ইসরাইল সন্ত্রাসের মূল কারণ: -মাহাথির মোহাম্মাদ
চার
দিনের সরকারি সফরে তুরস্ক গেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির
মোহাম্মাদ। তুরস্কের সাথে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সঙ্কট, চীনের
জিনজিয়াং প্রদেশ হিসেবে পরিচিত তুর্কস্তানের উইঘুর মুসলমানদের পরিস্থিতি
এবং ফিলিস্তিনের মতো বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে বার্তা সংস্থা আনাদোলুর সাথে
একান্ত সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে মালয়েশিয়ার আমদানির বিকল্প উৎস তুরস্ক হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন মুসলিম বিশ্বের প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ। তুরস্কে চার দিনব্যাপী সফরকালে রাজধানী আঙ্কারায় গত শুক্রবার মেহমেট ওজতুর্ক, সরোয়ার আলম ও জুহাল ডেমিরসি তার সাক্ষাৎকার নেন।
মাহাথির বলেন, আমরা অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করছি এমন কিছু জিনিস তুরস্ক থেকে আমদানি করার প্রচুর সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। তুরস্ক বিকল্প উৎস হতে পারে। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহ ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রসহ সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রযুক্তির আদান-প্রদান করা হবে।
মাহাথির বলেন, এটা স্পষ্ট সত্য যে, মিডিয়াতে বা টিভিতে ফিলিস্তিনি সমস্যা সম্পর্কে যথেষ্ট প্রচারণা হয়নি। ফিলিস্তিনের সমস্যা তুলে না ধরার জন্য গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে একটি চুক্তি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। অবশ্যই ইসরাইল রাষ্ট্রটি তৈরির জন্য কাদের কাছ থেকে কিভাবে ফিলিস্তিনের জমি দখল করা হয়েছিল তা উল্লেখ করা হচ্ছে না। পরে ইসরাইল ফিলিস্তিনের আরো জমি দখল করে আন্তর্জাতিক আইনের বিরুদ্ধে কাজ করেছে- এগুলো প্রায়ই উল্লেখ করা হয়নি। আমরা মনে করি যে সন্ত্রাসবাদের কারণগুলোর ওপরে আমাদের সর্বদা চাপ দেয়া উচিত।
ফিলিস্তিনি সঙ্কট নিয়ে মাহাথির আরো বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কিছু উপসাগরীয় দেশের প্রচারিত শতাব্দীর সেরা চুক্তি সমস্যাটির ব্যাপারে তাদের নিজেদের পক্ষে একটি প্রচারণা। স্পষ্টতই এতে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হওয়া সত্ত্বেও তারা যা করছে তা তারা ন্যায়সঙ্গত করতে চায়। সর্বোপরি এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াগুলোকে উপেক্ষা। ফিলিস্তিনিদের কাছ থেকে জমি দখল করা গণভোট বা এ ব্যাপারে পাওয়া জনমতের ফল নয়। সেই সময়ে ফিলিস্তিনে বসবাসকারী জনগণের চিন্তাভাবনা ও অনুভূতিকে বিচার-বিবেচনা ছাড়াই এই দেশটি ইসরাইলকে দিয়ে দেয়া হয়েছিল। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অনেক বড় অন্যায় সংঘটিত হয়েছে। অবৈধ উপায়ে ইসরাইলের সৃষ্টি সন্ত্রাসের মূল কারণ। ইসরাইলের উচিত পূর্ববর্তী ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের সম্পত্তি পুনরায় ফিরেয়ে দেয়া এবং ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে বসতি স্থাপন বন্ধ করা।
রোহিঙ্গা মুসলমানদের সমস্যা নিয়ে মাহাথির বলেন, মালয়েশিয়া সাধারণত অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চায় না। তবে মালয়েশিয়া গণহত্যা বা গণহত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে এবং মিয়ানমারে বিভিন্ন জাতির নাগরিকদের সাথে অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিক স্বীকৃতি দিয়ে সমস্যাটির নিষ্পত্তি করা দরকার। অবশ্যই রোহিঙ্গাদের হয় নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করা উচিত, অথবা নিজস্ব রাষ্ট্র গঠনের জন্য তাদের অঞ্চল দেয়া উচিত।
চীনের পূর্ব তুর্কিস্তানে উইঘুরদের দুর্দশা নিয়ে মাহাথির বলেন, আমাদের চীনকে বলা উচিত যে দয়া করে এই লোকদের নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করুন। তাদের আলাদা ধর্ম থাকার বিষয়টি তাদের প্রতি আচরণের ওপর প্রভাব ফেলবে না। মালয়েশিয়া বহু-ধর্মীয় দেশ, তবে সব ধর্ম অনুসারীদের সাথেই একইরকম আচরণ করা হয়। আমরা সর্বদা আলোচনার মাধ্যমে সালিস বা আইন আদালতের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি করার পক্ষে থাকি। কিন্তু যখন আপনি সহিংসতার আশ্রয় নেন, তখন কোনো ভালো সিদ্ধান্তের সন্ধান করা খুব কঠিন।
