হজক্যাম্পে বসে কাঁদছেন ৫ নারী হজযাত্রী
ঢাকার
আশকোনায় হজক্যাম্পে এসে হজে যাওয়ার অপেক্ষায় আছেন প্রতারণার শিকার
দিনাজপুরের ২০ জন হজযাত্রী। এদের মধ্যে ৫ জন নারী। প্রতারণার শিকার হয়ে
কোনো উপায়ান্তর না পেয়ে হজক্যাম্পে এসে কান্নাকাটি করছিলেন তারা।
জানা যায়, গত শুক্রবার থেকে আশকোনার একটি হোটেলে অবস্থান করছেন তারা। কিন্তু গত ৪/৫ দিনেও এজেন্সীর কোনো লোকজন তাদের খোঁজ নেয়নি। কোনো উপায়ান্তর না দেখে মঙ্গলবার সকালে হজ অফিসের সামনে এসে অবস্থান নেন তারা। এতোদিনে মক্কায় পৌছানোর কথা থাকলেও এজেন্সীর প্রতারণায় যেতে না পেরে ব্যাকুল মনে অঝোঁরে কাঁদছেন ২০ জনের দলে থাকা ৫ নারী হজযাত্রী।
প্রতারণার শিকার এই দলের এক নারী হজযাত্রীর নাম জোলেখা বেগম। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, বড় আশা করে হজের নিয়্যতে টাকা-পয়সা জমা দিয়েছিলাম। গত পাঁচদিন ধরেই আমরা অপেক্ষা করছি। কিন্তু এখনো জানি না আমরা এবছর হজে যেতে পারবো কিনা? তিনি আরো জানান, আমরা মহিলা মানুষ। সব জায়গায় যেতেও পারি না। অথচ ৫ দিন ধরে ঢাকায় আছি। আমরা ৫ জন নারী অনেক কষ্টে আছি।
আবদুল মতিন মন্ডল নামের এক হজযাত্রী জানান, তিনি একটি মাদরাসার প্রিন্সিপাল। তিনি বলেন, আমি সব জায়গায় ছুটির দরখাস্ত দিয়ে হজে যাওয়ার জন্য ঢাকায় এসেছি। এখন শুনতে পাচ্ছি আমাকে ও আমার স্ত্রীসহ অন্যান্য হজযাত্রীদের বাদ দিয়ে নতুন হাজী রিপ্লেসমেন্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
একই সমস্যার কথা জানালেন এই গ্রুপের হজযাত্রী মোঃ মাহবুবুর রহমান, তোজাম্মেল হক, কবির উদ্দিন, আবদুল গফুরসহ অন্যরাও। তারা অভিযোগ করেন, হজে যাওয়ার জন্য তারা প্রত্যেকেই তাওসীফ ট্রাভেলসকে (লাইসেন্স নং ১৩৯১) তিন লাখ করে টাকা দিয়েছেন। কিন্তু এই এসেন্সী টাকা-পয়সা নিয়ে আমাদের প্রত্যেকের নামে ট্র্যাকিং নম্বর ও পিআইডি নম্বর করেছেন জাবালে নূর (লাইসেন্স নং ৮৪৭) এসেন্সীর মাধ্যমে। কিন্তু তাওসীফের মালিক বলছেন- তারা সব টাকা জাবালে নূরকে দিয়েছেন। অন্যদিকে জাবালে নূর এজেন্সীর মালিক বলছেন- আমরা সবার পুরো টাকা পাইনি।
দুই এসেন্সীর টানাপোড়নে এই ২০ হজযাত্রীর হজে যাওয়াই এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। হজ অফিসের একটি সূত্র জানায়, এই ২০ হজযাত্রীকে বাদ দিয়ে তাদের পরিবর্তে নতুন করে অন্য হজযাত্রী রিপ্লেস করার (নেয়ার) চেষ্টা করছে জাবালে নূর এজেন্সী। এদের নামে এখনো ভিসার প্রক্রিয়াই শুরু করেনি এসেন্সী। যদিও আজ মঙ্গরবারই ভিসার আবেদনের শেষ দিন।
দিনাজপুরের ১৫ জন এবং পীরগঞ্জের ৫ জন মিলে এই ২০ জন হজযাত্রী গত শুক্রবার বিকেলে ঢাকায় এসে উঠেছেন আশকোনার মোহনা নামের একটি আবাসিক হোটেলে। প্রতিদিনই তাদের হোটেল ভাড়া ও খাওয়ার খরচ হিসেবে গুণতে হচ্ছে বড় অংকের টাকা। মক্কায় কুরবানি এবং মদিনায় খরচের জন্য তারা সাথে যে টাকা নিয়ে এসেছেন সেই টাকাও শেষ হওয়ার পথে।
এ বিষয়ে ঢাকার হজ অফিসের পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম নয়া দিগন্ত অনলাইনকে বলেন, এই ২০ হজযাত্রীর সমস্যাটি আমাকে জানানো হয়েছে। আমি অভিযুক্ত ঐ দুই এসেন্সীকেই ডেকেছিলাম। আজকে আবারও তাদের ডেকেছি। এই দুই এজেন্সীর মধ্যে টাকার লেনদেন নিয়ে ঝামেলা আছে। তবে আমরা হজ অফিস থেকে বলে দিয়েছি, নিজেদের মধ্যে যত ঝামেলা থাকুক সেটা আমরা নিজেরা দ্রুত মিমাংসা করে এই হজযাত্রীদের নির্ধারিত সময়ে হজে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় দুই এজেন্সীর বিরুদ্ধেই আমরা ব্যবস্থা নেব।
