কাশ্মিরিদের পক্ষে একজন ৭১ বছর বয়সী অধ্যাপকের লড়াই
ভারত
শাসিত কাশ্মিরে যখন সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধের জোরালো অভিযোগ উঠেছে, ঠিক সেই
সময়ে ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির(আইআইটি) অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ভিপিন
কুমার ত্রিপাঠি নিজের বাড়ি থেকে বহু দূর হেঁটে হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায় লেখা
ছোটকাগজ বিলি করছেন। সেই কাগজে তিনি কাশ্মিরের বাস্তবতা তুলে ধরছেন বলে
জানিয়েছে দক্ষিণ এশিয়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ এশিয়ান মনিটর।
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ ও কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর সেখানে গিয়ে নেতিবাচক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা। স্থানীয় পত্রিকার একজন সম্পাদক সর্বোচ্চ আদালতে গিয়েছিলেন সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধের বিরুদ্ধে। উপত্যকায় সমস্ত রকম যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনর্বহাল ও সাংবাদিকদের গতিবিধির উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছিলেন কাশ্মির টাইমসের নির্বাহী সম্পাদক অনুরাধা ভাসিন। নিষেধাজ্ঞার জেরে সংবাদপত্র ছাপা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন অনুরাধা। সংবাদমাধ্যমের ওপর যখন এমন নিয়ন্ত্রণ চলছে, তখন নিজেই ছোট পত্রিকা ছাপিয়ে তা বিলি করছেন অধ্যাপক ভিপিন।
সাউথ এশিয়ান মনিটর জানিয়েছে, অধ্যাপক ভিপিনের ওই পত্রিকায় মোদি সরকারের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। কাশ্মিরে ভারতীয় বাহিনীর আটক ও নির্যাতনের খবরও প্রকাশ করেছেন তিনি। এছাড়া এক স্মারকলিপিতে ভিপিনসহ ৮২জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক স্বাক্ষর করেছেন। তারা এখন প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে কাশ্মির ইস্যু নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে সাক্ষাতের অপেক্ষায় রয়েছেন।
৭১ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ভিপিন জানান, নিজের লেখা পত্রিকা বিলি করতে গিয়ে নানা রকম বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। মোলচাঁদ ফ্লাইওভারের নিচে পত্রিকা বিলির সময় প্রাইভেট কার থেকে এক ব্যক্তি জানতে চান, তিনি পাকিস্তানি কিনা? এমনকি ওই প্রফেসরকে জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করছেন কিনা? ওই ব্যক্তি প্রফেসর ভিপিনকে বলেন, আপনি যদি বয়স্ক লোক না হতেন, তাহলে আপনাকে কঠিন শিক্ষা দিতাম। পুলিশের কয়েকজন সদস্য এসে তখন পরিস্থিতি সামলায়।
পদার্থবিজ্ঞানের সাবেক এই শিক্ষক জানান, তার পত্রিকার ২০ হাজার কপি এরইমধ্যে বিতরণ করছেন। আইআইটির একশ শিক্ষক এবং ২০ জন শিক্ষার্থী তাকে সমর্থন করছেন। এছাড়া জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ও জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার অনেকেই তাকে সমর্থন জানিয়েছেন।
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ ও কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর সেখানে গিয়ে নেতিবাচক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা। স্থানীয় পত্রিকার একজন সম্পাদক সর্বোচ্চ আদালতে গিয়েছিলেন সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধের বিরুদ্ধে। উপত্যকায় সমস্ত রকম যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনর্বহাল ও সাংবাদিকদের গতিবিধির উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছিলেন কাশ্মির টাইমসের নির্বাহী সম্পাদক অনুরাধা ভাসিন। নিষেধাজ্ঞার জেরে সংবাদপত্র ছাপা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন অনুরাধা। সংবাদমাধ্যমের ওপর যখন এমন নিয়ন্ত্রণ চলছে, তখন নিজেই ছোট পত্রিকা ছাপিয়ে তা বিলি করছেন অধ্যাপক ভিপিন।
সাউথ এশিয়ান মনিটর জানিয়েছে, অধ্যাপক ভিপিনের ওই পত্রিকায় মোদি সরকারের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। কাশ্মিরে ভারতীয় বাহিনীর আটক ও নির্যাতনের খবরও প্রকাশ করেছেন তিনি। এছাড়া এক স্মারকলিপিতে ভিপিনসহ ৮২জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক স্বাক্ষর করেছেন। তারা এখন প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে কাশ্মির ইস্যু নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে সাক্ষাতের অপেক্ষায় রয়েছেন।
৭১ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ভিপিন জানান, নিজের লেখা পত্রিকা বিলি করতে গিয়ে নানা রকম বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। মোলচাঁদ ফ্লাইওভারের নিচে পত্রিকা বিলির সময় প্রাইভেট কার থেকে এক ব্যক্তি জানতে চান, তিনি পাকিস্তানি কিনা? এমনকি ওই প্রফেসরকে জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করছেন কিনা? ওই ব্যক্তি প্রফেসর ভিপিনকে বলেন, আপনি যদি বয়স্ক লোক না হতেন, তাহলে আপনাকে কঠিন শিক্ষা দিতাম। পুলিশের কয়েকজন সদস্য এসে তখন পরিস্থিতি সামলায়।
পদার্থবিজ্ঞানের সাবেক এই শিক্ষক জানান, তার পত্রিকার ২০ হাজার কপি এরইমধ্যে বিতরণ করছেন। আইআইটির একশ শিক্ষক এবং ২০ জন শিক্ষার্থী তাকে সমর্থন করছেন। এছাড়া জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ও জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার অনেকেই তাকে সমর্থন জানিয়েছেন।
No comments