কুর্দিদের মাথা চূর্ণ করে দেয়ার হুঁশিয়ারি এরদোগানের
কুর্দি
যোদ্ধাদের মাথা চূর্ণ করে দেয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন তুরস্কের
প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগান। তিনি বলেছেন, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে
নিরাপদ এলাকা তৈরির পরিকল্পিত স্থান থেকে যদি কুর্দি যোদ্ধারা সরে না যায়
তাহলে তাদের মাথা চূর্ণ করে দেবে তুরস্ক। বৃহস্পতিবার ৫ দিনের জন্য সিরিয়ায়
হামলা বন্ধে রাজি হয় তুরস্ক, যাতে এ সময়ের মধ্যে ওই এলাকা থেকে কুর্দিরা
সরে যেতে পারেন। কিন্তু এরপরে শনিবার উভয়পক্ষই একে অন্যের বিরুদ্ধে
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে। অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে গেলেও বিভিন্ন
স্থানে সহিংসতা অব্যাহত ছিল। বিশেষ করে রাস আল আইন শহর সংলগ্ন সীমান্তে। এ
খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
কুর্দিদেরকে তুরস্ক সন্ত্রাসী হিসেবে দেখে।
কুর্দিদের বসবাস সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুর্কি সীমান্তের সঙ্গে। যেহেতু কুর্দিরা তুরস্কের প্রতি হুমকি তাই ওই এলাকা থেকে তাদেরকে সরিয়ে দিয়ে সেখানে একটি নিরাপদ এলাকা গড়ে তোলার পরিকল্পনায় হামলা শুরু করে তুরস্ক। কুর্দিদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দিয়ে গড়ে তোলা নিরাপদ এলাকায় পুনর্বাসন করতে চায় তুরস্কে আশ্রয় নেয়া সিরিয়ার শরণার্থীদের।
ওদিকে তুরস্কের কায়সেরি শহরে শনিবার বক্তব্য রাখেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। এতে তিনি বলেন, যদি মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে কুর্দি যোদ্ধারা এলাকা ছেড়ে না যায়, তাহলে যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী আমরা যুদ্ধ যেখানে রেখে এসেছিলাম, সেখান থেকে শুরু করবো। সন্ত্রাসীদের মাথা চূর্ণ করে দেবো। ওদিকে আগামী সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে এরদোগানের। এ বৈঠককে সামনে রেখে শনিবার এরদোগান বলেছেন, যদি ওই আলোচনায় কোনো সমাধান না আসে তাহলে তুরস্ক তার নিজস্ব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে। এর আগে কুর্দি বাহিনী ৩৬ ঘন্টায় ১৪ বার উস্কানিমুলক হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে বেশি হামলা হয়েছে রাস আল আইন শহরে। তবে মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, তা সত্ত্বেও তুর্কি বাহির্নী চুক্তি মেনে চলবে পুরোপুরি।
ওদিকে কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য তুরস্ককে অভিযুক্ত করেছে। দখল করে নেয়া শহর থেকে বেসামরিক লোকজন ও হতাহতদের সরিয়ে আনার জন্য নিরাপদ করিডোর সৃষ্টিতে তুর্কি সেনারা ব্যর্থ হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ। যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের কাছে শনিবার এসডিএফ অনুরোধ করে, তিনি যেন বেসামরিক লোকজনকে সরে আসার পথ করে দিতে তুরস্ককে চাপ দেন। অস্থায়ী এই যুদ্ধবিরতিতে তিনি কাজ করছেন। এ বিষয়ে এসপিএফ একটি বিবৃতি দিয়েছে। তারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগ করা হচ্ছে। তারা আমাদেরকে সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও পরিস্থিতিতে কোনোই অগ্রগতি নেই।
অন্যদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বলেছেন, তারা চান যুক্তরাষ্ট্র কুর্দিদের ওপর চাপ সৃষ্টি করুক, যাতে তারা ওই এলাকা ছেড়ে যায়। তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে আমরা আমাদের আমেরিকান সহযোগিদের তাদের প্রভাব ব্যবহার করতে বলেছি। তাদের কানেকশন ব্যবহার করে নিশ্চিত করতে বলেছি যাতে তারা কোনো ঘটনা না ঘটিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যায়।
