কাশ্মির ইস্যুতে ট্রাম্পকে মধ্যস্থতার আহ্বান পাকিস্তানের
কাশ্মির
ইস্যুতে মধ্যস্থতা করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি
আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান। অঞ্চলটিকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান ও ভারতের
মধ্যে সাম্প্রতিক নতুন উত্তেজনার মধ্যেই এমন আহ্বান জানালো ইসলামাবাদ। ৪
আগস্ট রবিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, কাশ্মির নিয়ে
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার উত্তেজনা আঞ্চলিক সংকটে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা
রয়েছে। ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতার জন্য এখনই
সঠিক সময়।
এমন সময়ে ইমরান খান এ মন্তব্য করলেন যার মাত্র একদিন আগে ভারতের বিরুদ্ধে কাশ্মিরে অবৈধ ক্লাস্টার বোমা ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছিল পাকিস্তান। ওই ঘটনায় দুই বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। আহত হন আরও ১১ জন। তবে অবৈধ ক্লাস্টার বোমা ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেছে দিল্লি।
রবিবার টুইটারে দেওয়া পোস্টে ইমরান খান বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কাশ্মিরে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এখন পরিস্থিতি খারাপ হয়ে পড়ার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণরেখায় দখলদার ভারতীয় বাহিনীর আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের ফলে ট্রাম্পের মধ্যস্থতার জন্য এখনই সঠিক সময়।
কাশ্মির সংকটকে কেন্দ্র করে একটি বিস্ফোরন্মুখ আঞ্চলিক সংকটের আশঙ্কার কথাও জানান ইমরান খান।
ইমরান খানের এ টুইটের ব্যাপারে অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র বা ভারতের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এর আগে গত জুলাইয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প জানান, কাশ্মির সংকট নিরসনে মধ্যস্থতা করতে তার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে স্থিতিশীলতা আনতেই মোদি এ অনুরোধ জানিয়েছেন। পরে ট্রাম্পের ওই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে দিল্লি।
জুলাইয়ে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ওই বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘২ সপ্তাহ আগেই মোদির সঙ্গে দেখা হয়েছিল। আমরা এ বিষয়ে (কাশ্মির) কথা বলেছিলাম। উনি তখন বলেছিলেন, আপনি (ট্রাম্প) কি মধ্যস্থতাকারী হবেন? আমি বললাম, কিসের? তখন উনি বললেন, কাশ্মির সমস্যা মেটানোর জন্য। কারণ এই সমস্যা বছরের পর বছর ধরে চলছে। আমি খুব অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, কতদিন ধরে রয়েছে এই সমস্যা?’ ট্রাম্প যখন এসব কথা বলছিলেন, তখন তার পাশেই ছিলেন ইমরান খান। ট্রাম্পের কথা শুনে ইমরান বললেন, ‘৭০ বছর ধরে এই সমস্যা অব্যাহত রয়েছে।’
কাশ্মির ইস্যুতে ট্রাম্পের মন্তব্যের আগে ইমরান খান বলেন, ‘ট্রাম্প বিশ্বের অত্যন্ত শক্তিশালী ব্যক্তি। আমেরিকা অত্যন্ত শক্তিশালী দেশ। উপমহাদেশে শান্তি স্থাপনে যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে…আমার পক্ষ থেকে বলতে পারি, আমরা অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা কোনও সমাধান বের করতে পারিনি। আশা করছি মার্কিন প্রেসিডেন্ট দু’দেশের সম্পর্ক শক্তিশালী করতে উদ্যোগী হবেন।’ এরপর ট্রাম্প বলেন, ‘আমার মনে হয়, উভয়েই (ভারত-পাকিস্তান) চায়, এ সমস্যার সমাধান হোক। আমরা সবাই তা-ই চাই। আর আমি যদি সাহায্য করতে পারি, আমি মধ্যস্থতাকারী হতে রাজি।’ তখন ইমরান বলেন, ‘যদি আপনি পারেন, তাহলে মধ্যস্থতা করে এ সমস্যার সমাধান করুন।’
