ওদের সব পুড়ে শেষ by পিয়াস সরকার
পোড়া
টিনের স্তূপ। টিনগুলো আগুনে পুড়ে কুঁকড়ে গেছে। অনেকগুলো হয়েছে কয়লা।
বাঁশ-কাঠ, আসবাব পুড়ে ছাই। সেই ছাইয়ের সঙ্গে আগুন নেভানোর দেয়া পানিতে
পরিণত হয়েছে কালো কাদায়। আর পোড়া গন্ধ সর্বত্র। সেখান থেকে এখনো উঠছে
ধোঁয়া। রাজধানীর মিরপুর ৭ চলন্তিকা মোড় সংলগ্ন বস্তি।
এটিকে সবাই ঝিলপাড় বস্তি নামেই চেনেন। এই বস্তির প্রায় হাজার পরিবারের
স্বপ্ন, মাথা গোজার ঠাঁই এখন ছাই হয়ে পড়ে আছে। পুড়েছে প্রায় ৩ হাজার ঘর। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আগুন লাগে। আর ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় মানুষের চেষ্টায় যখন আগুন নিয়ন্ত্রণে তখন প্রায় পুরো বস্তি পুড়ে ছাই। এই বস্তির সকলেই নিম্ন আয়ের মানুষ। বস্তিবাসী অধিকাংশই ঈদের জন্য বাড়িতে ছিলেন। বস্তির একপাড়ে আগুন লাগার এক ঘণ্টা পর অপর পাড়ে আগুন আসে। তার পরেও ঘরের ব্যবহার্য জিনিসপত্র বের করার মতো লোক ছিলো না সেখানে। আর লোকজন না থাকায় প্রাণহানী ঘটেনি। তবে এই ভয়াবহ আগুনে ৪ জন দগ্ধ হয়েছেন। তার হলেন কবির (৩৫), হাবিব (১৯), রফিক (২২) ও আরেকজনের নাম জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে আগুন আগুন বলে চিৎকার শোনেন। এরপর ছুটে গিয়ে দেখেন, জ্বলছে কয়েকটি ঘর। আর আগুন লাগার কারণ হিসেবে ফয়ার সার্ভিস কর্মী জাহিদ হাসান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি আগুনের সূত্রপাত শট সার্কিট থেকে।
এই আগুন মূলত ছড়িয়েছে গ্যাসের লাইনের ফলে। এই বস্তিতে অনেক অবৈধ গ্যাসের লাইনের সংযোগ ছিলো। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত। এরপর আগুন ধাবিত হয়েছে বাতাসের সঙ্গে। শুরুতেই সেখানে থাকা এক পোশাক কারখানা থেকে পানির লাইনের মাধ্যমে পানি ছিটানো হয়। এ কারণে বেঁচে গেছে প্রায় ৫০টি ঘর। বস্তির বাসিন্দা যারা রাজধানীর আশেপাশের জেলার তারা গতকাল সকালেই রাজধানীতে পৌঁছান। তবে দুরের জেলার বাসিন্দারা পৌঁছাতে পারেননি। সকাল থেকেই দেখা মেলে টিনের স্তুপ আর কাদা। কাদা হাতড়িয়ে খুঁজছেন ব্যবহার্য জিনিস। মূলত লোহা জাতীয় জিনিস মিলছে তাদের। সব পুড়ে ছাই। কিন্তু তারপরেও এই ধ্বংসাবশেষটুকুও মেলেনি অনেকের। চুরি ঠেকাতে দিতে হচ্ছে পাহাড়া। হ্যান্ড মাইকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা বারাবার শতর্ক করলেও ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না।
ময়মনসিংহে ঈদ পালন করতে গিয়েছিলেন মিতু বেগম। আগুনের খবরে ছুটে এসেছেন রাজধানীতে। তিনি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তার স্বামী বাবুর্চি। তিনি বলেন, এসে দেখি কিছুই নাই। খালি টিন। যা ছিলো সব চুরি হয়ে গেছে। আর ক্ষত বস্তিটি জুড়েই দেখা মেলে চুরি আতঙ্ক। অন্যদিকে চুরি করা টিন ও লোহার জিনিসপত্র কেনার জন্য পিক আপে করে এসেছেন ক্রেতারা। চোরাই জিনিস বিক্রি করছে অনেক যুবক।
মো. দেলোয়ার হোসেন একজন মৌসুমী ব্যাবসায়ী। তিনি এবারের কোরবানী ঈদে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কোরবানীর পশু কিনে এনেছিলেন। প্রায় ১৮ লাখ টাকার। সেগুলো বিক্রি করেন গাবতলীর পশুর হাটে। এই পুরো টাকাটাই ছিলো আড়ৎদারের কাছ থেকে নেয়া। পরিশোধ করেন টাকা। আর ঘরে ছিলো প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা। এই টাকার সাড়ে ৩ লাখ টাকা ঋণ। আর বাকী টাকা তার লাভের। দু’একদিনের মধ্যে পরিশোধ করবার কথা ছিলো এই অর্থ। কিন্তু তার আগেই টাকা পুড়ে ছাই। পরিবারের সবাই ঈদ করতে গিয়েছে ফরিদপুরে। তিনি এই টাকার হিসেব মিটিয়ে স্ত্রী সন্তানকে আনতে যাবার কথা ছিলো। কিন্তু তার আগেই টাকা ছাইয়ে পরিণত হয়েছে। আগুন লাগার সময় তিনি ছিলেন বাড়ির বাইরে। আগুনের খবর শুনে বস্তিতে ফিরলেও ঘরে যেতে পারেননি। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আগুনে মরি নাই, বাঁইচা আছি। কিন্তু না বাঁচার মতোই। সব গেলো। এখন এই ধারের টাকা শোধ করমু ক্যামনে?
