পালানোর পর প্রথম প্রকাশ্যে এলেন দুবাইয়ের শাসকের স্ত্রী প্রিন্সেস হায়া
রাজপ্রাসাদ
থেকে পালানোর পর প্রথমবার প্রকাশ্যে এলেন দুবাইয়ের শাসক, বিলিয়নিয়ার শেখ
মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের ষষ্ঠ স্ত্রী প্রিন্সেস হায়া বিনতে আল
হুসেইন। মঙ্গলবার তিনি লন্ডনের রয়েল কোর্ট অব জাস্টিসে হাজিরা দিলেন।
সেখানে আদালতকে জানালেন, তিনি নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কায়। একই সঙ্গে তার
সন্তানদের যেন পারিবারিক বিয়ের অধীনে গণ্য করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ফেরত
পাঠানো না হয়। এর আগে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে পালিয়ে শেষ
পর্যন্ত আশ্রয় নেন লন্ডনে। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন দুই সন্তানকে। তাদেরকে নিয়ে
তিনি আত্মগোপন করেন। স্বামী শেখ মোহাম্মদ আল মাকতুমের সঙ্গে বিচ্ছেদের
আবেদন করেন।
এ নিয়ে তোলপাড় হয় তামাম দুনিয়া। এ খবর দিয়েছে বৃটেনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ।
ওদিকে বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের অন্যতম প্রিন্সেস হায়া’র স্বামী শেখ মোহাম্মদ বৃটেনের কাছে দাবি করেছেন, তার সন্তানদের ফেরত দেয়ার জন্য। প্রিন্সেস হায়া দুবাই থেকে পালানোর পর মঙ্গলবার প্রথম প্রকাশ্যে আদালতে হাজির হন। এ সময় তিনি ছিলেন সাদা পোশাকে, ডায়মন্ড বসানো কানের গহনা, ডিজাইনারদের তৈরি হ্যান্ডব্যাগ ছিল তার সঙ্গে। সঙ্গে ছিলেন বিচ্ছেদ বিষয়ক আইনজীবী, যিনি ‘স্ট্রিল ম্যাগনোলিয়া’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন, সেই ব্যারোনেস শ্যাকলেটন। শ্যাকলেটন বৃটিনের প্রিন্স চার্লস ও প্রিন্সেস ডায়ানার বিচ্ছেদের বিষয়টি হাতে নিয়েছিলেন। হাতে নিয়েছিলেন পল ম্যাককার্টনি ও হিদার মিলসের বিচ্ছেদের মামলা।
পারিবারিক আদালতে দুই সন্তানের জন্য বৃটিশ আইনের অধীনে ‘জোরপূর্বক বিয়ে সুরক্ষা নির্দেশের’ অধীনে আবেদন করেছেন প্রিন্সেস হায়া। এর অধীনে ওইসব ব্যক্তিকে সুরক্ষা দেয়া হয়, যারা জোরপূর্বক বিয়ের ফলে হুমকিতে পড়তে পারে। এর ফলে তাকে বৃটেন থেকে বাইরে নেয়া বন্ধ করা হয়। তাই অক্সফোর্ডে পড়াশোনা করা প্রিন্সেস হায়া আদালতের কাছে আবেদন করেছেন যেন ‘যৌন নির্যাতন বিরোধী’ নির্দেশ দেয়া হয়। এ নির্দেশের অধীনে ভিকটিম পারিবারিক সহিংসতা থেকে সহায়তা পায়।
৩৩ নম্বর কোর্টে যখন হাজির হন প্রিন্সেস হায়া তখন সেখানে ব্যক্তিগত দেহরক্ষীরা চারদিক ঘিরে ফেলেন। ফলে হাইকোর্টে তখন এক ব্যতিক্রমী দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। সেখানে বৃটেনের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকের আইনজীবীরা দুবাইয়ের শাসক পরিবারের ভিতরকার গোপন কথা নিয়ে আলোচনা করেন। তবে এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন না দুবাইয়ের শাসক। তবে ৭০ বছর বয়সী শেখ মোহাম্মদ তার তিনজন শীর্ষ ফ্লাইট বিষয়ক কিউসি’কে নির্দেশনা দিয়েছিলেন আদালতে লড়াই করার জন্য। এর মধ্যে রয়েছেন সলিসিটর হেলেন ওয়ার্ড, তিনি ২০০৯ সালে বার্নি এক্লেসটোনের ২০০ কোটি পাউন্ড রক্ষা করেছিলেন তার সাবেক স্ত্রী ক্লাভিকার কাছ থেকে।
মঙ্গলবার আদালতে শুনানির সময় আদালতের সামনের সারিতে বসা ছিলেন প্রিন্সেস হায়া। সেখানে তিনি মনোযোগ দিয়ে শুনছিলেন সঙ্গে আনা সন্তানদের পরিণতি নিয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত। কিন্তু ওইদিন আদালত এ বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত রায় দেয়নি। তিনি দুবাই থেকে পালানোর সময় সঙ্গে নিয়ে যান ৩ কোটি ১০ লাখ পাউন্ড। বৃটেনে কেনসিংটন রাজপ্রাসাদের কাছে তার কেনা ৮ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ডের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। এরপর বৃটেনে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। এখানে উল্লেখ্য, দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ ও তার পলাতক স্ত্রী প্রিন্সেস হায়া দু’জনেই বৃটিশ রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছের বন্ধু। এখন তাদের ৪৫০ কোটি পাউন্ডের বিচ্ছেদের আবেদন হতে পারে বৃটিশ আইনি ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অংকের বিচ্ছেদ।
