রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আদৌ শুরু হচ্ছে কি? by মিজানুর রহমান
ঝুলে
যাওয়া প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে নাটকীয়ভাবে ফের তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
আগামী ২২শে আগস্টকে টার্গেট ধরে মাঠ পর্যায়ে এর বাস্তবায়নে সম্মত হয়েছে
বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন আগেই জানিয়েছেন-
‘ছোট আকারে’ হলেও বাস্তুচ্যুতদের একটি দল যেনো চলতি মাসেই মিয়ানমারে ফেরত
যায়- সেটি নিশ্চিত করতে বন্ধু রাষ্ট্র চীন ও ভারত উভয় দেশকে নিয়মিতভাবে
উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার সঙ্গে
ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত বাংলাদেশের কর্মকর্তারা এখনও এ নিয়ে মুখ খুলছেন না। তারা
নিজেরা ‘ধোঁয়াশা’র মধ্যে রয়েছেন বলে জানাচ্ছেন। যদিও এ নিয়ে ঢাকায় এবং
কক্সবাজারে গতকালও দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে
‘আশাবাদ’, ‘দৃঢ় আশাবাদ’ ব্যক্ত করা হলেও প্রত্যাবাসনের ফিজিক্যাল
অ্যারেঞ্জমেন্ট বা মাঠ পর্যায়ের ব্যবস্থাপনার মূখ্য সমন্বয়ক কক্সবাজারস্থ
বাংলাদেশ সরকারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি)
মোহাম্মদ আবুল কালাম এক দিন আগেও বলেছেন, নতুন করে প্রত্যাবাসন শুরুর কোন
খবর তার কাছে নেই। মিয়ানমারের বাংলাদেশ দূতাবাসের দায়িত্বশীল প্রতিনিধিরা
প্রত্যাবাসন জটিলতা দূরীকরণে ২২ শে আগস্টকে টার্গেট ধরে পরবর্তী
কার্যক্রমের পথে এগিয়ে যেতে ঢাকা-নেপি’ড সম্মতির বিষয়টি স্বীকার করলেও ওই
তারিখ প্রত্যাবাসন শুরু হচ্ছে কি-না? সে বিষয়ে খোলাসা করে কিছু বলছেন না।
এ অবস্থায় প্রশ্ন ওঠেছে প্রস্তাবিত তারিখে কি আদৌ প্রত্যাবাসন শুরু হচ্ছে? এর জবাব ‘হ্যাঁ’ হলে প্রশ্ন থেকে যায় কিভাবে এটি বাস্তবায়ন হবে? প্রত্যাবাসনে যে বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত তা হল- বাস্তুচ্যুতদের সম্মতি। রাখাইন পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য সম্পর্কে রোহিঙ্গাদের অবহিত করা এবং তারা ফিরতে রাজী কি-না? সেই মতামত নেয়া। কূটনৈতিক সূত্রের খবর দ্বিতীয় দফায় মিয়ানমারের তরফে ‘গ্রহণে’ অনাপত্তিপ্রাপ্ত ৩ হাজার ৪’শ ৫০ জন রোহিঙ্গার একটি তালিকা জাতিসংঘের শরনার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরকে দিয়েছে বাংলাদেশ, তারা ফিরতে রাজী কি-না? সেই চূড়ান্ত মতামত যাচাইয়ে জন্য। কিন্তু গতকাল সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইউএনএইচসিআর মতামত জরিপ করেছে কি-না? জরিপ সম্পন্ন করে থাকলে এ সংক্রান্ত রিপোর্ট সরকারের কাছে জমা হয়েছে কি-না? সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে পারেননি।
এদিকে ২২ শে আগস্ট থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর ব্যাপারে মিয়ানমার সম্মত হয়েছে মর্মে বার্তা সংস্থা রয়টার্সসহ গণমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তার প্রেক্ষিতে কক্সবাজারে অস্থায়ী আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে দেশী-বিদেশী সংবাদ মাধ্যম যেসব রিপোর্ট করেছে- তাতে নাগরিকত্ব, সম-অধিকারসহ মৌলিক দাবিগুলোর বিষয়ে মিয়ানমারের সুস্পষ্ট অঙ্গীকার এবং এর বাস্তবায়নে দৃশ্যমান পদক্ষেপ ছাড়া রোহিঙ্গারা