চীন-ভারত সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র উন্মুক্ত করেছে মহাশূন্য by হু ওয়েজিয়া
গত
২২ জুলাই সোমবার শ্রিহরিকোটা স্পেস স্টেশন থেকে চন্দ্রযান-২ উক্ষেপনের পর ভারত চলতি
সপ্তাহে প্রথমবারের মতো সিমুলেটেড স্পেস ওয়ারফেয়ার মহড়া শুরু করতে যাচ্ছে
বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক খবরে বলা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ভারত তার মহাশূন্যযান উৎক্ষেপণ ও অনুসন্ধান সামর্থ্য বাড়াতে চাচ্ছে। ভারতের মহাশূন্য পরিকল্পনার বড় অংশে বেসামরিক প্রয়োগের উপর জোর দেয়া হয়। তবে এই প্রযুক্তির উন্নয়নকে নজরদারি, যোগাযোগ, নেভিগেশন ও ক্ষেপনাস্ত্র নির্মাণের মতো সামরিক প্রয়োগ ক্ষেত্রেও পুরোপুরি কাজে লাগানো যাবে।
গত মার্চে ভারত দাবি করে যে তারা ক্ষেপনাস্ত্র ছুঁড়ে কক্ষপথে থাকা নিজস্ব একটি স্যাটেলাইট ধ্বংস করছে। চীন স্যাটলাইট বিধ্বংস বহুরকম অস্ত্র তৈরি করলেও, ভারতীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে টিওআই লিখে, কোন শত্রু যেন মহাশূন্যে ভারতীয় সম্পদের প্রতি হুমকি সৃষ্টি করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে তার প্রতিরোধমূলক সক্ষমতা বাড়ানো ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। এতে মনে হচ্ছে ভারতের মহাশূন্য প্রচেষ্টার পেছনে চীন ফ্যাক্টর কাজ করছে। ভারত এমন রকেট কন্ট্রোল প্রযুক্তি হাসিল করতে চাচ্ছে যা ব্যালিস্টিক মিসাইলের গাইডেন্স সিস্টেমে ব্যবহার করা যায়। প্রতিবেশী দেশগুলো, বিশেষ করে পাকিস্তান ও চীনের প্রতি নজর রেখে দেশটি তার ব্যালিস্টিক মিসাইলের ভাণ্ডার আধুনিক করে চলেছে।
চন্দ্রযান-২ এর সফল উৎক্ষেপনকে স্বাগত জানায় চীন। কারণ চাঁদের দক্ষিণ মেরু নিয়ে ভারত যে গবেষণা করছে তা গোটা মানজাতিকে উপকৃত করবে। তবে ভারতের মহাশূন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষা চীনের উপর নজরদারির মনোভাবকেও জোরদার করতে পারে। এ ক্ষেত্রে নয়া দিল্লির প্রতিটি পদক্ষেপের উপর নজর রাখছে বেইজিং।
তৃতীয় কোন দেশকে উদ্দেশ্য করে মহাশূন্য গবেষণা চালানো উচিত নয় ভারতের। তাহলে দেশটিকে গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে। পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার মতো অনেক ধরনের হাতিয়ার এরই মধ্যে চীনের করায়ত্বে এসে গেছে। ভারতের মহাশূন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষা বিপথগামী হয়ে দুই দেশের মধ্যে অস্ত্র প্রতিযোগিতা জন্ম দেয়া ঠিক হবে না।
তবে পররাষ্ট্র ক্ষেত্রে ভারতের মহাশূন্য অনুসন্ধানের একটি উজ্জ্বল দিকও রয়েছে। এটা আন্তর্জাতিক মহাশূন্য সহযোগিতার ক্ষেত্রটি প্রশস্ত করবে। এ ক্ষেত্রে ভারত ও চীন যদি তাদের সহযোগিতা জোরদার করার সুযোগ গ্রহণ করে তাতে দুই দেশের মধ্যে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি উন্নয়নের ব্যাপারে পারস্পরিক আস্থা ও অর্থনৈতিক বিনিময় বৃদ্ধি পেতে পারে।
