নগরে টোকেনে চলে ৯২ ভাগ রিকশা
রিকশার সারি। ছবি: আবদুস সালাম |
রাজধানীর
৯২ ভাগ রিকশাই চলে টোকেনে। এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন সমিতি, সংগঠন ও গ্যারেজ
মালিকদের নামে এই টোকেন দেওয়া হয় নির্ধারিত চাঁদার বিনিময়ে। এই টোকেন
স্টিকার আকারে রিকশার গায়ে লাগানো থাকে। রিকশার মালিকেরা গ্যারেজপ্রতি
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে মাসোহারা দিয়ে রিকশাগুলো সচল রাখেন।
রিকশাচালকদের ওপর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) পরিচালিত গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। শ্রমিক অধিকার নিয়ে কাজ করা এই সংগঠনের গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য গতকাল বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে বিলসের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়।
বিলসের কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা সিটি করপোরেশন থেকে রিকশার লাইসেন্স দেওয়া হতো। তবে ১৯৮৬ সালের পর থেকে রিকশার লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ রয়েছে। তখন লাইসেন্সকৃত রিকশার সংখ্যা ছিল ৭৯ হাজার ৫৫৪টি। গবেষণার প্রতিবেদন অনুযায়ী, নগরে বর্তমানে প্রায় ১১ লাখ রিকশা রয়েছে, যার ৯২ ভাগই চলছে টোকেন ব্যবহার করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, লাইসেন্সবিহীন রিকশাগুলোর বেশির ভাগই মাঝেমধ্যে জব্দ করেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। জব্দ হওয়া ৭৯ ভাগ রিকশাই ঘুষের মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে ছাড়িয়ে নেওয়া হয়।
গবেষণাটি সম্পন্ন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম খন্দকার এবং বিলসের কর্মকর্তা আবদুস সালাম। নগরের বাড্ডা, হাজারীবাগ, যাত্রাবাড়ী ও শাহজাহানপুর এলাকার ২০০ রিকশাচালকের ওপর জরিপ চালানো হয়েছে। এ ছাড়া ২০টি গ্যারেজ মালিক এবং দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে।
বিকল্প আরেকটি কাজের সুযোগ পেলেও রিকশা চালনা ছাড়তে চান না অনেক রিকশাচালকই। প্রতিবেদন অনুযায়ী এমন চালকের সংখ্যা ৮৫ ভাগ। এ ক্ষেত্রে চালকেরা তাঁদের আয়টাকে প্রাধান্য দিয়েছেন। কারণ রিকশাভাড়া, গ্যারেজের খরচ—এসব বাদে একজন রিকশাচালক মাসে গড়ে ১১ হাজার ১৫১ টাকা আয় করেন। দৈনিক ১২-১৬ ঘণ্টা রিকশা চালান যে চালকেরা, তাঁদের সর্বোচ্চ ২৪ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় হয়।
বিলসের ট্রেড ইউনিয়ন প্রশিক্ষক ও পরামর্শক খন্দকার আবদুস সালাম বলেন, সমাজে রিকশাচালকদের অবদানের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে তাঁদের জীবনমানের উন্নয়নের লক্ষ্যে এবং আর্থসামাজিক অবস্থা, তাঁদের অধিকার, নিরাপত্তা, নাগরিক সুবিধা, বাসস্থানের অবস্থা প্রভৃতি বিষয় জানতে এই গবেষণা করা হয়েছে।
বিলসের গবেষণা
গবেষণায় রিকশাচালকদের বিভিন্ন সমস্যা ও ঝুঁকির বিষয়গুলোও উঠে এসেছে। এতে বলা হয়, ৪৭ ভাগ চালকই গ্যারেজে ঘুমান এবং একটি কক্ষে গড়ে ২১ জন রিকশাচালক বসবাস করেন। বাসকৃত গ্যারেজগুলোর মধ্যে ৯৬ ভাগেই বাতাস চলাচল অসন্তোষজনক। আর ৩৫ ভাগ চালক ভালো কোনো শৌচাগার ব্যবহারের সুযোগ পান না।
এসব বিষয় ছাড়াও রিকশাচালকদের খাদ্য ও ধূমপান, মালিকানা ও গ্যারেজ থেকে সুবিধা, কাজের পরিবেশ, দুর্ঘটনা ও ক্ষতিপূরণসহ গবেষণার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
বিলসের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিবেদন প্রকাশের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাংসদ শিরিন আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংসদ শামসুন্নাহার ভূঁইয়া, রিকশা-ভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি হারুণ-অর রশিদ।