প্রিন্সেস হায়া জর্ডানের বাদশা দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সৎবোন। তিনি বৃটেনে তার দুই সন্তানের অধিকারের জন্য এখন লড়াই করছেন। সফলতার সঙ্গে প্রিন্সেস হায়া আবেদন করেছেন, তার সন্তানদের বৃটিশ আইনের অধীনে সুরক্ষা দিতে। এর অর্থ হলো পরিবার বিষয়ক বিচারকদের অনুমতি ছাড়া তার সন্তানদের ভবিষ্যত সম্পর্কে বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না বৃটিশ আদালত। শেখ মোহাম্মদ ও প্রিন্সেস হায়ার মধ্যে আইনি লড়াই এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। সব আবেদন এখন শুনানি হবে এবং তারপর সিদ্ধান্ত দেয়া হবে। এ বছরের শেষের দিকে পারিবারিক আদালত শুনানি করবে। তারপর সিদ্ধান্ত দেবে ওই দুই সন্তানের বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ওদিকে বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয় নি।
এর আগে দুবাইয়ের শাসকের মেয়ে প্রিন্সেস লতিফা (৩৩) রাজপ্রাসাদ থেকে পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তাকে এখন গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। এ সম্পর্কে জেনে যাওয়ার পর প্রিন্সেস হায়া দুবাই থেকে পালিয়ে যান। দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ ২৩ টি সন্তানের জনক। বিভিন্ন স্ত্রীর গর্ভে জন্ম নিয়েছে তারা। তার মধ্যে প্রিন্সেস লতিফ অন্যতম। তিনি গত বছর পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে নতুন জীবন যাপনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু স্পেশাল ফোর্স তা জেনে তাকে ফিরিয়ে নেয়। বিবিসির নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিনিধি বলেছেন, এখন প্রিন্সেস হায়ার আশঙ্কা তাকে অহপরণ করে দুবাইয়ে ফেরত নেয়া হতে পারে। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেন নি দুবাইয়ের শাসক।
এ নিয়ে তোলপাড় হয় তামাম দুনিয়া। এ খবর দিয়েছে বৃটেনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ।
ওদিকে বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের অন্যতম প্রিন্সেস হায়া’র স্বামী শেখ মোহাম্মদ বৃটেনের কাছে দাবি করেছেন, তার সন্তানদের ফেরত দেয়ার জন্য। প্রিন্সেস হায়া দুবাই থেকে পালানোর পর মঙ্গলবার প্রথম প্রকাশ্যে আদালতে হাজির হন। এ সময় তিনি ছিলেন সাদা পোশাকে, ডায়মন্ড বসানো কানের গহনা, ডিজাইনারদের তৈরি হ্যান্ডব্যাগ ছিল তার সঙ্গে। সঙ্গে ছিলেন বিচ্ছেদ বিষয়ক আইনজীবী, যিনি ‘স্ট্রিল ম্যাগনোলিয়া’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন, সেই ব্যারোনেস শ্যাকলেটন। শ্যাকলেটন বৃটিনের প্রিন্স চার্লস ও প্রিন্সেস ডায়ানার বিচ্ছেদের বিষয়টি হাতে নিয়েছিলেন। হাতে নিয়েছিলেন পল ম্যাককার্টনি ও হিদার মিলসের বিচ্ছেদের মামলা।
পারিবারিক আদালতে দুই সন্তানের জন্য বৃটিশ আইনের অধীনে ‘জোরপূর্বক বিয়ে সুরক্ষা নির্দেশের’ অধীনে আবেদন করেছেন প্রিন্সেস হায়া। এর অধীনে ওইসব ব্যক্তিকে সুরক্ষা দেয়া হয়, যারা জোরপূর্বক বিয়ের ফলে হুমকিতে পড়তে পারে। এর ফলে তাকে বৃটেন থেকে বাইরে নেয়া বন্ধ করা হয়। তাই অক্সফোর্ডে পড়াশোনা করা প্রিন্সেস হায়া আদালতের কাছে আবেদন করেছেন যেন ‘যৌন নির্যাতন বিরোধী’ নির্দেশ দেয়া হয়। এ নির্দেশের অধীনে ভিকটিম পারিবারিক সহিংসতা থেকে সহায়তা পায়।
