২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ১৪৭৭: বাড়ছে রোগী বাড়ছে মৃত্যু
ডেঙ্গু
রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বেড়েই চলছে। একই সঙ্গে পাল্লা
দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। দেশের অন্তত ৬২ জেলায় ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে।
প্রতিদিনই নতুন জেলা থেকে আক্রান্তের খবর আসছে। সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায়
ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৪৭৭ জন।
ঘণ্টায় ভর্তি হচ্ছেন ৬১ জন রোগী। এক মিনিটের কম সময়ে ভর্তি হচ্ছেন একজন
করে ডেঙ্গু রোগী। চলতি বছরে এই পর্যন্ত মোট ১৭ হাজার ১৮৩ জন আক্রান্ত হয়ে
ভর্তি হয়েছেন।
এদিকে প্রতিদিনই রোগী বাড়ায় রাজধানীর হাসপাতালগুলো সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। সিট না থাকায় রোগীর স্বজনরা এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছুটছেন। অব্যাহত রোগী বাড়ায় ডেঙ্গু পরীক্ষা নীরিক্ষার কিট সঙ্কটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রাজধানীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কিট না থাকায় কয়েক ঘণ্টা ডেঙ্গুর পরীক্ষা বন্ধ ছিল। এদিকে জেলা পর্যায়ে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ায় চিকৎসা সরঞ্জামাদির সঙ্কটের খবর পাওয়া যাচ্ছে। অনেকে চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে হিমশিম খাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে অসহায় ডেঙ্গু রোগীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ৬২টি জেলায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতিদিন দ্বিগুণ হারে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। সরকারি হিসাবে ১৪ জন মৃতের খবর দিলেও এই সংখ্যা অর্ধশতাধিক হবে বলে বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্র বলছে। ডেঙ্গুতে গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন ও বরিশালে একজন মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া সোমবার রাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান পুলিশের এসআই কুহিনুর বেগম নীলা।
অধিদপ্তর সূত্র বলছে, ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১২ হাজার ২৬৬ জন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪ হাজার ৯০৩ জন। গতকাল রাজধানী ছাড়া ৬২ জেলা থেকে ২ হাজার ৬৫৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ১৮শ’ ৮৫ জন। এদিকে রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে অধিক সংখ্যক রোগী আসায় বিভিন্ন হাসপাতাল তাদের ঠাঁই দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালগুলোতে যথেষ্ট সিট না থাকায় অনেক রোগীকে ভর্তি করা যাচ্ছে না। তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। ডেঙ্গু আতঙ্ক নিয়ে হাসপাতালে ছুটছেন রোগী ও তার স্বজনরা। ডেঙ্গু রোগীর স্বজনরা অসহায় হয়ে পড়েছেন। ডেঙ্গু রোগীদের নিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে বাণিজ্য করার অভিযোগও পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের পরিসংখ্যান মতে, গত জুলাই মাসে গড়ে প্রতিদিন ৪৮৩ জনের উপরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রাজধানীর বাইরে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের হিসাবে ঢাকা জেলা থেকে ১৭৪ জন, গাজীপুর থেকে ১২০ জন, গোপালগঞ্জ ১০ জন, মাদারীপুর ২৪ জন, মানিকগঞ্জ ৩২ জন, নরসিংদী ২৬ জন, রাজবাড়ী থেকে ৩৭ জন,শরীয়তপুর ৯ জন, টাঙ্গাইল ৫১ জন, মুন্সীগঞ্জ ২৭ জন, কিশোরগঞ্জ ১০৩ জন, নারায়ণগঞ্জ ২৪ জন, ফরিদপুর ২ জন, ময়মনসিংহ ২০৩ জন, জামালপুর ৪৭ জন, ১৪ জন, চট্টগ্রাম থেকে ২২৬ জন, ফেনীতে ৮৫ জন, কুমিল্লা ৬৫ জন, চাঁদপুর থেকে ১০২ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৬ জন, লক্ষ্মীপুর ৩৩ জন, নোয়াখালীতে ৪১ জন, কক্সবাজার ১৭ জন, খাগড়াছড়ি ১০ জন, রাঙ্গামাটিতে ৩ জন, বান্দরবন একজন, খুলনায় ১৮০ জন, কুষ্টিয়া থেকে ৭২ জন, মাগুরা ৮ জন, নড়াইল ১০ জন, যশোর ৯৮ জন, ঝিনাইদহ থেকে ২৬ জন, বাগেরহাট ৮জন, সাতক্ষীরা ২৩ জন, চুয়াডাঙ্গা থেকে ৮ জন, মেহেরপুর ৩ জন, রাজশাহী থেকে ৮১ জন, বগুড়া ১১৬ জন, পাবনা ৪৯ জন, সিরাজগঞ্জ ১৯ জন, নওগাঁয় ১০ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ১৮ জন, নাটোর ৫ জন, জয়পুরহাট একজন, রংপুর ৭৯ জন, লালমনিরহাট ৩ জন, কুড়িগ্রাম ৫ জন, গাইবান্ধায় ৬ জন, নীলফামারি ৮ জন, দিনাজপুরে ৩৩জন, পঞ্চগড় ২ জন, ঠাকুরগাঁও ১২ জন, বরিশাল থেকে ১০১ জন, পটুয়াখালী ১৬ জন, ভোলা ৭ জন, পিরোজপুর ৩ জন, ঝালকাঠি একজন, সিলেট থেকে ৯০ জন, সুনামগঞ্জ ৭ জন, হবিগঞ্জ ১৩ জন, মৌলভীবাজার ২৬ ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ৩১শে জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ১৪জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের মধ্যে এপ্রিলে দু’জন, জুনে দু’জন ও জুলাই মাসে ১০ জন মারা যান। তবে বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্র বলছে মৃত্যুর সংখ্যা অর্ধশতাধিক। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬৫২ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৯৮ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ১৩৫ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ২৮১জন,হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ২৪২ জন, বারডেম হাসপাতালে ৪৪ জন, বিএসএমএমইউতে ১১২ জন, পুলিশ হাসপাতাল রাজারবাগ ১৪৮ জন, মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ২৫১ জন, বিজিবি হাসপাতালে ২৩ জন, কুর্মিটোলায় ২৯২ জন, রাজধানীর ধানমন্ডি বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৪৭ জন, সেন্ট্রাল হাসপাতালে ১০১ জন, ইবনে সিনা হাসপাতালে ৭৭ জন,স্কয়ার হাসপাতালে ১০০ জন, শমরিতায় ২৬ জন, ল্যাব এইডে ২৭ জন, হেলথ এন্ড হোপে ৩১ জন, গ্রীনলাইফে ৩৬ জন, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল কাকরাইলে ১০১ জন, ইউনাইটেড হাসপাতালে ৯০ জন, খিদমা হাসপাতালে ২৮ জন, সিরাজুল ইসলাম মেডিকেলে ১০৭ জন, এ্যাপোলো হাসপাতালে ৭৪ জন, আদ-দ্বীন হাসপাতালে ১০৪ জন, সালাউদ্দিন হাসপাতালে ৬২ জন, পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৮ জন, ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৬৬ জন, বিআরবি হাসপাতালে ৩৪ জন, বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৪৫ জন, উত্তরা আধুনিকে ৮৬ জন, আনোয়ার খান মর্ডানে ২১ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
দেড় বছরের মেয়েকে রেখে না ফেরার দেশে এসআই কোহিনুর
চাকরীজীবী স্বামী, দেড় বছরের মেয়েকে নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা কোহিনুর বেগম নীলার ছিল সুখের সংসার। থাকতেন রাজধানীর বাড্ডায়। কিন্তু ঘাতক ডেঙ্গু তার সব তছনছ করে দিয়েছে। স্পেশাল ব্রাঞ্চের এই কর্মকর্তা কিছু দিন আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। প্রথমে পরীক্ষা করে ডেঙ্গু ধরা পড়ায় ওষুধ নিয়ে বাসায় ছিলেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হলে আইসিইউ সেবা দেয়ার প্রয়োজন পড়ে। এ হাসপাতালে আইসিইউ সেবা না থাকায় রাজধানীর সিটি হাসপাতালে নেয়া হয়। রাত সোয়া একটার দিকে ওই হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়। কোহিনুর বেগম নীলার মৃত্যুতে তার স্বজন ও সহকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় রাজারবাগ পুলিশলাইনসে প্রথম জানাজা এবং জোহরের নামাজের পর তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুনা গ্রামে দ্বিতীয় জানাজা শেষে অর্জুনা পূর্বপাড়া পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় কোহিনুরকে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ শে জুলাই সোমবার রাতে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কোহিনুর বেগম নীলাকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ওইদিনই রাত সাড়ে নয়টার দিকে সিটি হাসপাতালে নেয়া হয়। এসআই কোহিনুরের স্বামী জহির উদ্দিন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
