'গোরক্ষার নামে অত্যাচার ও গণপিটুনিতে দেশের মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে'
ভারতের
পশ্চিমবঙ্গের জনশিক্ষা প্রসার, গ্রন্থাগার দফতরের মন্ত্রী ও জমিয়তে
উলামায়ে হিন্দের রাজ্য সভাপতি মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, প্রকৃত
ধর্ম হিংসা, বিদ্বেষ শেখায় না। প্রকৃত যদি ধর্ম হয় হিংসা, বিদ্বেষ তারা
শেখায় না। তিনি গত বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কোলকাতার রবীন্দ্র
সদনে জমিয়তের শান্তি ও একতা সম্মেলনে ওই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘ভারতবর্ষ সুবিশাল দেশ। এখানে ১৩০ কোটি মানুষের বাস। বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যই হল ভারতের রক্ষাকবচ। বর্তমান ভারতে যে গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে, গোরক্ষার নামে অত্যাচার, গণপিটুনি, নৈরাজ্য সৃষ্টি, পেশিশক্তি প্রদর্শনে নিঃসন্দেহে ভারত সরকারের মাথা হেঁট হয়েছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই! দিল্লিতে যতই তারা শক্তি দেখান এসব ঘটনায় ১৩০ কোটি মানুষের মুখ পুড়েছে এতে কোনো সন্দেহ নেই! পৃথিবীর মানুষ তাকিয়ে দেখছে, লক্ষ্য করছে ভারত কোন পথে যাচ্ছে। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমেরিকার গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে ভারতে বজরং দল সব থেকে বড় সন্ত্রাসী দল। এটা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ গোয়েন্দা রিপোর্ট! এটা আমার আপনার রিপোর্ট নয়। দেশের যে কতখানি ক্ষতি তারা করেছে এই ভাবনা তাদেরকেই ভাবতে হবে। ভারতের সহিষ্ণুতার ঐতিহ্য ওরা ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে।’
মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট বলেছে প্রত্যেক জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মর্যাদার কর্মকর্তা নিযুক্ত করতে হবে যারা গণপিটুনির বিষয়ে নজর রাখবেন। আমরা চাই ভারতের প্রত্যেক রাজ্যে যে ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী আছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার আইন তৈরি করুক। যারা ধর্মের নামে সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে, রাষ্ট্রের নামে দাঙ্গা ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন তৈরি হোক।’
তিনি বলেন, ‘জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ ভারতের প্রাচীন বলিষ্ঠ ও দায়িত্বপূর্ণ সংগঠন। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ভাইপো শিশির বসু বলেছিলেন, জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ যদি আন্দোলনের ডাক না দিত ভারতের স্বাধীনতা একশ’ বছর পিছিয়ে যেত। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হতো না। তিনি আরো বলেছিলেন, ভারতকে ভাগ করার জন্য ওঁরা (মুসলিম) দায়ী নয়। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু যেদিন কোলকাতা ত্যাগ করে চলে গিয়েছিলেন তার সঙ্গে শিশির বসু ছিলেন। শিশির বসু বলেছিলেন, আমার কাকা মশায় বললেন, শিশির মনে রেখো আমার মধ্যে স্বাধীনতা আন্দোলনের যে উদ্দীপনা, শক্তি তা জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের জন্য পেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘ভারতবর্ষ সুবিশাল দেশ। এখানে ১৩০ কোটি মানুষের বাস। বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যই হল ভারতের রক্ষাকবচ। বর্তমান ভারতে যে গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে, গোরক্ষার নামে অত্যাচার, গণপিটুনি, নৈরাজ্য সৃষ্টি, পেশিশক্তি প্রদর্শনে নিঃসন্দেহে ভারত সরকারের মাথা হেঁট হয়েছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই! দিল্লিতে যতই তারা শক্তি দেখান এসব ঘটনায় ১৩০ কোটি মানুষের মুখ পুড়েছে এতে কোনো সন্দেহ নেই! পৃথিবীর মানুষ তাকিয়ে দেখছে, লক্ষ্য করছে ভারত কোন পথে যাচ্ছে। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমেরিকার গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে ভারতে বজরং দল সব থেকে বড় সন্ত্রাসী দল। এটা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ গোয়েন্দা রিপোর্ট! এটা আমার আপনার রিপোর্ট নয়। দেশের যে কতখানি ক্ষতি তারা করেছে এই ভাবনা তাদেরকেই ভাবতে হবে। ভারতের সহিষ্ণুতার ঐতিহ্য ওরা ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে।’
মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট বলেছে প্রত্যেক জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মর্যাদার কর্মকর্তা নিযুক্ত করতে হবে যারা গণপিটুনির বিষয়ে নজর রাখবেন। আমরা চাই ভারতের প্রত্যেক রাজ্যে যে ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী আছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার আইন তৈরি করুক। যারা ধর্মের নামে সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে, রাষ্ট্রের নামে দাঙ্গা ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন তৈরি হোক।’
