মোদীর ভুটান সফরের আগে বাংলার সঙ্গে আলোচনা হলো না কেন, প্রশ্ন মমতার
প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদী দুদিনের সফরে শনিবার (১৭ আগস্ট), ভুটান পৌঁছেছেন। ডোকলাম
কান্ডের পর এটাই তাঁর প্রথম ভুটান সফর। এ সফরে ভুটানের সঙ্গে জলবিদ্যুৎ
নিয়ে একটি বিশেষ চুক্তি হওয়ার কথা। ভুটানের সঙ্কোশ নদীর জল থেকেই বিদ্যুৎ
উৎপাদন হয় এবং ভুটানের ভারতের কাছে একমাত্র এক্সপোর্ট প্রোডাক্ট হল এই
জলবিদ্যুৎ।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই ভুটান সফর নিয়ে মোদী সরকার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে কোনোরকম আগাম আলোচনা করেনি, যে ঘটনায় ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা সরকার মনে করে, মোদী সরকারের উচিত ছিল ভুটানে যাওয়ার আগে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা। কারণ, সঙ্কোশ থেকে জল ছাড়ার বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে সমস্যায় আছে রাজ্য সরকার। বিশেষত এর ফলে উত্তরবঙ্গে বর্ষার সময় প্লাবন হয়ে যায়। যে বিপদ থেকে বাঁচাটা রাজ্যের জন্য বিশেষ জরুরী।
মমতা নিজে এর আগে ভুটান সফরে যান। সেদেশের রাজার সঙ্গেও তাঁর এ ব্যাপারে কথা হয়। অতএব এবার প্রধানমন্ত্রী ভুটান যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় বা বিদেশ মন্ত্রকের উচিত ছিল মমতার প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলা, এমনটাই মনে করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যুক্তরাষ্ট্রীয় নীতি অনুসারে এমনটাই করা উচিত।
দিল্লির যুক্তি অবশ্য ভিন্ন। বিদেশমন্ত্রকের এক সূত্রের কথায়, “যদি এ সফরে সঙ্কোশ নদীর জল নিয়ে আলোচনা হতো, তবে আমরা পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে আলোচনা করতাম। যেমন তিস্তা নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে যাওয়ার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও আলোচনা করেছিলেন।”
এবার আসলে ভুটান যাওয়ার কারণ আলাদা। ২০১৪ সালে মোদী ভুটান দিয়েই তাঁর যাত্রা শুরু করেছিলেন। তখনই তিনি ভুটানকে কথা দেন, ২০১৯-এও আবার ক্ষমতায় এলে উনি ভুটান দিয়েই যাত্রা শুরু করবেন। কিন্তু এবার তা করতে পারেন নি কারণ তাঁকে জাপান যেতে হয়েছিল বহুপাক্ষিক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য। তাঁর জন্য তিনি ভুটানের ক্ষমাপ্রার্থী হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে ভুটান যাত্রা করছেন।
চিনের জন্যও এ সফর জরুরী, বিশেষ করে পাকিস্তান যখন দুনিয়ার জনমত পেতে মরিয়া। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে চিন সক্রিয় পাকিস্তানের পক্ষে, সে সময় বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর চিন গেছেন, মোদী যাচ্ছেন ভুটান। এটা বিদেশনীতিরই অঙ্গ। এর সঙ্গে রাজ্য সরকারের সম্পর্ক নেই।
কিন্তু মমতার সরকার মনে করে, ভুটান তো প্রধানমন্ত্রী বারবার যাচ্ছেন না, কাজেই যখন যাচ্ছেন, তখন চাইলেই রাজ্যের সমস্যার বিষয়টিও আলোচ্য সূচীতে যোগ করতে পারত কেন্দ্র সরকার। শেষমেশ কেন্দ্র-রাজ্য বিতর্ক জারি ভুটান সফর নিয়েও।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই ভুটান সফর নিয়ে মোদী সরকার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে কোনোরকম আগাম আলোচনা করেনি, যে ঘটনায় ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা সরকার মনে করে, মোদী সরকারের উচিত ছিল ভুটানে যাওয়ার আগে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা। কারণ, সঙ্কোশ থেকে জল ছাড়ার বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে সমস্যায় আছে রাজ্য সরকার। বিশেষত এর ফলে উত্তরবঙ্গে বর্ষার সময় প্লাবন হয়ে যায়। যে বিপদ থেকে বাঁচাটা রাজ্যের জন্য বিশেষ জরুরী।
মমতা নিজে এর আগে ভুটান সফরে যান। সেদেশের রাজার সঙ্গেও তাঁর এ ব্যাপারে কথা হয়। অতএব এবার প্রধানমন্ত্রী ভুটান যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় বা বিদেশ মন্ত্রকের উচিত ছিল মমতার প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলা, এমনটাই মনে করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যুক্তরাষ্ট্রীয় নীতি অনুসারে এমনটাই করা উচিত।
দিল্লির যুক্তি অবশ্য ভিন্ন। বিদেশমন্ত্রকের এক সূত্রের কথায়, “যদি এ সফরে সঙ্কোশ নদীর জল নিয়ে আলোচনা হতো, তবে আমরা পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে আলোচনা করতাম। যেমন তিস্তা নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে যাওয়ার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও আলোচনা করেছিলেন।”
এবার আসলে ভুটান যাওয়ার কারণ আলাদা। ২০১৪ সালে মোদী ভুটান দিয়েই তাঁর যাত্রা শুরু করেছিলেন। তখনই তিনি ভুটানকে কথা দেন, ২০১৯-এও আবার ক্ষমতায় এলে উনি ভুটান দিয়েই যাত্রা শুরু করবেন। কিন্তু এবার তা করতে পারেন নি কারণ তাঁকে জাপান যেতে হয়েছিল বহুপাক্ষিক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য। তাঁর জন্য তিনি ভুটানের ক্ষমাপ্রার্থী হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে ভুটান যাত্রা করছেন।
চিনের জন্যও এ সফর জরুরী, বিশেষ করে পাকিস্তান যখন দুনিয়ার জনমত পেতে মরিয়া। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে চিন সক্রিয় পাকিস্তানের পক্ষে, সে সময় বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর চিন গেছেন, মোদী যাচ্ছেন ভুটান। এটা বিদেশনীতিরই অঙ্গ। এর সঙ্গে রাজ্য সরকারের সম্পর্ক নেই।
কিন্তু মমতার সরকার মনে করে, ভুটান তো প্রধানমন্ত্রী বারবার যাচ্ছেন না, কাজেই যখন যাচ্ছেন, তখন চাইলেই রাজ্যের সমস্যার বিষয়টিও আলোচ্য সূচীতে যোগ করতে পারত কেন্দ্র সরকার। শেষমেশ কেন্দ্র-রাজ্য বিতর্ক জারি ভুটান সফর নিয়েও।
No comments