রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু প্রশ্নে অবস্থান নমনীয় মিয়ানমারের by আরশাদ মাহমুদ
প্রবল
চাপের মুখে মিয়ানমার দৃশ্যত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে তাদের অবস্থান
নমনীয় করেছে। বাংলাদেশে বর্তমানে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু অবস্থান
করছে। এদের মধ্যে সাত লাখের বেশি এসেছে দুই বছর আগে মিয়ানমারের নিরাপত্তা
বাহিনীর নৃশংসতার পর।
২০১৭ সালের আগস্টে প্রথম বড় ধরনের উদ্বাস্তু ঢলের পর প্রথমবারের মতো চলতি সপ্তাহে এক সিনিয়র মিয়ানমার কর্মকর্তা তাদের অবস্থানে বড় ধরনের পরিবর্তন এনে বলেছেন, উদ্বাস্তুদের আস্থা ফেরাতে রোহিঙ্গাদের অবস্থানজনিত নাগরিকত্ব দিতে প্রস্তুত তার দেশ।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্রসচিব ও বাংলাদেশে যাওয়া ১৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতা মিন্ত থু বলেন, আমরা তাদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। আমরা তাদের গ্রহণ করতে প্রস্তুত। সবচেয়ে বড় কথা, আমরা তাদেকে অবস্থানজনিত নাগরিকত্ব দিতে প্রস্তুত।
তিনি কক্সবাজারে উদ্বাস্তু শিবিরে বসবাসরত রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
উদ্বাস্তুরা ক্রমাগতভাবে চরমপন্থার দিকে ঝুঁকতে থাকায় তাদের নিয়ে বাংলাদেশে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।
অবশ্য উদ্বাস্তুরা পূর্ণাঙ্গ নাগরিকত্ব চাইছে। এর ফলে উদ্বাস্তুদের প্রত্যাবর্তনে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। এর আগে ২০১৮ সালেও উদ্বাস্তুরা ফিরে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত না হওয়ায়।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব ও বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতা কামরুল আহসান মিয়ানমার প্রতিনিধিদলের নেতা থুর সাথে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আস্থার ঘাটতি একটি বড় বিষয়। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের স্বতঃস্ফূর্ত প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার জন্য মিয়ানমারকে অবশ্যই আস্থা সৃষ্টি করতে হবে। আত্মবিশ্বাস ফিরে না পেলে তারা ফিরবে না। আর বাংলাদেশ তাদেরকে জোর করে ফেরত পাঠাবে না।
আহসানের পর্যবেক্ষণের সাথে দৃশ্যত একমত হন মিয়ানমার প্রতিনিধিদলের নেতা। তিনি বলেন, তার দেশ উদ্বাস্তুদের আস্থা ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে অব্যাহতভাবে চেষ্টা করে যাবে। তিনি বলেন, আমরা তাদের কথা শুনেছি, তাদের উদ্বেগ জেনেছি। আমরা যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের মাধ্যমে কাজ অব্যাহত রাখব।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে একটি চুক্তিতে সই করেছিল। কিন্তু রাখাইনে যথাযথ পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়ায় তারা ফিরে যায়নি।
নতুন আশাবাদ
মিয়ানমার প্রতিনিধিদলের এই সফরে প্রত্যাবাসনের কোনো সুনির্দিষ্ট বিষয় না পাওয়া গেলেও বাংলাদেশের কর্মকর্তা ও বিশ্লেষকদের মধ্যে আশাবাদের সঞ্চার হয়েছে।
অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর ও সুপরিচিত নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইসহাক ইলাহি চৌধুরী এশিয়া টাইমসকে বলেন, এটা রোহিঙ্গা প্রশ্নে মিয়ানমারের অবস্থানের বড় ধরনের পরিবর্তন। তারা আগে বলত, রোহিঙ্গারা হলো বাঙালি অনুপ্রবেশকারী। এখন তারা তাদেরকে অবস্থানগত নাগরিকত্ব দিতে চাইছে। বরফ গলছে। আলোচকদের উচিত হবে, সর্বোচ্চ লাভের জন্য দরকষাকষি করা।
বস্তুত, এর আগে পর্যন্ত নাগরিকত্ব ইস্যুটি ছিল আলোচনা-বহির্ভূত বিষয়। মিয়ানমার অব্যাহতভাবে বলে আসছিল যে ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে আরাকান প্রদেশে বসবাস করলেও রোহিঙ্গারা হলো অনুপ্রবেশকারী, তারা ওই সময়ের পূর্ববঙ্গ থেকে অর্থনৈতিক অভিবাসী হিসেবে এখানে এসেছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনও মিয়ানমারের সর্বশেষ প্রস্তাবটিকে ইতিবাচক ঘটনা হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, এটি একটি বড় ধরনের পরিবর্তন। আমরা তাদের মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তন চাই। তাদের নাগরিকত্ব নিয়ে কোনো ইস্যু আমরা চাই না।
তবে তিনি বলেন, নাগরিকত্ব বিষয়টি নিশ্চিত করেই রোহিঙ্গাদের উচিত হবে তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যাওয়া। তিনি বলেন, তারা ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত তাদের সব দাবি পূরণ হবে না।
