নিউজিল্যান্ডে জেলখানা থেকে সেই সন্ত্রাসী ব্রেন্টনের অস্ত্র চেয়ে চিঠি
নিউজিল্যান্ডের
ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ৫১ জন
মুসল্লিকে হত্যাকারী, সেই কুখ্যাত ব্রেন্টন টেরেন্ট জেলে বসেই অস্ত্র চেয়ে
চিঠি লিখেছে। এ ছাড়া বড় রকমের লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছে। তার ওই চিঠিটি
প্রকাশিত হয়েছে ‘4 chan’ নামের একটি সাইটে। এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ক্ষোভ
দেখা দিয়েছে। এ সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বৃটেনের একটি ট্যাবলয়েড
পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ। এতে বলা হয়েছে, নিজের একজন সমর্থককে জেলে বসে
ব্রেন্টন টেরেন্ট হাতে লিখেছে ওই চিঠি। তাকে এমন চিঠি পাঠাতে দেয়ার জন্য
দুঃখ প্রকাশ করেছেন নিউজিল্যান্ডের কর্মকর্তারা। অস্ত্র চেয়ে ৬ পৃষ্ঠার ওই
চিঠিটি এ সপ্তাহে প্রকাশ করা হয়েছে ‘4 chan’ নামের সাইটে।
এই সাইটটি শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদীদের পোস্টের জন্য পরিচিত।
৫১টি হত্যা, ৪০টি হত্যাচেষ্টা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার দায়ে বিচারের অপেক্ষায় আছে ব্রেন্টন টেরেন্ট। এল পাসো এবং অসলোর মতো স্থানীয় সন্ত্রাসী হামলা চালানো খুনিরা তার থেকে উৎসাহিত হয়েছে বলে বলা হচ্ছে। একটি ছোট নোটপ্যাডে ব্রেন্টন পেন্সিল দিয়ে তার চিঠি লিখেছে এক রাশিয়ানের কাছে। তাকে অ্যালান নামে আখ্যায়িত করেছে সে। ২০১৫ সালে ব্রেন্টন টেরেন্ট রাশিয়া গিয়েছিল। যেতে পথে সময় লেগেছিল এক মাস। সে সম্পর্কে বর্ণনা আছে ওই চিঠিতে। তবে এতে সতর্ক করা হয়েছে যে, বড় একটি লড়াই আসন্ন। এ ছাড়া এমন ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, যা দেখে মনে হয় সে অস্ত্র আহ্বান করেছে।
এ বিষয়ে সংশোধন বিষয়ক মন্ত্রী কেলভিন ডেভিস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ব্রেন্টন টেরেন্টকে চিঠি পাঠাতে দেয়া জেলখানার নিয়মে আছে বলে তিনি মনে করেন না। আমি নিজেকে পরিষ্কার করতে চাই যে, এই ঘটনা আর ঘটবে না। তবে তিনি এটা স্পষ্ট করেন যে, ইচ্ছামতো মেইল পাঠানোর অথবা গ্রহণের অধিকার আছে নিউজিল্যান্ডের বন্দিদের । ব্রেন্টন টেরেন্ট আর কোনো চিঠি পাঠানোর চেষ্টা করলে তা আটকে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি। কেলভিন ডেভিস বলেন, আমরা এর আগে কখনো এমন জেল ব্যবস্থাপনা রাখিনি। এ বিষয়টি অর্থাৎ জেলে বসে চিঠি লেখা এটা আমাদের আইন অনুমোদন করে কিনা সে বিষয়ে আমি প্রশ্ন তুলেছি। এক্ষেত্রে আমরা কি কি পরিবর্তন করতে পারি সে পরামর্শ চেয়েছি।
