স্বনির্ভর ও স্বাবলম্বী প্রতিরক্ষা শিল্প গড়ে তুলতে চায় পাকিস্তান
পাকিস্তান
সরকার সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতার ভিত্তিতে একটি স্বনির্ভর ও স্বাবলম্বী
প্রতিরক্ষা শিল্প গড়ে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে প্রাইভেট সেক্টর এখনও
অতটা উৎসাহ দেখায়নি।
এই লক্ষ্যের কথা উত্থাপন করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল কমর জাভেদ বাজওয়া। জুলাই মাসের শুরুর দিকে সরকার আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। সেখানে সরকারি ও প্রাইভেট খাতের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরির লক্ষ্য একটা পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য একটি টাস্ক ফোর্স গঠনের সুপারিশ করা হয় সেমিনারে। সেই সাথে প্রাইভেট সেক্টরকে সাথে নিয়ে একটা কাঁচামাল শিল্প প্রতিষ্ঠা, রফতানির পর উদ্বৃত্ত উৎপাদন সক্ষমতার ব্যবহার, এবং সফটওয়্যার শিল্পের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য একটি ‘ডিজিটাল পার্ক’ গঠন এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণা ও উন্নয়নের ব্যাপারেও সেমিনারে প্রস্তাব করা হয়।
তবে প্রাইভেট খাতের প্রতিরক্ষা ঠিকাদার কোম্পানি বো সিস্টেমস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহজাদ আহমেদ মির বলেন, আমলাতান্ত্রিক বাধাগুলো আগে দূর করতে হবে।
তিনি বলেন, “সেনাপ্রধানরা আসবেন এবং যাবেন, শুধু নীতিমালাটাই থেকে যাবে। এই ধরনের বিবৃতির সমর্থন দেয়ার মতো কোন সরকারি নীতিমালা এখন পর্যন্ত নেই”।
এই পরিবর্তনে বাধা দেয়ার জন্য পাকিস্তানের বেসামরিক আমলাতন্ত্রকে দায়ি করেন মির।
“প্রাইভেট খাত যে এই কাজটা আরও ভালোভাবে এবং এই আমলাদের চেয়ে আরও অনেক কম খরচে করতে পারবে, সেটা স্বীকার করার ব্যাপারে সমস্যা রয়েছে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় যদি গুরুত্বের সাথে প্রাইভেট খাতকে আলোচনার টেবিলে আমন্ত্রণ না জানায়, এবং এ বিষয়ে একটা নীতি নির্ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় দর কষাকষির দীর্ঘ ও জটিল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে না যায়, তাহলে এই ধরনের বিবৃতি দিয়ে ব্যবসায়িক জগতে কোন পরিবর্তন আসবে না”।
এই প্রচেষ্টার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো রফতানি, কিন্তু মির যে সমস্যার কথা বলছেন, সেটা এরই মধ্যে যথেষ্ট ক্ষতি করেছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, পাকিস্তানের প্রধান প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানিকারক হলো রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান পাকিস্তান অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিজ (পিওএফ), কিন্তু তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো নিজস্ব সামরিক বাহিনীর প্রয়োজন মেটানো। এই চাহিদা পূরণ হওয়ার পরে কোন উদ্বৃত্ত থাকলেই কেবল সেগুলোর ব্যাপারে বাণিজ্যিক চিন্তা করা হয়, যেটাকে রফতানির জন্য একটা বাধা মনে করেন প্রাইভেট খাতের ঠিকাদাররা।
মির বলেন, “পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা উৎপাদনের হিসেব নিকেশ সব ভুল পথে চলছে। এই ভুলগুলো যদি শুধরানো না হয়, এবং প্রাইভেট খাতকে যদি নেতৃত্ব নিতে দেয়া না হয় এবং প্রতিরক্ষা স্থাপনার কনসেপচুয়াল কর্মসূচিতে বিনিয়োগ না করা হয়, আমাদের প্রতিরক্ষা চাহিদা অন্যের উপরই নির্ভরশীল থেকে যাবে”।
এই লক্ষ্যের কথা উত্থাপন করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল কমর জাভেদ বাজওয়া। জুলাই মাসের শুরুর দিকে সরকার আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। সেখানে সরকারি ও প্রাইভেট খাতের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরির লক্ষ্য একটা পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য একটি টাস্ক ফোর্স গঠনের সুপারিশ করা হয় সেমিনারে। সেই সাথে প্রাইভেট সেক্টরকে সাথে নিয়ে একটা কাঁচামাল শিল্প প্রতিষ্ঠা, রফতানির পর উদ্বৃত্ত উৎপাদন সক্ষমতার ব্যবহার, এবং সফটওয়্যার শিল্পের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য একটি ‘ডিজিটাল পার্ক’ গঠন এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণা ও উন্নয়নের ব্যাপারেও সেমিনারে প্রস্তাব করা হয়।
তবে প্রাইভেট খাতের প্রতিরক্ষা ঠিকাদার কোম্পানি বো সিস্টেমস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহজাদ আহমেদ মির বলেন, আমলাতান্ত্রিক বাধাগুলো আগে দূর করতে হবে।
তিনি বলেন, “সেনাপ্রধানরা আসবেন এবং যাবেন, শুধু নীতিমালাটাই থেকে যাবে। এই ধরনের বিবৃতির সমর্থন দেয়ার মতো কোন সরকারি নীতিমালা এখন পর্যন্ত নেই”।
এই পরিবর্তনে বাধা দেয়ার জন্য পাকিস্তানের বেসামরিক আমলাতন্ত্রকে দায়ি করেন মির।
“প্রাইভেট খাত যে এই কাজটা আরও ভালোভাবে এবং এই আমলাদের চেয়ে আরও অনেক কম খরচে করতে পারবে, সেটা স্বীকার করার ব্যাপারে সমস্যা রয়েছে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় যদি গুরুত্বের সাথে প্রাইভেট খাতকে আলোচনার টেবিলে আমন্ত্রণ না জানায়, এবং এ বিষয়ে একটা নীতি নির্ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় দর কষাকষির দীর্ঘ ও জটিল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে না যায়, তাহলে এই ধরনের বিবৃতি দিয়ে ব্যবসায়িক জগতে কোন পরিবর্তন আসবে না”।
এই প্রচেষ্টার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো রফতানি, কিন্তু মির যে সমস্যার কথা বলছেন, সেটা এরই মধ্যে যথেষ্ট ক্ষতি করেছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, পাকিস্তানের প্রধান প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানিকারক হলো রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান পাকিস্তান অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিজ (পিওএফ), কিন্তু তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো নিজস্ব সামরিক বাহিনীর প্রয়োজন মেটানো। এই চাহিদা পূরণ হওয়ার পরে কোন উদ্বৃত্ত থাকলেই কেবল সেগুলোর ব্যাপারে বাণিজ্যিক চিন্তা করা হয়, যেটাকে রফতানির জন্য একটা বাধা মনে করেন প্রাইভেট খাতের ঠিকাদাররা।
মির বলেন, “পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা উৎপাদনের হিসেব নিকেশ সব ভুল পথে চলছে। এই ভুলগুলো যদি শুধরানো না হয়, এবং প্রাইভেট খাতকে যদি নেতৃত্ব নিতে দেয়া না হয় এবং প্রতিরক্ষা স্থাপনার কনসেপচুয়াল কর্মসূচিতে বিনিয়োগ না করা হয়, আমাদের প্রতিরক্ষা চাহিদা অন্যের উপরই নির্ভরশীল থেকে যাবে”।
No comments