দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় শেখ হাসিনার ৪ প্রস্তাব
দক্ষিণ
এশিয়াকে সংঘবদ্ধ, বন্ধুত্বপূর্ণ ও প্রতিযোগিমূলক অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলতে
বিদ্যমান ভূ-রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় চার দফা প্রস্তাব দিয়েছেন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে পারস্পরিক বৈশ্বিক
কল্যাণে দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে বলে
মন্তব্য করেন তিনি।
নয়াদিল্লির হোটেল তাজ প্যালেসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) ভারতীয় অর্থনৈতিক সম্মেলনের সমাপনী আলোচনায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘গত কয়েক দশকে আমরা অনেক মহৎ আঞ্চলিক বিভিন্ন ধারণা ও উদ্যোগ দেখেছি। এগুলোর মধ্যে কিছু সফল হলেও অন্যগুলো সফল হয়নি। আগামী কয়েক দশকের দিকে দৃষ্টি রাখলে আমি মনে করি, এক্ষেত্রে আমাদের কিছু নীতিমালা মেনে চলা উচিত হবে। আমি বলতে চাই- একটি সংঘবদ্ধ, বন্ধুত্বপূর্ণ ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ অঞ্চল হওয়ায় দক্ষিণ এশিয়া অন্য অঞ্চলের সঙ্গে সেতুবন্ধন গড়ে তুলতে সবসময় প্রস্তুত রয়েছে।’
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ভুল ধারণা ও মিথ্যা আশঙ্কা’ কাটিয়ে সব জাতি এবং দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস ও সম্মান নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বিগত দশকে আমরা অনেক উন্নত আঞ্চলিক ধারণা এবং উদ্যোগ দেখেছি। কেউ কেউ সফল হয়েছে, অন্যরা হতে পারেনি।’ পরবর্তী দশকে মৈত্রী ও সহযোগিতার মাধ্যমে ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা পরিচালনায় চারটি নীতি অনুসরণ করার পরামর্শ দেন তিনি।
প্রথম নীতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমাজের প্রতিটি ব্যক্তির জন্য শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সৌহার্দ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমাদের প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে। সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘুর মানসিকতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। যুগ যুগ ধরে বহুত্ববাদ হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার শক্তি। এর মাধ্যমে আমরা ধর্ম, জাতি ও ভাষাগতভাবে দক্ষিণ এশিয়ার বৈচিত্র্যের উদযাপন করতে পারে। এটি হচ্ছে মৌলিক বিষয়।
দ্বিতীয় প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্রুত প্রবৃদ্ধির সময়ে সমাজে যেন বৈষম্য আরও বেড়ে না যায়, তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। সম্পদ হতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং তা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছতে হবে। স্বল্পোন্নত সম্প্রদায় বা দেশ পেছনে পড়ে থাকবে না। আমাদের তরুণদের আকাঙ্ক্ষা ও চাহিদা অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে।
শেখ হাসিনা তার তৃতীয় প্রস্তাবে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’— এই নীতি অনুসরণ করে বাংলাদেশ বিশ্ব পরিমণ্ডলে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় অব্যাহত অবদান রেখে চলছে। এই দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে সহায়তা করছে। ১৯৯৬ সালে আমরা ভারতের সঙ্গে গঙ্গা নদীর পানিবণ্টনের সমাধান করেছি, আমরা সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্র সীমানা নির্ধারণ করেছি। আমাদের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজের জন্য এ ধরনের সহযোগিতাপূর্ণ সংস্কৃতি প্রয়োজন।
চতুর্থ প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা অবশ্যই বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার মাধ্যমে আমাদের ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা নিয়ন্ত্রণ করব। আমাদের জনগণের স্বার্থে ভারসাম্যপূর্ণ আঞ্চলিক বাস্তবতার আমরা প্রশংসা করব। আমরা স্বল্পমেয়াদি লাভের জন্য দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থ বন্ধ করে দিতে পারি না।
