নিয়ন্ত্রণহীন বেপরোয়া মোটরসাইকেল, রিকশা by রুদ্র মিজান
মোটরসাইকেল-রিকশা।
বেপরোয়া। আইন মানতে নারাজ। সিগন্যাল লাইন ক্রস করে দ্রুত চলে যাচ্ছে
মোটরসাইকেল। ওঠে যাচ্ছে ফুটপাথে। ভিআইপি সড়ক বা উল্টোপথে ঢুকে যাচ্ছে
রিকশা। দিন দিন বাড়ছে এই দুটি যানবাহন। কিন্তু বাড়ছে না সড়ক।
বরং, দখল হয়ে গেছে কোথাও কোথাও। শ্লথ হয়ে যাচ্ছে ঢাকা শহরের গতি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে ব্যয় হচ্ছে মানুষের কর্মঘণ্টা। প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। দিন দিন জটিল আকার ধারণ করেছে ঢাকা সড়কের যানজট। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রিকশা-মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলছে। সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করছে কিন্তু সমাধানের পথে নেই সংশ্লিষ্টরা। শহরের বিভিন্ন মোড়ে দেখা গেছে, লালবাতি সবুজ হওয়ার আগেই দ্রুত গতিতে চলে যাচ্ছে মোটরসাইকেল। সবার আগে ঝাঁকে ঝাঁকে মোটরসাইকেল। যানজটে গাড়িগুলো থেমে আছে। চলার সুযোগ নেই মোটরসাইকেলেরও।
কিন্তু হুট করেই ফুটপাথে ওঠে যাচ্ছে মোটরসাইকেল। প্রথমটিকে অনুসরণ করে আরো অনেকে উঠছে ফুটপাতে। ফুটপাতে স্টিলের প্রতিবন্ধকতা পর্যন্ত পৌঁছে আবার নেমে যাচ্ছে রাস্তায়। এমনকি কখনও কখনও ফ্লাইওভারেও উল্টো দিক থেকে মোটরসাইকেল আসতে দেখা গেছে। রাস্তায়, ফুটপাতে পার্কিং করে রাখা হচ্ছে এই বাহনটি। বেশিরভাগ মোটরসাইকেলের চালক অদক্ষ। পথচারীরা জানান, অ্যাপস ভিত্তিক রাইড শেয়ারিং চালু হওয়ার পর ঢাকার বাইরে থেকে বিপুল মোটরসাইকেল ও চালকরা এসেছেন। তাদের দক্ষতা কম। সরু রাস্তার নামমাত্র ফাঁকা জায়গা দিয়ে মোটরসাইকেল চলে যায়। অনেক সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কার বা বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। দুর্ঘটনাও ঘটে। আবার হঠাৎ গতি বাড়িয়ে বারবার লেন পরিবর্তন করে অন্য যানবাহনের পেছনে-সামনে দিয়ে যান মোটরসাইকেল চালকরা। প্রাইভেট কারের চালক আব্দুল কদ্দুছ জানান, গাড়ি চালাতে গিয়ে মোটরসাইকেল আতঙ্কে থাকেন তারা। একাধিকবার মোটরসাইকেলের ধাক্কা লেগেছে তার টয়োটা এক্স করলা গাড়িতে। এজন্য মালিকের কাছে কঠোর জবাবদিহি করতে হয়েছে। চাকরি চলে গিয়েছিল প্রায়।
ফার্মগেট এলাকায় দায়িত্বপালনকারী সার্জেন্ট দুর্জয় জানান, আইন মানার প্রবণতা কম মোটরসাইকেল চালকদের। তারা সিগন্যাল মানতে চায় না। অনেক সময় সামনে দাঁড়িয়ে তাদের থামাতে হয়। আবার সিগন্যাল ছাড়ার আগেই তারা ছুটে যায়। তারা বারবার লেন পরিবর্তন করে। ফুটপাতেও ওঠে যায়। মামলা দিতে গেলে তদবিরেও তারা এগিয়ে বলে জানান তিনি।
এতকিছুর পরও বাড়ছে মোটরসাইকেলের সংখ্যা। ঢাকায় বর্তমানে নিবন্ধিত মোটরসাইকেল রয়েছে ৬ লাখ ৬৭ হাজার ১৬২টি। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত মোটরসাইকেল নিবন্ধন হয়েছে ৫০ হাজার ৫২১টি। ২০১৭ সালে ৭৫ হাজার ২৫১টি নিবন্ধন হয়। কিন্তু তারপরের বছরই বিপুলভাবে বেড়ে যায় নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা। ২০১৮ সালে ঢাকায় নিবন্ধন হয় ১ লাখ ৪ হাজার ৬৪টি। ওই বছরেই অ্যাপস ভিত্তিক রাইড শেয়ারিং বাইক বিপুলভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা ও ঢাকার বাইরের মোটরসাইকেল মিলিয়ে ১২ লক্ষাধিক মোটরসাইকেল চলে ঢাকার সড়কে।
