গণহত্যার অভিযোগ সত্ত্বেও মিয়ানমার সামরিক বাহিনীকে অস্ত্র দিচ্ছে উত্তর কোরিয়া, চীন ও রাশিয়া by শিবানি মাহতানি
সাম্প্রতিক
বছরগুলোতে উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া, চীন, ভারত ও অন্যঅন্তত তিনটি দেশ
মিয়ানমার সামরিক বাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করছে। এসব অস্ত্র রোহিঙ্গা
মুসলিমদের বিরুদ্ধে গণহত্যার কাজেও ব্যবহৃত হয়েছে। সোমবার প্রকাশিত এক
জাতিসংঘ প্রতিবেদনে এসব বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, কয়েক ডজন মিয়ানমার কোম্পানি (এগুলোর কয়েকটি ২০১৬ সালে অবরোধ প্রত্যাহারের আগে পর্যন্ত মার্কিন কালো তালিকায় ছিল) মিয়ানমার সামরিক বাহিনীকে ১০ মিলিয়ন ডলার দান করেছে। মিয়ানমার থেকে সাত লাখ রোহিঙ্গাকে সেনাবাহিনীর বহিষ্কারের পর এসব কোম্পানি গণহত্যার স্থানগুলোতে অবকাঠামো নির্মাণে সহায়তা করছে।
বহিষ্কারের দুই বছর পরও লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের উদ্বাস্তু শিবিরগুলোতে অবস্থান করছে। মিয়ানমারে তাদের প্রত্যাবাসন কবে হবে তা নিয়ে কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যাচ্ছে না।
জাতিসংঘ তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় ও বিদেশে ব্যবসায়িক চুক্তি থেকে বিপুল আয়ের ফলে দায়মুক্তি নিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কাজটি করে যেতে পেরেছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। এতে সুনির্দিষ্টভাবে সামরিক বাহিনীর মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রিত ১৪০টি কোম্পানির কথা বলা হয়।
এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে বলা হলেও মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র তাতে সাড়া দেননি।
জাতিসংঘের এই মিশনটির দায়িত্ব হলো মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি তদন্ত করা। গত সোমাবার মিশনটি মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অস্ত্র অবরোধ ও এর সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির আহ্বান জানানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি মিয়ানমারের সামরিক প্রধান মিন অং লাইং ও তার উপ-প্রধানের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এছাড়া ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও কানাডা মিয়ানমারের আরো কিছু জেনারেল ও সৈন্যের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে।
জাতিসংঘ মিশনের সদস্য ক্রিস সিদোটি বলেন, সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে থাকা ও প্রতিষ্ঠান হিসেবে সামরিক বাহিনীকে পরিচালনাকারী লোকদের বিরুদ্ধে পূর্ণ অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করার পদক্ষেপ দেখতে চাই।
মিয়ানমার সামরিক বাহিনী ২০১১ সাল পর্যন্ত নিরঙ্কুশভাবে দেশটি পরিচালনা করত। ২০১৫ সালে দেশটি গণতান্ত্রিক শাসনের প্রত্যাবর্তন ঘটে। ওই নির্বাচনে আং সান সু চির দল বিপুলভাবে জয়ী হলেও এখনো সামরিক বাহিনী ব্যাপক ক্ষমতার অধিকারী। তারা পার্লামেন্টে ব্যাপক উপস্থিতি বজায় রেখেছে, গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীও আছে এই বাহিনী থেকে। তারা অর্থনীতিকেও নিয়ন্ত্রণ করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাদের প্রভাবের মাধ্যমে।
প্রতিবেদনে উত্তর কোরিয়া ও মিয়ানমারের মধ্যকার অব্যাহত সহযোগিতার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, রকেট লাঞ্চার, ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, ইত্যাদি উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে সংগ্রহ করে মিয়ানমার। এ কাজে জড়িত কোরিয়া মাইনিং ডেভেলপমেন্ট ট্রেডিং করপোরেশনকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, কয়েক ডজন মিয়ানমার কোম্পানি (এগুলোর কয়েকটি ২০১৬ সালে অবরোধ প্রত্যাহারের আগে পর্যন্ত মার্কিন কালো তালিকায় ছিল) মিয়ানমার সামরিক বাহিনীকে ১০ মিলিয়ন ডলার দান করেছে। মিয়ানমার থেকে সাত লাখ রোহিঙ্গাকে সেনাবাহিনীর বহিষ্কারের পর এসব কোম্পানি গণহত্যার স্থানগুলোতে অবকাঠামো নির্মাণে সহায়তা করছে।
বহিষ্কারের দুই বছর পরও লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের উদ্বাস্তু শিবিরগুলোতে অবস্থান করছে। মিয়ানমারে তাদের প্রত্যাবাসন কবে হবে তা নিয়ে কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যাচ্ছে না।
জাতিসংঘ তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় ও বিদেশে ব্যবসায়িক চুক্তি থেকে বিপুল আয়ের ফলে দায়মুক্তি নিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কাজটি করে যেতে পেরেছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। এতে সুনির্দিষ্টভাবে সামরিক বাহিনীর মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রিত ১৪০টি কোম্পানির কথা বলা হয়।
এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে বলা হলেও মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র তাতে সাড়া দেননি।
জাতিসংঘের এই মিশনটির দায়িত্ব হলো মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি তদন্ত করা। গত সোমাবার মিশনটি মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অস্ত্র অবরোধ ও এর সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির আহ্বান জানানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি মিয়ানমারের সামরিক প্রধান মিন অং লাইং ও তার উপ-প্রধানের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এছাড়া ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও কানাডা মিয়ানমারের আরো কিছু জেনারেল ও সৈন্যের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে।
জাতিসংঘ মিশনের সদস্য ক্রিস সিদোটি বলেন, সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে থাকা ও প্রতিষ্ঠান হিসেবে সামরিক বাহিনীকে পরিচালনাকারী লোকদের বিরুদ্ধে পূর্ণ অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করার পদক্ষেপ দেখতে চাই।
মিয়ানমার সামরিক বাহিনী ২০১১ সাল পর্যন্ত নিরঙ্কুশভাবে দেশটি পরিচালনা করত। ২০১৫ সালে দেশটি গণতান্ত্রিক শাসনের প্রত্যাবর্তন ঘটে। ওই নির্বাচনে আং সান সু চির দল বিপুলভাবে জয়ী হলেও এখনো সামরিক বাহিনী ব্যাপক ক্ষমতার অধিকারী। তারা পার্লামেন্টে ব্যাপক উপস্থিতি বজায় রেখেছে, গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীও আছে এই বাহিনী থেকে। তারা অর্থনীতিকেও নিয়ন্ত্রণ করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাদের প্রভাবের মাধ্যমে।
প্রতিবেদনে উত্তর কোরিয়া ও মিয়ানমারের মধ্যকার অব্যাহত সহযোগিতার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, রকেট লাঞ্চার, ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, ইত্যাদি উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে সংগ্রহ করে মিয়ানমার। এ কাজে জড়িত কোরিয়া মাইনিং ডেভেলপমেন্ট ট্রেডিং করপোরেশনকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
No comments