লিবিয়ার অভিবাসী শিবিরে হামলায় থাকতে পারেন বাংলাদেশিও
লিবিয়ার
ত্রিপোলি উপকন্ঠে অভিবাসী বন্দী শিবিরে বিমান হামলায় নিহত ৪০ অভিবাসীর
মধ্যে বাংলাদেশি আছেন কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। মঙ্গলবারের ওই হামলায়
নিহতদের বেশিরভাগই আফ্রিকা অঞ্চলের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তবে তাতে
বাংলাদেশি থাকতে পারেন- এই আশঙ্কায় ওই এলাকায় দূতাবাসের একজন কর্মকর্তাকে
পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ঢাকায় প্রাপ্ত
রিপোর্ট বলছে, ওই ঘটনায় কয়েক জন এশিয়ান রয়েছেন বলে তথ্য মিলেছে। এর আগে গত
সোমবারও ওই এলাকায় বিমান হামলা হয়েছে। তাতেও হতাহতের ঘটনা রয়েছে।
ত্রিপোলিতে প্রায় প্রতিদিনই সরকারপন্থী মিলিশিয়া ও দেশটির এক সশস্ত্র
গোষ্ঠীর নেতা খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির মধ্যে
লড়াই চলছে। জাতিসংঘ সমর্থিত দেশটির সরকারের প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল-সেরাজ
অভিযোগ করেন, স্বনিয়ন্ত্রিত লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এলএনএ) অভিবাসী শিবিরে
হামলা চালিয়েছে।
তবে খলিফা হাফতার নেতৃত্বাধীন ওই বাহিনী এলএনএ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, যে এলাকায় হামলাটি হয়েছে সেখানেই সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ছেন তারা। পাল্টাপাল্টি এ অভিযোগের মধ্যে অভিবাসীদের প্রাণ যাচ্ছে।
ঢাকার কর্মকর্তারা বলছেন, যুদ্ধাবস্থায় দূতাবাসের তরফে বাংলাদেশিদের সময় সময় নোটিশ করা হচ্ছে। তাদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতির অবনতিতে বাংলাদেশিদের সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়াও থমকে গেছে! তবে গত ক’দিনে শ’ খানেক বাংলাদেশি দেশে ফিরতে পেয়েছেন। আরও কয়েক শ’ ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন। বাংলাদেশ দূতাবাসের দায়িত্বপ্রাপ্তরা জানান, এপ্রিলের সূচনাতে যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতিতে সেখানে অতীব জরুরি সতর্কতা (স্টেট অব এলার্ট) ঘোষণা করে সরকার। এ অবস্থায় লিবিয়ার ত্রিপোলী ও এর পার্শ্ববর্তী শহরসমূহে বসবাসরত সকল প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাবধানতা অবলম্বন ও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে নোটিশ জারি করে বাংলাদেশ দূতাবাস।
সে সময় দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলাজনিত পরিস্থিতির কারণে লিবিয়ার সরকার অতীব জরুরি সতর্কতা ঘোষণা করেছে। স্ব-স্ব নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের স্বার্থে এবং যেকোনো অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়াতে ত্রিপোলী ও এর পার্শ্ববর্তী শহরসমূহে বসবাসরত সকল প্রবাসী বাংলাদেশিকে রাস্তাঘাটে চলাফেরা সীমিত করে যথাসম্ভব সাবধানতা অবলম্বন ও সতর্কভাবে বাসায় অবস্থান করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। দূতাবাস ওই সময়ই লিবিয়ায় থাকা প্রবাসীদের যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে দূতাবাসের হটলাইন নাম্বার +২১৮৯১৬৯৯৪২০৭ ও +২১৮৯১০০১৩৯৬৮ যোগাযোগ করতে বিশেষভাবে অনুরোধ করে। বুধবার এক কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন, আগের সতর্কতা কেবল বলবৎই নয়, এখন এটি মানতে বাংলাদেশিদের মাঝে রীতিমত ক্যাম্পেইন চলছে। নিরাপত্তার স্বার্থেই এটি করা হচ্ছে।
