যথেষ্ট। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় মালচিং পদ্ধতিতে লাউসহ নানা সবজি আবাদ হলেও মাগুরায় এই প্রথমবারের মতো আবাদ হলো। দিদারের সাফল্যে আমরাও গর্বিত। এখন চেষ্টা করছি, এ পদ্ধতিকে কীভাবে এ জেলায় আরো কৃষকদের মাঝে জনপ্রিয় করা যায়।’
ইতিমধ্যে দিদারের সাফল্য দেখে জেলার অনেক যুবক মালচিং চাষে ফসল উৎপাদনে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে কিভাবে, কোন পদ্ধতিতে চাষ করতে হয়। আমরা তাদের সঠিক পরামর্শ দিয়ে উৎসাহিত করছি।
No comments