ট্রাম্পের কাশ্মির দাবি নিয়ে ভারতে তোলপাড় by রেবেকা র্যাটক্লিফ
কাশ্মির
বিরোধে মধ্যস্থতা করার জন্য ভারত সরকার মার্কিন প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ
করেছেন বলে ডোনাল্ড ট্রাম্প যে দাবি করেছেন তা ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। বিরোধী দলের এমপিদের কাছ থেকে ক্ষুব্ধ
প্রতিক্রিয়ার পর তিনি তার এ অবস্থান জানালেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাশে বসে ট্রাম্পের করা ওই মন্তব্য ভারতীয় পার্লামেন্টে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করে, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে জবাব চাওয়া হয়।
পাকিস্তান সবসময়ই দীর্ঘ দিন ধরে চলা কাশ্মির সমস্যার সমাধানে তৃতীয় পক্ষের সম্পৃক্ততার আহ্বান জানিয়ে আসছে। কিন্তু ভারত সবসময়ই বলে আসছে যে ইসলামাবাদের সাথে সরাসরি আলোচনার মাধমে এই সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।
কাশ্মিরকে পুরোপুরি দাবি করে ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই এবং উভয় দেশই এর অংশবিশেষ শাসন করে। তিন দশক ধরে ভারত-শাসিত কাশ্মিরে আন্দোলন চলছে, সঙ্ঘাতে হাজার হাজার লোক নিহত হচ্ছে।
ট্রাম্পের পরামর্শ সাথে সাথেই দিল্লিতে প্রত্যাখ্যাত হয়। এরপর গত মঙ্গলবার পার্লামেন্টে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ঘটে। এর মধ্যেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কঠোরভাবে তা প্রত্যাখ্যান করেন।
এমপিদের তীব্র ক্ষোভের মুখে তিনি বলেন, ভারতের স্থায়ী অবস্থান হলো এই যে এটি পাকিস্তানের সাথে বিরোধপূর্ণ ইস্যু এবং দ্বিপক্ষীয় আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এর অবসান হতে পারে। আর আমি জোর দিয়ে বলছি যে পাকিস্তানের সাথে যেকোনো ধরনের সম্পৃক্ততায় আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসের সমাপ্তির প্রয়োজন।
প্রতিবাদে বিরোধী দলের সদস্যরা ওয়াক আউট করেন, তারা মোদির কাছ থেকে জবাব দাবি করেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবারের মতো ওয়াশিংটন সফরকালে ইমরান খান ট্রাম্পকে বলেন, আপনি যদি এই ইস্যুতে মধ্যস্ততা করেন বা মীমাংসা করেন, তবে ১০০ কোটি লোক আপনার জন্য দোয়া করবে।
পরে ফক্স নিউজকে ইমরান খান বলেন, পাকিস্তান ও ভারত দুই মেরুতে অবস্থান করছে। দ্বিপক্ষীয়ভাবে এই সমস্যার সমাধান হবে না। আমি আন্তরিকভাবে চাই ভারত আলোচনার টেবিলে আসুক। যুক্তরাষ্ট্র বড় ভূমিকা পালন করতে পারে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবশ্যই বড় অংশে থাকতে পারেন।
ইমরান খানের মন্তব্যের জবাবে ট্রাম্প সোমবার বলেন, তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছ থেকেও একই ধরনের অনুরোধ পেয়েছেন। ট্রাম্প বলেন, বিশ্বাস করাও অসম্ভব যে খুবই স্মার্ট নেতৃত্বে থাকা দুটি খুবই স্মার্ট দেশ এ ধরনের একটি সমস্যার সমাধান করতে পারে না। আপনারা যদি আমাকে মধ্যস্থতা করতে বলেন, আমি তা করতে রাজি।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, চরমপন্থীদের দমন করার জন্য পাকিস্তানের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ানোর জন্য ভারতের আহ্বানকেই ভুল ব্যাখ্যা করেছেন ট্রাম্প। মোদি যদি হস্তক্ষেপ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে আমন্ত্রণ জানায়, তা হবে তৃতীয় পক্ষের সম্পৃক্ততা প্রশ্নে তার নীতির আমূল পরিবর্তনের সামিল।