৩৩ নম্বর কোর্টে যখন হাজির হন প্রিন্সেস হায়া তখন সেখানে ব্যক্তিগত দেহরক্ষীরা চারদিক ঘিরে ফেলেন। ফলে হাইকোর্টে তখন এক ব্যতিক্রমী দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। সেখানে বৃটেনের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকের আইনজীবীরা দুবাইয়ের শাসক পরিবারের ভিতরকার গোপন কথা নিয়ে আলোচনা করেন। তবে এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন না দুবাইয়ের শাসক। তবে ৭০ বছর বয়সী শেখ মোহাম্মদ তার তিনজন শীর্ষ ফ্লাইট বিষয়ক কিউসি’কে নির্দেশনা দিয়েছিলেন আদালতে লড়াই করার জন্য। এর মধ্যে রয়েছেন সলিসিটর হেলেন ওয়ার্ড, তিনি ২০০৯ সালে বার্নি এক্লেসটোনের ২০০ কোটি পাউন্ড রক্ষা করেছিলেন তার সাবেক স্ত্রী ক্লাভিকার কাছ থেকে।
মঙ্গলবার আদালতে শুনানির সময় আদালতের সামনের সারিতে বসা ছিলেন প্রিন্সেস হায়া। সেখানে তিনি মনোযোগ দিয়ে শুনছিলেন সঙ্গে আনা সন্তানদের পরিণতি নিয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত। কিন্তু ওইদিন আদালত এ বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত রায় দেয়নি। তিনি দুবাই থেকে পালানোর সময় সঙ্গে নিয়ে যান ৩ কোটি ১০ লাখ পাউন্ড। বৃটেনে কেনসিংটন রাজপ্রাসাদের কাছে তার কেনা ৮ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ডের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। এরপর বৃটেনে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। এখানে উল্লেখ্য, দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ ও তার পলাতক স্ত্রী প্রিন্সেস হায়া দু’জনেই বৃটিশ রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছের বন্ধু। এখন তাদের ৪৫০ কোটি পাউন্ডের বিচ্ছেদের আবেদন হতে পারে বৃটিশ আইনি ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অংকের বিচ্ছেদ।
প্রিন্সেস হায়া জর্ডানের বাদশা দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সৎবোন। তিনি বৃটেনে তার দুই সন্তানের অধিকারের জন্য এখন লড়াই করছেন। সফলতার সঙ্গে প্রিন্সেস হায়া আবেদন করেছেন, তার সন্তানদের বৃটিশ আইনের অধীনে সুরক্ষা দিতে। এর অর্থ হলো পরিবার বিষয়ক বিচারকদের অনুমতি ছাড়া তার সন্তানদের ভবিষ্যত সম্পর্কে বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না বৃটিশ আদালত। শেখ মোহাম্মদ ও প্রিন্সেস হায়ার মধ্যে আইনি লড়াই এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। সব আবেদন এখন শুনানি হবে এবং তারপর সিদ্ধান্ত দেয়া হবে। এ বছরের শেষের দিকে পারিবারিক আদালত শুনানি করবে। তারপর সিদ্ধান্ত দেবে ওই দুই সন্তানের বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ওদিকে বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয় নি।
এর আগে দুবাইয়ের শাসকের মেয়ে প্রিন্সেস লতিফা (৩৩) রাজপ্রাসাদ থেকে পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তাকে এখন গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। এ সম্পর্কে জেনে যাওয়ার পর প্রিন্সেস হায়া দুবাই থেকে পালিয়ে যান। দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ ২৩ টি সন্তানের জনক। বিভিন্ন স্ত্রীর গর্ভে জন্ম নিয়েছে তারা। তার মধ্যে প্রিন্সেস লতিফ অন্যতম। তিনি গত বছর পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে নতুন জীবন যাপনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু স্পেশাল ফোর্স তা জেনে তাকে ফিরিয়ে নেয়। বিবিসির নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিনিধি বলেছেন, এখন প্রিন্সেস হায়ার আশঙ্কা তাকে অহপরণ করে দুবাইয়ে ফেরত নেয়া হতে পারে। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেন নি দুবাইয়ের শাসক।
No comments