তিনি বলেন, ‘জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ ভারতের প্রাচীন বলিষ্ঠ ও দায়িত্বপূর্ণ সংগঠন। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ভাইপো শিশির বসু বলেছিলেন, জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ যদি আন্দোলনের ডাক না দিত ভারতের স্বাধীনতা একশ’ বছর পিছিয়ে যেত। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হতো না। তিনি আরো বলেছিলেন, ভারতকে ভাগ করার জন্য ওঁরা (মুসলিম) দায়ী নয়। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু যেদিন কোলকাতা ত্যাগ করে চলে গিয়েছিলেন তার সঙ্গে শিশির বসু ছিলেন। শিশির বসু বলেছিলেন, আমার কাকা মশায় বললেন, শিশির মনে রেখো আমার মধ্যে স্বাধীনতা আন্দোলনের যে উদ্দীপনা, শক্তি তা জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের জন্য পেয়েছি।’
আহমদ হাসান ইমরান এমপি |
এদিনের
সমাবেশে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও দৈনিক ‘পুবের কলম’ পত্রিকার সম্পাদক আহমদ
হাসান ইমরান এমপি কেন্দ্রীয় সরকারের আনা সাম্প্রতিক ‘বেআইনি কার্যকলাপ
প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ) সংশোধনী বিল’ পাসকে ‘কুখ্যাত কালা কানুন’ বলে অভিহিত
করে এর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান। আহমদ হাসান
বলেন, লোকসভায় দানব জাতীয় একটা বিল পাস হয়েছে। এখনও তা আইনে পরিণত হয়নি।
এটা ভারতের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য একটা বিপদ হিসেবে আসছে। কিন্তু সেই
সঙ্গে এই বিপদ বিশেষকরে আসছে সংখ্যালঘু মুসলিমদের উপরে। ওই বিলের মাধ্যমে
যেকোনো ব্যক্তিকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করা যেতে পারে। পুলিশ করলে যাকে তাকে
সন্ত্রাসী ঘোষণা করতে পারবে। তার সম্পত্তিও পুলিশ বাজেয়াপ্ত করতে পারবে!
ভাবুন কোনদিকে আমাদের নিয়ে যাচ্ছে! প্রমাণ ছাড়াই সন্দেহ হলেই আপনাকে
গ্রেফতার করতে পারবে। সন্ত্রাসী ঘোষণা করতে পারবে। ‘টাডা’, ‘পোটা’র মতো
কুখ্যাত আইনকে ছাড়িয়েও ওই আইন তৈরির চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতের
সংবিধান প্রত্যেক নাগরিককে ব্যক্তি স্বাধীনতা ও অধিকার দিয়েছে। কিন্তু এসব
অধিকার হনন করে ওই আইন পাস হতে চলেছে। রাজ্যসভায় ওই বিল পাস হলে তা আইনে
পরিণত হয়ে যাবে। এটা কী গণতন্ত্র, যা সংবিধানকে উল্লঙ্ঘন করে? তিনি
এব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার উপরে জোর দেন।
জনাব আহমদ হাসান জাতীয় নাগরিকপঞ্জি আইনকে কালা কানুন বলে উল্লেখ করে অসমে ট্রাইব্যুনালে মানুষ কীভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে তা উল্লেখ করেন।
আহমদ হাসান ইমরান অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘আমরা কারও দয়ায় এই ভারতে থাকি না। এই ভারতে আমরা হাজার বছর ধরে রয়েছি। এই ভারতে আমরা ভূমিপুত্র। আমাদেরকে বিদেশি বলে ঘোষণা করবে এই জিনিস আমরা হতে দেবো না। আমরা এমন লোক যে আমরা মারা গেলেও এখানকার মাটিতে কয়েক হাত জমিনে শুয়ে থাকি। মারা যাওয়ার পরেও আমরা ভারতকে ছেড়ে যাই না। আমরা ভারতকে এত ভালোবাসি! আমরা আমাদের ইমান নিয়ে আমাদের অধিকার নিয়ে আমরা এখানে বেঁচে থাকতে চাই।’
আমাদের সংবিধান সংখ্যালঘু হিসেবে যে অধিকার দিয়েছে ভারতের নাগরিক হিসেবে যে অধিকার দিয়েছে আমরা সেই অধিকারকে রক্ষা করে দেশের স্বার্থ রক্ষার্থে সুনাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে চাই বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
জনাব আহমদ হাসান জাতীয় নাগরিকপঞ্জি আইনকে কালা কানুন বলে উল্লেখ করে অসমে ট্রাইব্যুনালে মানুষ কীভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে তা উল্লেখ করেন।
আহমদ হাসান ইমরান অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘আমরা কারও দয়ায় এই ভারতে থাকি না। এই ভারতে আমরা হাজার বছর ধরে রয়েছি। এই ভারতে আমরা ভূমিপুত্র। আমাদেরকে বিদেশি বলে ঘোষণা করবে এই জিনিস আমরা হতে দেবো না। আমরা এমন লোক যে আমরা মারা গেলেও এখানকার মাটিতে কয়েক হাত জমিনে শুয়ে থাকি। মারা যাওয়ার পরেও আমরা ভারতকে ছেড়ে যাই না। আমরা ভারতকে এত ভালোবাসি! আমরা আমাদের ইমান নিয়ে আমাদের অধিকার নিয়ে আমরা এখানে বেঁচে থাকতে চাই।’
আমাদের সংবিধান সংখ্যালঘু হিসেবে যে অধিকার দিয়েছে ভারতের নাগরিক হিসেবে যে অধিকার দিয়েছে আমরা সেই অধিকারকে রক্ষা করে দেশের স্বার্থ রক্ষার্থে সুনাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে চাই বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
No comments