একইভাবে বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে ঢাকায় ১১ লাখের বেশি রিকশা রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র প্রায় ৭৯ হাজার রিকশা সিটি করপোরেশনে নিবন্ধিত। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে নিবন্ধিত রিকশার সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার। আর দক্ষিণ সিটিতে প্রায় ৫২ হাজার। দুই সিটি মিলিয়ে বৈধ রিকশার সংখ্যা ৭৯ হাজার ৫৪৭টি। ১৯৮৬ সালের পর থেকে ঢাকায় রিকশার নিবন্ধন বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে প্রতিদিনই নামছে নতুন নতুন রিকশা। ঢাকাকে অনেকে বলেন রিকশার নগরী। এমন কোনো রাস্তা নেই যেখানে রিকশা চলে না। ভিআইপি সড়কে রিকশা নিষিদ্ধ থাকলেও তা মানেন না চালকরা। প্রধান সড়কগুলোতে রিকশা চলার কারণে অনেক সময় গতি ধীর করতে হয় অন্যান্য যানবাহনকে। স্বাধীন নামক গণপরিবহনের চালক রহিম উদ্দিন জানান, রিকশাগুলো বারবার লেন পরিবর্তন করে। এমনকি উল্টা পথেও যায়। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো এটি ধীরে ধীরে চলে। ফলে পেছনের গাড়িগুলাকেও ধীরে চলতে হয়। অনেকগুলো রিকশা সড়কে থাকলে হর্ন বাজিয়েও কাজ হয় না বলে জানান এই গণপরিবহন চালক। কারণ, হিসেবে জানান, সড়ক সরু হওয়ায় রিকশাগুলো সরে যাওয়ারও জায়গা থাকে না। একইভাবে মোহাম্মদপুর, মহাখালী, কাপ্তানবাজার, যাত্রাবাড়ীতে মোটরসাইকেল, রিকশার সঙ্গে রয়েছে লেগুনাও। রমনা এলাকায় দায়িত্বপালনকারী সার্জন্টে আনোয়ার জানান, রিকশা চালকরা অনেক কিছুই বুঝে না। না বুঝেই ভিআইপি সড়কে ঢুকে যায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে যাত্রীর অনুরোধে উল্টো পথে যায়। এতে যে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে, গাড়িগুলো আটকে যাচ্ছে সেদিকে তার খেয়াল নেই। এতে দুর্ঘটনাও ঘটছে বলে জানান তিনি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়ন্ত্রণহীনভাবেই চলছে যানবাহন। একটি আধুনিক নগরীতে মোট আয়তনের ২০ থেকে ২৫ ভাগ সড়ক থাকা প্রয়োজন কিন্তু ঢাকায় আছে মাত্র সাত থেকে আটভাগ। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক শামসুল হক বলেন, সড়কে গণপরিবহনের গুরুত্ব নেই। যে কারণে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বাড়ছে মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, রিকশা। সড়কের ধারণ ক্ষমতা, উপযোগিতা না বুঝেই নিবন্ধন দিচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। যদি তারা সংকট বুঝতে পারেন নিজেরা পদক্ষেপ নিবেন, না পারলে সরকারের উচ্চপর্যায়ে রেড সিগন্যাল পাঠাবেন। এটা জরুরি বিষয়। ফ্লাইওভারে কতগুলো গাড়ি গেলো তা বিষয় না, বিষয় হলো কতজন মানুষ যেতে পারলো। এজন্য গণপরিবহনের বিকল্প নেই। বেশি বেশি ডাবল ডেকার বাসের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মোটরসাইকেল এবং রিকশা অন্য যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়। মোটরসাইকেল তরুণদের জন্য হুমকি। দুর্ঘটনায় তরুণরা পঙ্গু হয়ে যেতে পারে। এটি অনিরাপদ যানবাহন। একইভাবে গণপরিবহনের চলার জন্য বাধা হচ্ছে রিকশা। প্রধান সড়কগুলো থেকে রিকশা তোলে দিতে হবে। তবে অবশ্যই হুট করে না। আগে রিকশা চালকদের অন্য পেশায় যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। রিকশার কারণে যানজট হচ্ছে, যানজটে কর্মঘণ্টা ব্যয় হচ্ছে, শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে- এসব সবাইকে বুঝাতে হবে বলে জানান তিনি।
এসব বিষয়ে ডিএমপি’র ট্রাফিকের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নিশাত রহমান বলেন, ট্রাফিক ব্যবস্থা শৃঙ্খলায় নিয়ে আসতে পুলিশ আন্তরিক। ইতিমধ্যে অ্যাপস ভিত্তিক রাইড শেয়ারিং বাইক বিপুলভাবে বেড়েছে। রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলোকে বলা হয়েছে তারা যেন ঢাকার বাইরের কোনো বাইককে নিবন্ধন না দেন। একইভাবে প্রধান সড়কে রিকশা চলাচলের পক্ষে না পুলিশ। এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
