৫০০ কোটি ডলার জরিমানা ফেসবুকের -গোপনীয়তা রক্ষায় ব্যর্থ
ব্যবহারকারীর
ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে ফেসবুক। এই অভিযোগ
নিষপত্তি করতে ফেসবুককে ৫০০ কোটি ডলার জরিমানা করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত
করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফেডারেল ট্রেড কমিশন
(এফটিসি)। এর আগে, ১২ই জুলাই প্রাক্তন বৃটিশ রাজনৈতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান
ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার কাছে অনৈতিকভাবে ৮ কোটি ৭০ লাখ ফেসবুক
ব্যবহারকারীর তথ্য চলে যাওয়ার অভিযোগের তদন্ত শেষে এই জরিমানার অনুমোদন দেয়
এফটিসি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
খবরে বলা হয়, জরিমানা ছাড়াও ফেসবুককে একটি স্বাধীন ‘প্রাইভেসি কমিটি’ গঠন করতে বলা হয়েছে। এই কমিটির ওপর ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ কোনো খবরদারি করতে পারবেন না।
গত বছর ফেসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে, ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা অনৈতিকভাবে তাদের লাখ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করেছে ও গত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডনাল্ড ট্রামেপর শিবিরকে নির্বাচনী পরামর্শ দিতে ওই তথ্য কাজে লাগিয়েছে। ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তাদের ব্যক্তিত্বের ধরন বিষয়ক একটি ‘কুইজ অ্যাপে’ অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা। এর মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী ও তাদের বন্ধুদের তথ্য অনৈতিকভাবে লুটে নেয় তারা।
পরবর্তীতে এই কেলেঙ্কারি নিয়ে বিশ্বজুড়ে একাধিক তদন্ত শুরু হয়। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যে ৫ লাখ ইউরো জরিমানার শিকার হয় ফেসবুক।
ভোক্তাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ক্ষুণ্ন করার জন্য কোনো কোম্পানিকে এর আগে কখনো এত বড় অঙ্কের জরিমানা করার নজির আর নেই। এফটিসির তদন্তের মূল লক্ষ্য ছিল, ফেসবুক ২০১১ সালে স্বাক্ষর করা ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা বিষয়ক একটি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে কিনা তা খুঁজে বের করা। ওই চুক্তি অনুসারে, ফেসবুক কোনো ব্যবহারকারীর তথ্য তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে শেয়ার করতে হলে ব্যবহারকারীকে এ বিষয়ে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে তার অনুমতি নিতে হবে।
এফটিসি’র চেয়ারম্যান জো সিমন্স বলেছেন, কোটি কোটি ব্যবহারকারীকে ফেসবুক বার বার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, তাদের ব্যক্তিগত তথ্য কীভাবে শেয়ার করা হবে সে বিষয়টা তাদের নিয়ন্ত্রণেই থাকবে। কিন্তু তারা এই অঙ্গীকার রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।
অনেকে মনে করছেন এফটিসি ফেসবুকের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তা যথেষ্ট নয়। ১২ই জুলাই ফেসবুকের বিরুদ্ধে ৩-২ ভোটে ৫০০ কোটি ডলার জরিমানা নির্ধারণ করে এফটিসি। এর মধ্যে এই জরিমানার পক্ষে ছিলেন রিপাবলিকান কমিশনাররা ও বিপক্ষে ছিলেন ডেমোক্রেটরা। ডেমোক্রেটদের দাবি ছিল, এই জরিমানা অপর্যাপ্ত। তবে এখনো জরিমানাটি চূড়ান্ত হয়নি।