দিল্লির ইনস্টিটউট অব পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজের সহযোগী পরিচালক রাজেশ্বরী কৃষ্ণমুর্তি বলেন, সম্ভাব্য ব্যাখ্যা হলো, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কোনো এক আলোচনার সময় ট্রাম্প কোনো বক্তব্যকে ভুলভাবে গ্রহণ করেছিলেন।
ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান ও হাউসে পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির সদস্য ব্রাড শেরম্যান বলেন, ট্রাম্পের বক্তব্যের জন্য তিনি ওয়াশিংটনে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। সবাই জানে, প্রধানমন্ত্রী মোদি কখনো এ ধরনের কিছু চাইতে পারেন না। ট্রাম্পের বক্তব্য অপরিণত ও কল্পনাপ্রসূত এবং বিব্রতকর।
ইমরান খানের সফরের আগে ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবে পরিচিত হাফিজ সাঈয়িদকে গ্রেফতার করে পাকিস্তান। যুক্তরাষ্ট্রকে সন্তুষ্ট করার প্রয়াসে পাকিস্তান এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার ইমরান খান বলেন, আফগান সরকারের সাথে বসতে তালেবানকে রাজি করানোর চেষ্টা করবেন তিনি। তিনি বলেন, আমি তালেবানের সাথে আলোচনা করে তাদেরকে আফগান সরকারের সাথে আলোচনা করতে রাজি হতে সর্বাত্মক চেষ্টা করব।
ট্রাম্পের মন্তব্যের পর মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর পরিস্থিতি শান্ত করার উদ্যোগ নেয়। পররাষ্ট্র দফতরের ব্যুরো অব সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়া বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সহকারী সচিব অ্যালিস ওয়েলস বলেন, কাশ্মির একটি দ্বিপক্ষীয় বিষয়। ট্রাম্প প্রশাসন এই সমস্যার সুরাহা করতে ভারত ও পাকিস্তানের বসে আলোচনার উদ্যোগকে স্বাগত জানায় এবং সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাশে বসে ট্রাম্পের করা ওই মন্তব্য ভারতীয় পার্লামেন্টে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করে, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে জবাব চাওয়া হয়।
পাকিস্তান সবসময়ই দীর্ঘ দিন ধরে চলা কাশ্মির সমস্যার সমাধানে তৃতীয় পক্ষের সম্পৃক্ততার আহ্বান জানিয়ে আসছে। কিন্তু ভারত সবসময়ই বলে আসছে যে ইসলামাবাদের সাথে সরাসরি আলোচনার মাধমে এই সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।
কাশ্মিরকে পুরোপুরি দাবি করে ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই এবং উভয় দেশই এর অংশবিশেষ শাসন করে। তিন দশক ধরে ভারত-শাসিত কাশ্মিরে আন্দোলন চলছে, সঙ্ঘাতে হাজার হাজার লোক নিহত হচ্ছে।
ট্রাম্পের পরামর্শ সাথে সাথেই দিল্লিতে প্রত্যাখ্যাত হয়। এরপর গত মঙ্গলবার পার্লামেন্টে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ঘটে। এর মধ্যেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কঠোরভাবে তা প্রত্যাখ্যান করেন।
এমপিদের তীব্র ক্ষোভের মুখে তিনি বলেন, ভারতের স্থায়ী অবস্থান হলো এই যে এটি পাকিস্তানের সাথে বিরোধপূর্ণ ইস্যু এবং দ্বিপক্ষীয় আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এর অবসান হতে পারে। আর আমি জোর দিয়ে বলছি যে পাকিস্তানের সাথে যেকোনো ধরনের সম্পৃক্ততায় আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসের সমাপ্তির প্রয়োজন।
