রাখাইন ফ্রন্টে আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে
উত্তর রাখাইনের রাথেদং, কিয়াকতাও ও মিনবায়ায় রোববার মিয়ানমার সামরিক বাহিনী ও আরাকান আর্মির (এএ) মধ্যে প্রচণ্ড সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে।
আরাকান আর্মি জানিয়েছে, রোববার সকাল ১০টায় রাথেদং টাউনশিপের দুটি স্থানে সংঘর্ষ হয়।
আরাকান আর্মির তথ্য কর্মকর্তা খিং থু খা বলেন, কিয়াকতার মিন থার তুং গ্রামে এবং মিনবায়ার থাজি ও সু তামার গ্রামগুলোর মধ্যকার পার্বত্য এলাকায়ও প্রবল সংঘর্ষ হয়েছে।
তিনি ইরাবতীকে বলেন, চারটি স্থানে সংঘর্ষ হয়েছে। এর দুটি রাথেদং এবং একটি কিয়াকতা ও মিনবায়ায়। সংঘর্ষগুলো ছিল খুবই তীব্র। মিনবায়ার সংঘর্ষটি সকালে শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে।
মিনবায়া টাউনশিপের রাখাইন রাজ্যের আইন প্রণেতা ইউ হ্লা থিন আঙ ইরাবতীকে বলেন, থাজি ও সু খিন গ্রামের ভেতরে ও আশপাশের এলাকার গ্রামের লোকজন সংঘর্ষের কারণে পালিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, সোমবারও সংঘর্ষ অব্যাহত ছিল। আমরা কামানের গর্জন শুনতে পেয়েছি। আশপাশের গ্রামবাসীরা মিন পু গ্রামে পালিয়ে গেছে। রোববার সারা দিন সংঘর্ষ হয়েছে।
রাথেদং টাউনশিপের অধিবাসীরা নিরাপদ স্থানে পালিয়ে গেছে বলে স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানিয়েছে।
দুই পক্ষ চিন রাজ্যের প্যালেতওয়া টাউনশিপেরও প্রচণ্ড সংঘর্ষে লিপ্ত হয় বলে থু খা জানান।
তিনি দাবি করেন, রোববার যে চারটি স্থানে সংঘর্ষ হয়েছে, তাতে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর অর্ধ শতাধিক সদস্য নিহত ও আরো বেশি সদস্য আহত হয়েছে। আর আরাকান আর্মি দুই জন সদস্য হারিয়েছে।
মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর ওয়েস্টার্ন কমান্ডের মুখপাত্র কর্নেল উইন জাও ওও রাখাইনের তিনটি টাউনশিপে সংঘর্ষের খবর নিশ্চিত করলেও তাদের সামরিক বাহিনীর কোনো সদস্য নিহত হওয়ার খবর অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, সংঘর্ষ হয়েছে, এ কথা সত্য। কিছু লোক আহতও হয়েছে। কিন্তু আমাদের কাছ থেকে কোনো লাশ বা অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়া হয়নি। আরাকান আর্মির কি ষষ্ট ইন্দ্রিয় আছে? আরাকান আর্মি কোন তথ্যের বলে এ কথা বলল জানি না।
মিয়ানমার সেনাবাহিনী ৩০ জুন একতরফাভাবে দুই মাসের জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। তবে রাখাইন রাজ্য এর বাইরে রয়েছে। ডিসেম্বরে চার মাসের জন্য একতরফা যুদ্ধবিরতির পর দ্বিতীয়বারের মতো তারা এ ঘোষণা দিলো।
থু খা ইরাবতীকে বলেন, এতে প্রমাণিত হচ্ছে যে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইন ফ্রন্টে তীব্র লড়াই করছে।
রাখাইনে ডিসেম্বর থেকে সামরিক বাহিনী ও আরাকান আর্মি প্রায় ৬০০ বার সংঘর্ষ করেছে।
দুই পক্ষ জুন মাসের পুরো সময় তীব্র সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল। সড়ক ও সাগরপথে মিয়ানমার সেনাবাহিনী তাদের সৈন্য ও অস্ত্র বাড়িয়েছে। সংঘর্ষের ফলে রাখাইন রাজ্যে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি লোক উদ্বাস্তু হয়েছে।