ইমরানের কথা শুনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এটা সমাধান হওয়া দরকার। উনিও (নরেন্দ্র মোদি) আমাকে একই কথা বলেছেন। দেখা যাক, কী করতে পারি। কাশ্মির সম্পর্কে অনেক কিছু শুনেছি। খুব সুন্দর নাম। বিশ্বের অন্যতম সুন্দর জায়গা এটি। কিন্তু এখন চারদিকে শুধু বোমা। যেখানেই আপনি যান, বোমা রয়েছে। ভয়ঙ্কর অবস্থা। যদি আমি কিছু সাহায্য করতে পারি, তাহলে আমাকে জানান।’ সূত্র: রয়টার্স, টুইটার।
এমন সময়ে ইমরান খান এ মন্তব্য করলেন যার মাত্র একদিন আগে ভারতের বিরুদ্ধে কাশ্মিরে অবৈধ ক্লাস্টার বোমা ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছিল পাকিস্তান। ওই ঘটনায় দুই বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। আহত হন আরও ১১ জন। তবে অবৈধ ক্লাস্টার বোমা ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেছে দিল্লি।
রবিবার টুইটারে দেওয়া পোস্টে ইমরান খান বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কাশ্মিরে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এখন পরিস্থিতি খারাপ হয়ে পড়ার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণরেখায় দখলদার ভারতীয় বাহিনীর আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের ফলে ট্রাম্পের মধ্যস্থতার জন্য এখনই সঠিক সময়।
কাশ্মির সংকটকে কেন্দ্র করে একটি বিস্ফোরন্মুখ আঞ্চলিক সংকটের আশঙ্কার কথাও জানান ইমরান খান।
ইমরান খানের এ টুইটের ব্যাপারে অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র বা ভারতের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এর আগে গত জুলাইয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প জানান, কাশ্মির সংকট নিরসনে মধ্যস্থতা করতে তার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে স্থিতিশীলতা আনতেই মোদি এ অনুরোধ জানিয়েছেন। পরে ট্রাম্পের ওই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে দিল্লি।
জুলাইয়ে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ওই বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘২ সপ্তাহ আগেই মোদির সঙ্গে দেখা হয়েছিল। আমরা এ বিষয়ে (কাশ্মির) কথা বলেছিলাম। উনি তখন বলেছিলেন, আপনি (ট্রাম্প) কি মধ্যস্থতাকারী হবেন? আমি বললাম, কিসের? তখন উনি বললেন, কাশ্মির সমস্যা মেটানোর জন্য। কারণ এই সমস্যা বছরের পর বছর ধরে চলছে। আমি খুব অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, কতদিন ধরে রয়েছে এই সমস্যা?’ ট্রাম্প যখন এসব কথা বলছিলেন, তখন তার পাশেই ছিলেন ইমরান খান। ট্রাম্পের কথা শুনে ইমরান বললেন, ‘৭০ বছর ধরে এই সমস্যা অব্যাহত রয়েছে।’
কাশ্মির ইস্যুতে ট্রাম্পের মন্তব্যের আগে ইমরান খান বলেন, ‘ট্রাম্প বিশ্বের অত্যন্ত শক্তিশালী ব্যক্তি। আমেরিকা অত্যন্ত শক্তিশালী দেশ। উপমহাদেশে শান্তি স্থাপনে যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে…আমার পক্ষ থেকে বলতে পারি, আমরা অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা কোনও সমাধান বের করতে পারিনি। আশা করছি মার্কিন প্রেসিডেন্ট দু’দেশের সম্পর্ক শক্তিশালী করতে উদ্যোগী হবেন।’ এরপর ট্রাম্প বলেন, ‘আমার মনে হয়, উভয়েই (ভারত-পাকিস্তান) চায়, এ সমস্যার সমাধান হোক। আমরা সবাই তা-ই চাই। আর আমি যদি সাহায্য করতে পারি, আমি মধ্যস্থতাকারী হতে রাজি।’ তখন ইমরান বলেন, ‘যদি আপনি পারেন, তাহলে মধ্যস্থতা করে এ সমস্যার সমাধান করুন।’
ইমরানের কথা শুনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এটা সমাধান হওয়া দরকার। উনিও (নরেন্দ্র মোদি) আমাকে একই কথা বলেছেন। দেখা যাক, কী করতে পারি। কাশ্মির সম্পর্কে অনেক কিছু শুনেছি। খুব সুন্দর নাম। বিশ্বের অন্যতম সুন্দর জায়গা এটি। কিন্তু এখন চারদিকে শুধু বোমা। যেখানেই আপনি যান, বোমা রয়েছে। ভয়ঙ্কর অবস্থা। যদি আমি কিছু সাহায্য করতে পারি, তাহলে আমাকে জানান।’ সূত্র: রয়টার্স, টুইটার।
No comments