অনুষ্ঠানে সিঙ্গাপুরের উপ-প্রধানমন্ত্রী হেন্জি সুই কেট, সিকোইয়া ক্যাপিটাল ভারতের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শৈলেন্দ্র সিং, অ্যাপোলো হসপিটাল এন্টারপ্রাইজের এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারপারসন শোবানা করমেনিণী, বুকিং ডটকমের চেয়ারম্যান গিলিয়ান ট্যানস প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
নয়াদিল্লির হোটেল তাজ প্যালেসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) ভারতীয় অর্থনৈতিক সম্মেলনের সমাপনী আলোচনায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘গত কয়েক দশকে আমরা অনেক মহৎ আঞ্চলিক বিভিন্ন ধারণা ও উদ্যোগ দেখেছি। এগুলোর মধ্যে কিছু সফল হলেও অন্যগুলো সফল হয়নি। আগামী কয়েক দশকের দিকে দৃষ্টি রাখলে আমি মনে করি, এক্ষেত্রে আমাদের কিছু নীতিমালা মেনে চলা উচিত হবে। আমি বলতে চাই- একটি সংঘবদ্ধ, বন্ধুত্বপূর্ণ ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ অঞ্চল হওয়ায় দক্ষিণ এশিয়া অন্য অঞ্চলের সঙ্গে সেতুবন্ধন গড়ে তুলতে সবসময় প্রস্তুত রয়েছে।’
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ভুল ধারণা ও মিথ্যা আশঙ্কা’ কাটিয়ে সব জাতি এবং দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস ও সম্মান নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বিগত দশকে আমরা অনেক উন্নত আঞ্চলিক ধারণা এবং উদ্যোগ দেখেছি। কেউ কেউ সফল হয়েছে, অন্যরা হতে পারেনি।’ পরবর্তী দশকে মৈত্রী ও সহযোগিতার মাধ্যমে ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা পরিচালনায় চারটি নীতি অনুসরণ করার পরামর্শ দেন তিনি।
প্রথম নীতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমাজের প্রতিটি ব্যক্তির জন্য শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সৌহার্দ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমাদের প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে। সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘুর মানসিকতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। যুগ যুগ ধরে বহুত্ববাদ হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার শক্তি। এর মাধ্যমে আমরা ধর্ম, জাতি ও ভাষাগতভাবে দক্ষিণ এশিয়ার বৈচিত্র্যের উদযাপন করতে পারে। এটি হচ্ছে মৌলিক বিষয়।
দ্বিতীয় প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্রুত প্রবৃদ্ধির সময়ে সমাজে যেন বৈষম্য আরও বেড়ে না যায়, তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। সম্পদ হতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং তা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছতে হবে। স্বল্পোন্নত সম্প্রদায় বা দেশ পেছনে পড়ে থাকবে না। আমাদের তরুণদের আকাঙ্ক্ষা ও চাহিদা অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে।
শেখ হাসিনা তার তৃতীয় প্রস্তাবে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’— এই নীতি অনুসরণ করে বাংলাদেশ বিশ্ব পরিমণ্ডলে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় অব্যাহত অবদান রেখে চলছে। এই দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে সহায়তা করছে। ১৯৯৬ সালে আমরা ভারতের সঙ্গে গঙ্গা নদীর পানিবণ্টনের সমাধান করেছি, আমরা সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্র সীমানা নির্ধারণ করেছি। আমাদের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজের জন্য এ ধরনের সহযোগিতাপূর্ণ সংস্কৃতি প্রয়োজন।
চতুর্থ প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা অবশ্যই বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার মাধ্যমে আমাদের ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা নিয়ন্ত্রণ করব। আমাদের জনগণের স্বার্থে ভারসাম্যপূর্ণ আঞ্চলিক বাস্তবতার আমরা প্রশংসা করব। আমরা স্বল্পমেয়াদি লাভের জন্য দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থ বন্ধ করে দিতে পারি না।
অনুষ্ঠানে সিঙ্গাপুরের উপ-প্রধানমন্ত্রী হেন্জি সুই কেট, সিকোইয়া ক্যাপিটাল ভারতের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শৈলেন্দ্র সিং, অ্যাপোলো হসপিটাল এন্টারপ্রাইজের এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারপারসন শোবানা করমেনিণী, বুকিং ডটকমের চেয়ারম্যান গিলিয়ান ট্যানস প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ভারতীয় অর্থনৈতিক সম্মেলনের সমাপনী আলোচনায় শেখ হাসিনা |
No comments