শরীয়তপুরের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে স্কুল শিক্ষিকার মৃত্যু
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার জব্বার আকনকান্দি গ্রামের বর্ষা আক্তার (২৮) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে তিনি মারা গেছেন। তিনি স্থানীয় শাহেদ আলী মাদবরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান,বর্ষা আক্তার গত ১৮ জুলাই জ্বরে আক্রান্ত হন। প্রথম দিকে তেমন গুরুত্ব দেননি। জ্বরের শরীর নিয়েই বিদ্যালয়ে যেতেন। বেশি অসুস্থ হয়ে পরলে গত ২৫ জুলাই পরিবারের সদস্যরা তাকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে তার শরীরে ডেঙ্গু জ্বরের আলামত পান। তারা তাকে ঢাকায় নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার পরামর্শ দেন। পরের দিন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু সেখানে তাকে ভর্তি করানো সম্ভব হয়নি। স্বজনরা গত শনিবার তাকে ঢাকার সাইনবোর্ড এলাকায় প্রএ্যাকটিভ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তাকে কয়েক দফায় ১০ ব্যগ রক্ত দেয়া হয়। তার অবস্থা ক্রমশ অবনতি হতে থাকে। মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। গতকাল তার মরদেহ জাজিরার জব্বর আকনকান্দি গ্রামে আনা হয়। দুপুরে তাকে গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়। বর্ষার স্বামী মিজানুর রহমান নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা। মিজানুর রহমান বলেন,বর্ষার নিথর দেহ নিয়ে বাড়ি ফিরতে হবে এটা ভাবতে পারিনি। মেয়ে দুটি বাবার বাবার তাদের মায়ের খোঁজ করে। আমি কি বলে তাদের শান্তনা দেব? আল্লাহ কেন আমাকে এমন কঠিন পরীক্ষার মধ্যে ফেললেন।
শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন মো.খলিলুর রহমান বলেন, গতকাল সকাল ১০টা পর্যন্ত শরীয়তপুর জেলায় ১০ জন ডেঙ্গু রোগি সনাক্ত হয়েছে। ডেঙ্গু সচেতনতার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করছে। আমাদের উপজেলা ও জেলা হাসপাতালে ডেঙ্গু শনাক্ত করার পরীক্ষা করা হচ্ছে। যারা এখানে চিকিৎসা নিচ্ছে তাদের সর্বচ্চ সাপোর্ট দেয়া হচ্ছে।
কালীগঞ্জে ডেঙ্গু জ্বরে শিশুর মৃত্যু
গাজীপুরের কালীগঞ্জে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আব্দুর রহমান নামে দুই বছরের শিশুর মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার বিকালে ঢাকার রেনেসাঁ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই শিশু মারা যায় বলে তার পরিবার সূত্রে জানা যায়। নিহত আব্দুর রহমান কালীগঞ্জ উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের কাপাইস গ্রামের দুবাই প্রবাসী মো. আরিফ হোসেনের ছেলে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার শিশু আব্দুর রহমান জ্বরে আক্রান্ত হলে চিকিৎসার জন্য তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে একদিন চিকিৎসা দেয়ার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রোববার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে যাওয়ার পর ওই দিনই শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য দুই বছরের শিশু আব্দুর রহমানকে ঢাকা রেনেসাঁ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ওই হাসপাতালে দুই দিন চিকিৎসারত অবস্থায় মঙ্গলবার বিকালে সে মারা যায়।