বরং, দখল হয়ে গেছে কোথাও কোথাও। শ্লথ হয়ে যাচ্ছে ঢাকা শহরের গতি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে ব্যয় হচ্ছে মানুষের কর্মঘণ্টা। প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। দিন দিন জটিল আকার ধারণ করেছে ঢাকা সড়কের যানজট। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রিকশা-মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলছে। সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করছে কিন্তু সমাধানের পথে নেই সংশ্লিষ্টরা। শহরের বিভিন্ন মোড়ে দেখা গেছে, লালবাতি সবুজ হওয়ার আগেই দ্রুত গতিতে চলে যাচ্ছে মোটরসাইকেল। সবার আগে ঝাঁকে ঝাঁকে মোটরসাইকেল। যানজটে গাড়িগুলো থেমে আছে। চলার সুযোগ নেই মোটরসাইকেলেরও।
কিন্তু হুট করেই ফুটপাথে ওঠে যাচ্ছে মোটরসাইকেল। প্রথমটিকে অনুসরণ করে আরো অনেকে উঠছে ফুটপাতে। ফুটপাতে স্টিলের প্রতিবন্ধকতা পর্যন্ত পৌঁছে আবার নেমে যাচ্ছে রাস্তায়। এমনকি কখনও কখনও ফ্লাইওভারেও উল্টো দিক থেকে মোটরসাইকেল আসতে দেখা গেছে। রাস্তায়, ফুটপাতে পার্কিং করে রাখা হচ্ছে এই বাহনটি। বেশিরভাগ মোটরসাইকেলের চালক অদক্ষ। পথচারীরা জানান, অ্যাপস ভিত্তিক রাইড শেয়ারিং চালু হওয়ার পর ঢাকার বাইরে থেকে বিপুল মোটরসাইকেল ও চালকরা এসেছেন। তাদের দক্ষতা কম। সরু রাস্তার নামমাত্র ফাঁকা জায়গা দিয়ে মোটরসাইকেল চলে যায়। অনেক সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কার বা বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। দুর্ঘটনাও ঘটে। আবার হঠাৎ গতি বাড়িয়ে বারবার লেন পরিবর্তন করে অন্য যানবাহনের পেছনে-সামনে দিয়ে যান মোটরসাইকেল চালকরা। প্রাইভেট কারের চালক আব্দুল কদ্দুছ জানান, গাড়ি চালাতে গিয়ে মোটরসাইকেল আতঙ্কে থাকেন তারা। একাধিকবার মোটরসাইকেলের ধাক্কা লেগেছে তার টয়োটা এক্স করলা গাড়িতে। এজন্য মালিকের কাছে কঠোর জবাবদিহি করতে হয়েছে। চাকরি চলে গিয়েছিল প্রায়।
ফার্মগেট এলাকায় দায়িত্বপালনকারী সার্জেন্ট দুর্জয় জানান, আইন মানার প্রবণতা কম মোটরসাইকেল চালকদের। তারা সিগন্যাল মানতে চায় না। অনেক সময় সামনে দাঁড়িয়ে তাদের থামাতে হয়। আবার সিগন্যাল ছাড়ার আগেই তারা ছুটে যায়। তারা বারবার লেন পরিবর্তন করে। ফুটপাতেও ওঠে যায়। মামলা দিতে গেলে তদবিরেও তারা এগিয়ে বলে জানান তিনি।
এতকিছুর পরও বাড়ছে মোটরসাইকেলের সংখ্যা। ঢাকায় বর্তমানে নিবন্ধিত মোটরসাইকেল রয়েছে ৬ লাখ ৬৭ হাজার ১৬২টি। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত মোটরসাইকেল নিবন্ধন হয়েছে ৫০ হাজার ৫২১টি। ২০১৭ সালে ৭৫ হাজার ২৫১টি নিবন্ধন হয়। কিন্তু তারপরের বছরই বিপুলভাবে বেড়ে যায় নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা। ২০১৮ সালে ঢাকায় নিবন্ধন হয় ১ লাখ ৪ হাজার ৬৪টি। ওই বছরেই অ্যাপস ভিত্তিক রাইড শেয়ারিং বাইক বিপুলভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা ও ঢাকার বাইরের মোটরসাইকেল মিলিয়ে ১২ লক্ষাধিক মোটরসাইকেল চলে ঢাকার সড়কে।