কর্মকর্তারা জানান, উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ায় যুদ্ধাবস্থার মুখে ভয় ও আতঙ্কে দলে দলে দেশ ছাড়ছেন বিদেশীরা। মঙ্গলবার সকালে ২৯ বাংলাদেশীর একটি দল নিরাপদে ঢাকায় পৌছায়। তার্কিশ এয়ারে তারা ঢাকা পৌঁছান। সহিংসতা থেকে প্রাণে বাঁচতে কেবল ত্রিপোলী থেকেই প্রায় ১০ হাজার অভিবাসী পালাচ্ছেন জানিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে রিপোর্ট হয়েছে। ওই অভিবাসীদের মধ্যে কেউ কেউ মানবপাচারের শিকার বা মানবপাচারকারীদের সহায়তায় ইউরোপ পাড়ি দেয়ার চেষ্টায় রয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে।
তবে খলিফা হাফতার নেতৃত্বাধীন ওই বাহিনী এলএনএ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, যে এলাকায় হামলাটি হয়েছে সেখানেই সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ছেন তারা। পাল্টাপাল্টি এ অভিযোগের মধ্যে অভিবাসীদের প্রাণ যাচ্ছে।
ঢাকার কর্মকর্তারা বলছেন, যুদ্ধাবস্থায় দূতাবাসের তরফে বাংলাদেশিদের সময় সময় নোটিশ করা হচ্ছে। তাদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতির অবনতিতে বাংলাদেশিদের সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়াও থমকে গেছে! তবে গত ক’দিনে শ’ খানেক বাংলাদেশি দেশে ফিরতে পেয়েছেন। আরও কয়েক শ’ ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন। বাংলাদেশ দূতাবাসের দায়িত্বপ্রাপ্তরা জানান, এপ্রিলের সূচনাতে যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতিতে সেখানে অতীব জরুরি সতর্কতা (স্টেট অব এলার্ট) ঘোষণা করে সরকার। এ অবস্থায় লিবিয়ার ত্রিপোলী ও এর পার্শ্ববর্তী শহরসমূহে বসবাসরত সকল প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাবধানতা অবলম্বন ও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে নোটিশ জারি করে বাংলাদেশ দূতাবাস।
সে সময় দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলাজনিত পরিস্থিতির কারণে লিবিয়ার সরকার অতীব জরুরি সতর্কতা ঘোষণা করেছে। স্ব-স্ব নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের স্বার্থে এবং যেকোনো অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়াতে ত্রিপোলী ও এর পার্শ্ববর্তী শহরসমূহে বসবাসরত সকল প্রবাসী বাংলাদেশিকে রাস্তাঘাটে চলাফেরা সীমিত করে যথাসম্ভব সাবধানতা অবলম্বন ও সতর্কভাবে বাসায় অবস্থান করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। দূতাবাস ওই সময়ই লিবিয়ায় থাকা প্রবাসীদের যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে দূতাবাসের হটলাইন নাম্বার +২১৮৯১৬৯৯৪২০৭ ও +২১৮৯১০০১৩৯৬৮ যোগাযোগ করতে বিশেষভাবে অনুরোধ করে। বুধবার এক কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন, আগের সতর্কতা কেবল বলবৎই নয়, এখন এটি মানতে বাংলাদেশিদের মাঝে রীতিমত ক্যাম্পেইন চলছে। নিরাপত্তার স্বার্থেই এটি করা হচ্ছে।
কর্মকর্তারা জানান, উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ায় যুদ্ধাবস্থার মুখে ভয় ও আতঙ্কে দলে দলে দেশ ছাড়ছেন বিদেশীরা। মঙ্গলবার সকালে ২৯ বাংলাদেশীর একটি দল নিরাপদে ঢাকায় পৌছায়। তার্কিশ এয়ারে তারা ঢাকা পৌঁছান। সহিংসতা থেকে প্রাণে বাঁচতে কেবল ত্রিপোলী থেকেই প্রায় ১০ হাজার অভিবাসী পালাচ্ছেন জানিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে রিপোর্ট হয়েছে। ওই অভিবাসীদের মধ্যে কেউ কেউ মানবপাচারের শিকার বা মানবপাচারকারীদের সহায়তায় ইউরোপ পাড়ি দেয়ার চেষ্টায় রয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে।
No comments