একমাত্র শিশু সন্তানকে হারিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে দুবাই প্রবাসী আরিফ হোসেন বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত তার ছেলেকে চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। মঙ্গলবার রাতে কাপাইস গ্রামের তেরমুখ ব্রিজ সংলগ্ন মাঠে তার জানাজার নামাজের পর সামাজিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এদিকে প্রতিদিনই রোগী বাড়ায় রাজধানীর হাসপাতালগুলো সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। সিট না থাকায় রোগীর স্বজনরা এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছুটছেন। অব্যাহত রোগী বাড়ায় ডেঙ্গু পরীক্ষা নীরিক্ষার কিট সঙ্কটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রাজধানীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কিট না থাকায় কয়েক ঘণ্টা ডেঙ্গুর পরীক্ষা বন্ধ ছিল। এদিকে জেলা পর্যায়ে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ায় চিকৎসা সরঞ্জামাদির সঙ্কটের খবর পাওয়া যাচ্ছে। অনেকে চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে হিমশিম খাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে অসহায় ডেঙ্গু রোগীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ৬২টি জেলায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতিদিন দ্বিগুণ হারে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। সরকারি হিসাবে ১৪ জন মৃতের খবর দিলেও এই সংখ্যা অর্ধশতাধিক হবে বলে বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্র বলছে। ডেঙ্গুতে গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন ও বরিশালে একজন মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া সোমবার রাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান পুলিশের এসআই কুহিনুর বেগম নীলা।
অধিদপ্তর সূত্র বলছে, ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১২ হাজার ২৬৬ জন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪ হাজার ৯০৩ জন। গতকাল রাজধানী ছাড়া ৬২ জেলা থেকে ২ হাজার ৬৫৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ১৮শ’ ৮৫ জন। এদিকে রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে অধিক সংখ্যক রোগী আসায় বিভিন্ন হাসপাতাল তাদের ঠাঁই দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালগুলোতে যথেষ্ট সিট না থাকায় অনেক রোগীকে ভর্তি করা যাচ্ছে না। তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। ডেঙ্গু আতঙ্ক নিয়ে হাসপাতালে ছুটছেন রোগী ও তার স্বজনরা। ডেঙ্গু রোগীর স্বজনরা অসহায় হয়ে পড়েছেন। ডেঙ্গু রোগীদের নিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে বাণিজ্য করার অভিযোগও পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের পরিসংখ্যান মতে, গত জুলাই মাসে গড়ে প্রতিদিন ৪৮৩ জনের উপরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রাজধানীর বাইরে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের হিসাবে ঢাকা জেলা থেকে ১৭৪ জন, গাজীপুর থেকে ১২০ জন, গোপালগঞ্জ ১০ জন, মাদারীপুর ২৪ জন, মানিকগঞ্জ ৩২ জন, নরসিংদী ২৬ জন, রাজবাড়ী থেকে ৩৭ জন,শরীয়তপুর ৯ জন, টাঙ্গাইল ৫১ জন, মুন্সীগঞ্জ ২৭ জন, কিশোরগঞ্জ ১০৩ জন, নারায়ণগঞ্জ ২৪ জন, ফরিদপুর ২ জন, ময়মনসিংহ ২০৩ জন, জামালপুর ৪৭ জন, ১৪ জন, চট্টগ্রাম থেকে ২২৬ জন, ফেনীতে ৮৫ জন, কুমিল্লা ৬৫ জন, চাঁদপুর থেকে ১০২ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৬ জন, লক্ষ্মীপুর ৩৩ জন, নোয়াখালীতে ৪১ জন, কক্সবাজার ১৭ জন, খাগড়াছড়ি ১০ জন, রাঙ্গামাটিতে ৩ জন, বান্দরবন একজন, খুলনায় ১৮০ জন, কুষ্টিয়া থেকে ৭২ জন, মাগুরা ৮ জন, নড়াইল ১০ জন, যশোর ৯৮ জন, ঝিনাইদহ থেকে ২৬ জন, বাগেরহাট ৮জন, সাতক্ষীরা ২৩ জন, চুয়াডাঙ্গা থেকে ৮ জন, মেহেরপুর ৩ জন, রাজশাহী থেকে ৮১ জন, বগুড়া ১১৬ জন, পাবনা ৪৯ জন, সিরাজগঞ্জ ১৯ জন, নওগাঁয় ১০ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ১৮ জন, নাটোর ৫ জন, জয়পুরহাট একজন, রংপুর ৭৯ জন, লালমনিরহাট ৩ জন, কুড়িগ্রাম ৫ জন, গাইবান্ধায় ৬ জন, নীলফামারি ৮ জন, দিনাজপুরে ৩৩জন, পঞ্চগড় ২ জন, ঠাকুরগাঁও ১২ জন, বরিশাল থেকে ১০১ জন, পটুয়াখালী ১৬ জন, ভোলা ৭ জন, পিরোজপুর ৩ জন, ঝালকাঠি একজন, সিলেট থেকে ৯০ জন, সুনামগঞ্জ ৭ জন, হবিগঞ্জ ১৩ জন, মৌলভীবাজার ২৬ ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ৩১শে জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ১৪জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের মধ্যে এপ্রিলে দু’জন, জুনে দু’জন ও জুলাই মাসে ১০ জন মারা যান। তবে বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্র বলছে মৃত্যুর সংখ্যা অর্ধশতাধিক। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬৫২ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৯৮ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ১৩৫ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ২৮১জন,হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ২৪২ জন, বারডেম হাসপাতালে ৪৪ জন, বিএসএমএমইউতে ১১২ জন, পুলিশ হাসপাতাল রাজারবাগ ১৪৮ জন, মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ২৫১ জন, বিজিবি হাসপাতালে ২৩ জন, কুর্মিটোলায় ২৯২ জন, রাজধানীর ধানমন্ডি বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৪৭ জন, সেন্ট্রাল হাসপাতালে ১০১ জন, ইবনে সিনা হাসপাতালে ৭৭ জন,স্কয়ার হাসপাতালে ১০০ জন, শমরিতায় ২৬ জন, ল্যাব এইডে ২৭ জন, হেলথ এন্ড হোপে ৩১ জন, গ্রীনলাইফে ৩৬ জন, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল কাকরাইলে ১০১ জন, ইউনাইটেড হাসপাতালে ৯০ জন, খিদমা হাসপাতালে ২৮ জন, সিরাজুল ইসলাম মেডিকেলে ১০৭ জন, এ্যাপোলো হাসপাতালে ৭৪ জন, আদ-দ্বীন হাসপাতালে ১০৪ জন, সালাউদ্দিন হাসপাতালে ৬২ জন, পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৮ জন, ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৬৬ জন, বিআরবি হাসপাতালে ৩৪ জন, বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৪৫ জন, উত্তরা আধুনিকে ৮৬ জন, আনোয়ার খান মর্ডানে ২১ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
দেড় বছরের মেয়েকে রেখে না ফেরার দেশে এসআই কোহিনুর
চাকরীজীবী স্বামী, দেড় বছরের মেয়েকে নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা কোহিনুর বেগম নীলার ছিল সুখের সংসার। থাকতেন রাজধানীর বাড্ডায়। কিন্তু ঘাতক ডেঙ্গু তার সব তছনছ করে দিয়েছে। স্পেশাল ব্রাঞ্চের এই কর্মকর্তা কিছু দিন আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। প্রথমে পরীক্ষা করে ডেঙ্গু ধরা পড়ায় ওষুধ নিয়ে বাসায় ছিলেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হলে আইসিইউ সেবা দেয়ার প্রয়োজন পড়ে। এ হাসপাতালে আইসিইউ সেবা না থাকায় রাজধানীর সিটি হাসপাতালে নেয়া হয়। রাত সোয়া একটার দিকে ওই হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়। কোহিনুর বেগম নীলার মৃত্যুতে তার স্বজন ও সহকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় রাজারবাগ পুলিশলাইনসে প্রথম জানাজা এবং জোহরের নামাজের পর তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুনা গ্রামে দ্বিতীয় জানাজা শেষে অর্জুনা পূর্বপাড়া পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় কোহিনুরকে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ শে জুলাই সোমবার রাতে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কোহিনুর বেগম নীলাকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ওইদিনই রাত সাড়ে নয়টার দিকে সিটি হাসপাতালে নেয়া হয়। এসআই কোহিনুরের স্বামী জহির উদ্দিন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