নাসিমা বেগমের যেন সুখের সঙ্গে আড়ি। বয়স তার আনুমানিক ৬০। ১২ বছর আগে থাকতেন ভোলায়। নদী ভাঙনে হারান সব। বাঁচার তাগিদে দুই ছেলে আর স্বামীকে নিয়ে আসেন ঢাকায়। এরপরই চলে নতুন করে মাথা তুলে বাঁচার লড়াই। তার দুই ছেলের বিয়ে হয়েছে। তারা বাবা-মায়ের খোঁজ রাখেন না। তার বৃদ্ধ স্বামী কাজ করেন মুদি দোকানে। বেতন পান ৭ হাজার টাকা। আর বাড়িতে সেলাই করেন। এই দম্পতির সব কিছু কেড়ে নিয়েছে সর্বনাশা আগুন।
বস্তির পাশেই বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানে ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাত্রী। রাত্রীর পরিবার সব হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বিদ্যালয়টিতে। এটি এখন আশ্রয়স্থল তাদের। এখানে আরো ২০/২৫টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। রাত্রীর বাবা রবিউল ইসলাম। পেশায় বাবুর্চী রবিউল বলেন, ছোট একটা পোলা ঘরে। মায়ের দুধ খায়। কাপড় ছাড়া কিছুই নিবার পাই নাই। এখন কীভাবে চলবো? কোথায় থাকবো? আমার মেয়েটারে লেখাপড়া করামু ক্যামনে?
ইমদাদুল ইসলামের আছে একটি ছোট চায়ের দোকান। এটিই তার আয়ের উৎস। দোকানে চুরি হওয়ার ভয়ে সব জিনিস বাড়িতে নিয়ে রেখেছিলেন তিনি। এরপর যান দিনাজপুরে ঈদ করতে। আগুনের খবর শুনে রাতেই ট্রাকে করে রওয়ানা দেন। তিনি বলেন, আল্লাহ, চুরির ভয়ে দোকানের মাল বাড়িত আনে রাখলাম। আর সব পুড়ে গেলো। দোকানে রাখলেই ভালো হতো। চুরি হলেও সবতো আর চুরি হতো না।
এই বস্তিতে তিনটি ঘর নিয়ে ৬ জনের পরিবার মোমেনা বেগমের। তিনি অন্যের বাড়িতে কাজ করেন আর তার স্বামী ট্রাক চালক। ঈদের আগে ৫০ হাজার টাকা খরচ করে কিনেছিলেন নতুন টেলিভিশন ও ফ্রিজ। নতুন টেলিভিশন, ফ্রিজ গেছে। সঙ্গে পুড়েছে বেঁচে থাকার রশদ। এই নিঃস্ব মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয়রা। বস্তির বিভিন্ন এলাকায় দেখা মেলে তারা খাবার সরবরাহ করছেন। দিচ্ছেন পোশাক। কিন্তু এনিয়েও আছে ঝামেলা। একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন- এই কাপড় সব নিয়ে গেছে আসে পাশের মানুষ। তারা পাননি। আর খাবারও খেয়ে ফেলছে তারা। ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, আসলেই আমাদের সাহায্য করার ইচ্ছা থাকলে বস্তিতে এসে সাহায্য করতে। রাস্তাতেই যেন না বিতরণ করে। অনেকের মুখেই আগুন লাগার কারণ নিয়ে ভিন্ন কথাও শোনা যায়। অনেকের দাবি এই আগুন লাগানো হয়েছে।
এটিকে সবাই ঝিলপাড় বস্তি নামেই চেনেন। এই বস্তির প্রায় হাজার পরিবারের
স্বপ্ন, মাথা গোজার ঠাঁই এখন ছাই হয়ে পড়ে আছে। পুড়েছে প্রায় ৩ হাজার ঘর। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আগুন লাগে। আর ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় মানুষের চেষ্টায় যখন আগুন নিয়ন্ত্রণে তখন প্রায় পুরো বস্তি পুড়ে ছাই। এই বস্তির সকলেই নিম্ন আয়ের মানুষ। বস্তিবাসী অধিকাংশই ঈদের জন্য বাড়িতে ছিলেন। বস্তির একপাড়ে আগুন লাগার এক ঘণ্টা পর অপর পাড়ে আগুন আসে। তার পরেও ঘরের ব্যবহার্য জিনিসপত্র বের করার মতো লোক ছিলো না সেখানে। আর লোকজন না থাকায় প্রাণহানী ঘটেনি। তবে এই ভয়াবহ আগুনে ৪ জন দগ্ধ হয়েছেন। তার হলেন কবির (৩৫), হাবিব (১৯), রফিক (২২) ও আরেকজনের নাম জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে আগুন আগুন বলে চিৎকার শোনেন। এরপর ছুটে গিয়ে দেখেন, জ্বলছে কয়েকটি ঘর। আর আগুন লাগার কারণ হিসেবে ফয়ার সার্ভিস কর্মী জাহিদ হাসান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি আগুনের সূত্রপাত শট সার্কিট থেকে।
এই আগুন মূলত ছড়িয়েছে গ্যাসের লাইনের ফলে। এই বস্তিতে অনেক অবৈধ গ্যাসের লাইনের সংযোগ ছিলো। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত। এরপর আগুন ধাবিত হয়েছে বাতাসের সঙ্গে। শুরুতেই সেখানে থাকা এক পোশাক কারখানা থেকে পানির লাইনের মাধ্যমে পানি ছিটানো হয়। এ কারণে বেঁচে গেছে প্রায় ৫০টি ঘর। বস্তির বাসিন্দা যারা রাজধানীর আশেপাশের জেলার তারা গতকাল সকালেই রাজধানীতে পৌঁছান। তবে দুরের জেলার বাসিন্দারা পৌঁছাতে পারেননি। সকাল থেকেই দেখা মেলে টিনের স্তুপ আর কাদা। কাদা হাতড়িয়ে খুঁজছেন ব্যবহার্য জিনিস। মূলত লোহা জাতীয় জিনিস মিলছে তাদের। সব পুড়ে ছাই। কিন্তু তারপরেও এই ধ্বংসাবশেষটুকুও মেলেনি অনেকের। চুরি ঠেকাতে দিতে হচ্ছে পাহাড়া। হ্যান্ড মাইকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা বারাবার শতর্ক করলেও ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না।
ময়মনসিংহে ঈদ পালন করতে গিয়েছিলেন মিতু বেগম। আগুনের খবরে ছুটে এসেছেন রাজধানীতে। তিনি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তার স্বামী বাবুর্চি। তিনি বলেন, এসে দেখি কিছুই নাই। খালি টিন। যা ছিলো সব চুরি হয়ে গেছে। আর ক্ষত বস্তিটি জুড়েই দেখা মেলে চুরি আতঙ্ক। অন্যদিকে চুরি করা টিন ও লোহার জিনিসপত্র কেনার জন্য পিক আপে করে এসেছেন ক্রেতারা। চোরাই জিনিস বিক্রি করছে অনেক যুবক।
মো. দেলোয়ার হোসেন একজন মৌসুমী ব্যাবসায়ী। তিনি এবারের কোরবানী ঈদে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কোরবানীর পশু কিনে এনেছিলেন। প্রায় ১৮ লাখ টাকার। সেগুলো বিক্রি করেন গাবতলীর পশুর হাটে। এই পুরো টাকাটাই ছিলো আড়ৎদারের কাছ থেকে নেয়া। পরিশোধ করেন টাকা। আর ঘরে ছিলো প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা। এই টাকার সাড়ে ৩ লাখ টাকা ঋণ। আর বাকী টাকা তার লাভের। দু’একদিনের মধ্যে পরিশোধ করবার কথা ছিলো এই অর্থ। কিন্তু তার আগেই টাকা পুড়ে ছাই। পরিবারের সবাই ঈদ করতে গিয়েছে ফরিদপুরে। তিনি এই টাকার হিসেব মিটিয়ে স্ত্রী সন্তানকে আনতে যাবার কথা ছিলো। কিন্তু তার আগেই টাকা ছাইয়ে পরিণত হয়েছে। আগুন লাগার সময় তিনি ছিলেন বাড়ির বাইরে। আগুনের খবর শুনে বস্তিতে ফিরলেও ঘরে যেতে পারেননি। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আগুনে মরি নাই, বাঁইচা আছি। কিন্তু না বাঁচার মতোই। সব গেলো। এখন এই ধারের টাকা শোধ করমু ক্যামনে?