তবে এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলের মুখপাত্র ডেভিড বেনেট। তিনি বলেছেন, কিভাবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সম্বলিত একটি জেলখানা থেকে এমন জ্বালাময়ী চিঠি পাঠানো হলো তার জবাব অবিলম্বে দিতে হবে কেলভিন ডেভিসকে। তিনি আরো বলেন, ব্রেন্টন টেরেন্ট নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্য অপরাধের অন্যতম একটি ঘটিয়েছে। নিউজিল্যান্ডের মানুষ আতঙ্কিত হবেন এই ভেবে যে, তার মতো একজন সন্ত্রাসীকে সংশোধন কেন্দ্র থেকে চিঠি পাঠাতে অনুমতি দেয়া হয়েছে। সেই চিঠিকে অস্ত্র চাওয়া হয়েছে এবং তা পোস্ট করা হয়েছে অনলাইনে।
এই সাইটটি শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদীদের পোস্টের জন্য পরিচিত।
৫১টি হত্যা, ৪০টি হত্যাচেষ্টা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার দায়ে বিচারের অপেক্ষায় আছে ব্রেন্টন টেরেন্ট। এল পাসো এবং অসলোর মতো স্থানীয় সন্ত্রাসী হামলা চালানো খুনিরা তার থেকে উৎসাহিত হয়েছে বলে বলা হচ্ছে। একটি ছোট নোটপ্যাডে ব্রেন্টন পেন্সিল দিয়ে তার চিঠি লিখেছে এক রাশিয়ানের কাছে। তাকে অ্যালান নামে আখ্যায়িত করেছে সে। ২০১৫ সালে ব্রেন্টন টেরেন্ট রাশিয়া গিয়েছিল। যেতে পথে সময় লেগেছিল এক মাস। সে সম্পর্কে বর্ণনা আছে ওই চিঠিতে। তবে এতে সতর্ক করা হয়েছে যে, বড় একটি লড়াই আসন্ন। এ ছাড়া এমন ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, যা দেখে মনে হয় সে অস্ত্র আহ্বান করেছে।
এ বিষয়ে সংশোধন বিষয়ক মন্ত্রী কেলভিন ডেভিস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ব্রেন্টন টেরেন্টকে চিঠি পাঠাতে দেয়া জেলখানার নিয়মে আছে বলে তিনি মনে করেন না। আমি নিজেকে পরিষ্কার করতে চাই যে, এই ঘটনা আর ঘটবে না। তবে তিনি এটা স্পষ্ট করেন যে, ইচ্ছামতো মেইল পাঠানোর অথবা গ্রহণের অধিকার আছে নিউজিল্যান্ডের বন্দিদের । ব্রেন্টন টেরেন্ট আর কোনো চিঠি পাঠানোর চেষ্টা করলে তা আটকে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি। কেলভিন ডেভিস বলেন, আমরা এর আগে কখনো এমন জেল ব্যবস্থাপনা রাখিনি। এ বিষয়টি অর্থাৎ জেলে বসে চিঠি লেখা এটা আমাদের আইন অনুমোদন করে কিনা সে বিষয়ে আমি প্রশ্ন তুলেছি। এক্ষেত্রে আমরা কি কি পরিবর্তন করতে পারি সে পরামর্শ চেয়েছি।
তবে এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলের মুখপাত্র ডেভিড বেনেট। তিনি বলেছেন, কিভাবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সম্বলিত একটি জেলখানা থেকে এমন জ্বালাময়ী চিঠি পাঠানো হলো তার জবাব অবিলম্বে দিতে হবে কেলভিন ডেভিসকে। তিনি আরো বলেন, ব্রেন্টন টেরেন্ট নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্য অপরাধের অন্যতম একটি ঘটিয়েছে। নিউজিল্যান্ডের মানুষ আতঙ্কিত হবেন এই ভেবে যে, তার মতো একজন সন্ত্রাসীকে সংশোধন কেন্দ্র থেকে চিঠি পাঠাতে অনুমতি দেয়া হয়েছে। সেই চিঠিকে অস্ত্র চাওয়া হয়েছে এবং তা পোস্ট করা হয়েছে অনলাইনে।
No comments