স্বাধীনের পর উখিংনু
ফিরোজ
কবির স্বাধীন। ছিলেন একটি পরিবারের স্বপ্ন। একটি পরিবারের আশা। তাকে নিয়ে
স্বপ্ন দেখতেন আত্মীয়-স্বজন আর এলাকার মানুষ। শিক্ষক-সহপাঠীদের দৃষ্টিতেও
তিনি ছিলেন এক তরুণ সম্ভাবনা। কৃষক বাবা-ভাইয়ের কষ্ট ঘোচাতে স্বাধীন নিজেও
স্বপ্নে বিভোর ছিলেন। কিন্তু ডেঙ্গু কেড়ে নিয়েছে তাদের সবার স্বপ্ন। কেড়ে
নিয়েছে সবার প্রিয় স্বাধীনকে।
স্বাধীনকে নিয়ে পরিবার আর সহপাঠীদের কান্না থামতে না থামতেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক মেধাবী শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল। ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী উখিংনু রাখাইন ক্যাম্পাসে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে কক্সবাজার গিয়েছিলেন পরিবারের পাশে থেকে চিকিৎসা নিতে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় গতকাল কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে ক্যাম্পাসে শোকের ছায়া নেমে আসে।
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স বিভাগের শিক্ষার্থী ফিরোজ কবির স্বাধীন। তিনি ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হলের ৪১৪ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র। হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মফিজুর রহমান জানিয়েছেন, স্বাধীন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে রাত ১০টার দিকে মৃত্যু হয়। গতকাল দুপুর পৌণে ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের সামনে তার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় অনুষদটির ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনের মৃত্যু কখনই কাম্য নয়। আমরা স্বাধীনের মৃত্যুতে শোকাহত। আল্লাহ তাকে জান্নাত নসিব করুক আর তার পরিবারকে এই শোক সহ্য করার শক্তি দিক। গতকাল দুপুরে স্বাধীনের রুমমেট লোক প্রশাসন বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র সুমন রহমান জানান, গত ১৮ই জুলাই স্বাধীন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। এরপর তাকে ডিএমসিতে ভর্তি করানো হয়। এরই মধ্যে তার পরিবার এসে তাকে দিনাজপুর মেডিকেলে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। কিন্তু ডাক্তার ততক্ষণে জানিয়ে দেন রোগী ক্রিটিক্যাল সিচুয়েশন ওভারকাম করছে। যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এরপর পরিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করে। সেখানে ২২ ঘন্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। স্বাধীনের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ে।
স্বাধীনের বোন জামাই আব্দুল মালেক মানবজমিনকে বলেন, স্বাধীন গত এক সপ্তাহ ধরে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনদিন ভর্তি ছিলো। অবস্থার অবনতি হলে গত বৃহস্পতিবার সেখান থেকে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল থেকে আমাদের বলা হয়েছিল প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা বিল আসবে। বাবা মায়ের পাশাপাশি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মিলে সিন্ধান্ত নেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। ঢাকা মেডিকেলের ডাক্তাররা তার রোগ সংক্রান্ত একটি সামারি পেপার্স দিলে সেটা আমরা স্কয়ার হাসপাতালের ডাক্তারদের দেখাই। ওই হাসপাতাল থেকে জানানো হয় রোগীর অবস্থা ৯৫ ভাগ খারাপ আর সুস্থ হওয়ার সুযোগ আছে ৫ ভাগ। এই অঅবস্থায় তাকে সেখানে ভর্তি করা হয়েছিল। তিনি বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায় মোট বিল হয়েছে ১লাখ ৮৬ হাজার টাকা। ৫৭ হাজার টাকা দিয়ে তাকে ভর্তি করি। বাকী ১ লাখ ২৯ হাজার টাকার বিষয়টি (ঢাবি) বঙ্গবন্ধু হল কর্তৃপক্ষ রফাদফা করে। ৪ ভাই বোনের মধ্যে স্বাধীন ছিল সবার ছোট। বাবা মো. দবিরুল ইসলাম পেশায় কৃষক। মা আলিয়া বেগম পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে শয্যাশায়ী। স্বাধীনের ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার বিষয়টিতে শুধুমাত্র তার পরিবার নয় পুরো এলাকার মানুষ শোকাগ্রস্ত। কারণ সে যে পরিবার থেকে উঠে এসেছে সেখানে শুধুমাত্র তার মেধার কারণেই আজ তার এতো পরিচিতি। তিনি বলেন, আমাদের এলাকায় তাকে অনুসরণ করে প্রায় শ খানেক ছেলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছে। তাদের ভর্তির বিষয়ে তথ্য দেয়া থেকে শুরু করে ঢাকাতে নিজ হলে থাকার ব্যবস্থা করা সবই করেছে স্বাধীন। অথচ সেই রত্নটিই আজ চলে গেলো।