নাসিমা বেগমের যেন সুখের সঙ্গে আড়ি। বয়স তার আনুমানিক ৬০। ১২ বছর আগে থাকতেন ভোলায়। নদী ভাঙনে হারান সব। বাঁচার তাগিদে দুই ছেলে আর স্বামীকে নিয়ে আসেন ঢাকায়। এরপরই চলে নতুন করে মাথা তুলে বাঁচার লড়াই। তার দুই ছেলের বিয়ে হয়েছে। তারা বাবা-মায়ের খোঁজ রাখেন না। তার বৃদ্ধ স্বামী কাজ করেন মুদি দোকানে। বেতন পান ৭ হাজার টাকা। আর বাড়িতে সেলাই করেন। এই দম্পতির সব কিছু কেড়ে নিয়েছে সর্বনাশা আগুন।
বস্তির পাশেই বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানে ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাত্রী। রাত্রীর পরিবার সব হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বিদ্যালয়টিতে। এটি এখন আশ্রয়স্থল তাদের। এখানে আরো ২০/২৫টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। রাত্রীর বাবা রবিউল ইসলাম। পেশায় বাবুর্চী রবিউল বলেন, ছোট একটা পোলা ঘরে। মায়ের দুধ খায়। কাপড় ছাড়া কিছুই নিবার পাই নাই। এখন কীভাবে চলবো? কোথায় থাকবো? আমার মেয়েটারে লেখাপড়া করামু ক্যামনে?
ইমদাদুল ইসলামের আছে একটি ছোট চায়ের দোকান। এটিই তার আয়ের উৎস। দোকানে চুরি হওয়ার ভয়ে সব জিনিস বাড়িতে নিয়ে রেখেছিলেন তিনি। এরপর যান দিনাজপুরে ঈদ করতে। আগুনের খবর শুনে রাতেই ট্রাকে করে রওয়ানা দেন। তিনি বলেন, আল্লাহ, চুরির ভয়ে দোকানের মাল বাড়িত আনে রাখলাম। আর সব পুড়ে গেলো। দোকানে রাখলেই ভালো হতো। চুরি হলেও সবতো আর চুরি হতো না।
এই বস্তিতে তিনটি ঘর নিয়ে ৬ জনের পরিবার মোমেনা বেগমের। তিনি অন্যের বাড়িতে কাজ করেন আর তার স্বামী ট্রাক চালক। ঈদের আগে ৫০ হাজার টাকা খরচ করে কিনেছিলেন নতুন টেলিভিশন ও ফ্রিজ। নতুন টেলিভিশন, ফ্রিজ গেছে। সঙ্গে পুড়েছে বেঁচে থাকার রশদ। এই নিঃস্ব মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয়রা। বস্তির বিভিন্ন এলাকায় দেখা মেলে তারা খাবার সরবরাহ করছেন। দিচ্ছেন পোশাক। কিন্তু এনিয়েও আছে ঝামেলা। একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন- এই কাপড় সব নিয়ে গেছে আসে পাশের মানুষ। তারা পাননি। আর খাবারও খেয়ে ফেলছে তারা। ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, আসলেই আমাদের সাহায্য করার ইচ্ছা থাকলে বস্তিতে এসে সাহায্য করতে। রাস্তাতেই যেন না বিতরণ করে। অনেকের মুখেই আগুন লাগার কারণ নিয়ে ভিন্ন কথাও শোনা যায়। অনেকের দাবি এই আগুন লাগানো হয়েছে।
No comments