ওদিকে বৃটেনভিত্তিক সিরিয়ান অবজার্ভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, রাস আল আইন শহরে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। নজরদারি এই গ্রুপটি শুক্রবার বলেছে, তুরস্কের এই হামলায় কমপক্ষে ৮৬ জন নিহত হয়েছেন। বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছেন এক লাখ ৬০ হাজার থেকে তিন লাখ মানুষ।
কুর্দিদেরকে তুরস্ক সন্ত্রাসী হিসেবে দেখে।
কুর্দিদের বসবাস সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুর্কি সীমান্তের সঙ্গে। যেহেতু কুর্দিরা তুরস্কের প্রতি হুমকি তাই ওই এলাকা থেকে তাদেরকে সরিয়ে দিয়ে সেখানে একটি নিরাপদ এলাকা গড়ে তোলার পরিকল্পনায় হামলা শুরু করে তুরস্ক। কুর্দিদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দিয়ে গড়ে তোলা নিরাপদ এলাকায় পুনর্বাসন করতে চায় তুরস্কে আশ্রয় নেয়া সিরিয়ার শরণার্থীদের।
ওদিকে তুরস্কের কায়সেরি শহরে শনিবার বক্তব্য রাখেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। এতে তিনি বলেন, যদি মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে কুর্দি যোদ্ধারা এলাকা ছেড়ে না যায়, তাহলে যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী আমরা যুদ্ধ যেখানে রেখে এসেছিলাম, সেখান থেকে শুরু করবো। সন্ত্রাসীদের মাথা চূর্ণ করে দেবো। ওদিকে আগামী সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে এরদোগানের। এ বৈঠককে সামনে রেখে শনিবার এরদোগান বলেছেন, যদি ওই আলোচনায় কোনো সমাধান না আসে তাহলে তুরস্ক তার নিজস্ব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে। এর আগে কুর্দি বাহিনী ৩৬ ঘন্টায় ১৪ বার উস্কানিমুলক হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে বেশি হামলা হয়েছে রাস আল আইন শহরে। তবে মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, তা সত্ত্বেও তুর্কি বাহির্নী চুক্তি মেনে চলবে পুরোপুরি।
ওদিকে কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য তুরস্ককে অভিযুক্ত করেছে। দখল করে নেয়া শহর থেকে বেসামরিক লোকজন ও হতাহতদের সরিয়ে আনার জন্য নিরাপদ করিডোর সৃষ্টিতে তুর্কি সেনারা ব্যর্থ হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ। যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের কাছে শনিবার এসডিএফ অনুরোধ করে, তিনি যেন বেসামরিক লোকজনকে সরে আসার পথ করে দিতে তুরস্ককে চাপ দেন। অস্থায়ী এই যুদ্ধবিরতিতে তিনি কাজ করছেন। এ বিষয়ে এসপিএফ একটি বিবৃতি দিয়েছে। তারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগ করা হচ্ছে। তারা আমাদেরকে সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও পরিস্থিতিতে কোনোই অগ্রগতি নেই।
অন্যদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বলেছেন, তারা চান যুক্তরাষ্ট্র কুর্দিদের ওপর চাপ সৃষ্টি করুক, যাতে তারা ওই এলাকা ছেড়ে যায়। তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে আমরা আমাদের আমেরিকান সহযোগিদের তাদের প্রভাব ব্যবহার করতে বলেছি। তাদের কানেকশন ব্যবহার করে নিশ্চিত করতে বলেছি যাতে তারা কোনো ঘটনা না ঘটিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যায়।
ওদিকে বৃটেনভিত্তিক সিরিয়ান অবজার্ভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, রাস আল আইন শহরে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। নজরদারি এই গ্রুপটি শুক্রবার বলেছে, তুরস্কের এই হামলায় কমপক্ষে ৮৬ জন নিহত হয়েছেন। বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছেন এক লাখ ৬০ হাজার থেকে তিন লাখ মানুষ।
No comments