তালেবান কি ক্ষমতায় ফিরে আসছে?
প্রেসিডেন্ট
ট্রাম্প জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে তালেবানদের সঙ্গে একটি চুক্তির সম্ভাবনা
রয়েছে। শুক্রবার এক টুইটে তিনি জানান, ‘আফগান প্রশ্নে এইমাত্র একটি বৈঠক
শেষ করলাম। ১৯ বছর দীর্ঘ এই যুদ্ধে জড়িত সব পক্ষ একটি চুক্তি করতে আগ্রহী,
যদি তা সম্ভব হয়।’
তালেবানদের সঙ্গে সম্ভাব্য চুক্তির ব্যাপারে কত দূর অগ্রগতি হয়েছে, সে প্রশ্নে শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে ট্রাম্প এই টুইট পাঠান। অধিকাংশ পর্যবেক্ষক মনে করেন, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের ব্যাপারে তিনি উদগ্রীব, তবে বাস্তব পরিস্থিতির কারণে কত দ্রুত সে লক্ষ্য অর্জন সম্ভব, সে প্রশ্নে সন্দেহ রয়েছে।
শুক্রবারের বৈঠক শেষে হোয়াইট হাউসের সহকারী প্রেস সেক্রেটারি হোগান গিডলি জানিয়েছেন, আলোচনার মূল বিষয় ছিল সৈন্য প্রত্যাহার প্রশ্নে তালেবানদের সঙ্গে প্রস্তাবিত চুক্তি। এই চুক্তি অনুসারে প্রথম পর্যায়ে সে দেশ থেকে পাঁচ হাজার মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করা হবে। অবশিষ্ট নয় হাজার সৈন্য ধাপে ধাপে ফিরিয়ে আনা হবে। এর বদলে তালেবানরা আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবে ও তালেবাননিয়ন্ত্রিত এলাকায় তাদের প্রশিক্ষণ বা অন্য কোনো সামরিক তৎপরতা সমর্থন করবে না। এই চুক্তির শর্তানুযায়ী তালেবানরা বর্তমান আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গণির সঙ্গেও শান্তি আলোচনায় বসবে। চূড়ান্ত শান্তিচুক্তি এই পক্ষের মধ্যেই সম্পাদিত হবে। গিডলির কথায়, খুব ভালো বৈঠক হয়েছে।
মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার হলে তালেবান ফের ক্ষমতায় ফিরে আসবে, এই সম্ভাবনায় আফগানিস্তানের ভেতরে ও বাইরে অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সবচেয়ে ভয়ের কথা, গত দেড় দশকে শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে আফগান নারীরা যে অগ্রগতি অর্জন করেছেন, তালেবান ক্ষমতায় এলে তার অনেকটাই হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কবে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। ট্রাম্পের বিশেষ প্রতিনিধি জালমেই খাললিজাদের নেতৃত্বে মার্কিন পক্ষ কয়েক মাস ধরে দোহাতে তালেবানদের সঙ্গে একটি পূর্ণাঙ্গ শান্তিচুক্তি প্রশ্নে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে জার্মানি ও নরওয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে জানা গেছে। হোয়াইট হাউস আশা করছে চুক্তির ব্যাপারটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হলে তালেবান ও আফগান সরকার সরাসরি আলোচনায় বসবে। তালেবান অবশ্য এখন পর্যন্ত এই মুখোমুখি আলোচনার ব্যাপারে প্রকাশ্যে কোনো কথা বলেনি। তারা কাবুলে বর্তমান সরকারকে বৈধ বলে স্বীকার করে না।
বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, যেকোনো উপায়ে দ্রুত একটি চুক্তির ব্যাপারে ট্রাম্প খালিলযাদের ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করছেন। ২০২০ সালের নির্বাচনের আগেই তিনি এই চুক্তি সম্পাদন করতে চান। গত ডিসেম্বরে ট্রাম্প ঘোষণা করেন অবিলম্বে অর্ধেক মার্কিন সৈন্যদের আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার করা হবে। এ বছর জানুয়ারিতে টিভিতে প্রচারিত এক কেবিনেট বৈঠকে ট্রাম্প সবার কাছে প্রশ্ন রাখেন, ছয় হাজার মাইল দূরের এক দেশে আমরা বছরের পর বছর ধরে কেন পড়ে আছি?
তালেবানদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনার পূর্বমুহূর্তে এমন ঘোষণা খালিলযাদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করে। মার্কিনরা আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাচ্ছে, এ অবস্থায় কোনোরকম ছাড় দিতে তালেবানরা স্বাভাবিকভাবেই উৎসাহী নয় বলে মন্তব্য করেছে রাজনৈতিক পত্রিকা ‘পলিটিকো’।
সৈন্য প্রত্যাহারের বিপদ সম্বন্ধে ট্রাম্পের নিকট রাজনৈতিক মিত্রদের অনেকেই তাঁকে সাবধান করে দিয়েছেন। সিনেটর লিন্ডসি গ্রাহাম বলেছেন, মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করা হলে আফগানিস্তান সন্ত্রাসীদের স্বর্গে পরিণত হবে। ‘আমরা আরেকটি ৯/১১–এর পথ পরিষ্কার করছি।’
নিজ মিত্রদের উদ্বেগ প্রশমিত করতে হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়েছে, শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পর মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করা হলেও সে দেশে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি একদম তুলে দেওয়া হবে না। সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সেখানে পর্যাপ্তসংখ্যক মার্কিন সেনা উপদেষ্টারা অবস্থান করবেন। আফগানিস্তানে মার্কিন কমান্ডার জেনারেল অস্টিন ‘স্কট’ মিলার জানিয়েছেন, বর্তমানের তুলনায় কমসংখ্যক সৈন্য নিয়ে অপারেশন পরিচালনা সম্ভব। এ জন্য তিনি গুরুত্বপূর্ণ বাগরাম বিমানঘাঁটি মার্কিন নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগ্রহী। কান্দাহারে উপস্থিতির ব্যাপারেও জেনারেল মিলার মার্কিন প্রতিনিধিদের পরামর্শ দিয়েছেন।
তালেবানদের সঙ্গে সম্ভাব্য চুক্তির ব্যাপারে কত দূর অগ্রগতি হয়েছে, সে প্রশ্নে শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে ট্রাম্প এই টুইট পাঠান। অধিকাংশ পর্যবেক্ষক মনে করেন, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের ব্যাপারে তিনি উদগ্রীব, তবে বাস্তব পরিস্থিতির কারণে কত দ্রুত সে লক্ষ্য অর্জন সম্ভব, সে প্রশ্নে সন্দেহ রয়েছে।
শুক্রবারের বৈঠক শেষে হোয়াইট হাউসের সহকারী প্রেস সেক্রেটারি হোগান গিডলি জানিয়েছেন, আলোচনার মূল বিষয় ছিল সৈন্য প্রত্যাহার প্রশ্নে তালেবানদের সঙ্গে প্রস্তাবিত চুক্তি। এই চুক্তি অনুসারে প্রথম পর্যায়ে সে দেশ থেকে পাঁচ হাজার মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করা হবে। অবশিষ্ট নয় হাজার সৈন্য ধাপে ধাপে ফিরিয়ে আনা হবে। এর বদলে তালেবানরা আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবে ও তালেবাননিয়ন্ত্রিত এলাকায় তাদের প্রশিক্ষণ বা অন্য কোনো সামরিক তৎপরতা সমর্থন করবে না। এই চুক্তির শর্তানুযায়ী তালেবানরা বর্তমান আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গণির সঙ্গেও শান্তি আলোচনায় বসবে। চূড়ান্ত শান্তিচুক্তি এই পক্ষের মধ্যেই সম্পাদিত হবে। গিডলির কথায়, খুব ভালো বৈঠক হয়েছে।
মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার হলে তালেবান ফের ক্ষমতায় ফিরে আসবে, এই সম্ভাবনায় আফগানিস্তানের ভেতরে ও বাইরে অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সবচেয়ে ভয়ের কথা, গত দেড় দশকে শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে আফগান নারীরা যে অগ্রগতি অর্জন করেছেন, তালেবান ক্ষমতায় এলে তার অনেকটাই হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কবে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। ট্রাম্পের বিশেষ প্রতিনিধি জালমেই খাললিজাদের নেতৃত্বে মার্কিন পক্ষ কয়েক মাস ধরে দোহাতে তালেবানদের সঙ্গে একটি পূর্ণাঙ্গ শান্তিচুক্তি প্রশ্নে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে জার্মানি ও নরওয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে জানা গেছে। হোয়াইট হাউস আশা করছে চুক্তির ব্যাপারটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হলে তালেবান ও আফগান সরকার সরাসরি আলোচনায় বসবে। তালেবান অবশ্য এখন পর্যন্ত এই মুখোমুখি আলোচনার ব্যাপারে প্রকাশ্যে কোনো কথা বলেনি। তারা কাবুলে বর্তমান সরকারকে বৈধ বলে স্বীকার করে না।
বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, যেকোনো উপায়ে দ্রুত একটি চুক্তির ব্যাপারে ট্রাম্প খালিলযাদের ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করছেন। ২০২০ সালের নির্বাচনের আগেই তিনি এই চুক্তি সম্পাদন করতে চান। গত ডিসেম্বরে ট্রাম্প ঘোষণা করেন অবিলম্বে অর্ধেক মার্কিন সৈন্যদের আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার করা হবে। এ বছর জানুয়ারিতে টিভিতে প্রচারিত এক কেবিনেট বৈঠকে ট্রাম্প সবার কাছে প্রশ্ন রাখেন, ছয় হাজার মাইল দূরের এক দেশে আমরা বছরের পর বছর ধরে কেন পড়ে আছি?
তালেবানদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনার পূর্বমুহূর্তে এমন ঘোষণা খালিলযাদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করে। মার্কিনরা আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাচ্ছে, এ অবস্থায় কোনোরকম ছাড় দিতে তালেবানরা স্বাভাবিকভাবেই উৎসাহী নয় বলে মন্তব্য করেছে রাজনৈতিক পত্রিকা ‘পলিটিকো’।
সৈন্য প্রত্যাহারের বিপদ সম্বন্ধে ট্রাম্পের নিকট রাজনৈতিক মিত্রদের অনেকেই তাঁকে সাবধান করে দিয়েছেন। সিনেটর লিন্ডসি গ্রাহাম বলেছেন, মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করা হলে আফগানিস্তান সন্ত্রাসীদের স্বর্গে পরিণত হবে। ‘আমরা আরেকটি ৯/১১–এর পথ পরিষ্কার করছি।’
নিজ মিত্রদের উদ্বেগ প্রশমিত করতে হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়েছে, শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পর মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করা হলেও সে দেশে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি একদম তুলে দেওয়া হবে না। সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সেখানে পর্যাপ্তসংখ্যক মার্কিন সেনা উপদেষ্টারা অবস্থান করবেন। আফগানিস্তানে মার্কিন কমান্ডার জেনারেল অস্টিন ‘স্কট’ মিলার জানিয়েছেন, বর্তমানের তুলনায় কমসংখ্যক সৈন্য নিয়ে অপারেশন পরিচালনা সম্ভব। এ জন্য তিনি গুরুত্বপূর্ণ বাগরাম বিমানঘাঁটি মার্কিন নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগ্রহী। কান্দাহারে উপস্থিতির ব্যাপারেও জেনারেল মিলার মার্কিন প্রতিনিধিদের পরামর্শ দিয়েছেন।
৭ আগস্ট কাবুলে তালেবান জঙ্গিরা গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। ওই ঘটনার পর ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে আছেন এক নিরাপত্তারক্ষী। ছবি: এএফপি |
No comments