ভারসাম্যের মধ্যেই আছে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক by শিশির গুপ্ত
মার্কিন
পণ্যের উপর ভারতের নতুন বাণিজ্য শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে টু্ইট করেছিলেন, যেটা ভারতের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তেমন স্পর্শ করেনি বলে মনে হচ্ছে। সম্মেলনের
ফাঁকে দুই দেশের নেতা যখন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন, সেখানে জোরালো
ভূমিকা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এবং এর ফল হিসেবেই বিশ্বের বৃহত্তম দুই
গণতান্ত্রিক দেশের সম্পর্কটা এখনও ভারসাম্যের মধ্যেই রয়ে গেছে।
নয়াদিল্লী ও ওয়াশিংটনের কূটনীতিকদের মতে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন কোন অগ্রগতি না হলেও, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং এরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির বৈঠকের মধ্য দিয়ে বোঝা গেছে যে, দুই পক্ষই খুব ভালো করেই জানে যে, বাণিজ্য সম্পর্কিত বিভেদ মেটানো বা তৃতীয় কোন পক্ষের ব্যাপারে সমস্যা সমাধানের জন্য কোথায় ও কিভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে।
মোদির সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর মোদি বলেছেন যে, তিনি আশা করছেন যে, ভারতের সাথে শিগগিরই একটা বাণিজ্য চুক্তি হবে।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ভারত সরকারের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন যে, “লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদি যে বিশাল জনসমর্থন পেয়েছেন, সেটাকে অন্যান্য নেতারা স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বিশেষভাবে সেটার উল্লেখ করেছেন। দুই দিনের এই সম্মেলনে, ২০ বিশ্ব নেতার মধ্যে ১৮ জনের সাথে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়ার সাথে খুবই গঠনমূলক ও ফলপ্রসু বৈঠক হয়েছে”।
তবে, সবচেয়ে বড় ইতিবাচক ফল এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক থেকে, কারণ দুই পক্ষই এখানে মোদি-ট্রাম্পের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন।
দুই পক্ষেরই বাণিজ্য বিষয়ক নীতি নির্ধারকরা একসাথে বসে পরস্পরের স্বার্থের জন্য উপযুক্ত পথ বের করার ব্যাপারে একমত হয়েছেন।
রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম কেনা নিয়ে যে বিভেদ তৈরি হয়েছে, ভারতের ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজর অজিত দোভাল এবং মার্কিন ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজর জন বোল্টন নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সেটির ব্যাপারে সুরাহা করবেন।
দোভাল এরই মধ্যে একটা টেকনিক্যাল সমাধানের প্রস্তাব দিয়েছেন যাতে ভারতের মার্কিন প্ল্যাটফর্মগুলোর নিরাপত্তার বিষয়টি এস-৪০০ সিস্টেম কেনার কারণে কোনভাবেই ব্যাহত না হয়। একই সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ২৪টি হেলিকপ্টার কেনার জন্য চুক্তিও চুড়ান্ত করার পর্যায়ে রয়েছে ভারত। একই সাথে নয়াদিল্লীর জন্য সার্ফেস টু এয়ার মিসাইল প্রতিরক্ষা সিস্টেম কিনবে ভারত। সশস্ত্র ড্রোন কেনার বিষয়টি এখনও চুড়ান্ত হয়নি, কারণ এটার দাম অনেক বেশি। তাছাড়া পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের মতো ব্যাপক উত্তেজনাপূর্ণ এলাকায় এগুলো টিকতে পারবে কি না, সেটা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আরও কিছু সরঞ্জামাদি কেনার পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের এবং এগুলো কেনার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার নির্ধারণের দায়িত্ব এখন মোদি সরকারের।
সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে ভারত আর যুক্তরাষ্ট্র একই অবস্থানে ছিল। দুই পক্ষই পাকিস্তান-ভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে দোষারোপ করে আসছে। তাদের অভিযোগ হলো রাষ্ট্রীয় সুরক্ষায় থেকে এই গ্রুপগুলো ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব ও আফগানিস্তানে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে আসছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান উভয়কেই বলেছে পারস্য উপসাগরে তাদের তৎপরতা কমিয়ে আনতে, যেখানে তেল সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে তার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে সৌদি থেকে তিনি এই আশ্বাস পেয়েছেন যে, সঙ্কট বেড়ে গেলে তারা ভারতের তেল সরবরাহের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করবে।