ফিরে যাবেন না বলে ধারণা দেয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত রিপোর্টের বিষয়ে সেগুনবাগিচা এবং ইয়াংগুনের বাংলাদেশ দূতাবাসের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদেরও মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। এক কর্মকর্তা বলেন, এটা ঠিক উভয় পক্ষ প্রত্যাবাসনের ‘প্রক্রিয়া’ শুরুর বিষয়ে সম্মত হয়েছে। এ জন্য একটি তারিখও ঠিক হয়েছে। গত নভেম্বরে প্রত্যাবাসন না হওয়া এবং অনর্দিষ্টকালের জন্য এটি স্থগিত হয়ে যাওয়া বা ঝুলে যাওয়া প্রক্রিয়াটি আমরা প্রস্তাবিত তারিখে শুরু করতে চাই। এ বিষয়ে উভয়ে সম্মত। কিন্তু ওই তারিখেই লোকজন ফেরত যেতে শুরু করবে বিষয়টি এমন নয়। বা চলতি মাসে ফেরত পাঠানো না গেলে এটি ফের ঝুলে যাবে, গত নভেম্বরের মত এবার তা হবে না বরং উদ্যোগটি চলমান থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত ফিজিক্যাল বা মাঠ পর্যায়ে লোক ফেরৎ যাওয়া শুরু করা না যায়। এ বিষয়ে দুই পক্ষ ঐকমত্যে পৌঁছেছে। ইয়াংগুনের এক কর্মকর্তা বলেন, রয়াটর্সের রিপোর্টে দু’টি পরিসংখ্যান দেয়া হয়েছে। মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মিন্ট থো’কে উদ্বৃত করে বার্তা সংস্থাটি বলেছে, ৩ হাজার ৫৪০ জনকে প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ মিয়ানমার একমত হয়েছে। আসলে এই সংখ্যাটি হবে ৩ হাজার ৪’শ ৫০। রিপোর্টে দুই দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার প্রেক্ষিতে রয়টার্স লিখেছে- বাংলাদেশের পাঠানো ২২ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা থেকে ওই বাস্তুচ্যুতদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার। প্রকৃত তথ্য হচ্ছে- প্রায় ৫৫ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা মিয়ানমারকে দেয়া হয়েছে। তা থেকে তারা যাচাই-বাছাই করছে এবং ঢাকায় অনাপত্তি পাঠাচ্ছে। দ্বিতীয় দফায় পরিবার ও গ্রাম ভিত্তিক যাছাই-বাছাই’র পর মিয়ানমার যাদের বিষয়ে অনাপত্তি দিয়েছে তাদের মধ্য থেকে মংডু এবং বুথিডংয়ের ৩ হাজার ৪’শ ৫০ জনের একটি তালিকা ইউএনএইচসিআরকে দেয়া হয়েছে, তাদের ফিরে যাওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত মতামত গ্রহণের জন্য। প্রথম দফায় এদের ফেরানোর টার্গেট রয়েছে। এদের মধ্যে যে ক’টি পরিবার প্রথমে স্বেচ্ছায় ফিরতে রাজী হবে তাদের আগে পাঠানো হবে। সেই দল যত ছোট অর্থাৎ ১০ জন হলেও বাংলাদেশ ফেরত পাঠাবে। বাকীরা রাজি হলে পরবর্তীতে ধাপে ধাপে যাবে। ঢাকা ও ইয়াংগুনের কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেন, প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের হঠাৎ সক্রিয়তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন রয়েছে। আন্তর্জাতিক চাপ, রোহিঙ্গা ঢলের দু’বছরপূর্তি (২৫শে আগস্ট) এবং সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনকে সামনে রেখে তারা ‘লোক দেখানো প্রত্যাবাসন’ চাইছে কি-না? তা নিয়ে এখনও যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। তবে এখানে চীন মধ্যস্থতায় থাকায় ঢাকা খানিকটা আস্থা পাচ্ছে। সার্বিক বিবেচনায় মিয়ানমারের ‘রাজনীতি’ বা ‘অসত্য’ প্রচারের বিষয়ে ঢাকা সচেতন রয়েছে। কর্মকর্তারা জোর দিয়েই