টাইম বোমা
রোহিঙ্গা সমস্যাটি অনেক দিন ধরে ঝুলে থাকায় যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে, তার বক্তব্যে সেটাই প্রতিফলিত হয়েছে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক চৌধুরী বলেন, ক্রমবর্ধমান কিশোর সংখ্যাই সবচেয়ে বড় উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, প্রায় দুই লাখ তরুণ কর্মহীন অবস্থায় আছে। তারা ক্যাম্পে রয়েছে সামান্য বা কোনো ধরনের শিক্ষা গ্রহণ না করেই। তারা তাকিয়ে আছে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে। তাদেরকে সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর ফাঁদে ফেলা যাবে সহজেই। কিন্তু স্থানীয় অপরাধী চক্রও তাদের প্রলুব্ধ করতে পারে। রোহিঙ্গারা যত বেশি সময় ক্যাম্পে থাকবে, তাদের সম্ভাব্য টাইম বোমায় পরিণত হওয়ার আশঙ্কা তত বাড়বে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, দীর্ঘকালীন অবস্থান ও অনিশ্চিত ভবিষ্যত থাকলে তরুণদের সম্ভাব্য চরমপন্থায় ঝোঁকার আশঙ্কা রয়েছে। আর তাতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয় দেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি বলেন, সমস্যাটি থেকে গেলে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার দুদেশেই জাপান ও চীনা প্রকল্পগুলো আক্রান্ত হতে পারে।
মনের পরিবর্তন
পররাষ্ট্রনীতিনির্ধারক ও বিশ্লেষকেরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ের কিছু ঘটনার কারণে মিয়ানমারের অবস্থানে পরিবর্তন এসেছে।
চৌধুরী এশিয়া পোস্টকে বলেন, এটা আন্তর্জাতিক, বিশেষ করে চীনা চাপে হয়েছে। আর তা এসেছে চলতি মাসের প্রথম দিকে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের পর।
তিনি বলেন, এছাড়া মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের সাম্প্রতিক চাপও রয়েছে। তিনি সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান। বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে রোহিঙ্গাদের জন্য আলাদা রাষ্ট্রের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসম্যান ব্রাডলি শেরম্যানও। এসব কারণে মিয়ানমারের অবস্থান পরিবর্তন হয়ে থাকতে পারে।
তাছাড়া গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুও বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের শীর্ষ জেনারেলদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
২০১৭ সালের আগস্টে প্রথম বড় ধরনের উদ্বাস্তু ঢলের পর প্রথমবারের মতো চলতি সপ্তাহে এক সিনিয়র মিয়ানমার কর্মকর্তা তাদের অবস্থানে বড় ধরনের পরিবর্তন এনে বলেছেন, উদ্বাস্তুদের আস্থা ফেরাতে রোহিঙ্গাদের অবস্থানজনিত নাগরিকত্ব দিতে প্রস্তুত তার দেশ।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্রসচিব ও বাংলাদেশে যাওয়া ১৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতা মিন্ত থু বলেন, আমরা তাদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। আমরা তাদের গ্রহণ করতে প্রস্তুত। সবচেয়ে বড় কথা, আমরা তাদেকে অবস্থানজনিত নাগরিকত্ব দিতে প্রস্তুত।
তিনি কক্সবাজারে উদ্বাস্তু শিবিরে বসবাসরত রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
উদ্বাস্তুরা ক্রমাগতভাবে চরমপন্থার দিকে ঝুঁকতে থাকায় তাদের নিয়ে বাংলাদেশে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।
অবশ্য উদ্বাস্তুরা পূর্ণাঙ্গ নাগরিকত্ব চাইছে। এর ফলে উদ্বাস্তুদের প্রত্যাবর্তনে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। এর আগে ২০১৮ সালেও উদ্বাস্তুরা ফিরে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত না হওয়ায়।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব ও বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতা কামরুল আহসান মিয়ানমার প্রতিনিধিদলের নেতা থুর সাথে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আস্থার ঘাটতি একটি বড় বিষয়। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের স্বতঃস্ফূর্ত প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার জন্য মিয়ানমারকে অবশ্যই আস্থা সৃষ্টি করতে হবে। আত্মবিশ্বাস ফিরে না পেলে তারা ফিরবে না। আর বাংলাদেশ তাদেরকে জোর করে ফেরত পাঠাবে না।