জানা যায়, গত শুক্রবার থেকে আশকোনার একটি হোটেলে অবস্থান করছেন তারা। কিন্তু গত ৪/৫ দিনেও এজেন্সীর কোনো লোকজন তাদের খোঁজ নেয়নি। কোনো উপায়ান্তর না দেখে মঙ্গলবার সকালে হজ অফিসের সামনে এসে অবস্থান নেন তারা। এতোদিনে মক্কায় পৌছানোর কথা থাকলেও এজেন্সীর প্রতারণায় যেতে না পেরে ব্যাকুল মনে অঝোঁরে কাঁদছেন ২০ জনের দলে থাকা ৫ নারী হজযাত্রী।
প্রতারণার শিকার এই দলের এক নারী হজযাত্রীর নাম জোলেখা বেগম। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, বড় আশা করে হজের নিয়্যতে টাকা-পয়সা জমা দিয়েছিলাম। গত পাঁচদিন ধরেই আমরা অপেক্ষা করছি। কিন্তু এখনো জানি না আমরা এবছর হজে যেতে পারবো কিনা? তিনি আরো জানান, আমরা মহিলা মানুষ। সব জায়গায় যেতেও পারি না। অথচ ৫ দিন ধরে ঢাকায় আছি। আমরা ৫ জন নারী অনেক কষ্টে আছি।
আবদুল মতিন মন্ডল নামের এক হজযাত্রী জানান, তিনি একটি মাদরাসার প্রিন্সিপাল। তিনি বলেন, আমি সব জায়গায় ছুটির দরখাস্ত দিয়ে হজে যাওয়ার জন্য ঢাকায় এসেছি। এখন শুনতে পাচ্ছি আমাকে ও আমার স্ত্রীসহ অন্যান্য হজযাত্রীদের বাদ দিয়ে নতুন হাজী রিপ্লেসমেন্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
একই সমস্যার কথা জানালেন এই গ্রুপের হজযাত্রী মোঃ মাহবুবুর রহমান, তোজাম্মেল হক, কবির উদ্দিন, আবদুল গফুরসহ অন্যরাও। তারা অভিযোগ করেন, হজে যাওয়ার জন্য তারা প্রত্যেকেই তাওসীফ ট্রাভেলসকে (লাইসেন্স নং ১৩৯১) তিন লাখ করে টাকা দিয়েছেন। কিন্তু এই এসেন্সী টাকা-পয়সা নিয়ে আমাদের প্রত্যেকের নামে ট্র্যাকিং নম্বর ও পিআইডি নম্বর করেছেন জাবালে নূর (লাইসেন্স নং ৮৪৭) এসেন্সীর মাধ্যমে। কিন্তু তাওসীফের মালিক বলছেন- তারা সব টাকা জাবালে নূরকে দিয়েছেন। অন্যদিকে জাবালে নূর এজেন্সীর মালিক বলছেন- আমরা সবার পুরো টাকা পাইনি।
দুই এসেন্সীর টানাপোড়নে এই ২০ হজযাত্রীর হজে যাওয়াই এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। হজ অফিসের একটি সূত্র জানায়, এই ২০ হজযাত্রীকে বাদ দিয়ে তাদের পরিবর্তে নতুন করে অন্য হজযাত্রী রিপ্লেস করার (নেয়ার) চেষ্টা করছে জাবালে নূর এজেন্সী। এদের নামে এখনো ভিসার প্রক্রিয়াই শুরু করেনি এসেন্সী। যদিও আজ মঙ্গরবারই ভিসার আবেদনের শেষ দিন।
দিনাজপুরের ১৫ জন এবং পীরগঞ্জের ৫ জন মিলে এই ২০ জন হজযাত্রী গত শুক্রবার বিকেলে ঢাকায় এসে উঠেছেন আশকোনার মোহনা নামের একটি আবাসিক হোটেলে। প্রতিদিনই তাদের হোটেল ভাড়া ও খাওয়ার খরচ হিসেবে গুণতে হচ্ছে বড় অংকের টাকা। মক্কায় কুরবানি এবং মদিনায় খরচের জন্য তারা সাথে যে টাকা নিয়ে এসেছেন সেই টাকাও শেষ হওয়ার পথে।
এ বিষয়ে ঢাকার হজ অফিসের পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম নয়া দিগন্ত অনলাইনকে বলেন, এই ২০ হজযাত্রীর সমস্যাটি আমাকে জানানো হয়েছে। আমি অভিযুক্ত ঐ দুই এসেন্সীকেই ডেকেছিলাম। আজকে আবারও তাদের ডেকেছি। এই দুই এজেন্সীর মধ্যে টাকার লেনদেন নিয়ে ঝামেলা আছে। তবে আমরা হজ অফিস থেকে বলে দিয়েছি, নিজেদের মধ্যে যত ঝামেলা থাকুক সেটা আমরা নিজেরা দ্রুত মিমাংসা করে এই হজযাত্রীদের নির্ধারিত সময়ে হজে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় দুই এজেন্সীর বিরুদ্ধেই আমরা ব্যবস্থা নেব।
No comments