স্বাধীনের সহপাঠীরা জানান, কিছুদিন আগে ধানের দাম কমে যাওয়ায় স্বাধীন বড় ভাইকে বলেছিলেন, ‘ধানের দাম কম ভাই। তোমারে আমি ক্ষেতে যাইতে দেবনা। আমি ৭০ হাজার টাকার চাকরি করবো। আর তোমাকে ভালো রাখব।’ স্বাধীনের বড় ভাই মৃত্যু সংবাদ শোনে হাসপাতালের করিডোরে ছোট ভাইয়ের শেষ কথাগুলো মনে করে আহাজারি করছিলেন আর বলছিলেন, ?‘ভাই তোর কিছু করা লাগবেনা। তুই আয়। আমি মাকে কী কমু?’ স্বাধীনের রুমমেট সুমন রহমান বলেন, সন্ধ্যার দিকে স্বাধীনের উন্নত চিকিৎসার খরচ জোগাতে বাবা হাসপাতাল থেকে গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁয়ের উদ্দেশে রওয়ানা হন জমি বিক্রি করতে। কিন্তু ঠাকুরগাঁও পৌঁছানোর আগে মাঝপথেই ছেলের মৃত্যু সংবাদ শুনেন তিনি। এদিকে স্বাধীনের মৃত্যুতে শোকের ছায় নেমে আসে গোটা ক্যম্পাসে।
জাবি ছাত্রীর মৃত্যু: ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ফার্মেসি বিভাগের ৪৮ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী উখিংনু রাখাইন মারা গেছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রীতিলতা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। শনিবার বেলা সাড়ে চারটার দিকে অসুস্থ অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম নেবার পথে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। উখিংনু রাখাইনের বাবা মংবা অং মংবা। তিনি কক্সবাজার জেলা পরিষদের কর্মকর্তা। উখিংনু তার একমাত্র কন্যা। তারা থাকেন কক্সবাজারেই। উখিংনুর বাবা বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয় উখিংনু কিছুদিন ভর্তি ছিলেন এনাম মেডিকেল কলেজে। জ্বর না কমায় তাকে বাড়িতে আনা হয়। সেখান থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে অবস্থা খারাপের দিকে গেলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে চট্টগ্রামে নেয়ার জন্য বলেন। চট্টগ্রামে নেয়ার পথে লোহাগড়ার আমিরাবাদ নামক স্থানে তার মৃত্যু হয়। উখিংনু রাখাইনের বন্ধু রিফাত খান বলেন, গত ১৭ই জুলাই অসুস্থ অবস্থায় উখিংনুকে এনাম মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাই আমরা। সেখানে পরীক্ষা করালে ডেঙ্গু ধরা পড়ে।
উল্লেখ্য, সরকারি হিসাবে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে বিভিন্ন হাসপাতালের দেয়া তথ্য অনুযায়ি এ সংখ্যা তিন গুনের বেশি।
স্বাধীনকে নিয়ে পরিবার আর সহপাঠীদের কান্না থামতে না থামতেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক মেধাবী শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল। ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী উখিংনু রাখাইন ক্যাম্পাসে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে কক্সবাজার গিয়েছিলেন পরিবারের পাশে থেকে চিকিৎসা নিতে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় গতকাল কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে ক্যাম্পাসে শোকের ছায়া নেমে আসে।
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স বিভাগের শিক্ষার্থী ফিরোজ কবির স্বাধীন। তিনি ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হলের ৪১৪ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র। হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মফিজুর রহমান জানিয়েছেন, স্বাধীন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে রাত ১০টার দিকে মৃত্যু হয়। গতকাল দুপুর পৌণে ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের সামনে তার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় অনুষদটির ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনের মৃত্যু কখনই কাম্য নয়। আমরা স্বাধীনের মৃত্যুতে শোকাহত। আল্লাহ তাকে জান্নাত নসিব করুক আর তার পরিবারকে এই শোক সহ্য করার শক্তি দিক। গতকাল দুপুরে স্বাধীনের রুমমেট লোক প্রশাসন বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র সুমন রহমান জানান, গত ১৮ই জুলাই স্বাধীন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। এরপর তাকে ডিএমসিতে ভর্তি করানো হয়। এরই মধ্যে তার পরিবার এসে তাকে দিনাজপুর মেডিকেলে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। কিন্তু ডাক্তার ততক্ষণে জানিয়ে দেন রোগী ক্রিটিক্যাল সিচুয়েশন ওভারকাম করছে। যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এরপর পরিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করে। সেখানে ২২ ঘন্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। স্বাধীনের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ে।
