এরশাদ শিকদার-নয়ন বন্ড যেন আর ফিরে না আসে! by মোঃ সদরুল কাদির
অপরাধ
করার পর মুচলেকা বা জামিনে মুক্ত করে অপরাধীদের নতুন করে সুযোগ করে দেয়া
আমাদের ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। অপরাধীরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে লিয়াজু
রেখে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে অনেক
বড় মাপের অপরাধী খুব সহজেই ছাড়া বা জামিন পায়। যেখানে ১৫৪ ধারায়
অভিযুক্ত সন্দেহভাজন অপরাধীরাও সুবিধা না পেয়ে জেলহাজতে চলে যায়।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে যাওয়ার পর অপরাধীর বিচার শুরু হয়ে থাকে। কিন্তু যখন অপরাধী অপরাধ করে প্রকাশ্য দিবালোকে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায় তখন সে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক নেতা বা জনপ্রতিনিধিদের এজেন্ট বা ডান হাত বলে বিবেচিত হয়। যার ফলশ্রুতিতে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া কঠিন হয়।
এইসব অপরাধীরা সমাজকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেদের অপকর্ম বহাল তবিয়তে চালিয়ে যাচ্ছে। কারণ তারা জানে কোন সমস্যা হলে বড় ভাই-মামা-চাচা-খালু নামক জনপ্রতিনিধিরা তাদেরকে সাদা কাগজে মুচলেকা বা জামিনকারীর স্বাক্ষর দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে যাবে।
বিশ্বজিতের পরিবার কি বিচার পেয়েছে? রিফাতের পরিবার কি দেখে যেতে পারবে তাদের সন্তান হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের শাস্তি? সাগর-রুনি, তনুর মত একসময় সবাই ছবি হয়ে যাবে। হয়তো মুড়ির ঠোঙা না হলে পেয়ারা মাখানো কাগজের টুকরোতে তাদের সন্ধান মিলবে।
তাই আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আমাদের আহ্বান অপরাধীদের কোন রকম ছাড় না দিয়ে সাথে সাথেই বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করা। অনেকেই ক্রসফায়ারের বিরোধীতা করেন। আপনারাই বলেন ক্রসফায়ার এইসব ক্ষেত্রে কতটুকু জরুরী? ক্রসফায়ারের ভয়ে অনেক অপরাধী আছে যারা আজও দেশে ফিরে আসে নি।
দেশে আর কোন এরশাদ শিকদার-নয়ন বন্ড’রা যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আপনার আশেপাশে কোনো অস্বাভাবিক কিছু দেখা মাত্রই আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে খবর দিন। তাতে দেশ ও দশের কল্যাণ হবে।
>>>লেখক : মোঃ সদরুল কাদির (সাংবাদিক ও কলামিস্ট)
অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে যাওয়ার পর অপরাধীর বিচার শুরু হয়ে থাকে। কিন্তু যখন অপরাধী অপরাধ করে প্রকাশ্য দিবালোকে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায় তখন সে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক নেতা বা জনপ্রতিনিধিদের এজেন্ট বা ডান হাত বলে বিবেচিত হয়। যার ফলশ্রুতিতে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া কঠিন হয়।
এইসব অপরাধীরা সমাজকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেদের অপকর্ম বহাল তবিয়তে চালিয়ে যাচ্ছে। কারণ তারা জানে কোন সমস্যা হলে বড় ভাই-মামা-চাচা-খালু নামক জনপ্রতিনিধিরা তাদেরকে সাদা কাগজে মুচলেকা বা জামিনকারীর স্বাক্ষর দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে যাবে।
বিশ্বজিতের পরিবার কি বিচার পেয়েছে? রিফাতের পরিবার কি দেখে যেতে পারবে তাদের সন্তান হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের শাস্তি? সাগর-রুনি, তনুর মত একসময় সবাই ছবি হয়ে যাবে। হয়তো মুড়ির ঠোঙা না হলে পেয়ারা মাখানো কাগজের টুকরোতে তাদের সন্ধান মিলবে।
তাই আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আমাদের আহ্বান অপরাধীদের কোন রকম ছাড় না দিয়ে সাথে সাথেই বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করা। অনেকেই ক্রসফায়ারের বিরোধীতা করেন। আপনারাই বলেন ক্রসফায়ার এইসব ক্ষেত্রে কতটুকু জরুরী? ক্রসফায়ারের ভয়ে অনেক অপরাধী আছে যারা আজও দেশে ফিরে আসে নি।
দেশে আর কোন এরশাদ শিকদার-নয়ন বন্ড’রা যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আপনার আশেপাশে কোনো অস্বাভাবিক কিছু দেখা মাত্রই আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে খবর দিন। তাতে দেশ ও দশের কল্যাণ হবে।
>>>লেখক : মোঃ সদরুল কাদির (সাংবাদিক ও কলামিস্ট)
No comments