অবজ্ঞার বিশ্ব
পাকিস্তানের
স্বাধীনতা দিবসটি এবার বিশেষভাবে ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরের জনগণের সাথে
একাত্মতা জানানোর জন্য ছিল সবচেয়ে উপযুক্ত উপলক্ষ্য। তাদের অধিকারকে এমন
বর্বরভাবে অবজ্ঞা করা হচ্ছে, যেটা সেখানকার বহু দশকের পুলিশি রাষ্ট্রের
বৈশিষ্ট্যকে পর্যন্ত ছাপিয়ে গেছে।
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের ভারতের সিদ্ধান্তে পাকিস্তানের মধ্যে এখনও ক্ষোভের বিস্ফোরণ অব্যাহত রয়েছে। আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের আইনসভায় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যে বক্তৃতা করেছেন, তার মধ্যেও এই ক্ষোভের বিষয়টি ফুটে উঠেছে। তিনি ভারতকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোন ধরনের সামরিক অভিযানের চেষ্টা করা হলে সেটার কঠোর জবাব দেয়া হবে।
“তোমাদের প্রতি আমার বার্তা হলো: তোমরা যদি কোন পদক্ষেপ নাও, তাহলে প্রতিটি ইটের জবাব পাথর দিয়ে দেয়া হবে” –এর অর্থ হলো প্রতিটি পদক্ষেপ জবাব আরও তীব্রভাবে দেয়া হবে। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একতরফা পদক্ষেপকে ‘কৌশলগত কেলেঙ্কারি’ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং শেষ পর্যন্ত কাশ্মীর ইস্যুকে তিনি আন্তর্জাতিক ইস্যু হিসেবে মন্তব্য করেন। এবং একদিন আগে তিনি যে মন্তব্য করেছিলেন, তিনি ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের পরিস্থিতিকে নাৎসী জার্মানির সাথে তুলনা করেন, যাদের আদর্শ হিন্দুত্ববাদী আদর্শের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করছে। তিনি বলেন, হিন্দু চরমপন্থার মধ্যে যে বিপদ রয়েছে, সেটার ব্যাপারে বিশ্বকে অবগত করতে হবে।
প্রশ্ন হলো: বিশ্ব কি সেটা শোনার জন্য প্রস্তুত? কোন সন্দেহ নেই যে কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের অবস্থান ন্যায়সঙ্গত, নৈতিক এবং আন্তর্জাতিক আইনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।
তবে দুঃখজনক বিষয় হলো বাস্তব রাজনীতি ভিন্ন ভাষায় কথা বলে, যেখানে বাজারের মূল্য অন্যান্য বিবেচনাকে ছাপিয়ে গেছে, ঐতিহাসিক এবং ভ্রাতৃত্বের সম্পর্কের সেখানে মূল্য নেই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি মুজাফফরাবাদে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমনকি এটা উল্লেখ করেছেন যে: “আমরা যদিও উম্মাহ ও ইসলামের কথা বলে এসেছি, কিন্তু ইসলামের অভিভাবকরা ভারতে বিনিয়োগ করেছে এবং সেখানে তাদের স্বার্থ রয়েছে কারণ সেটা বিলিয়ন মানুষের বাজার”।
ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ইতিবাচক জবাবের ব্যাপারেও খুব সামান্যই আশাবাদ রয়েছে মি কোরেশির। তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন যে, পাকিস্তান যখন বিশ্ব সম্প্রদায়ের সামনে কাশ্মীরের বিষয়টি উত্থাপন করবে, তখন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের যে কোন স্থায়ী সদস্য পাকিস্তানের জন্য বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তিনি সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন যে, বিগত বছরগুলোতে কাশ্মীরের সমস্যার ব্যাপারে বিশ্ব খুব সামান্যই গুরুত্ব দিয়েছে এবং এবারও সেটা করার সম্ভাবনা কম। সন্দেহ নেই যে, মি কোরেশির কথাগুলো গভীর হতাশা থেকে উঠে এসেছে বিশেষ করে ভারতের অবৈধ পদক্ষেপের ব্যাপারে শক্তিধর মুসলিম দেশগুলোর নিরবতার কারণে।
তবে, ভারতের অর্থনৈতিক প্রভাব বিবেচনায় নিয়েও আরেকটি সমান বাস্তবতা সামনে রয়েছে যেটা আরও গুরুত্বপূর্ণ, যে বিপদটা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অবজ্ঞা করছে। রাষ্ট্রের নিষ্ঠুরতার বিপরীতে স্থানীয় কাশ্মীরীদের স্বাধীকারের আকাঙ্ক্ষা বেপরোয়া মাত্রায় বেড়ে গেছে। এ ধরনের হতাশাজনক পরিস্থিতির মধ্যেই মৌলবাদের উত্থান হয়ে থাকে, যেখানে হাজার হাজার দুর্ভোগ একটার উপর আরেকটি জমে স্তুপ হয়ে গেছে এবং যেটার প্রতিক্রিয়া অঞ্চল ছেড়ে অঞ্চলের বাইরে ছড়িয়ে গেছে। বহুজাতিক চরমপন্থী শক্তিগুলো হয়তো কিছুটা দুর্বল হয়ে গেছে, কিন্তু তাদের ছায়া উপস্থিতি এখনও রয়েছে এবং নিজেদের প্রাসঙ্গিকতা প্রতিষ্ঠার জন্য সুযোগের অপেক্ষায় আছে তারা। বিশ্বকে তাই এখনই কাশ্মীরী জনগণের বিরুদ্ধে অবিচারের প্রতিবাদে সক্রিয় হতে হবে।