স্বাধীনের বোন জামাই আব্দুল মালেক মানবজমিনকে বলেন, স্বাধীন গত এক সপ্তাহ ধরে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনদিন ভর্তি ছিলো। অবস্থার অবনতি হলে গত বৃহস্পতিবার সেখান থেকে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল থেকে আমাদের বলা হয়েছিল প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা বিল আসবে। বাবা মায়ের পাশাপাশি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মিলে সিন্ধান্ত নেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। ঢাকা মেডিকেলের ডাক্তাররা তার রোগ সংক্রান্ত একটি সামারি পেপার্স দিলে সেটা আমরা স্কয়ার হাসপাতালের ডাক্তারদের দেখাই। ওই হাসপাতাল থেকে জানানো হয় রোগীর অবস্থা ৯৫ ভাগ খারাপ আর সুস্থ হওয়ার সুযোগ আছে ৫ ভাগ। এই অঅবস্থায় তাকে সেখানে ভর্তি করা হয়েছিল। তিনি বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায় মোট বিল হয়েছে ১লাখ ৮৬ হাজার টাকা। ৫৭ হাজার টাকা দিয়ে তাকে ভর্তি করি। বাকী ১ লাখ ২৯ হাজার টাকার বিষয়টি (ঢাবি) বঙ্গবন্ধু হল কর্তৃপক্ষ রফাদফা করে। ৪ ভাই বোনের মধ্যে স্বাধীন ছিল সবার ছোট। বাবা মো. দবিরুল ইসলাম পেশায় কৃষক। মা আলিয়া বেগম পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে শয্যাশায়ী। স্বাধীনের ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার বিষয়টিতে শুধুমাত্র তার পরিবার নয় পুরো এলাকার মানুষ শোকাগ্রস্ত। কারণ সে যে পরিবার থেকে উঠে এসেছে সেখানে শুধুমাত্র তার মেধার কারণেই আজ তার এতো পরিচিতি। তিনি বলেন, আমাদের এলাকায় তাকে অনুসরণ করে প্রায় শ খানেক ছেলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছে। তাদের ভর্তির বিষয়ে তথ্য দেয়া থেকে শুরু করে ঢাকাতে নিজ হলে থাকার ব্যবস্থা করা সবই করেছে স্বাধীন। অথচ সেই রত্নটিই আজ চলে গেলো।
স্বাধীনের সহপাঠীরা জানান, কিছুদিন আগে ধানের দাম কমে যাওয়ায় স্বাধীন বড় ভাইকে বলেছিলেন, ‘ধানের দাম কম ভাই। তোমারে আমি ক্ষেতে যাইতে দেবনা। আমি ৭০ হাজার টাকার চাকরি করবো। আর তোমাকে ভালো রাখব।’ স্বাধীনের বড় ভাই মৃত্যু সংবাদ শোনে হাসপাতালের করিডোরে ছোট ভাইয়ের শেষ কথাগুলো মনে করে আহাজারি করছিলেন আর বলছিলেন, ?‘ভাই তোর কিছু করা লাগবেনা। তুই আয়। আমি মাকে কী কমু?’ স্বাধীনের রুমমেট সুমন রহমান বলেন, সন্ধ্যার দিকে স্বাধীনের উন্নত চিকিৎসার খরচ জোগাতে বাবা হাসপাতাল থেকে গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁয়ের উদ্দেশে রওয়ানা হন জমি বিক্রি করতে। কিন্তু ঠাকুরগাঁও পৌঁছানোর আগে মাঝপথেই ছেলের মৃত্যু সংবাদ শুনেন তিনি। এদিকে স্বাধীনের মৃত্যুতে শোকের ছায় নেমে আসে গোটা ক্যম্পাসে।
জাবি ছাত্রীর মৃত্যু: ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ফার্মেসি বিভাগের ৪৮ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী উখিংনু রাখাইন মারা গেছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রীতিলতা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। শনিবার বেলা সাড়ে চারটার দিকে অসুস্থ অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম নেবার পথে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। উখিংনু রাখাইনের বাবা মংবা অং মংবা। তিনি কক্সবাজার জেলা পরিষদের কর্মকর্তা। উখিংনু তার একমাত্র কন্যা। তারা থাকেন কক্সবাজারেই। উখিংনুর বাবা বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয় উখিংনু কিছুদিন ভর্তি ছিলেন এনাম মেডিকেল কলেজে। জ্বর না কমায় তাকে বাড়িতে আনা হয়। সেখান থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে অবস্থা খারাপের দিকে গেলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে চট্টগ্রামে নেয়ার জন্য বলেন। চট্টগ্রামে নেয়ার পথে লোহাগড়ার আমিরাবাদ নামক স্থানে তার মৃত্যু হয়। উখিংনু রাখাইনের বন্ধু রিফাত খান বলেন, গত ১৭ই জুলাই অসুস্থ অবস্থায় উখিংনুকে এনাম মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাই আমরা। সেখানে পরীক্ষা করালে ডেঙ্গু ধরা পড়ে।
উল্লেখ্য, সরকারি হিসাবে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে বিভিন্ন হাসপাতালের দেয়া তথ্য অনুযায়ি এ সংখ্যা তিন গুনের বেশি।
No comments