প্রতিবাদে বিরোধী দলের সদস্যরা ওয়াক আউট করেন, তারা মোদির কাছ থেকে জবাব দাবি করেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবারের মতো ওয়াশিংটন সফরকালে ইমরান খান ট্রাম্পকে বলেন, আপনি যদি এই ইস্যুতে মধ্যস্ততা করেন বা মীমাংসা করেন, তবে ১০০ কোটি লোক আপনার জন্য দোয়া করবে।
পরে ফক্স নিউজকে ইমরান খান বলেন, পাকিস্তান ও ভারত দুই মেরুতে অবস্থান করছে। দ্বিপক্ষীয়ভাবে এই সমস্যার সমাধান হবে না। আমি আন্তরিকভাবে চাই ভারত আলোচনার টেবিলে আসুক। যুক্তরাষ্ট্র বড় ভূমিকা পালন করতে পারে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবশ্যই বড় অংশে থাকতে পারেন।
ইমরান খানের মন্তব্যের জবাবে ট্রাম্প সোমবার বলেন, তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছ থেকেও একই ধরনের অনুরোধ পেয়েছেন। ট্রাম্প বলেন, বিশ্বাস করাও অসম্ভব যে খুবই স্মার্ট নেতৃত্বে থাকা দুটি খুবই স্মার্ট দেশ এ ধরনের একটি সমস্যার সমাধান করতে পারে না। আপনারা যদি আমাকে মধ্যস্থতা করতে বলেন, আমি তা করতে রাজি।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, চরমপন্থীদের দমন করার জন্য পাকিস্তানের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ানোর জন্য ভারতের আহ্বানকেই ভুল ব্যাখ্যা করেছেন ট্রাম্প। মোদি যদি হস্তক্ষেপ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে আমন্ত্রণ জানায়, তা হবে তৃতীয় পক্ষের সম্পৃক্ততা প্রশ্নে তার নীতির আমূল পরিবর্তনের সামিল।
দিল্লির ইনস্টিটউট অব পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজের সহযোগী পরিচালক রাজেশ্বরী কৃষ্ণমুর্তি বলেন, সম্ভাব্য ব্যাখ্যা হলো, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কোনো এক আলোচনার সময় ট্রাম্প কোনো বক্তব্যকে ভুলভাবে গ্রহণ করেছিলেন।
ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান ও হাউসে পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির সদস্য ব্রাড শেরম্যান বলেন, ট্রাম্পের বক্তব্যের জন্য তিনি ওয়াশিংটনে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। সবাই জানে, প্রধানমন্ত্রী মোদি কখনো এ ধরনের কিছু চাইতে পারেন না। ট্রাম্পের বক্তব্য অপরিণত ও কল্পনাপ্রসূত এবং বিব্রতকর।
ইমরান খানের সফরের আগে ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবে পরিচিত হাফিজ সাঈয়িদকে গ্রেফতার করে পাকিস্তান। যুক্তরাষ্ট্রকে সন্তুষ্ট করার প্রয়াসে পাকিস্তান এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার ইমরান খান বলেন, আফগান সরকারের সাথে বসতে তালেবানকে রাজি করানোর চেষ্টা করবেন তিনি। তিনি বলেন, আমি তালেবানের সাথে আলোচনা করে তাদেরকে আফগান সরকারের সাথে আলোচনা করতে রাজি হতে সর্বাত্মক চেষ্টা করব।
ট্রাম্পের মন্তব্যের পর মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর পরিস্থিতি শান্ত করার উদ্যোগ নেয়। পররাষ্ট্র দফতরের ব্যুরো অব সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়া বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সহকারী সচিব অ্যালিস ওয়েলস বলেন, কাশ্মির একটি দ্বিপক্ষীয় বিষয়। ট্রাম্প প্রশাসন এই সমস্যার সুরাহা করতে ভারত ও পাকিস্তানের বসে আলোচনার উদ্যোগকে স্বাগত জানায় এবং সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
No comments