বলছেন, প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ পুরোপুরি প্রস্তুত। মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। তারাও রোহিঙ্গাদের আশ্বস্থ করার চেষ্টা করেছেন। এখন দেখার বিষয় কতজন যেতে রাজী হয়। তবে এটা নিশ্চিত যে একজনকেও জোর করে ফেরৎ পাঠাবে না বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি বাংলাদেশের যে অঙ্গীকার এবং মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দেয়ার পর বিশ্বাঙ্গনে বাংলাদেশ যেভাবে প্রশংসিত হয়েছে, সেই মর্যাদা অবশ্যই রক্ষা করা হবে। বন্ধু রাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তায় পূর্ণ নিরাপত্তা, মর্যাদা এবং অধিকার নিয়েই রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরত পাঠাতে চায় বাংলাদেশ। কোন অবস্থাতেই এর ব্যত্যয় হবে না।
এ অবস্থায় প্রশ্ন ওঠেছে প্রস্তাবিত তারিখে কি আদৌ প্রত্যাবাসন শুরু হচ্ছে? এর জবাব ‘হ্যাঁ’ হলে প্রশ্ন থেকে যায় কিভাবে এটি বাস্তবায়ন হবে? প্রত্যাবাসনে যে বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত তা হল- বাস্তুচ্যুতদের সম্মতি। রাখাইন পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য সম্পর্কে রোহিঙ্গাদের অবহিত করা এবং তারা ফিরতে রাজী কি-না? সেই মতামত নেয়া। কূটনৈতিক সূত্রের খবর দ্বিতীয় দফায় মিয়ানমারের তরফে ‘গ্রহণে’ অনাপত্তিপ্রাপ্ত ৩ হাজার ৪’শ ৫০ জন রোহিঙ্গার একটি তালিকা জাতিসংঘের শরনার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরকে দিয়েছে বাংলাদেশ, তারা ফিরতে রাজী কি-না? সেই চূড়ান্ত মতামত যাচাইয়ে জন্য। কিন্তু গতকাল সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইউএনএইচসিআর মতামত জরিপ করেছে কি-না? জরিপ সম্পন্ন করে থাকলে এ সংক্রান্ত রিপোর্ট সরকারের কাছে জমা হয়েছে কি-না? সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে পারেননি।
এদিকে ২২ শে আগস্ট থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর ব্যাপারে মিয়ানমার সম্মত হয়েছে মর্মে বার্তা সংস্থা রয়টার্সসহ গণমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তার প্রেক্ষিতে কক্সবাজারে অস্থায়ী আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে দেশী-বিদেশী সংবাদ মাধ্যম যেসব রিপোর্ট করেছে- তাতে নাগরিকত্ব, সম-অধিকারসহ মৌলিক দাবিগুলোর বিষয়ে মিয়ানমারের সুস্পষ্ট অঙ্গীকার এবং এর বাস্তবায়নে দৃশ্যমান পদক্ষেপ ছাড়া রোহিঙ্গারা ফিরে যাবেন না বলে ধারণা দেয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত রিপোর্টের বিষয়ে সেগুনবাগিচা এবং ইয়াংগুনের বাংলাদেশ দূতাবাসের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদেরও মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। এক কর্মকর্তা বলেন, এটা ঠিক উভয় পক্ষ প্রত্যাবাসনের ‘প্রক্রিয়া’ শুরুর বিষয়ে সম্মত হয়েছে। এ জন্য একটি তারিখও ঠিক হয়েছে। গত নভেম্বরে প্রত্যাবাসন না হওয়া এবং অনর্দিষ্টকালের জন্য এটি স্থগিত হয়ে যাওয়া বা ঝুলে যাওয়া প্রক্রিয়াটি আমরা প্রস্তাবিত তারিখে শুরু করতে চাই। এ বিষয়ে উভয়ে সম্মত। কিন্তু ওই তারিখেই লোকজন ফেরত যেতে শুরু করবে বিষয়টি এমন নয়। বা চলতি মাসে ফেরত পাঠানো না গেলে এটি ফের ঝুলে যাবে, গত নভেম্বরের মত এবার তা হবে না বরং উদ্যোগটি