সিলেটে বিয়ে করতে গিয়ে শ্রীঘরে লন্ডনি বর by আক্তার আহমদ শাহেদ
সিলেটের
বিশ্বনাথে বিয়ের রাতে এক ‘বিয়েপাগল’ লন্ডন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে থানা
পুলিশ। সে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ইলিমপুর গ্রামের জমির আলীর পুত্র
যুক্তরাজ্য প্রবাসী আহমদ আলী (৩৫)। গত মঙ্গলবার গোপনে বিয়ে করার পর নববধূকে
বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর রাতেই তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
প্রায় চার বছর পূর্বে লন্ডন থেকে পালিয়ে দেশে এসে ওই বিয়েপাগল আহমদ আলী
নিজের ব্রিটিশ পাসপোর্টটিও ছিঁড়ে ফেলেছেন। অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিন থেকে নিজ
বসত ঘরে অসামাজিক ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিয়ের নামে যুবতী মেয়েদের
সর্বনাশ করে আসছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামসুদ্দোহা পিপিএম। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারের পর পুলিশের কাছে প্রবাসী আহমদ আলী নিজেই পাসপোর্ট ছিঁড়ে ফেলার বিষয়টি স্বীকার করেছে। এছাড়া আহমদ আলী শুধু বিয়ে পাগলই নয়, নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকায় তাকে নিয়ে অভিযান চালানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, ২০১৫ সালে দেওকলস ইউনিয়নের সৈয়দপুর সদুর গাঁওয়ের বাসিন্দা মৃত মাহমদ আলীর মেয়ে রুমি বেগমকে বিয়ে করেন লন্ডন প্রবাসী আহমদ আলী। বিয়ের পর প্রতি রাতেই স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন। ভয়ে স্ত্রী রুমি তার লন্ডন প্রবাসী ভাই আব্দুর রহিমের কাছ থেকে প্রায় ৮ লাখ টাকা স্বামীকে এনে দেন। তার পর স্ত্রীর বড়ভাই প্রবাসী আব্দুর রহিমের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকার (ঢাকা মেট্রো চ ১৩-১৪১৫) নাম্বার নোহা গাড়ি এনে দেন স্ত্রী রুমি। কিন্তু টাকা আর গাড়ি এনে দিলেও তার উপর স্বামীর নির্যাতন কমেনি। তাছাড়া গাড়িটিও নিজে ব্যবহার না করে প্রতারণা করে বিক্রি করে দেন তার ওই লাপাত্তা স্বামী আহমদ আলী। এনিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝটির পর সর্বশেষ গত রমজান মাসে বাবার বাড়িতে গিয়ে রুমি বেগম আর স্বামীর বাড়িতে আসেননি। এই সুযোগে স্ত্রীকে না জানিয়ে গোপনে বালাগঞ্জের একটি গ্রামে বিয়ে করে বাড়ি ফিরেই পুলিশের হাতে ধরা পড়েন ওই লন্ডনি। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে রুমির বড়ভাই আব্দুর রহিম বাদী হয়ে থানায় একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার প্রেক্ষিতে গ্রেপ্তারের পর তাকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেটের জকিগঞ্জ থেকে নোহা গাড়িটি উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
এদিকে, ২০১৮ সালের ১৬ই অক্টোবর ভোরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সোয়ারগাঁও নামক স্থান থেকে রাজনগর উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর গ্রামের সিমা বেগম (১৮) নামের এক যুবতীসহ আপত্তিকর অবস্থায় আহমদ আলীকে গ্রেপ্তার করে ওসমানীনগর থানা পুলিশ। ওইদিন তার আরেক বন্ধু বিশ্বনাথ উপজেলার মন্ডলকাপন গ্রামের ইন্তাজ আলীর পুত্র আঙ্গুর আলীকেও (৩৬) গ্রেফতার করা হয়। এঘটনায় ওসমানীনগর থানায় একটি মামলাও রয়েছে।
বিশ্বনাথ থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, আহমদ আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। গ্রেপ্তারের পর তাকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে এনে বিক্রি করা গাড়িটি গতকাল বৃহস্পতিবার জকিগঞ্জ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামসুদ্দোহা পিপিএম। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারের পর পুলিশের কাছে প্রবাসী আহমদ আলী নিজেই পাসপোর্ট ছিঁড়ে ফেলার বিষয়টি স্বীকার করেছে। এছাড়া আহমদ আলী শুধু বিয়ে পাগলই নয়, নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকায় তাকে নিয়ে অভিযান চালানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, ২০১৫ সালে দেওকলস ইউনিয়নের সৈয়দপুর সদুর গাঁওয়ের বাসিন্দা মৃত মাহমদ আলীর মেয়ে রুমি বেগমকে বিয়ে করেন লন্ডন প্রবাসী আহমদ আলী। বিয়ের পর প্রতি রাতেই স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন। ভয়ে স্ত্রী রুমি তার লন্ডন প্রবাসী ভাই আব্দুর রহিমের কাছ থেকে প্রায় ৮ লাখ টাকা স্বামীকে এনে দেন। তার পর স্ত্রীর বড়ভাই প্রবাসী আব্দুর রহিমের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকার (ঢাকা মেট্রো চ ১৩-১৪১৫) নাম্বার নোহা গাড়ি এনে দেন স্ত্রী রুমি। কিন্তু টাকা আর গাড়ি এনে দিলেও তার উপর স্বামীর নির্যাতন কমেনি। তাছাড়া গাড়িটিও নিজে ব্যবহার না করে প্রতারণা করে বিক্রি করে দেন তার ওই লাপাত্তা স্বামী আহমদ আলী। এনিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝটির পর সর্বশেষ গত রমজান মাসে বাবার বাড়িতে গিয়ে রুমি বেগম আর স্বামীর বাড়িতে আসেননি। এই সুযোগে স্ত্রীকে না জানিয়ে গোপনে বালাগঞ্জের একটি গ্রামে বিয়ে করে বাড়ি ফিরেই পুলিশের হাতে ধরা পড়েন ওই লন্ডনি। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে রুমির বড়ভাই আব্দুর রহিম বাদী হয়ে থানায় একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার প্রেক্ষিতে গ্রেপ্তারের পর তাকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেটের জকিগঞ্জ থেকে নোহা গাড়িটি উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
এদিকে, ২০১৮ সালের ১৬ই অক্টোবর ভোরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সোয়ারগাঁও নামক স্থান থেকে রাজনগর উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর গ্রামের সিমা বেগম (১৮) নামের এক যুবতীসহ আপত্তিকর অবস্থায় আহমদ আলীকে গ্রেপ্তার করে ওসমানীনগর থানা পুলিশ। ওইদিন তার আরেক বন্ধু বিশ্বনাথ উপজেলার মন্ডলকাপন গ্রামের ইন্তাজ আলীর পুত্র আঙ্গুর আলীকেও (৩৬) গ্রেফতার করা হয়। এঘটনায় ওসমানীনগর থানায় একটি মামলাও রয়েছে।
বিশ্বনাথ থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, আহমদ আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। গ্রেপ্তারের পর তাকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে এনে বিক্রি করা গাড়িটি গতকাল বৃহস্পতিবার জকিগঞ্জ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
No comments