আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার চুক্তি শিগগিরই, বলছে তালেবান
তালেবানরা
বলেছে, আফগানিস্তানে বিদেশী সেনার উপস্থিতি শেষ করার জন্য একটা চুক্তির
প্রায় দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে তারা, যদিও এখন পর্যন্ত সহিংসতা বন্ধের কোন
লক্ষণ দেখাচ্ছে না।
দোহাতে তালেবানদের রাজনৈতিক অফিসের মুখপাত্র মোহাম্মদ সুহাইল শাহীন গত ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার টেলিফোনে বলেন, “আমরা অনেক কাছাকাছি চলে এসেছি। যুক্তরাষ্ট্র যদি “একটা যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য প্রস্তাব দেয়, তাহলে শিগগিরই শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হতে পারে”।
চলতি মাসের শুরুর দিকে দোহায় সবশেষ আলোচনা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানদের। পরবর্তী দফা আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে এখন তারা। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি বুধবার এক টেলিফোন আলাপে একমত হয়েছেন যে, “আফগানিস্তানের যুদ্ধের ইতি টানার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টার এখনই সময়”।মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
ফক্স নিউজে এক সাক্ষাতকারে পম্পেও বৃহস্পতিবার বলেছেন যে, সেপ্টেম্বর নাগাদ একটা চুক্তিতে পৌঁছার ব্যাপারে ‘প্রকৃত অগ্রগতি’ হয়েছে, যেখানে ‘সঙ্ঘাত সম্পূর্ণরূপে দূর হওয়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে’। এর মাধ্যমে আফগান-অভ্যন্তরীণ শান্তি আলোচনা শুরু হবে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র বাহিনীগুলোর সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
সেনা ক্ষয়
আফগানিস্তানে ২০০১ সাল থেকে ২৪০০ এরও বেশি সেনার প্রাণ হারানো এবং ৯০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ব্যয় করার পর যুক্তরাষ্ট্র এখন যুদ্ধে হেরে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন সমালোচকরা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার প্রায় ১৮ বছরের যুদ্ধকে ‘হাস্যকার’ আখ্যা দিয়ে বলেন, তিনি এক সপ্তাহের মধ্যেই যুদ্ধ জিততে পারেন কিন্তু তিনি “১০ মিলিয়ন মানুষকে হত্যা করতে চান না”। ঘানির অফিস থেকে বলা হয়েছে যে, “আফগানিস্তান কখনও কোন বিদেশী শক্তিকে তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করতে দেবে না”।
আফগানিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন দূত জালমাই খলিলজাদ সাম্প্রতিক আলোচনাকে এ যাবতকালের মধ্যে সবচেয়ে ফলপ্রসু আখ্যা দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে তালেবানদেরকে এই প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে তারা আল কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের মতো সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর তৎপরতা বন্ধ করবে এবং আফগানিস্তানকে কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠিকে ব্যবহার করতে দেবে না।
সমঝোতামূলক ভাষা ব্যবহার করা হলেও তালেবানরা জোর দিয়ে বলছে যে, আফগানিস্তানের মাটিতে তারা একজন বিদেশী সেনাকেও থাকতে দেবে না। কাবুলের সরকারের মধ্যে একটা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্র তাদেরকে সশস্ত্র বিরোধী গ্রুপের হাতে সঁপে দিয়ে যাচ্ছে।
>>>হেনরি মেয়ের, এলতাফ নাজাফিজাদা
দোহাতে তালেবানদের রাজনৈতিক অফিসের মুখপাত্র মোহাম্মদ সুহাইল শাহীন গত ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার টেলিফোনে বলেন, “আমরা অনেক কাছাকাছি চলে এসেছি। যুক্তরাষ্ট্র যদি “একটা যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য প্রস্তাব দেয়, তাহলে শিগগিরই শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হতে পারে”।
চলতি মাসের শুরুর দিকে দোহায় সবশেষ আলোচনা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানদের। পরবর্তী দফা আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে এখন তারা। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি বুধবার এক টেলিফোন আলাপে একমত হয়েছেন যে, “আফগানিস্তানের যুদ্ধের ইতি টানার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টার এখনই সময়”।মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
ফক্স নিউজে এক সাক্ষাতকারে পম্পেও বৃহস্পতিবার বলেছেন যে, সেপ্টেম্বর নাগাদ একটা চুক্তিতে পৌঁছার ব্যাপারে ‘প্রকৃত অগ্রগতি’ হয়েছে, যেখানে ‘সঙ্ঘাত সম্পূর্ণরূপে দূর হওয়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে’। এর মাধ্যমে আফগান-অভ্যন্তরীণ শান্তি আলোচনা শুরু হবে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র বাহিনীগুলোর সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
সেনা ক্ষয়
আফগানিস্তানে ২০০১ সাল থেকে ২৪০০ এরও বেশি সেনার প্রাণ হারানো এবং ৯০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ব্যয় করার পর যুক্তরাষ্ট্র এখন যুদ্ধে হেরে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন সমালোচকরা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার প্রায় ১৮ বছরের যুদ্ধকে ‘হাস্যকার’ আখ্যা দিয়ে বলেন, তিনি এক সপ্তাহের মধ্যেই যুদ্ধ জিততে পারেন কিন্তু তিনি “১০ মিলিয়ন মানুষকে হত্যা করতে চান না”। ঘানির অফিস থেকে বলা হয়েছে যে, “আফগানিস্তান কখনও কোন বিদেশী শক্তিকে তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করতে দেবে না”।
আফগানিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন দূত জালমাই খলিলজাদ সাম্প্রতিক আলোচনাকে এ যাবতকালের মধ্যে সবচেয়ে ফলপ্রসু আখ্যা দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে তালেবানদেরকে এই প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে তারা আল কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের মতো সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর তৎপরতা বন্ধ করবে এবং আফগানিস্তানকে কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠিকে ব্যবহার করতে দেবে না।
সমঝোতামূলক ভাষা ব্যবহার করা হলেও তালেবানরা জোর দিয়ে বলছে যে, আফগানিস্তানের মাটিতে তারা একজন বিদেশী সেনাকেও থাকতে দেবে না। কাবুলের সরকারের মধ্যে একটা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্র তাদেরকে সশস্ত্র বিরোধী গ্রুপের হাতে সঁপে দিয়ে যাচ্ছে।
>>>হেনরি মেয়ের, এলতাফ নাজাফিজাদা
No comments