প্রধানমন্ত্রী বরিসের প্রস্তাব অগ্রহণযোগ্য: ইইউ
ব্রেক্সিট
কার্যকরে যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পুনরায় সমঝোতার
প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। গতকাল বৃহস্পতিবার ইইউর
একাধিক নেতা জানিয়ে দেন, বরিসের প্রস্তাব অগ্রহণযোগ্য। এর মধ্য দিয়ে আবারও
দৃশ্যপটে ফিরে এল যুক্তরাজ্য বনাম ইইউর সমঝোতার লড়াই।
২০১৬ সালের গণভোটে যুক্তরাজ্যের মানুষ ইইউর সঙ্গে বিচ্ছেদের পক্ষে রায় দেয়। এই রায় বাস্তবায়নে দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছরের চেষ্টায় ইইউর সঙ্গে একটি বিচ্ছেদ চুক্তি সম্পাদন করেন সদ্য সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। কিন্তু যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট তিন দফা ওই চুক্তি প্রত্যাখ্যান করলে মে পদত্যাগে বাধ্য হন। গত বুধবার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন কট্টর ব্রেক্সিটপন্থী বরিস জনসন।
বৃহস্পতিবার ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যঁ ক্লদ ইয়ঙ্কারের সঙ্গে টেলিফোন আলাপে বিচ্ছেদ চুক্তি নিয়ে পুনরায় সমঝোতার অনুরোধ করেন বরিস। তিনি বেকস্টপ নিয়ে যুক্তরাজ্যের আপত্তির কথাও জানান। জবাবে ইয়ঙ্কার জানিয়ে দেন যে, সম্পাদিত চুক্তিটি সবচেয়ে ভালো বিকল্প। এ নিয়ে নতুন সমঝোতা সম্ভব নয়। ইইউ নেতাদের কাছে পাঠানো এক বার্তায় ইইউর পক্ষে সমঝোতাকারী মিশেল বার্নিয়ে বলেন, বেকস্টপ বাদ দেওয়ার প্রস্তাব অগ্রহণযোগ্য। আর স্বাধীন আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিও ভরদকার বলেন, বেকস্টপ বাদ দিয়ে বিচ্ছেদ চুক্তি অসম্ভব। তবে ইইউ নেতারা বলেছেন, চুক্তির মাধ্যমে বিচ্ছেদ ঘটাতে তাঁরা আলোচনায় প্রস্তুত।
বিচ্ছেদের পর স্বাধীন আয়ারল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্যের অংশ উত্তর আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার সীমান্তে মানুষ ও পণ্যের বাধাহীন চলাচলের নিশ্চয়তাকে বলা হচ্ছে বেকস্টপ। শুল্কমুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বা অন্য কোনো উপায়ে আয়ারল্যান্ড সীমান্ত উন্মুক্ত রাখার বিকল্প পাওয়া না গেলে বেকস্টপ ব্যবস্থা কার্যকর হবে। এ ব্যবস্থা অনুযায়ী উত্তর আয়ারল্যান্ড ইইউ আইনের অধীনে থাকবে এবং যুক্তরাজ্যকে শুল্ক ও বাণিজ্য সংক্রান্ত ইইউর কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। এই ব্যবস্থাকে যুক্তরাজ্যের সার্বভৌমত্ববিরোধী বলে মনে করেন ব্রেক্সিটপন্থীরা।
বরিস জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আগামী ৩১ অক্টোবর প্রয়োজনে চুক্তি ছাড়াই বেরিয়ে আসবেন। এ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে তিনি ব্রেক্সিটপন্থীদের নিয়ে মন্ত্রিসভা গড়েছেন।
নেতা হিসেবে সকল পক্ষের আস্থা অর্জনে বরিস ইতিমধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে দেওয়া প্রথম ভাষণে থেরেসা মের বিতর্কিত অভিবাসন নীতি বাতিল করেছেন। জনশক্তির চাহিদা মিটাতে অভিবাসন নীতি ঢেলে সাজানোর ঘোষণা দেন তিনি। এ ছাড়া অবৈধদের বৈধতাদানের পক্ষে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন। যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত ইইউ নাগরিকদের স্থায়ী বসবাসের প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। এ ছাড়াও ২০ হাজার পুলিশ নিয়োগ এবং জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা খাতের সমস্যা দূর করতে কাজ শুরুর ঘোষণা দেন।
জনসন লেবার দলকে ইঙ্গিত করে বলেন, ওরা যুক্তরাজ্যের সামর্থ্যকে খাটো করে দেখে।
জবাবে লেবার নেতা জেরেমি করবিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজের সামর্থ্যকে অধিক আঁচ করছেন, এটাই সমস্যা।’ কথা বলার সময় বরিসের বিচিত্র অঙ্গভঙ্গির প্রতি ইঙ্গিত করে করবিন বলেন, ‘হাত নাড়িয়ে ক্ষিপ্র ভঙ্গিতে কথা বলা প্রধানমন্ত্রী আমাদের দরকার নেই।’ নবনিযুক্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেলকে অভিবাসনের চরম বিরোধী, মৃত্যুদণ্ডের সমর্থক এবং কট্টর ডানপন্থী নীতির ধারক উল্লেখ করে করবিন বলেন, তাঁর নেতৃত্বে যুক্তরাজ্য কীভাবে অভিবাসী-বান্ধব হবে? রাষ্ট্রীয় গোপন খবর ফাঁস করে দেওয়ার দায়ে দুই মাস আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ হারানো গেভিন উইলিয়ামসন কি করে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন, সেই প্রশ্নও রাখেন করবিন।