সাক্ষাৎকারে মালয়েশিয়ার আমদানির বিকল্প উৎস তুরস্ক হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন মুসলিম বিশ্বের প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ। তুরস্কে চার দিনব্যাপী সফরকালে রাজধানী আঙ্কারায় গত শুক্রবার মেহমেট ওজতুর্ক, সরোয়ার আলম ও জুহাল ডেমিরসি তার সাক্ষাৎকার নেন।
মাহাথির বলেন, আমরা অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করছি এমন কিছু জিনিস তুরস্ক থেকে আমদানি করার প্রচুর সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। তুরস্ক বিকল্প উৎস হতে পারে। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহ ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রসহ সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রযুক্তির আদান-প্রদান করা হবে।
মাহাথির বলেন, এটা স্পষ্ট সত্য যে, মিডিয়াতে বা টিভিতে ফিলিস্তিনি সমস্যা সম্পর্কে যথেষ্ট প্রচারণা হয়নি। ফিলিস্তিনের সমস্যা তুলে না ধরার জন্য গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে একটি চুক্তি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। অবশ্যই ইসরাইল রাষ্ট্রটি তৈরির জন্য কাদের কাছ থেকে কিভাবে ফিলিস্তিনের জমি দখল করা হয়েছিল তা উল্লেখ করা হচ্ছে না। পরে ইসরাইল ফিলিস্তিনের আরো জমি দখল করে আন্তর্জাতিক আইনের বিরুদ্ধে কাজ করেছে- এগুলো প্রায়ই উল্লেখ করা হয়নি। আমরা মনে করি যে সন্ত্রাসবাদের কারণগুলোর ওপরে আমাদের সর্বদা চাপ দেয়া উচিত।
ফিলিস্তিনি সঙ্কট নিয়ে মাহাথির আরো বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কিছু উপসাগরীয় দেশের প্রচারিত শতাব্দীর সেরা চুক্তি সমস্যাটির ব্যাপারে তাদের নিজেদের পক্ষে একটি প্রচারণা। স্পষ্টতই এতে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হওয়া সত্ত্বেও তারা যা করছে তা তারা ন্যায়সঙ্গত করতে চায়। সর্বোপরি এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াগুলোকে উপেক্ষা। ফিলিস্তিনিদের কাছ থেকে জমি দখল করা গণভোট বা এ ব্যাপারে পাওয়া জনমতের ফল নয়। সেই সময়ে ফিলিস্তিনে বসবাসকারী জনগণের চিন্তাভাবনা ও অনুভূতিকে বিচার-বিবেচনা ছাড়াই এই দেশটি ইসরাইলকে দিয়ে দেয়া হয়েছিল। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অনেক বড় অন্যায় সংঘটিত হয়েছে। অবৈধ উপায়ে ইসরাইলের সৃষ্টি সন্ত্রাসের মূল কারণ। ইসরাইলের উচিত পূর্ববর্তী ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের সম্পত্তি পুনরায় ফিরেয়ে দেয়া এবং ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে বসতি স্থাপন বন্ধ করা।
রোহিঙ্গা মুসলমানদের সমস্যা নিয়ে মাহাথির বলেন, মালয়েশিয়া সাধারণত অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চায় না। তবে মালয়েশিয়া গণহত্যা বা গণহত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে এবং মিয়ানমারে বিভিন্ন জাতির নাগরিকদের সাথে অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিক স্বীকৃতি দিয়ে সমস্যাটির নিষ্পত্তি করা দরকার। অবশ্যই রোহিঙ্গাদের হয় নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করা উচিত, অথবা নিজস্ব রাষ্ট্র গঠনের জন্য তাদের অঞ্চল দেয়া উচিত।
চীনের পূর্ব তুর্কিস্তানে উইঘুরদের দুর্দশা নিয়ে মাহাথির বলেন, আমাদের চীনকে বলা উচিত যে দয়া করে এই লোকদের নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করুন। তাদের আলাদা ধর্ম থাকার বিষয়টি তাদের প্রতি আচরণের ওপর প্রভাব ফেলবে না। মালয়েশিয়া বহু-ধর্মীয় দেশ, তবে সব ধর্ম অনুসারীদের সাথেই একইরকম আচরণ করা হয়। আমরা সর্বদা আলোচনার মাধ্যমে সালিস বা আইন আদালতের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি করার পক্ষে থাকি। কিন্তু যখন আপনি সহিংসতার আশ্রয় নেন, তখন কোনো ভালো সিদ্ধান্তের সন্ধান করা খুব কঠিন।
No comments