নয়াদিল্লী ও ওয়াশিংটনের কূটনীতিকদের মতে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন কোন অগ্রগতি না হলেও, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং এরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির বৈঠকের মধ্য দিয়ে বোঝা গেছে যে, দুই পক্ষই খুব ভালো করেই জানে যে, বাণিজ্য সম্পর্কিত বিভেদ মেটানো বা তৃতীয় কোন পক্ষের ব্যাপারে সমস্যা সমাধানের জন্য কোথায় ও কিভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে।
মোদির সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর মোদি বলেছেন যে, তিনি আশা করছেন যে, ভারতের সাথে শিগগিরই একটা বাণিজ্য চুক্তি হবে।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ভারত সরকারের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন যে, “লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদি যে বিশাল জনসমর্থন পেয়েছেন, সেটাকে অন্যান্য নেতারা স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বিশেষভাবে সেটার উল্লেখ করেছেন। দুই দিনের এই সম্মেলনে, ২০ বিশ্ব নেতার মধ্যে ১৮ জনের সাথে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়ার সাথে খুবই গঠনমূলক ও ফলপ্রসু বৈঠক হয়েছে”।
তবে, সবচেয়ে বড় ইতিবাচক ফল এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক থেকে, কারণ দুই পক্ষই এখানে মোদি-ট্রাম্পের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন।
দুই পক্ষেরই বাণিজ্য বিষয়ক নীতি নির্ধারকরা একসাথে বসে পরস্পরের স্বার্থের জন্য উপযুক্ত পথ বের করার ব্যাপারে একমত হয়েছেন।
রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম কেনা নিয়ে যে বিভেদ তৈরি হয়েছে, ভারতের ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজর অজিত দোভাল এবং মার্কিন ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজর জন বোল্টন নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সেটির ব্যাপারে সুরাহা করবেন।
দোভাল এরই মধ্যে একটা টেকনিক্যাল সমাধানের প্রস্তাব দিয়েছেন যাতে ভারতের মার্কিন প্ল্যাটফর্মগুলোর নিরাপত্তার বিষয়টি এস-৪০০ সিস্টেম কেনার কারণে কোনভাবেই ব্যাহত না হয়। একই সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ২৪টি হেলিকপ্টার কেনার জন্য চুক্তিও চুড়ান্ত করার পর্যায়ে রয়েছে ভারত। একই সাথে নয়াদিল্লীর জন্য সার্ফেস টু এয়ার মিসাইল প্রতিরক্ষা সিস্টেম কিনবে ভারত। সশস্ত্র ড্রোন কেনার বিষয়টি এখনও চুড়ান্ত হয়নি, কারণ এটার দাম অনেক বেশি। তাছাড়া পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের মতো ব্যাপক উত্তেজনাপূর্ণ এলাকায় এগুলো টিকতে পারবে কি না, সেটা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আরও কিছু সরঞ্জামাদি কেনার পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের এবং এগুলো কেনার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার নির্ধারণের দায়িত্ব এখন মোদি সরকারের।
সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে ভারত আর যুক্তরাষ্ট্র একই অবস্থানে ছিল। দুই পক্ষই পাকিস্তান-ভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে দোষারোপ করে আসছে। তাদের অভিযোগ হলো রাষ্ট্রীয় সুরক্ষায় থেকে এই গ্রুপগুলো ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব ও আফগানিস্তানে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে আসছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান উভয়কেই বলেছে পারস্য উপসাগরে তাদের তৎপরতা কমিয়ে আনতে, যেখানে তেল সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে তার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে সৌদি থেকে তিনি এই আশ্বাস পেয়েছেন যে, সঙ্কট বেড়ে গেলে তারা ভারতের তেল সরবরাহের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করবে।
No comments