২০১৬ সালের গণভোটে যুক্তরাজ্যের মানুষ ইইউর সঙ্গে বিচ্ছেদের পক্ষে রায় দেয়। এই রায় বাস্তবায়নে দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছরের চেষ্টায় ইইউর সঙ্গে একটি বিচ্ছেদ চুক্তি সম্পাদন করেন সদ্য সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। কিন্তু যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট তিন দফা ওই চুক্তি প্রত্যাখ্যান করলে মে পদত্যাগে বাধ্য হন। গত বুধবার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন কট্টর ব্রেক্সিটপন্থী বরিস জনসন।
বৃহস্পতিবার ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যঁ ক্লদ ইয়ঙ্কারের সঙ্গে টেলিফোন আলাপে বিচ্ছেদ চুক্তি নিয়ে পুনরায় সমঝোতার অনুরোধ করেন বরিস। তিনি বেকস্টপ নিয়ে যুক্তরাজ্যের আপত্তির কথাও জানান। জবাবে ইয়ঙ্কার জানিয়ে দেন যে, সম্পাদিত চুক্তিটি সবচেয়ে ভালো বিকল্প। এ নিয়ে নতুন সমঝোতা সম্ভব নয়। ইইউ নেতাদের কাছে পাঠানো এক বার্তায় ইইউর পক্ষে সমঝোতাকারী মিশেল বার্নিয়ে বলেন, বেকস্টপ বাদ দেওয়ার প্রস্তাব অগ্রহণযোগ্য। আর স্বাধীন আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিও ভরদকার বলেন, বেকস্টপ বাদ দিয়ে বিচ্ছেদ চুক্তি অসম্ভব। তবে ইইউ নেতারা বলেছেন, চুক্তির মাধ্যমে বিচ্ছেদ ঘটাতে তাঁরা আলোচনায় প্রস্তুত।
বিচ্ছেদের পর স্বাধীন আয়ারল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্যের অংশ উত্তর আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার সীমান্তে মানুষ ও পণ্যের বাধাহীন চলাচলের নিশ্চয়তাকে বলা হচ্ছে বেকস্টপ। শুল্কমুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বা অন্য কোনো উপায়ে আয়ারল্যান্ড সীমান্ত উন্মুক্ত রাখার বিকল্প পাওয়া না গেলে বেকস্টপ ব্যবস্থা কার্যকর হবে। এ ব্যবস্থা অনুযায়ী উত্তর আয়ারল্যান্ড ইইউ আইনের অধীনে থাকবে এবং যুক্তরাজ্যকে শুল্ক ও বাণিজ্য সংক্রান্ত ইইউর কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। এই ব্যবস্থাকে যুক্তরাজ্যের সার্বভৌমত্ববিরোধী বলে মনে করেন ব্রেক্সিটপন্থীরা।
বরিস জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আগামী ৩১ অক্টোবর প্রয়োজনে চুক্তি ছাড়াই বেরিয়ে আসবেন। এ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে তিনি ব্রেক্সিটপন্থীদের নিয়ে মন্ত্রিসভা গড়েছেন।
নেতা হিসেবে সকল পক্ষের আস্থা অর্জনে বরিস ইতিমধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে দেওয়া প্রথম ভাষণে থেরেসা মের বিতর্কিত অভিবাসন নীতি বাতিল করেছেন। জনশক্তির চাহিদা মিটাতে অভিবাসন নীতি ঢেলে সাজানোর ঘোষণা দেন তিনি। এ ছাড়া অবৈধদের বৈধতাদানের পক্ষে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন। যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত ইইউ নাগরিকদের স্থায়ী বসবাসের প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। এ ছাড়াও ২০ হাজার পুলিশ নিয়োগ এবং জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা খাতের সমস্যা দূর করতে কাজ শুরুর ঘোষণা দেন।
জনসন লেবার দলকে ইঙ্গিত করে বলেন, ওরা যুক্তরাজ্যের সামর্থ্যকে খাটো করে দেখে।
জবাবে লেবার নেতা জেরেমি করবিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজের সামর্থ্যকে অধিক আঁচ করছেন, এটাই সমস্যা।’ কথা বলার সময় বরিসের বিচিত্র অঙ্গভঙ্গির প্রতি ইঙ্গিত করে করবিন বলেন, ‘হাত নাড়িয়ে ক্ষিপ্র ভঙ্গিতে কথা বলা প্রধানমন্ত্রী আমাদের দরকার নেই।’ নবনিযুক্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেলকে অভিবাসনের চরম বিরোধী, মৃত্যুদণ্ডের সমর্থক এবং কট্টর ডানপন্থী নীতির ধারক উল্লেখ করে করবিন বলেন, তাঁর নেতৃত্বে যুক্তরাজ্য কীভাবে অভিবাসী-বান্ধব হবে? রাষ্ট্রীয় গোপন খবর ফাঁস করে দেওয়ার দায়ে দুই মাস আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ হারানো গেভিন উইলিয়ামসন কি করে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন, সেই প্রশ্নও রাখেন করবিন।
No comments