পশ্চিমবঙ্গের নাম বদল নিয়ে মোদীর সঙ্গে বৈঠক তৃণমূলের
রাজনৈতিক
তিক্ততার ছবি বদলে এবার তৃণমূলের ১২ জন সাংসদের একটি প্রতিনিধি দল গত বুধবার
সাক্ষাৎ করলেন নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। রাজ্যের নাম বদল থেকে শুরু করে
বর্ধমান স্টেশন কিংবা শিয়ালদহ স্টেশনের নাম বদল নিয়ে তরজায় জড়িয়ে
রাজ্যে-কেন্দ্র। জানা যাচ্ছে, লোকসভায় বর্ষাকালীন অধিবেশনে পশ্চিমবঙ্গের
নাম বদলে ‘বাংলা’ নাম রাখার অনুরোধ জানায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।
এদিন নাম পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংশোধন আনার অনুরোধও জানানো হয়। প্রায় ২৫ মিনিট ধরে চলা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের লোকসভা এবং রাজ্যসভার নেতারা। সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও’ব্রায়েনের নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় গৃহীত দুটি প্রস্তাবের কথা জানানো হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।
এমনকি, রাজ্যের নাম বদল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রকে পাঠানো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব চিঠির প্রতিলিপিও জমা দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তথা সাংসদ সৌগত রায়, সঙ্গে সুখেন্দু শেখর রায়, মহুয়া মিত্র, কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, লোকসভার মৌসুমী অধিবেশন চলাকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষেন রেড্ডি বলেন যে পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তন করার কোনও পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি। এরপরেই তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বদ্ধপরিকর হয়ে ওঠেন।
প্রসঙ্গত, রাজ্যসভার জিরো আওয়ারে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় এই বিষয়টির উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, “পূর্ব বাংলা নামে কোনও তথাকথিত ভৌগলিক এলাকার সীমারেখা নেই। বাংলা শব্দটি এসেছে বঙ্গ থেকে, যেখানে খ্রিস্টপূর্বাব্দে দ্রাবিড় গোষ্ঠীরা বাস করত।”
২০১৮ সালের জুলাই মাসে মমতা সরকারের নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গ পরিষদে একটি প্রস্তাব পাশ করানো হয়, যেখানে পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলা’ রাখার কথা উল্লেখ করা হয়। কিন্তু সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এ বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ নেয়নি বলেই সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে। অতএব ‘নামতরজা’র কতটা কী ফল হবে, সেদিকে তাকিয়ে রাজ্যবাসী।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তনের এই উদ্যোগ নতুন নয়। ২০১১ সালে রাজ্য সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে রাজ্যের নাম ‘পশ্চিমবঙ্গ’ করার প্রস্তাব দেয়। ফের ২০১৬ সালের অগাস্ট মাসে বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ হয়, রাজ্যের নাম ইংরেজিতে ‘বেঙ্গল’ এবং বাংলায় ‘বাংলা’ করার। তবে এই ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেস সর্বদলীয় সমর্থন যোগাড় করার প্রভূত চেষ্টা করলেও এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস, বামফ্রন্ট, এবং বিজেপি।
এদিন নাম পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংশোধন আনার অনুরোধও জানানো হয়। প্রায় ২৫ মিনিট ধরে চলা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের লোকসভা এবং রাজ্যসভার নেতারা। সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও’ব্রায়েনের নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় গৃহীত দুটি প্রস্তাবের কথা জানানো হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।
এমনকি, রাজ্যের নাম বদল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রকে পাঠানো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব চিঠির প্রতিলিপিও জমা দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তথা সাংসদ সৌগত রায়, সঙ্গে সুখেন্দু শেখর রায়, মহুয়া মিত্র, কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, লোকসভার মৌসুমী অধিবেশন চলাকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষেন রেড্ডি বলেন যে পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তন করার কোনও পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি। এরপরেই তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বদ্ধপরিকর হয়ে ওঠেন।
প্রসঙ্গত, রাজ্যসভার জিরো আওয়ারে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় এই বিষয়টির উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, “পূর্ব বাংলা নামে কোনও তথাকথিত ভৌগলিক এলাকার সীমারেখা নেই। বাংলা শব্দটি এসেছে বঙ্গ থেকে, যেখানে খ্রিস্টপূর্বাব্দে দ্রাবিড় গোষ্ঠীরা বাস করত।”
২০১৮ সালের জুলাই মাসে মমতা সরকারের নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গ পরিষদে একটি প্রস্তাব পাশ করানো হয়, যেখানে পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলা’ রাখার কথা উল্লেখ করা হয়। কিন্তু সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এ বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ নেয়নি বলেই সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে। অতএব ‘নামতরজা’র কতটা কী ফল হবে, সেদিকে তাকিয়ে রাজ্যবাসী।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তনের এই উদ্যোগ নতুন নয়। ২০১১ সালে রাজ্য সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে রাজ্যের নাম ‘পশ্চিমবঙ্গ’ করার প্রস্তাব দেয়। ফের ২০১৬ সালের অগাস্ট মাসে বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ হয়, রাজ্যের নাম ইংরেজিতে ‘বেঙ্গল’ এবং বাংলায় ‘বাংলা’ করার। তবে এই ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেস সর্বদলীয় সমর্থন যোগাড় করার প্রভূত চেষ্টা করলেও এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস, বামফ্রন্ট, এবং বিজেপি।
No comments