‘কে হ্যারে বন্ড বানাইলো, তোমরা খুঁইজা বের করো’ -বন্ডের মা by আমানুর রহমান রনি ও সুমন সিকদার
শাহিদা বেগম ও তার ছেলে নয়ন বন্ড |
বরগুনায়
আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যার মামলার প্রধান আসামি ‘বন্দুকযদ্ধে’ নিহত নয়ন
বন্ডের মা শাহিদা বেগম বলেছেন, আমার ছেলেকে ষড়যন্ত্র করে ক্রসফায়ারে মারা
হয়েছে। আমার কাছে মনে হয়—এটা প্রভাবশালী মহলের চক্রান্ত। তিনি বলেন, ‘কে
হ্যারে বন্ড বানাইলো, জিরো জিরো সেভেন বানাইলো, তোমরা খুঁইজা বের করো।’
শাহিদা বেগম বলেন, ‘আমি টিভির হেড লাইনে পাথরঘাটা বইসা দেখছি, কেউ একজন কইছে—আমার ছেলে সীমান্তের কাছে আছে। সেই ছেলে তিন দিন পর পুরাকাটা এসে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যায় কীভাবে? তার সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন। তার হাতের নক ও কান নাই। ওরা আমার বাবারে (নয়ন) মাইরা হালাইছে।’
গত ২২ জুলাই রবিবার বিকালে বরগুনা শহরের ডিকেপি রোড এলাকায় নিহত সাব্বির আহমেদ নয়নের (নয়ন বন্ড) বাড়িতে গেলে দূর থেকেই তার মায়ের কান্নার আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়। বিলাপ করতে করতে এই প্রতিবেদকদের কাছে ছেলের মাদক ব্যবসায়ী হয়ে ওঠা থেকে শুরু করে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ার জন্য প্রভাবশালী মহলকে দায়ী করেন শাহিদা বেগম।
মিন্নির সঙ্গে নয়ন বন্ডের বিয়ের বিষয়ে শাহিদা বেগম বলেন, ‘নয়ন মিন্নিকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি রাজি হইনি। পরে শুনেছি, তারা নিজেরাই বিয়ে করেছে। আমি এই বিয়েতে রাজি ছিলাম না। আমি নয়নকে বলেছিলাম—মিন্নি ভালো না, ওরে বিয়ে করিস না।’
নয়ন বন্ডের মা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ছেলে দোষী, এটা আমি জানি। কিন্তু সে তো একদিনে নয়ন বন্ড তৈরি হয়নি। তাকে তৈরি করা হয়েছে। প্রভাবশালী মহল তাকে ব্যবহার করার জন্য নয়ন বন্ড হিসেবে তৈরি করেছে।’
কোন প্রভাবশালী মহল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তা ঠিক বলতে পারবো না। তবে আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। কারণ, তার মুখ থেকে যদি প্রভাবশালী মহলের সব অপকর্মের ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়, সেই জন্যই।’
এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে শাহিদা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলের বাপ নাই, তাই ওরে মাইরা ফ্যালা হইছে। যাতে আসল রহস্য আড়াল করা যায়। আমার ছেলে তো খুনি ছিল না। সে মাদকসেবী ছিল। নিশ্চয়ই এর পেছনে অন্য কোনও কারণ আছে।’
সাব্বির আহমেদ নয়ন কীভাবে নয়ন বন্ড হয়ে গেল? এ প্রশ্নের জবাবে শাহিদা বেগম বলেন, ‘সে ভালো ছাত্র ছিল। কিন্তু ক্লাস টেন থেকে আস্তে আস্তে মাদকের জগতে প্রবেশ করে। কে হ্যারে বন্ড বানাইলো, জিরো জিরো সেভেন বানাইলো, তোমরা খুঁইজা বের করো। এর আগে নয়ন বন্ড ১২ লাখ টাকাসহ ধরা পড়েছিল। সে এত টাকা কোথায় পাইলো? কে দিলো? তোমরা খুঁইজা বের করো।’
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন সকালে প্রকাশ্যে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজির নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা নির্মমভাবে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। ওইদিন বিকালে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাত শরীফ মারা যান। এ ঘটনায় পরদিন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামি ছিল নয়ন বন্ড। এরপর গত ২ জুলাই ভোর রাতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয় সে।
শাহিদা বেগম বলেন, ‘আমি টিভির হেড লাইনে পাথরঘাটা বইসা দেখছি, কেউ একজন কইছে—আমার ছেলে সীমান্তের কাছে আছে। সেই ছেলে তিন দিন পর পুরাকাটা এসে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যায় কীভাবে? তার সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন। তার হাতের নক ও কান নাই। ওরা আমার বাবারে (নয়ন) মাইরা হালাইছে।’
গত ২২ জুলাই রবিবার বিকালে বরগুনা শহরের ডিকেপি রোড এলাকায় নিহত সাব্বির আহমেদ নয়নের (নয়ন বন্ড) বাড়িতে গেলে দূর থেকেই তার মায়ের কান্নার আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়। বিলাপ করতে করতে এই প্রতিবেদকদের কাছে ছেলের মাদক ব্যবসায়ী হয়ে ওঠা থেকে শুরু করে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ার জন্য প্রভাবশালী মহলকে দায়ী করেন শাহিদা বেগম।
মিন্নির সঙ্গে নয়ন বন্ডের বিয়ের বিষয়ে শাহিদা বেগম বলেন, ‘নয়ন মিন্নিকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি রাজি হইনি। পরে শুনেছি, তারা নিজেরাই বিয়ে করেছে। আমি এই বিয়েতে রাজি ছিলাম না। আমি নয়নকে বলেছিলাম—মিন্নি ভালো না, ওরে বিয়ে করিস না।’
নয়ন বন্ডের মা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ছেলে দোষী, এটা আমি জানি। কিন্তু সে তো একদিনে নয়ন বন্ড তৈরি হয়নি। তাকে তৈরি করা হয়েছে। প্রভাবশালী মহল তাকে ব্যবহার করার জন্য নয়ন বন্ড হিসেবে তৈরি করেছে।’
কোন প্রভাবশালী মহল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তা ঠিক বলতে পারবো না। তবে আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। কারণ, তার মুখ থেকে যদি প্রভাবশালী মহলের সব অপকর্মের ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়, সেই জন্যই।’
এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে শাহিদা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলের বাপ নাই, তাই ওরে মাইরা ফ্যালা হইছে। যাতে আসল রহস্য আড়াল করা যায়। আমার ছেলে তো খুনি ছিল না। সে মাদকসেবী ছিল। নিশ্চয়ই এর পেছনে অন্য কোনও কারণ আছে।’
সাব্বির আহমেদ নয়ন কীভাবে নয়ন বন্ড হয়ে গেল? এ প্রশ্নের জবাবে শাহিদা বেগম বলেন, ‘সে ভালো ছাত্র ছিল। কিন্তু ক্লাস টেন থেকে আস্তে আস্তে মাদকের জগতে প্রবেশ করে। কে হ্যারে বন্ড বানাইলো, জিরো জিরো সেভেন বানাইলো, তোমরা খুঁইজা বের করো। এর আগে নয়ন বন্ড ১২ লাখ টাকাসহ ধরা পড়েছিল। সে এত টাকা কোথায় পাইলো? কে দিলো? তোমরা খুঁইজা বের করো।’
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন সকালে প্রকাশ্যে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজির নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা নির্মমভাবে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। ওইদিন বিকালে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাত শরীফ মারা যান। এ ঘটনায় পরদিন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামি ছিল নয়ন বন্ড। এরপর গত ২ জুলাই ভোর রাতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয় সে।
No comments