উদ্ভট নেশা যুবতীর
বুলগেরিয়ার
২২ বছর বয়সী যুবতী আন্দ্রে এমিলোভা ইভানোভা। উদ্ভট এক নেশা তার। নিজের
ঠোঁটকে তিনগুন বড় করতে তিনি কমপক্ষে ১৫ বার অপারেশনের টেবিলে গিয়েছেন।
তাতে খরচ হয়েছে কয়েক হাজার পাউন্ড। তার ধারণা, ঠোঁটকে তিনগুন বা তারও বেশি
বড় করলে অধিক সুন্দরী দেখাবে, ফ্যাশন্যাবল দেখাবে। এমন নেশা তার শৈশব
থেকেই। সেই নেশাকে পূরণ করার টার্গেট নিয়েছেন। ১৫ বার অপারেশন করানোর পর
ভাবছেন এই ঠোঁট যথেষ্ট নয়। একে আরো বড় করাতে হবে। এ খাতে প্রতিবারের
চিকিৎসায় খরচ করতে হয়েছে ১৩৫ পাউন্ড। ইভানোভা বলেছেন, এ জন্য বুলগেরিয়ার
নান্দনিক ক্লিনিকগুলোতে তিনি ঘুরেছেন। এমন ক্লিনিকের সংখ্যা হবে কয়েক ডজন।
তাদের কাছে এই আশা নিয়ে তিনি হাজির হয়েছেন যাতে তার ঠোঁট আরো বড় দেখায়।
তাকে আরো সুন্দরী দেখায়। সোফিয়া ইউনিভার্সিটি সেইন্ট ক্লিমেন্ট ওরিদস্কিতে
জার্মান দর্শনের ছাত্রী ইভানোভা। বলেছেন, এখন তার ঠোঁট যতটা বড় তাতে তিনি
খুশি। আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে তিনি নিজেকে সুন্দরী মনে করছেন। এমন ঠোঁট
হলো এখন বুলগেরিয়ার ফ্যাশন।
ইন্সটাগ্রামে ইভানোভার রয়েছেন ১৫০০০ অনুসারী। তাদের কাছ থেকে তিনি ভুরি ভুরি মন্তব্য পাচ্ছেন। তারা তার ঠোঁট স্ফীতকরণের প্রশংসা করছেন। এমনকি ভক্তদের মাঝ থেকে কেউ কেউ তাকে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছেন। তবে সবাই যে তাকে ভালভাবে নিচ্ছেন এমন না। কেউ কেউ তাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন কর্মকা-ের কড়া সমালোচনা করছেন। তারা বলছেন, তাকে দেখতে উদ্ভট লাগছে। ইভানোভা বলেন, সারাবিশ্ব থেকে প্রতিদিন আমার অনেক ভক্ত আমার ঠোঁট, শারীরিক গঠন ও স্টাইল নিয়ে মন্তব্য করেন। এর মধ্যে ইতিবাচক, নেতিবাচক দুই ধরনের মন্তব্যই আছে। বেশির ভাগ নেতিবাচক মন্তব্য লেখেন নারীরা। তাতে আমার কিছু এসে যায় না। মানুষ কি বললো তাতে আমার কি! আমি তো আমার মতো নিজের ভাল বেছে নিয়েছি। কিছু মানুষ আমাকে বড় ঠোঁটে পছন্দ করে। কিছু মানুষ চায় স্বাভাবিক ঠোঁটে দেখতে। বিষয়টি তো আমার। অন্য মানুষের পছন্দ অপছন্দ এখানে অপরিহার্য্য নয়।
No comments