ভারতের ১৩২টি গ্রামে তিন মাসে কোন মেয়ে শিশু জন্মায়নি
ভারতের
উত্তরাঞ্চলীয় একটি জেলায় ১৩২টি গ্রামে মেয়ে শিশুর জন্ম ঠেকাতে গর্ভপাত করা
হচ্ছে কি না, সেটা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন ম্যাজিস্ট্রেটরা। সরকারী তথ্যে
দেখা গেছে যে, গত তিন মাসে ওই এলাকায় যে ২১৬টি শিশুর জন্ম হয়েছে, তার মধ্যে
কোন মেয়ে নেই। এরপরই ওই তদন্ত শুরু করা হয়।
উত্তরখান্ড রাজ্যের উত্তরকাশীর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন যে, সরকারী হিসেব অনুযায়ী ওই এলাকার জন্মহার ‘উদ্বেগজনক’ এবং সেখানে গণহারে মেয়ে শিশুর ভ্রুণ ধ্বংস করা হচ্ছে।
১৯৯৪ সালে ভারতে মেয়ে শিশুর ভ্রুণ নষ্ট করার বিষয়টিকে নিষিদ্ধ করা হয় কিন্তু দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই চর্চা রয়ে গেছে। কারণ এই সব জায়গায় পিতামাতা ছেলেদের রোজগারের শক্তি হিসেবে এবং মেয়েদের দায় হিসেবে বিবেচনা করে থাকে।
২০১১ সালে চালানো সবশেষ আদমশুমারিতে দেখা গেছে যে, ভারতে প্রতি ১০০০ পুরুষের বিপরীতে নারী রয়েছে মাত্র ৯৪৩ জন।
উত্তরখান্ডের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আশিশ চৌহান বলেন, ওই এলাকার মেয়ে শিশু জন্মগ্রহণের যে তথ্য স্থানীয় স্বাস্থ্য দফতর সংগ্রহ করেছে, সেটা দেখলে “এই সন্দেহ আরও জোরালো হয়েছে যে, সেখানে মেয়ে শিশুর ভ্রুণ ধ্বংস করা হচ্ছে”।
১৩২টি গ্রামে গত তিন মাসে কোন মেয়ে শিশুর জন্ম হয়নি, যেটাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর অর্থ হলো স্থানীয় তথ্য আবার পুনরায় যাচাই করা হবে এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের সেখানে আরও চোখ কান খোলা রাখতে বলা হয়েছে।
মেয়ে ভ্রুণ হত্যার দায়ে কোন পিতামাতা যদি ধরা পড়েন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। চৌহান টিএনএন বার্তা সংস্থাকে এ কথা বলেন।
আইনসভার সদস্য গোপাল রাওয়াত বলেন: “১৩২টি গ্রামে মেয়ে শিশুর জন্মহার শূণ্য হওয়ার বিষয়টি আতঙ্কিত হওয়ার মতো। কারণ পাহাড়ি এলাকায় আমরা মেয়ে শিশুর ভ্রুণ হত্যার ঘটনা তেমন শুনিনি।
“স্বাস্থ্য বিভাগকে আমি নির্দেশ দিয়েছি যাতে এই ঘটনার আসল কারণ খুঁজে বের করা হয় এবং সেটা নিরসনে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হয়”।
তিনি আরও বলেন, কর্তৃপক্ষ বড় ধরনের সচেতনতা প্রচারণা শুরু করবে যাতে এই ধারাটা বদলে দেয়া যায়।
গত বছর ভারত সরকারের এক রিপোর্টে দেখা গেছে যে, প্রায় ৬৩ মিলিয়ন নারী দেশের জনসংখ্যার পরিসংখ্যান থেকে ‘হারিয়ে গেছে’ কারণ জনগণ ছেলে শিশুর জন্মকে প্রাধান্য দিচ্ছে।
রিপোর্টে বলা হয়, “ছেলেকে প্রাধান্য দেয়ার বিষয়টি ভারতীয় সমাজের একটি বিষয়, যেটা নিয়ে সামগ্রিকভাবে ভেবে দেখা দরকার”।
উত্তরখান্ড রাজ্যের উত্তরকাশীর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন যে, সরকারী হিসেব অনুযায়ী ওই এলাকার জন্মহার ‘উদ্বেগজনক’ এবং সেখানে গণহারে মেয়ে শিশুর ভ্রুণ ধ্বংস করা হচ্ছে।
১৯৯৪ সালে ভারতে মেয়ে শিশুর ভ্রুণ নষ্ট করার বিষয়টিকে নিষিদ্ধ করা হয় কিন্তু দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই চর্চা রয়ে গেছে। কারণ এই সব জায়গায় পিতামাতা ছেলেদের রোজগারের শক্তি হিসেবে এবং মেয়েদের দায় হিসেবে বিবেচনা করে থাকে।
২০১১ সালে চালানো সবশেষ আদমশুমারিতে দেখা গেছে যে, ভারতে প্রতি ১০০০ পুরুষের বিপরীতে নারী রয়েছে মাত্র ৯৪৩ জন।
উত্তরখান্ডের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আশিশ চৌহান বলেন, ওই এলাকার মেয়ে শিশু জন্মগ্রহণের যে তথ্য স্থানীয় স্বাস্থ্য দফতর সংগ্রহ করেছে, সেটা দেখলে “এই সন্দেহ আরও জোরালো হয়েছে যে, সেখানে মেয়ে শিশুর ভ্রুণ ধ্বংস করা হচ্ছে”।
১৩২টি গ্রামে গত তিন মাসে কোন মেয়ে শিশুর জন্ম হয়নি, যেটাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর অর্থ হলো স্থানীয় তথ্য আবার পুনরায় যাচাই করা হবে এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের সেখানে আরও চোখ কান খোলা রাখতে বলা হয়েছে।
মেয়ে ভ্রুণ হত্যার দায়ে কোন পিতামাতা যদি ধরা পড়েন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। চৌহান টিএনএন বার্তা সংস্থাকে এ কথা বলেন।
আইনসভার সদস্য গোপাল রাওয়াত বলেন: “১৩২টি গ্রামে মেয়ে শিশুর জন্মহার শূণ্য হওয়ার বিষয়টি আতঙ্কিত হওয়ার মতো। কারণ পাহাড়ি এলাকায় আমরা মেয়ে শিশুর ভ্রুণ হত্যার ঘটনা তেমন শুনিনি।
“স্বাস্থ্য বিভাগকে আমি নির্দেশ দিয়েছি যাতে এই ঘটনার আসল কারণ খুঁজে বের করা হয় এবং সেটা নিরসনে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হয়”।
তিনি আরও বলেন, কর্তৃপক্ষ বড় ধরনের সচেতনতা প্রচারণা শুরু করবে যাতে এই ধারাটা বদলে দেয়া যায়।
গত বছর ভারত সরকারের এক রিপোর্টে দেখা গেছে যে, প্রায় ৬৩ মিলিয়ন নারী দেশের জনসংখ্যার পরিসংখ্যান থেকে ‘হারিয়ে গেছে’ কারণ জনগণ ছেলে শিশুর জন্মকে প্রাধান্য দিচ্ছে।
রিপোর্টে বলা হয়, “ছেলেকে প্রাধান্য দেয়ার বিষয়টি ভারতীয় সমাজের একটি বিষয়, যেটা নিয়ে সামগ্রিকভাবে ভেবে দেখা দরকার”।
No comments