পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার পরিচালিত স্কুলে দুপুরের খাবার হিসাবে দেওয়া হল নুন-ভাত!
নুন
এবং ভাত। সোমবার রাজ্য সরকার পরিচালিত একটি স্কুলে কয়েকশ ছাত্রীদের
মধ্যাহ্নভোজ হিসাবে এটাই দেওয়া হয়েছিল।হুগলি জেলার চুঁচুড়া বালিকা
বাণীমন্দির বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। এই খবর পেয়ে ওই বিদ্যালয়ে ছুটে যান
স্থানীয় বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি বিষয়টি নিয়ে মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে দুপুরের খাবার
নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন। শুধু সেটাই নয়, এ বিষয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জবাবও দাবি করেন তিনি। "মিড ডে মিল নিয়ে এই দুর্নীতি
সহ্য করা হবে না" বলে দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেন লকেট। তবে শতাধিক স্কুল
ছাত্রীর মেঝেতে বসে নুন-ভাত খাওয়ার ছবি ভাইরাল হয়ে যায় এবং সব স্তরেই
নিন্দার ঝড় ওঠে।একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এই ঘটনাকে "দিনে দুপুরে ডাকাতি"
বলে উল্লেখ করেন।
হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, "স্থানীয় লোকেরাই এই বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ করেছে।" সোমবার তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকাটি পরিদর্শন গেছিলেন, তখনই বিদ্যালয়ে ওই নুন-ভাত পরিবেশন করা নিয়ে একটি ফোন পেয়ে সেখানে ছুটে যান তিনি।
বিদ্যালয়ের বারান্দায় একটি ব্ল্যাকবোর্ডে, মধ্যাহ্নভোজের মেনুতে সাদা চক দিয়ে লেখা ছিল: "ফ্যানা ভাত আর নুন"।
পশ্চিমবঙ্গে অত্যন্ত দরিদ্র লোকেরা এই খাবার খেয়ে থাকে, যদিও তার মধ্যে অন্তত একটু তেল ও মরিচ দেয় তাঁরা।
"মিড ডে মিলের খাবারের টাকা চুরি করা হচ্ছে। শীর্ষ তৃণমূলের লোকেরা এতে জড়িত। আমি স্কুল অ্যাকাউন্টে দেখেছি যে ৫,০০০ ডিম ২৫,০০০ টাকায় কেনা হয়েছে, কিন্তু এখানে মেয়েরা ডিম পায় না। ডিম কোথায় গেল?" প্রশ্ন করেন স্থানীয় বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি আরও দাবি করেছেন যে প্রায় আড়াই শতাধিক চালের ব্যাগও বিদ্যালয় থেকে হাপিস হয়ে গেছে।
বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবি তুলে তিনি বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিরকালই কন্যাশ্রী নিয়ে গর্ব করেন। কিন্তু তৃণমূলের কি লজ্জা নেই, মেয়েদের প্লেট থেকে খাবার চুরি করে তাঁরা"।
‘পুলিশি নিরাপত্তা'র আর্জি জানালেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়
এই বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির দায়িত্বে থাকা স্কুল কমিটির প্রধান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায়, তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় সদস্য এবং চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যানও।
যদিও স্কুল কমিটির প্রধান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় দাবি করেন, ব্যাংকে টাকা ছিল তবে কিছু শিক্ষকের অসহযোগিতার কারণে সোমবার এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যখন বিদ্যালয়ে শাকসবজি এবং ডিম কেনার মতো নগদ টাকা ছিল না। নুন-ভাত খেতে দেওয়ার ঘটনা ব্যতিক্রম, দাবি করে তিনি বলেন সাধারণত মিড ডে মিলের খাবারে প্রোটিন থাকেই।
ঘটনায় ওই ছবি ভাইরাল হওয়ার পরে নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার। এই ঘটনায় তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাঁরা। পাশাপাশি গত ছয় মাস ধরে এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেন নেই তাও তদন্ত করার দাবি উঠেছে।
>>>সূত্র: এনডিটিভি
হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, "স্থানীয় লোকেরাই এই বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ করেছে।" সোমবার তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকাটি পরিদর্শন গেছিলেন, তখনই বিদ্যালয়ে ওই নুন-ভাত পরিবেশন করা নিয়ে একটি ফোন পেয়ে সেখানে ছুটে যান তিনি।
বিদ্যালয়ের বারান্দায় একটি ব্ল্যাকবোর্ডে, মধ্যাহ্নভোজের মেনুতে সাদা চক দিয়ে লেখা ছিল: "ফ্যানা ভাত আর নুন"।
পশ্চিমবঙ্গে অত্যন্ত দরিদ্র লোকেরা এই খাবার খেয়ে থাকে, যদিও তার মধ্যে অন্তত একটু তেল ও মরিচ দেয় তাঁরা।
"মিড ডে মিলের খাবারের টাকা চুরি করা হচ্ছে। শীর্ষ তৃণমূলের লোকেরা এতে জড়িত। আমি স্কুল অ্যাকাউন্টে দেখেছি যে ৫,০০০ ডিম ২৫,০০০ টাকায় কেনা হয়েছে, কিন্তু এখানে মেয়েরা ডিম পায় না। ডিম কোথায় গেল?" প্রশ্ন করেন স্থানীয় বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি আরও দাবি করেছেন যে প্রায় আড়াই শতাধিক চালের ব্যাগও বিদ্যালয় থেকে হাপিস হয়ে গেছে।
বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবি তুলে তিনি বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিরকালই কন্যাশ্রী নিয়ে গর্ব করেন। কিন্তু তৃণমূলের কি লজ্জা নেই, মেয়েদের প্লেট থেকে খাবার চুরি করে তাঁরা"।
‘পুলিশি নিরাপত্তা'র আর্জি জানালেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়
এই বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির দায়িত্বে থাকা স্কুল কমিটির প্রধান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায়, তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় সদস্য এবং চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যানও।
যদিও স্কুল কমিটির প্রধান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় দাবি করেন, ব্যাংকে টাকা ছিল তবে কিছু শিক্ষকের অসহযোগিতার কারণে সোমবার এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যখন বিদ্যালয়ে শাকসবজি এবং ডিম কেনার মতো নগদ টাকা ছিল না। নুন-ভাত খেতে দেওয়ার ঘটনা ব্যতিক্রম, দাবি করে তিনি বলেন সাধারণত মিড ডে মিলের খাবারে প্রোটিন থাকেই।
ঘটনায় ওই ছবি ভাইরাল হওয়ার পরে নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার। এই ঘটনায় তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাঁরা। পাশাপাশি গত ছয় মাস ধরে এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেন নেই তাও তদন্ত করার দাবি উঠেছে।
>>>সূত্র: এনডিটিভি
No comments