মহাশূন্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে চীন ও ভারতের উত্থানের পাশাপাশি, দুই উদীয়মান এশীয় শক্তির মধ্যে সম্পর্কটি ক্রমাগত জটিল হয়ে পড়ছে। দুটি দেশের সামনেই চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ রয়েছে। সঠিক পথটি বেছে নেয়ার মতো প্রজ্ঞা ভারতের রয়েছে বলে আমরা মনে করি।
সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ভারত তার মহাশূন্যযান উৎক্ষেপণ ও অনুসন্ধান সামর্থ্য বাড়াতে চাচ্ছে। ভারতের মহাশূন্য পরিকল্পনার বড় অংশে বেসামরিক প্রয়োগের উপর জোর দেয়া হয়। তবে এই প্রযুক্তির উন্নয়নকে নজরদারি, যোগাযোগ, নেভিগেশন ও ক্ষেপনাস্ত্র নির্মাণের মতো সামরিক প্রয়োগ ক্ষেত্রেও পুরোপুরি কাজে লাগানো যাবে।
গত মার্চে ভারত দাবি করে যে তারা ক্ষেপনাস্ত্র ছুঁড়ে কক্ষপথে থাকা নিজস্ব একটি স্যাটেলাইট ধ্বংস করছে। চীন স্যাটলাইট বিধ্বংস বহুরকম অস্ত্র তৈরি করলেও, ভারতীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে টিওআই লিখে, কোন শত্রু যেন মহাশূন্যে ভারতীয় সম্পদের প্রতি হুমকি সৃষ্টি করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে তার প্রতিরোধমূলক সক্ষমতা বাড়ানো ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। এতে মনে হচ্ছে ভারতের মহাশূন্য প্রচেষ্টার পেছনে চীন ফ্যাক্টর কাজ করছে। ভারত এমন রকেট কন্ট্রোল প্রযুক্তি হাসিল করতে চাচ্ছে যা ব্যালিস্টিক মিসাইলের গাইডেন্স সিস্টেমে ব্যবহার করা যায়। প্রতিবেশী দেশগুলো, বিশেষ করে পাকিস্তান ও চীনের প্রতি নজর রেখে দেশটি তার ব্যালিস্টিক মিসাইলের ভাণ্ডার আধুনিক করে চলেছে।
চন্দ্রযান-২ এর সফল উৎক্ষেপনকে স্বাগত জানায় চীন। কারণ চাঁদের দক্ষিণ মেরু নিয়ে ভারত যে গবেষণা করছে তা গোটা মানজাতিকে উপকৃত করবে। তবে ভারতের মহাশূন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষা চীনের উপর নজরদারির মনোভাবকেও জোরদার করতে পারে। এ ক্ষেত্রে নয়া দিল্লির প্রতিটি পদক্ষেপের উপর নজর রাখছে বেইজিং।
তৃতীয় কোন দেশকে উদ্দেশ্য করে মহাশূন্য গবেষণা চালানো উচিত নয় ভারতের। তাহলে দেশটিকে গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে। পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার মতো অনেক ধরনের হাতিয়ার এরই মধ্যে চীনের করায়ত্বে এসে গেছে। ভারতের মহাশূন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষা বিপথগামী হয়ে দুই দেশের মধ্যে অস্ত্র প্রতিযোগিতা জন্ম দেয়া ঠিক হবে না।
তবে পররাষ্ট্র ক্ষেত্রে ভারতের মহাশূন্য অনুসন্ধানের একটি উজ্জ্বল দিকও রয়েছে। এটা আন্তর্জাতিক মহাশূন্য সহযোগিতার ক্ষেত্রটি প্রশস্ত করবে। এ ক্ষেত্রে ভারত ও চীন যদি তাদের সহযোগিতা জোরদার করার সুযোগ গ্রহণ করে তাতে দুই দেশের মধ্যে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি উন্নয়নের ব্যাপারে পারস্পরিক আস্থা ও অর্থনৈতিক বিনিময় বৃদ্ধি পেতে পারে।
মহাশূন্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে চীন ও ভারতের উত্থানের পাশাপাশি, দুই উদীয়মান এশীয় শক্তির মধ্যে সম্পর্কটি ক্রমাগত জটিল হয়ে পড়ছে। দুটি দেশের সামনেই চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ রয়েছে। সঠিক পথটি বেছে নেয়ার মতো প্রজ্ঞা ভারতের রয়েছে বলে আমরা মনে করি।
No comments