চলমান থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত ফিজিক্যাল বা মাঠ পর্যায়ে লোক ফেরৎ যাওয়া শুরু করা না যায়। এ বিষয়ে দুই পক্ষ ঐকমত্যে পৌঁছেছে। ইয়াংগুনের এক কর্মকর্তা বলেন, রয়াটর্সের রিপোর্টে দু’টি পরিসংখ্যান দেয়া হয়েছে। মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মিন্ট থো’কে উদ্বৃত করে বার্তা সংস্থাটি বলেছে, ৩ হাজার ৫৪০ জনকে প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ মিয়ানমার একমত হয়েছে। আসলে এই সংখ্যাটি হবে ৩ হাজার ৪’শ ৫০। রিপোর্টে দুই দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার প্রেক্ষিতে রয়টার্স লিখেছে- বাংলাদেশের পাঠানো ২২ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা থেকে ওই বাস্তুচ্যুতদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার। প্রকৃত তথ্য হচ্ছে- প্রায় ৫৫ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা মিয়ানমারকে দেয়া হয়েছে। তা থেকে তারা যাচাই-বাছাই করছে এবং ঢাকায় অনাপত্তি পাঠাচ্ছে। দ্বিতীয় দফায় পরিবার ও গ্রাম ভিত্তিক যাছাই-বাছাই’র পর মিয়ানমার যাদের বিষয়ে অনাপত্তি দিয়েছে তাদের মধ্য থেকে মংডু এবং বুথিডংয়ের ৩ হাজার ৪’শ ৫০ জনের একটি তালিকা ইউএনএইচসিআরকে দেয়া হয়েছে, তাদের ফিরে যাওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত মতামত গ্রহণের জন্য। প্রথম দফায় এদের ফেরানোর টার্গেট রয়েছে। এদের মধ্যে যে ক’টি পরিবার প্রথমে স্বেচ্ছায় ফিরতে রাজী হবে তাদের আগে পাঠানো হবে। সেই দল যত ছোট অর্থাৎ ১০ জন হলেও বাংলাদেশ ফেরত পাঠাবে। বাকীরা রাজি হলে পরবর্তীতে ধাপে ধাপে যাবে। ঢাকা ও ইয়াংগুনের কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেন, প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের হঠাৎ সক্রিয়তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন রয়েছে। আন্তর্জাতিক চাপ, রোহিঙ্গা ঢলের দু’বছরপূর্তি (২৫শে আগস্ট) এবং সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনকে সামনে রেখে তারা ‘লোক দেখানো প্রত্যাবাসন’ চাইছে কি-না? তা নিয়ে এখনও যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। তবে এখানে চীন মধ্যস্থতায় থাকায় ঢাকা খানিকটা আস্থা পাচ্ছে। সার্বিক বিবেচনায় মিয়ানমারের ‘রাজনীতি’ বা ‘অসত্য’ প্রচারের বিষয়ে ঢাকা সচেতন রয়েছে। কর্মকর্তারা জোর দিয়েই বলছেন, প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ পুরোপুরি প্রস্তুত। মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। তারাও রোহিঙ্গাদের আশ্বস্থ করার চেষ্টা করেছেন। এখন দেখার বিষয় কতজন যেতে রাজী হয়। তবে এটা নিশ্চিত যে একজনকেও জোর করে ফেরৎ পাঠাবে না বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি বাংলাদেশের যে অঙ্গীকার এবং মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দেয়ার পর বিশ্বাঙ্গনে বাংলাদেশ যেভাবে প্রশংসিত হয়েছে, সেই মর্যাদা অবশ্যই রক্ষা করা হবে। বন্ধু রাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তায় পূর্ণ নিরাপত্তা, মর্যাদা এবং অধিকার নিয়েই রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরত পাঠাতে চায় বাংলাদেশ। কোন অবস্থাতেই এর ব্যত্যয় হবে না।
No comments