একইভাবে বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে ঢাকায় ১১ লাখের বেশি রিকশা রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র প্রায় ৭৯ হাজার রিকশা সিটি করপোরেশনে নিবন্ধিত। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে নিবন্ধিত রিকশার সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার। আর দক্ষিণ সিটিতে প্রায় ৫২ হাজার। দুই সিটি মিলিয়ে বৈধ রিকশার সংখ্যা ৭৯ হাজার ৫৪৭টি। ১৯৮৬ সালের পর থেকে ঢাকায় রিকশার নিবন্ধন বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে প্রতিদিনই নামছে নতুন নতুন রিকশা। ঢাকাকে অনেকে বলেন রিকশার নগরী। এমন কোনো রাস্তা নেই যেখানে রিকশা চলে না। ভিআইপি সড়কে রিকশা নিষিদ্ধ থাকলেও তা মানেন না চালকরা। প্রধান সড়কগুলোতে রিকশা চলার কারণে অনেক সময় গতি ধীর করতে হয় অন্যান্য যানবাহনকে। স্বাধীন নামক গণপরিবহনের চালক রহিম উদ্দিন জানান, রিকশাগুলো বারবার লেন পরিবর্তন করে। এমনকি উল্টা পথেও যায়। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো এটি ধীরে ধীরে চলে। ফলে পেছনের গাড়িগুলাকেও ধীরে চলতে হয়। অনেকগুলো রিকশা সড়কে থাকলে হর্ন বাজিয়েও কাজ হয় না বলে জানান এই গণপরিবহন চালক। কারণ, হিসেবে জানান, সড়ক সরু হওয়ায় রিকশাগুলো সরে যাওয়ারও জায়গা থাকে না। একইভাবে মোহাম্মদপুর, মহাখালী, কাপ্তানবাজার, যাত্রাবাড়ীতে মোটরসাইকেল, রিকশার সঙ্গে রয়েছে লেগুনাও। রমনা এলাকায় দায়িত্বপালনকারী সার্জন্টে আনোয়ার জানান, রিকশা চালকরা অনেক কিছুই বুঝে না। না বুঝেই ভিআইপি সড়কে ঢুকে যায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে যাত্রীর অনুরোধে উল্টো পথে যায়। এতে যে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে, গাড়িগুলো আটকে যাচ্ছে সেদিকে তার খেয়াল নেই। এতে দুর্ঘটনাও ঘটছে বলে জানান তিনি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়ন্ত্রণহীনভাবেই চলছে যানবাহন। একটি আধুনিক নগরীতে মোট আয়তনের ২০ থেকে ২৫ ভাগ সড়ক থাকা প্রয়োজন কিন্তু ঢাকায় আছে মাত্র সাত থেকে আটভাগ। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক শামসুল হক বলেন, সড়কে গণপরিবহনের গুরুত্ব নেই। যে কারণে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বাড়ছে মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, রিকশা। সড়কের ধারণ ক্ষমতা, উপযোগিতা না বুঝেই নিবন্ধন দিচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। যদি তারা সংকট বুঝতে পারেন নিজেরা পদক্ষেপ নিবেন, না পারলে সরকারের উচ্চপর্যায়ে রেড সিগন্যাল পাঠাবেন। এটা জরুরি বিষয়। ফ্লাইওভারে কতগুলো গাড়ি গেলো তা বিষয় না, বিষয় হলো কতজন মানুষ যেতে পারলো। এজন্য গণপরিবহনের বিকল্প নেই। বেশি বেশি ডাবল ডেকার বাসের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মোটরসাইকেল এবং রিকশা অন্য যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়। মোটরসাইকেল তরুণদের জন্য হুমকি। দুর্ঘটনায় তরুণরা পঙ্গু হয়ে যেতে পারে। এটি অনিরাপদ যানবাহন। একইভাবে গণপরিবহনের চলার জন্য বাধা হচ্ছে রিকশা। প্রধান সড়কগুলো থেকে রিকশা তোলে দিতে হবে। তবে অবশ্যই হুট করে না। আগে রিকশা চালকদের অন্য পেশায় যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। রিকশার কারণে যানজট হচ্ছে, যানজটে কর্মঘণ্টা ব্যয় হচ্ছে, শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে- এসব সবাইকে বুঝাতে হবে বলে জানান তিনি।
এসব বিষয়ে ডিএমপি’র ট্রাফিকের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নিশাত রহমান বলেন, ট্রাফিক ব্যবস্থা শৃঙ্খলায় নিয়ে আসতে পুলিশ আন্তরিক। ইতিমধ্যে অ্যাপস ভিত্তিক রাইড শেয়ারিং বাইক বিপুলভাবে বেড়েছে। রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলোকে বলা হয়েছে তারা যেন ঢাকার বাইরের কোনো বাইককে নিবন্ধন না দেন। একইভাবে প্রধান সড়কে রিকশা চলাচলের পক্ষে না পুলিশ। এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
No comments