আহসানের পর্যবেক্ষণের সাথে দৃশ্যত একমত হন মিয়ানমার প্রতিনিধিদলের নেতা। তিনি বলেন, তার দেশ উদ্বাস্তুদের আস্থা ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে অব্যাহতভাবে চেষ্টা করে যাবে। তিনি বলেন, আমরা তাদের কথা শুনেছি, তাদের উদ্বেগ জেনেছি। আমরা যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের মাধ্যমে কাজ অব্যাহত রাখব।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে একটি চুক্তিতে সই করেছিল। কিন্তু রাখাইনে যথাযথ পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়ায় তারা ফিরে যায়নি।
নতুন আশাবাদ
মিয়ানমার প্রতিনিধিদলের এই সফরে প্রত্যাবাসনের কোনো সুনির্দিষ্ট বিষয় না পাওয়া গেলেও বাংলাদেশের কর্মকর্তা ও বিশ্লেষকদের মধ্যে আশাবাদের সঞ্চার হয়েছে।
অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর ও সুপরিচিত নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইসহাক ইলাহি চৌধুরী এশিয়া টাইমসকে বলেন, এটা রোহিঙ্গা প্রশ্নে মিয়ানমারের অবস্থানের বড় ধরনের পরিবর্তন। তারা আগে বলত, রোহিঙ্গারা হলো বাঙালি অনুপ্রবেশকারী। এখন তারা তাদেরকে অবস্থানগত নাগরিকত্ব দিতে চাইছে। বরফ গলছে। আলোচকদের উচিত হবে, সর্বোচ্চ লাভের জন্য দরকষাকষি করা।
বস্তুত, এর আগে পর্যন্ত নাগরিকত্ব ইস্যুটি ছিল আলোচনা-বহির্ভূত বিষয়। মিয়ানমার অব্যাহতভাবে বলে আসছিল যে ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে আরাকান প্রদেশে বসবাস করলেও রোহিঙ্গারা হলো অনুপ্রবেশকারী, তারা ওই সময়ের পূর্ববঙ্গ থেকে অর্থনৈতিক অভিবাসী হিসেবে এখানে এসেছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনও মিয়ানমারের সর্বশেষ প্রস্তাবটিকে ইতিবাচক ঘটনা হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, এটি একটি বড় ধরনের পরিবর্তন। আমরা তাদের মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তন চাই। তাদের নাগরিকত্ব নিয়ে কোনো ইস্যু আমরা চাই না।
তবে তিনি বলেন, নাগরিকত্ব বিষয়টি নিশ্চিত করেই রোহিঙ্গাদের উচিত হবে তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যাওয়া। তিনি বলেন, তারা ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত তাদের সব দাবি পূরণ হবে না।
টাইম বোমা
রোহিঙ্গা সমস্যাটি অনেক দিন ধরে ঝুলে থাকায় যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে, তার বক্তব্যে সেটাই প্রতিফলিত হয়েছে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক চৌধুরী বলেন, ক্রমবর্ধমান কিশোর সংখ্যাই সবচেয়ে বড় উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, প্রায় দুই লাখ তরুণ কর্মহীন অবস্থায় আছে। তারা ক্যাম্পে রয়েছে সামান্য বা কোনো ধরনের শিক্ষা গ্রহণ না করেই। তারা তাকিয়ে আছে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে। তাদেরকে সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর ফাঁদে ফেলা যাবে সহজেই। কিন্তু স্থানীয় অপরাধী চক্রও তাদের প্রলুব্ধ করতে পারে। রোহিঙ্গারা যত বেশি সময় ক্যাম্পে থাকবে, তাদের সম্ভাব্য টাইম বোমায় পরিণত হওয়ার আশঙ্কা তত বাড়বে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, দীর্ঘকালীন অবস্থান ও অনিশ্চিত ভবিষ্যত থাকলে তরুণদের সম্ভাব্য চরমপন্থায় ঝোঁকার আশঙ্কা রয়েছে। আর তাতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয় দেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি বলেন, সমস্যাটি থেকে গেলে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার দুদেশেই জাপান ও চীনা প্রকল্পগুলো আক্রান্ত হতে পারে।
মনের পরিবর্তন
পররাষ্ট্রনীতিনির্ধারক ও বিশ্লেষকেরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ের কিছু ঘটনার কারণে মিয়ানমারের অবস্থানে পরিবর্তন এসেছে।
চৌধুরী এশিয়া পোস্টকে বলেন, এটা আন্তর্জাতিক, বিশেষ করে চীনা চাপে হয়েছে। আর তা এসেছে চলতি মাসের প্রথম দিকে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের পর।
তিনি বলেন, এছাড়া মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের সাম্প্রতিক চাপও রয়েছে। তিনি সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান। বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে রোহিঙ্গাদের জন্য আলাদা রাষ্ট্রের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসম্যান ব্রাডলি শেরম্যানও। এসব কারণে মিয়ানমারের অবস্থান পরিবর্তন হয়ে থাকতে পারে।
তাছাড়া গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুও বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের শীর্ষ জেনারেলদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
৫ জুন ঈদুল ফিতরের সময় কক্সবাজার জেলার উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিশুদের বিনোদন, ছবি: এএফপি |
No comments