আরাকান আর্মি জানিয়েছে, রোববার সকাল ১০টায় রাথেদং টাউনশিপের দুটি স্থানে সংঘর্ষ হয়।
আরাকান আর্মির তথ্য কর্মকর্তা খিং থু খা বলেন, কিয়াকতার মিন থার তুং গ্রামে এবং মিনবায়ার থাজি ও সু তামার গ্রামগুলোর মধ্যকার পার্বত্য এলাকায়ও প্রবল সংঘর্ষ হয়েছে।
তিনি ইরাবতীকে বলেন, চারটি স্থানে সংঘর্ষ হয়েছে। এর দুটি রাথেদং এবং একটি কিয়াকতা ও মিনবায়ায়। সংঘর্ষগুলো ছিল খুবই তীব্র। মিনবায়ার সংঘর্ষটি সকালে শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে।
মিনবায়া টাউনশিপের রাখাইন রাজ্যের আইন প্রণেতা ইউ হ্লা থিন আঙ ইরাবতীকে বলেন, থাজি ও সু খিন গ্রামের ভেতরে ও আশপাশের এলাকার গ্রামের লোকজন সংঘর্ষের কারণে পালিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, সোমবারও সংঘর্ষ অব্যাহত ছিল। আমরা কামানের গর্জন শুনতে পেয়েছি। আশপাশের গ্রামবাসীরা মিন পু গ্রামে পালিয়ে গেছে। রোববার সারা দিন সংঘর্ষ হয়েছে।
রাথেদং টাউনশিপের অধিবাসীরা নিরাপদ স্থানে পালিয়ে গেছে বলে স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানিয়েছে।
দুই পক্ষ চিন রাজ্যের প্যালেতওয়া টাউনশিপেরও প্রচণ্ড সংঘর্ষে লিপ্ত হয় বলে থু খা জানান।
তিনি দাবি করেন, রোববার যে চারটি স্থানে সংঘর্ষ হয়েছে, তাতে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর অর্ধ শতাধিক সদস্য নিহত ও আরো বেশি সদস্য আহত হয়েছে। আর আরাকান আর্মি দুই জন সদস্য হারিয়েছে।
মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর ওয়েস্টার্ন কমান্ডের মুখপাত্র কর্নেল উইন জাও ওও রাখাইনের তিনটি টাউনশিপে সংঘর্ষের খবর নিশ্চিত করলেও তাদের সামরিক বাহিনীর কোনো সদস্য নিহত হওয়ার খবর অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, সংঘর্ষ হয়েছে, এ কথা সত্য। কিছু লোক আহতও হয়েছে। কিন্তু আমাদের কাছ থেকে কোনো লাশ বা অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়া হয়নি। আরাকান আর্মির কি ষষ্ট ইন্দ্রিয় আছে? আরাকান আর্মি কোন তথ্যের বলে এ কথা বলল জানি না।
মিয়ানমার সেনাবাহিনী ৩০ জুন একতরফাভাবে দুই মাসের জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। তবে রাখাইন রাজ্য এর বাইরে রয়েছে। ডিসেম্বরে চার মাসের জন্য একতরফা যুদ্ধবিরতির পর দ্বিতীয়বারের মতো তারা এ ঘোষণা দিলো।
থু খা ইরাবতীকে বলেন, এতে প্রমাণিত হচ্ছে যে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইন ফ্রন্টে তীব্র লড়াই করছে।
রাখাইনে ডিসেম্বর থেকে সামরিক বাহিনী ও আরাকান আর্মি প্রায় ৬০০ বার সংঘর্ষ করেছে।
দুই পক্ষ জুন মাসের পুরো সময় তীব্র সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল। সড়ক ও সাগরপথে মিয়ানমার সেনাবাহিনী তাদের সৈন্য ও অস্ত্র বাড়িয়েছে। সংঘর্ষের ফলে রাখাইন রাজ্যে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি লোক উদ্বাস্তু হয়েছে।
কাচির রাজ্যের লাইজায় নতুন এএ রিক্রুটদের প্রশিক্ষণ চলছে, ২০১৯ সালের মার্চে তোলা ছবি |
No comments