শরীয়তপুরের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে স্কুল শিক্ষিকার মৃত্যু
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার জব্বার আকনকান্দি গ্রামের বর্ষা আক্তার (২৮) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে তিনি মারা গেছেন। তিনি স্থানীয় শাহেদ আলী মাদবরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান,বর্ষা আক্তার গত ১৮ জুলাই জ্বরে আক্রান্ত হন। প্রথম দিকে তেমন গুরুত্ব দেননি। জ্বরের শরীর নিয়েই বিদ্যালয়ে যেতেন। বেশি অসুস্থ হয়ে পরলে গত ২৫ জুলাই পরিবারের সদস্যরা তাকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে তার শরীরে ডেঙ্গু জ্বরের আলামত পান। তারা তাকে ঢাকায় নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার পরামর্শ দেন। পরের দিন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু সেখানে তাকে ভর্তি করানো সম্ভব হয়নি। স্বজনরা গত শনিবার তাকে ঢাকার সাইনবোর্ড এলাকায় প্রএ্যাকটিভ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তাকে কয়েক দফায় ১০ ব্যগ রক্ত দেয়া হয়। তার অবস্থা ক্রমশ অবনতি হতে থাকে। মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। গতকাল তার মরদেহ জাজিরার জব্বর আকনকান্দি গ্রামে আনা হয়। দুপুরে তাকে গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়। বর্ষার স্বামী মিজানুর রহমান নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা। মিজানুর রহমান বলেন,বর্ষার নিথর দেহ নিয়ে বাড়ি ফিরতে হবে এটা ভাবতে পারিনি। মেয়ে দুটি বাবার বাবার তাদের মায়ের খোঁজ করে। আমি কি বলে তাদের শান্তনা দেব? আল্লাহ কেন আমাকে এমন কঠিন পরীক্ষার মধ্যে ফেললেন।
শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন মো.খলিলুর রহমান বলেন, গতকাল সকাল ১০টা পর্যন্ত শরীয়তপুর জেলায় ১০ জন ডেঙ্গু রোগি সনাক্ত হয়েছে। ডেঙ্গু সচেতনতার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করছে। আমাদের উপজেলা ও জেলা হাসপাতালে ডেঙ্গু শনাক্ত করার পরীক্ষা করা হচ্ছে। যারা এখানে চিকিৎসা নিচ্ছে তাদের সর্বচ্চ সাপোর্ট দেয়া হচ্ছে।
কালীগঞ্জে ডেঙ্গু জ্বরে শিশুর মৃত্যু
গাজীপুরের কালীগঞ্জে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আব্দুর রহমান নামে দুই বছরের শিশুর মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার বিকালে ঢাকার রেনেসাঁ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই শিশু মারা যায় বলে তার পরিবার সূত্রে জানা যায়। নিহত আব্দুর রহমান কালীগঞ্জ উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের কাপাইস গ্রামের দুবাই প্রবাসী মো. আরিফ হোসেনের ছেলে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার শিশু আব্দুর রহমান জ্বরে আক্রান্ত হলে চিকিৎসার জন্য তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে একদিন চিকিৎসা দেয়ার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রোববার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে যাওয়ার পর ওই দিনই শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য দুই বছরের শিশু আব্দুর রহমানকে ঢাকা রেনেসাঁ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ওই হাসপাতালে দুই দিন চিকিৎসারত অবস্থায় মঙ্গলবার বিকালে সে মারা যায়।
একমাত্র শিশু সন্তানকে হারিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে দুবাই প্রবাসী আরিফ হোসেন বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত তার ছেলেকে চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। মঙ্গলবার রাতে কাপাইস গ্রামের তেরমুখ ব্রিজ সংলগ্ন মাঠে তার জানাজার নামাজের পর সামাজিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
No comments