মানুষকে খাঁচায় বন্দি করে রাখা হয়েছে, শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করারও অধিকার নেই: -ইলতিজা মুফতি
জম্মু-কাশ্মীরের
সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও পিডিপি নেত্রী মেহেবুবা মুফতির মেয়ে ইলতিজা মুফতি
বলেছেন, মানুষকে খাঁচায় বন্দি করে রাখা হয়েছে, তদের শান্তিপূর্ণভাবে
প্রতিবাদ করারও অধিকার নেই। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করার পরে সেখানকার
অবরুদ্ধ পরিস্থিতি প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি ওই মন্তব্য
করেছেন।
ইলতিজা বলেন, ‘আমার ধারণা এখানে এখন নেতা ছাড়াই আন্দোলন হবে। জনগণ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তাদের অধিকার ফিরে পেতে চায় এবং এজন্য তারা শান্তিপূর্ণভাবে লড়াই করবে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হ'ল এই সরকার, মানুষকে খাঁচায় বন্দি করে রেখেছে। এমনকি তদেরকে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করার জন্য অধিকারও দিচ্ছে না।’
কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দশ্যে তিনি বলেন, ‘আসলে তারা কাশ্মীরকে শক্তিহীন করতে চায়। জম্মু-কাশ্মীরকে যদি সন্ত্রাসের দুর্গ বলে অভিহিত করা হয়, তাহলে দেশের বাকি অংশ গণপিটুনিস্তানে পরিণত হয়েছে। আসলে, ওরা চায় না যে কাশ্মীর থেকে একটিও আওয়াজ উঠুক। এখানে যখন ইন্টারনেট ফিরে আসবে, লোকেরা তখন বলতে পারবে কীভাবে তাদের দু’মাস ধরে বন্দি করে রাখা হয়েছিল।’
ইলতিজা বলেন, ‘কত ছোট ছোটো বাচ্চাকে আটক করে নির্যাতন করা হয়েছে। ওরা চায় না যে এই সমস্ত বিষয় প্রকাশ্যে আসুক। এখন তো এখানে সম্পূর্ণ অন্ধকার দেখাচ্ছে। দেখা যাক এরপরে কী ঘটে। কিন্তু আমি মনে করি না যে কাশ্মীরিরা এখন সেই পর্যায়ে আছেন যেখানে তাদের মেহবুবা মুফতি বা ওমর আবদুল্লাহর নেতৃত্বের প্রয়োজন রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি এই প্রথমবারের মতো নার্ভাস হয়েছি যে আমি একজন মুসলিম! আমি এত বছরে এধরণের ভয় অনুভব করিনি। এই সরকারের যে সিদ্ধান্তই হোক না কেন, এনআরসি, ৩৭০ ধারা নিষ্ক্রিয় করা বা নাগরিকত্ব বিল যা-ই হোক না কেন, এরফলে মনে হচ্ছে এদেশের আত্মাকে প্রতিদিনই আঘাত করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, কাশ্মীর সম্পর্কে যে ছবির কথা বলা হয় যে কাশ্মীরের মানুষ পাথর নিক্ষেপ করতে চায়, তাঁরা শান্তি চায় না। এটি একেবারেই ভুল।
কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অপসারণ প্রসঙ্গে ইলতিজা বলেন, ‘আপনি যখন কাশ্মীর সম্পর্কে এরকম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছিলেন, এখানকার লোকদের কী অধিকার নেই যে তাদের মতামত নিয়ে তারপরে ওই সিদ্ধান্ত নেয়ার। এখানকার লোকদের নিজের বক্তব্য জানাবার অধিকার রয়েছে। কাশ্মীরে পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে, কারণ কেন্দ্রীয় সরকার এত বড় একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।’ তাঁর প্রশ্ন- যদি তারা জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়ন ও ভালো চায় তবে তারা একে বিভক্ত করেছে কেন?
ইলতিজা বলেন, ‘আমার ধারণা এখানে এখন নেতা ছাড়াই আন্দোলন হবে। জনগণ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তাদের অধিকার ফিরে পেতে চায় এবং এজন্য তারা শান্তিপূর্ণভাবে লড়াই করবে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হ'ল এই সরকার, মানুষকে খাঁচায় বন্দি করে রেখেছে। এমনকি তদেরকে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করার জন্য অধিকারও দিচ্ছে না।’
কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দশ্যে তিনি বলেন, ‘আসলে তারা কাশ্মীরকে শক্তিহীন করতে চায়। জম্মু-কাশ্মীরকে যদি সন্ত্রাসের দুর্গ বলে অভিহিত করা হয়, তাহলে দেশের বাকি অংশ গণপিটুনিস্তানে পরিণত হয়েছে। আসলে, ওরা চায় না যে কাশ্মীর থেকে একটিও আওয়াজ উঠুক। এখানে যখন ইন্টারনেট ফিরে আসবে, লোকেরা তখন বলতে পারবে কীভাবে তাদের দু’মাস ধরে বন্দি করে রাখা হয়েছিল।’
ইলতিজা বলেন, ‘কত ছোট ছোটো বাচ্চাকে আটক করে নির্যাতন করা হয়েছে। ওরা চায় না যে এই সমস্ত বিষয় প্রকাশ্যে আসুক। এখন তো এখানে সম্পূর্ণ অন্ধকার দেখাচ্ছে। দেখা যাক এরপরে কী ঘটে। কিন্তু আমি মনে করি না যে কাশ্মীরিরা এখন সেই পর্যায়ে আছেন যেখানে তাদের মেহবুবা মুফতি বা ওমর আবদুল্লাহর নেতৃত্বের প্রয়োজন রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি এই প্রথমবারের মতো নার্ভাস হয়েছি যে আমি একজন মুসলিম! আমি এত বছরে এধরণের ভয় অনুভব করিনি। এই সরকারের যে সিদ্ধান্তই হোক না কেন, এনআরসি, ৩৭০ ধারা নিষ্ক্রিয় করা বা নাগরিকত্ব বিল যা-ই হোক না কেন, এরফলে মনে হচ্ছে এদেশের আত্মাকে প্রতিদিনই আঘাত করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, কাশ্মীর সম্পর্কে যে ছবির কথা বলা হয় যে কাশ্মীরের মানুষ পাথর নিক্ষেপ করতে চায়, তাঁরা শান্তি চায় না। এটি একেবারেই ভুল।
কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অপসারণ প্রসঙ্গে ইলতিজা বলেন, ‘আপনি যখন কাশ্মীর সম্পর্কে এরকম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছিলেন, এখানকার লোকদের কী অধিকার নেই যে তাদের মতামত নিয়ে তারপরে ওই সিদ্ধান্ত নেয়ার। এখানকার লোকদের নিজের বক্তব্য জানাবার অধিকার রয়েছে। কাশ্মীরে পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে, কারণ কেন্দ্রীয় সরকার এত বড় একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।’ তাঁর প্রশ্ন- যদি তারা জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়ন ও ভালো চায় তবে তারা একে বিভক্ত করেছে কেন?
No comments