প্রক্সি সার্ভারে চলছে পর্নো সাইট by মোহাম্মদ ওমর ফারুক
পর্নো
নেশায় বুঁদ যুবসমাজ। কোনো ভাবেই থামানো যাচ্ছে না। নানা উদ্যোগও ব্যর্থ।
বিকৃত মানসিকতায় বিপর্যস্ত একটি প্রজন্ম। অবস্থা যখন ভয়াবহ তখনই বন্ধ করে
দেয়া হয় সাড়ে ২২ হাজার পর্নো সাইট। সাইট বন্ধ করলে কি হবে? প্রক্সি
সার্ভারে যেমন চলছে পর্নো সাইট। তেমনি আসক্তরা খুঁজে নিচ্ছে তাদের কাঙ্খিত
পর্নো ভিডিও। দিনের বেশিরভাগ সময় তারা মত্ত থাকছে এ সাইটে।
ভয়াভহ তথ্য হলো- প্রক্সি সার্ভারগুলো অতি সহজেই প্লে-স্টোর, গুগল-স্টোর বা ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার মানবজমিনকে বলেন, প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে যতটুকু সম্ভব দেশে পর্নো ওয়েবসাইট বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি। আশা করি এর বাইরে যে ধরনের ব্যবস্থা নেয়া দরকার আমরা সেটা বাস্তবায়নে সক্ষম হবো। সে জন্য কিছুটা সময় লাগবে। মন্ত্রী বলেন, আমাদের সাইবার সিকিউরিটি নামে একটি প্রকল্পের কাজ চলছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেই আমাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অনেক বাড়বে বলে ।
ওদিকে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবিদ হাওলাদার বলেন, এখন শত শত প্রক্সি সার্ভার আছে। যে গুলো দিয়ে সহজে নিষিদ্ধ ওয়েব সাইট গুলোতে প্রবেশ করা যায়। যার নিয়ন্ত্রন থাকে না তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা সংশ্লিষ্টদের কাছে। ফলে সহজে পর্নো সাইট ব্যবহার করতে পারছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা।
আরেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বলেন, আমি মূলত পর্নো দেখি ভিপিএন বা ইউসি মিনি, ইউসি ব্রাউজার দিয়ে। ওইসব ব্রাউজার দিয়ে পর্নো সাইট গুলোতে প্রবেশ করতে কোনো ধরনের বাধাঁ পেতে হয় না। তবে মজিলা ফায়ারবক্স, ক্রোমো বা বৈধ সার্ভার দিয়ে কোনো পর্নো সাইটে যাওয়া যায় না। কিছু কিছু পর্নোসাইট আছে এখনো দেখা মিলে বৈধ ব্রাউজার দিয়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জনপ্রিয় পর্নো সাইটগুলোর মধ্যে ষষ্ঠ পর্নো ট্রিপল ফাইভ, ২৩ তম লাইভ, জেসমিন , এক্সএন, পর্নোহাব, ইন্ডিয়ার এক্স, তামিল পর্নোসহ এমন অনেক সাইটে প্রবেশ করা যাচ্ছে। এ ছাড়াও বিশ্বের জনপ্রিয় ১০ পর্নো সাইটের তিনটিতে এখনো প্রবেশ করা যাচ্ছে মজিলা ফায়ারবক্স দিয়ে। এছাড়া চ্যাটইউরবেট, ফ্লার্ট ফর ফ্রি, বোংগা ক্যামস, এক্সএন, ইন্ডিয়ান পর্নোসহ অনেক সাইট দিয়ে প্রবেশ করার কথা নয়। কিন্তু অনায়াসে এসব সাইটে প্রবেশ করে পর্নো ভিডিও দেখা যাচ্ছে।
সূত্র মতে, ২০১০ সালের শুরুর দিকে প্রথম দেশের সামাজিক মূল্যবোধের পরিপন্থী হিসেবে চিহ্নিত করে ৮৪টি পর্নো সাইট বন্ধ করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় পুলিশ সদর দফতর। চিঠিতে ওই ওয়েবসাইটগুলোকে অশ্লীল ও বিকৃত উল্লেখ করে বিটিআরসির মাধ্যমে সেগুলো বন্ধ করে দেয়ার আবেদন জানানো হয়। সাইটগুলোর তালিকা দিয়ে চিঠিতে বলা হয়, ওই সাইটগুলোতে কিছুদিন ধরে দেশের মানুষের গোপনে ধারণ করা যৌনতার ছবি ও ভিডিও প্রদর্শন করা হচ্ছে। এর পর থেকেই মূলত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় পর্নো সাইট গুলোকে বন্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করেন। কিন্তু প্রায় ৯ বছর পার হয়ে গেলেও এর কোনো ভালো ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৬ সালের প্রথম দিকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী বরাবর পর্নো সাইট বন্ধের আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেন একজন অভিভাবক। তিনি চিঠিতে অসহায়ত্ব প্রকাশ করে লিখেছিলেন, এসব সাইট বন্ধ করা না হলে সমাজের কোমলমতি শিশু-কিশোররা ধ্বংস হয়ে যাবে। সমাজ পতিত হবে এক ভয়ঙ্কর আসক্তিতে। এখনই পর্নো সাইটগুলো বন্ধ করা না গেলে আগামী দিনে ভয়ঙ্কর পরিণাম ডেকে আনবে। ওই চিঠির সূত্র ধরেই পর্নো সাইটগুলো বন্ধের উদ্যোগে গতি আসে। যার ফল পাওয়া যায় ওই বছরেরই ডিসেম্বর মাসে।
৯ বছর ধরে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সক্রিয়ভাবে উদ্যোগ নিয়েও পর্নো ওয়েবসাইট বন্ধ করতে পারেনি। পর্নো সাইট বন্ধ করতে না পারার পেছনে প্রযুক্তিগত সক্ষমতার অভাবও একটি বড় কারণ বলে জানা গেছে। ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আবারও সক্রিয় হতে থাকে পর্নো সাইটগুলো। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে সরকার দেশে ৫৬০টি পর্নো সাইট বন্ধের নির্দেশ দেয়। কিন্তু ২০১৭ সালে এসেই এ উদ্যোগে ভাটা পড়ে। এরপর ২০১৮ সালে মোস্তফা জব্বার এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেয়ার শেষ সময়ে এসে আবারও পর্নো সাইট বন্ধের উদ্যোগ নেন। সবশেষ দ্বিতীয় দফা মন্ত্রী হওয়ার পর চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি পর্নো সাইটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। সাড়ে ২২ হাজার পর্নো সাইট বন্ধ করেন। কিন্তু এসব সকল সাইটই দেখা যাচ্ছে প্রক্সি সার্ভার ব্যবহার করে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পর্নোসাইটের বাইরেও ইউটিউব হচ্ছে পর্নো ভিডিওর সোর্স। ইউটিউবে এখনো হাজার হাজার কনটেন্ট আছে যেসব কনটেন্ট সরাসরি পর্নো বলা যায়। এসব কনটেন্ট সহজে বন্ধ করা যাবে না। ফলে পর্নো ভিডিওর সহজ লভ্যতা কমছে না।
ভয়াভহ তথ্য হলো- প্রক্সি সার্ভারগুলো অতি সহজেই প্লে-স্টোর, গুগল-স্টোর বা ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার মানবজমিনকে বলেন, প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে যতটুকু সম্ভব দেশে পর্নো ওয়েবসাইট বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি। আশা করি এর বাইরে যে ধরনের ব্যবস্থা নেয়া দরকার আমরা সেটা বাস্তবায়নে সক্ষম হবো। সে জন্য কিছুটা সময় লাগবে। মন্ত্রী বলেন, আমাদের সাইবার সিকিউরিটি নামে একটি প্রকল্পের কাজ চলছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেই আমাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অনেক বাড়বে বলে ।
ওদিকে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবিদ হাওলাদার বলেন, এখন শত শত প্রক্সি সার্ভার আছে। যে গুলো দিয়ে সহজে নিষিদ্ধ ওয়েব সাইট গুলোতে প্রবেশ করা যায়। যার নিয়ন্ত্রন থাকে না তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা সংশ্লিষ্টদের কাছে। ফলে সহজে পর্নো সাইট ব্যবহার করতে পারছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা।
আরেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বলেন, আমি মূলত পর্নো দেখি ভিপিএন বা ইউসি মিনি, ইউসি ব্রাউজার দিয়ে। ওইসব ব্রাউজার দিয়ে পর্নো সাইট গুলোতে প্রবেশ করতে কোনো ধরনের বাধাঁ পেতে হয় না। তবে মজিলা ফায়ারবক্স, ক্রোমো বা বৈধ সার্ভার দিয়ে কোনো পর্নো সাইটে যাওয়া যায় না। কিছু কিছু পর্নোসাইট আছে এখনো দেখা মিলে বৈধ ব্রাউজার দিয়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জনপ্রিয় পর্নো সাইটগুলোর মধ্যে ষষ্ঠ পর্নো ট্রিপল ফাইভ, ২৩ তম লাইভ, জেসমিন , এক্সএন, পর্নোহাব, ইন্ডিয়ার এক্স, তামিল পর্নোসহ এমন অনেক সাইটে প্রবেশ করা যাচ্ছে। এ ছাড়াও বিশ্বের জনপ্রিয় ১০ পর্নো সাইটের তিনটিতে এখনো প্রবেশ করা যাচ্ছে মজিলা ফায়ারবক্স দিয়ে। এছাড়া চ্যাটইউরবেট, ফ্লার্ট ফর ফ্রি, বোংগা ক্যামস, এক্সএন, ইন্ডিয়ান পর্নোসহ অনেক সাইট দিয়ে প্রবেশ করার কথা নয়। কিন্তু অনায়াসে এসব সাইটে প্রবেশ করে পর্নো ভিডিও দেখা যাচ্ছে।
সূত্র মতে, ২০১০ সালের শুরুর দিকে প্রথম দেশের সামাজিক মূল্যবোধের পরিপন্থী হিসেবে চিহ্নিত করে ৮৪টি পর্নো সাইট বন্ধ করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় পুলিশ সদর দফতর। চিঠিতে ওই ওয়েবসাইটগুলোকে অশ্লীল ও বিকৃত উল্লেখ করে বিটিআরসির মাধ্যমে সেগুলো বন্ধ করে দেয়ার আবেদন জানানো হয়। সাইটগুলোর তালিকা দিয়ে চিঠিতে বলা হয়, ওই সাইটগুলোতে কিছুদিন ধরে দেশের মানুষের গোপনে ধারণ করা যৌনতার ছবি ও ভিডিও প্রদর্শন করা হচ্ছে। এর পর থেকেই মূলত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় পর্নো সাইট গুলোকে বন্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করেন। কিন্তু প্রায় ৯ বছর পার হয়ে গেলেও এর কোনো ভালো ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৬ সালের প্রথম দিকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী বরাবর পর্নো সাইট বন্ধের আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেন একজন অভিভাবক। তিনি চিঠিতে অসহায়ত্ব প্রকাশ করে লিখেছিলেন, এসব সাইট বন্ধ করা না হলে সমাজের কোমলমতি শিশু-কিশোররা ধ্বংস হয়ে যাবে। সমাজ পতিত হবে এক ভয়ঙ্কর আসক্তিতে। এখনই পর্নো সাইটগুলো বন্ধ করা না গেলে আগামী দিনে ভয়ঙ্কর পরিণাম ডেকে আনবে। ওই চিঠির সূত্র ধরেই পর্নো সাইটগুলো বন্ধের উদ্যোগে গতি আসে। যার ফল পাওয়া যায় ওই বছরেরই ডিসেম্বর মাসে।
৯ বছর ধরে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সক্রিয়ভাবে উদ্যোগ নিয়েও পর্নো ওয়েবসাইট বন্ধ করতে পারেনি। পর্নো সাইট বন্ধ করতে না পারার পেছনে প্রযুক্তিগত সক্ষমতার অভাবও একটি বড় কারণ বলে জানা গেছে। ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আবারও সক্রিয় হতে থাকে পর্নো সাইটগুলো। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে সরকার দেশে ৫৬০টি পর্নো সাইট বন্ধের নির্দেশ দেয়। কিন্তু ২০১৭ সালে এসেই এ উদ্যোগে ভাটা পড়ে। এরপর ২০১৮ সালে মোস্তফা জব্বার এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেয়ার শেষ সময়ে এসে আবারও পর্নো সাইট বন্ধের উদ্যোগ নেন। সবশেষ দ্বিতীয় দফা মন্ত্রী হওয়ার পর চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি পর্নো সাইটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। সাড়ে ২২ হাজার পর্নো সাইট বন্ধ করেন। কিন্তু এসব সকল সাইটই দেখা যাচ্ছে প্রক্সি সার্ভার ব্যবহার করে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পর্নোসাইটের বাইরেও ইউটিউব হচ্ছে পর্নো ভিডিওর সোর্স। ইউটিউবে এখনো হাজার হাজার কনটেন্ট আছে যেসব কনটেন্ট সরাসরি পর্নো বলা যায়। এসব কনটেন্ট সহজে বন্ধ করা যাবে না। ফলে পর্নো ভিডিওর সহজ লভ্যতা কমছে না।
No comments