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের ভারতের সিদ্ধান্তে পাকিস্তানের মধ্যে এখনও ক্ষোভের বিস্ফোরণ অব্যাহত রয়েছে। আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের আইনসভায় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যে বক্তৃতা করেছেন, তার মধ্যেও এই ক্ষোভের বিষয়টি ফুটে উঠেছে। তিনি ভারতকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোন ধরনের সামরিক অভিযানের চেষ্টা করা হলে সেটার কঠোর জবাব দেয়া হবে।
“তোমাদের প্রতি আমার বার্তা হলো: তোমরা যদি কোন পদক্ষেপ নাও, তাহলে প্রতিটি ইটের জবাব পাথর দিয়ে দেয়া হবে” –এর অর্থ হলো প্রতিটি পদক্ষেপ জবাব আরও তীব্রভাবে দেয়া হবে। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একতরফা পদক্ষেপকে ‘কৌশলগত কেলেঙ্কারি’ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং শেষ পর্যন্ত কাশ্মীর ইস্যুকে তিনি আন্তর্জাতিক ইস্যু হিসেবে মন্তব্য করেন। এবং একদিন আগে তিনি যে মন্তব্য করেছিলেন, তিনি ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের পরিস্থিতিকে নাৎসী জার্মানির সাথে তুলনা করেন, যাদের আদর্শ হিন্দুত্ববাদী আদর্শের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করছে। তিনি বলেন, হিন্দু চরমপন্থার মধ্যে যে বিপদ রয়েছে, সেটার ব্যাপারে বিশ্বকে অবগত করতে হবে।
প্রশ্ন হলো: বিশ্ব কি সেটা শোনার জন্য প্রস্তুত? কোন সন্দেহ নেই যে কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের অবস্থান ন্যায়সঙ্গত, নৈতিক এবং আন্তর্জাতিক আইনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।
তবে দুঃখজনক বিষয় হলো বাস্তব রাজনীতি ভিন্ন ভাষায় কথা বলে, যেখানে বাজারের মূল্য অন্যান্য বিবেচনাকে ছাপিয়ে গেছে, ঐতিহাসিক এবং ভ্রাতৃত্বের সম্পর্কের সেখানে মূল্য নেই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি মুজাফফরাবাদে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমনকি এটা উল্লেখ করেছেন যে: “আমরা যদিও উম্মাহ ও ইসলামের কথা বলে এসেছি, কিন্তু ইসলামের অভিভাবকরা ভারতে বিনিয়োগ করেছে এবং সেখানে তাদের স্বার্থ রয়েছে কারণ সেটা বিলিয়ন মানুষের বাজার”।
ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ইতিবাচক জবাবের ব্যাপারেও খুব সামান্যই আশাবাদ রয়েছে মি কোরেশির। তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন যে, পাকিস্তান যখন বিশ্ব সম্প্রদায়ের সামনে কাশ্মীরের বিষয়টি উত্থাপন করবে, তখন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের যে কোন স্থায়ী সদস্য পাকিস্তানের জন্য বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তিনি সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন যে, বিগত বছরগুলোতে কাশ্মীরের সমস্যার ব্যাপারে বিশ্ব খুব সামান্যই গুরুত্ব দিয়েছে এবং এবারও সেটা করার সম্ভাবনা কম। সন্দেহ নেই যে, মি কোরেশির কথাগুলো গভীর হতাশা থেকে উঠে এসেছে বিশেষ করে ভারতের অবৈধ পদক্ষেপের ব্যাপারে শক্তিধর মুসলিম দেশগুলোর নিরবতার কারণে।
তবে, ভারতের অর্থনৈতিক প্রভাব বিবেচনায় নিয়েও আরেকটি সমান বাস্তবতা সামনে রয়েছে যেটা আরও গুরুত্বপূর্ণ, যে বিপদটা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অবজ্ঞা করছে। রাষ্ট্রের নিষ্ঠুরতার বিপরীতে স্থানীয় কাশ্মীরীদের স্বাধীকারের আকাঙ্ক্ষা বেপরোয়া মাত্রায় বেড়ে গেছে। এ ধরনের হতাশাজনক পরিস্থিতির মধ্যেই মৌলবাদের উত্থান হয়ে থাকে, যেখানে হাজার হাজার দুর্ভোগ একটার উপর আরেকটি জমে স্তুপ হয়ে গেছে এবং যেটার প্রতিক্রিয়া অঞ্চল ছেড়ে অঞ্চলের বাইরে ছড়িয়ে গেছে। বহুজাতিক চরমপন্থী শক্তিগুলো হয়তো কিছুটা দুর্বল হয়ে গেছে, কিন্তু তাদের ছায়া উপস্থিতি এখনও রয়েছে এবং নিজেদের প্রাসঙ্গিকতা প্রতিষ্ঠার জন্য সুযোগের অপেক্ষায় আছে তারা। বিশ্বকে তাই এখনই কাশ্মীরী জনগণের বিরুদ্ধে অবিচারের প্রতিবাদে সক্রিয় হতে হবে।
>>>ডন
No comments