এদিকে, ফেসবুকের সাবেক প্রধান সিকিউরিটি অফিসার অ্যালেক্স স্টামোস বলেন, এই আপসরফার ফলে ফেসবুকই আসলে লাভবান হলো। ধারণা করা হচ্ছে, এই জরিমানায় ফেসবুকের বাণিজ্যে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। চলতি বছরের এপ্রিলে ফেসবুক তাদের বিনিয়োগকারীদের বলেছিল, তারা ৫০০ কোটি ডলার জরিমানা প্রত্যাশা করছে। প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক লাভের এক-চতুর্থাংশ এই জরিমানার পরিমাণ। এ বিষয়ে আগ থেকে সতর্ক করে রাখায় ঘাবড়ে যাননি বিনিয়োগকারীরা। বিনিয়োগকারীদের ফেসবুক বলেছিল, ওই অর্থ তারা আগে থেকেই প্রস্তুত রেখেছে।
খবরে বলা হয়, জরিমানা ছাড়াও ফেসবুককে একটি স্বাধীন ‘প্রাইভেসি কমিটি’ গঠন করতে বলা হয়েছে। এই কমিটির ওপর ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ কোনো খবরদারি করতে পারবেন না।
গত বছর ফেসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে, ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা অনৈতিকভাবে তাদের লাখ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করেছে ও গত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডনাল্ড ট্রামেপর শিবিরকে নির্বাচনী পরামর্শ দিতে ওই তথ্য কাজে লাগিয়েছে। ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তাদের ব্যক্তিত্বের ধরন বিষয়ক একটি ‘কুইজ অ্যাপে’ অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা। এর মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী ও তাদের বন্ধুদের তথ্য অনৈতিকভাবে লুটে নেয় তারা।
পরবর্তীতে এই কেলেঙ্কারি নিয়ে বিশ্বজুড়ে একাধিক তদন্ত শুরু হয়। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যে ৫ লাখ ইউরো জরিমানার শিকার হয় ফেসবুক।
ভোক্তাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ক্ষুণ্ন করার জন্য কোনো কোম্পানিকে এর আগে কখনো এত বড় অঙ্কের জরিমানা করার নজির আর নেই। এফটিসির তদন্তের মূল লক্ষ্য ছিল, ফেসবুক ২০১১ সালে স্বাক্ষর করা ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা বিষয়ক একটি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে কিনা তা খুঁজে বের করা। ওই চুক্তি অনুসারে, ফেসবুক কোনো ব্যবহারকারীর তথ্য তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে শেয়ার করতে হলে ব্যবহারকারীকে এ বিষয়ে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে তার অনুমতি নিতে হবে।
এফটিসি’র চেয়ারম্যান জো সিমন্স বলেছেন, কোটি কোটি ব্যবহারকারীকে ফেসবুক বার বার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, তাদের ব্যক্তিগত তথ্য কীভাবে শেয়ার করা হবে সে বিষয়টা তাদের নিয়ন্ত্রণেই থাকবে। কিন্তু তারা এই অঙ্গীকার রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।
অনেকে মনে করছেন এফটিসি ফেসবুকের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তা যথেষ্ট নয়। ১২ই জুলাই ফেসবুকের বিরুদ্ধে ৩-২ ভোটে ৫০০ কোটি ডলার জরিমানা নির্ধারণ করে এফটিসি। এর মধ্যে এই জরিমানার পক্ষে ছিলেন রিপাবলিকান কমিশনাররা ও বিপক্ষে ছিলেন ডেমোক্রেটরা। ডেমোক্রেটদের দাবি ছিল, এই জরিমানা অপর্যাপ্ত। তবে এখনো জরিমানাটি চূড়ান্ত হয়নি।
এদিকে, ফেসবুকের সাবেক প্রধান সিকিউরিটি অফিসার অ্যালেক্স স্টামোস বলেন, এই আপসরফার ফলে ফেসবুকই আসলে লাভবান হলো। ধারণা করা হচ্ছে, এই জরিমানায় ফেসবুকের বাণিজ্যে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। চলতি বছরের এপ্রিলে ফেসবুক তাদের বিনিয়োগকারীদের বলেছিল, তারা ৫০০ কোটি ডলার জরিমানা প্রত্যাশা করছে। প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক লাভের এক-চতুর্থাংশ এই জরিমানার পরিমাণ। এ বিষয়ে আগ থেকে সতর্ক করে রাখায় ঘাবড়ে যাননি বিনিয়োগকারীরা। বিনিয়োগকারীদের ফেসবুক বলেছিল, ওই অর্থ তারা আগে থেকেই প্রস্তুত রেখেছে।
No comments