রিকশাচালকদের ওপর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) পরিচালিত গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। শ্রমিক অধিকার নিয়ে কাজ করা এই সংগঠনের গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য গতকাল বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে বিলসের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়।
বিলসের কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা সিটি করপোরেশন থেকে রিকশার লাইসেন্স দেওয়া হতো। তবে ১৯৮৬ সালের পর থেকে রিকশার লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ রয়েছে। তখন লাইসেন্সকৃত রিকশার সংখ্যা ছিল ৭৯ হাজার ৫৫৪টি। গবেষণার প্রতিবেদন অনুযায়ী, নগরে বর্তমানে প্রায় ১১ লাখ রিকশা রয়েছে, যার ৯২ ভাগই চলছে টোকেন ব্যবহার করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, লাইসেন্সবিহীন রিকশাগুলোর বেশির ভাগই মাঝেমধ্যে জব্দ করেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। জব্দ হওয়া ৭৯ ভাগ রিকশাই ঘুষের মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে ছাড়িয়ে নেওয়া হয়।
গবেষণাটি সম্পন্ন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম খন্দকার এবং বিলসের কর্মকর্তা আবদুস সালাম। নগরের বাড্ডা, হাজারীবাগ, যাত্রাবাড়ী ও শাহজাহানপুর এলাকার ২০০ রিকশাচালকের ওপর জরিপ চালানো হয়েছে। এ ছাড়া ২০টি গ্যারেজ মালিক এবং দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে।
বিকল্প আরেকটি কাজের সুযোগ পেলেও রিকশা চালনা ছাড়তে চান না অনেক রিকশাচালকই। প্রতিবেদন অনুযায়ী এমন চালকের সংখ্যা ৮৫ ভাগ। এ ক্ষেত্রে চালকেরা তাঁদের আয়টাকে প্রাধান্য দিয়েছেন। কারণ রিকশাভাড়া, গ্যারেজের খরচ—এসব বাদে একজন রিকশাচালক মাসে গড়ে ১১ হাজার ১৫১ টাকা আয় করেন। দৈনিক ১২-১৬ ঘণ্টা রিকশা চালান যে চালকেরা, তাঁদের সর্বোচ্চ ২৪ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় হয়।
বিলসের ট্রেড ইউনিয়ন প্রশিক্ষক ও পরামর্শক খন্দকার আবদুস সালাম বলেন, সমাজে রিকশাচালকদের অবদানের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে তাঁদের জীবনমানের উন্নয়নের লক্ষ্যে এবং আর্থসামাজিক অবস্থা, তাঁদের অধিকার, নিরাপত্তা, নাগরিক সুবিধা, বাসস্থানের অবস্থা প্রভৃতি বিষয় জানতে এই গবেষণা করা হয়েছে।
বিলসের গবেষণা
- ৯৪ ভাগ রিকশাচালক অসুস্থ থাকেন।
- জ্বর-কাশি, ঠান্ডা, গায়ে ব্যথা লেগেই থাকে।
- ৩০ ভাগ চালক জন্ডিসে আক্রান্ত।
গবেষণায় রিকশাচালকদের বিভিন্ন সমস্যা ও ঝুঁকির বিষয়গুলোও উঠে এসেছে। এতে বলা হয়, ৪৭ ভাগ চালকই গ্যারেজে ঘুমান এবং একটি কক্ষে গড়ে ২১ জন রিকশাচালক বসবাস করেন। বাসকৃত গ্যারেজগুলোর মধ্যে ৯৬ ভাগেই বাতাস চলাচল অসন্তোষজনক। আর ৩৫ ভাগ চালক ভালো কোনো শৌচাগার ব্যবহারের সুযোগ পান না।
এসব বিষয় ছাড়াও রিকশাচালকদের খাদ্য ও ধূমপান, মালিকানা ও গ্যারেজ থেকে সুবিধা, কাজের পরিবেশ, দুর্ঘটনা ও ক্ষতিপূরণসহ গবেষণার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
বিলসের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিবেদন প্রকাশের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাংসদ শিরিন আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংসদ শামসুন্নাহার ভূঁইয়া, রিকশা-ভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি হারুণ-অর রশিদ।
No comments