দুবাইতে ৬ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না ৩০০ কর্মী, রয়েছেন বাংলাদেশিও
কয়েক
মাস ধরে বেতন না পেয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে মানবেতর জীবন-যাপনে
বাধ্য হচ্ছেন প্রায় ৩০০ বিদেশি কর্মী। তাদের মধ্যে ভারত, পাকিস্তান ও
বাংলাদেশের নাগরিকরা রয়েছেন। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া এসব কর্মীর
নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান ভিসা নবায়নে অনীহা দেখানোয় খাবার আর স্বাস্থ্য সংকটে
ভুগছেন তারা। দুবাইয়ের দার আল বার সোসাইটি নামের একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান
এসব কর্মীকে সহায়তায় এগিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম খালিজ
টাইমস।
বেতন না পাওয়া এসব কর্মী জানিয়েছেন, এক বছরেরও বেশি সময় আগে থেকে বেতন পেতে দেরি হতে শুরু করার পর থেকেই সংকট শুরু হয়। কেউ কেউ জানিয়েছেন, তারা তিন মাস বেতন পান না, আবার কেউ কেউ বলছেন পাঁচ মাস বা তার চেয়েও বেশি দিন বেতন পান না।
তবে শেষ পর্যন্ত সোনাপুরে একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত জায়গায় আশ্রয় পাওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তারা। তহবিল সংকটের কারণে সাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে এখন কর্মহীন হয়ে আছেন তারা।
নিজেদের হতাশার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে ৩০ বছর বয়সী এক কর্মী বলেন, বেশ কয়েক মাস কাজ করা বন্ধ থাকায় হাতে কোনও টাকা পয়সা নেই। বাড়িতে টাকা পাঠানোর কথা বাদই দিলাম, এখন আমাদের খাওয়ার মতো খাবারই নেই। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, পাসপোর্টও নিয়োগদাতার কাছে থেকে গেছে। নিয়োগদাতা প্রতিশ্রুতির পর প্রতিশ্রুতি দিয়েই যাচ্ছেন শিগগিরই পাওনা দিয়ে দেবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কিছুই পাইনি। কাগজপত্র না থাকায় অন্য কোথাও কাজ করতে পারছি না। আয়ের কোনও উপায় নেই, এমনকি বাড়িও ফিরে যেতে পারছি না।
আরেক কর্মী খালিজ টাইমসকে বলেছেন, খাবার কেনার মতো টাকা না থাকায় আমরা প্রচণ্ড খারাপ পরিস্থিতিতে আছি। পথচারী ও কাছের হোটেল মালিকদের দয়ায় আমরা বেঁচে আছি। কিন্তু প্রতিদিনই তারা আমাদের খাবার দেবে না। আর ভিক্ষা করাও খুবই বিব্রতকর। আমরা এখানে সম্মানের সঙ্গে কাজ করতে এসেছি। আয় করে নিজের এবং পরিবারের দেখাশোনা করার জন্য এসেছি। ভিক্ষা করতে বা অবৈধভাবে বসবাস করতে আসিনি। নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান ভিসা নবায়ন না করে আমাদের এই পরিস্থিতিতে ফেলেছে।
ভারতের কনসাল জেনারেল বিপুল খালিজ টাইমসকে বলেছেন, দূতাবাসের একজন একটি দল নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন। আর নিয়োগদাতা শিগগিরই এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। বিপুল বলেন, নিয়োগদাতা বলেছেন তিনি ব্যবসায়িক সমস্যায় আছেন, আর সে কারণে কর্মীদের বেতন দিতে পারেননি। তারপরও দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। এরইমধ্যে কয়েক জন শ্রমিকের এক মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। শিগগিরই বাকি কর্মীদের বেতন জোগাড় করবেন বলে জানিয়েছেন। আমরা তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবো। আমিরাতের মানব সম্পদ বিভাগকে আমরা ঘটনাটি জানিয়ে রেখেছি।
বেতন না পাওয়া এসব কর্মীর জন্য তাৎক্ষণিক সহায়তা হিসেবে বুধবার থেকে দার আল বার সোসাইটির পক্ষ থেকে তাদের মধ্যে খাবার বিতরণ ছাড়াও মেডিক্যাল ক্যাম্প পরিচালনা করা হয়েছে।
বেতন না পাওয়া এসব কর্মী জানিয়েছেন, এক বছরেরও বেশি সময় আগে থেকে বেতন পেতে দেরি হতে শুরু করার পর থেকেই সংকট শুরু হয়। কেউ কেউ জানিয়েছেন, তারা তিন মাস বেতন পান না, আবার কেউ কেউ বলছেন পাঁচ মাস বা তার চেয়েও বেশি দিন বেতন পান না।
তবে শেষ পর্যন্ত সোনাপুরে একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত জায়গায় আশ্রয় পাওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তারা। তহবিল সংকটের কারণে সাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে এখন কর্মহীন হয়ে আছেন তারা।
নিজেদের হতাশার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে ৩০ বছর বয়সী এক কর্মী বলেন, বেশ কয়েক মাস কাজ করা বন্ধ থাকায় হাতে কোনও টাকা পয়সা নেই। বাড়িতে টাকা পাঠানোর কথা বাদই দিলাম, এখন আমাদের খাওয়ার মতো খাবারই নেই। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, পাসপোর্টও নিয়োগদাতার কাছে থেকে গেছে। নিয়োগদাতা প্রতিশ্রুতির পর প্রতিশ্রুতি দিয়েই যাচ্ছেন শিগগিরই পাওনা দিয়ে দেবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কিছুই পাইনি। কাগজপত্র না থাকায় অন্য কোথাও কাজ করতে পারছি না। আয়ের কোনও উপায় নেই, এমনকি বাড়িও ফিরে যেতে পারছি না।
আরেক কর্মী খালিজ টাইমসকে বলেছেন, খাবার কেনার মতো টাকা না থাকায় আমরা প্রচণ্ড খারাপ পরিস্থিতিতে আছি। পথচারী ও কাছের হোটেল মালিকদের দয়ায় আমরা বেঁচে আছি। কিন্তু প্রতিদিনই তারা আমাদের খাবার দেবে না। আর ভিক্ষা করাও খুবই বিব্রতকর। আমরা এখানে সম্মানের সঙ্গে কাজ করতে এসেছি। আয় করে নিজের এবং পরিবারের দেখাশোনা করার জন্য এসেছি। ভিক্ষা করতে বা অবৈধভাবে বসবাস করতে আসিনি। নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান ভিসা নবায়ন না করে আমাদের এই পরিস্থিতিতে ফেলেছে।
ভারতের কনসাল জেনারেল বিপুল খালিজ টাইমসকে বলেছেন, দূতাবাসের একজন একটি দল নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন। আর নিয়োগদাতা শিগগিরই এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। বিপুল বলেন, নিয়োগদাতা বলেছেন তিনি ব্যবসায়িক সমস্যায় আছেন, আর সে কারণে কর্মীদের বেতন দিতে পারেননি। তারপরও দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। এরইমধ্যে কয়েক জন শ্রমিকের এক মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। শিগগিরই বাকি কর্মীদের বেতন জোগাড় করবেন বলে জানিয়েছেন। আমরা তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবো। আমিরাতের মানব সম্পদ বিভাগকে আমরা ঘটনাটি জানিয়ে রেখেছি।
বেতন না পাওয়া এসব কর্মীর জন্য তাৎক্ষণিক সহায়তা হিসেবে বুধবার থেকে দার আল বার সোসাইটির পক্ষ থেকে তাদের মধ্যে খাবার বিতরণ ছাড়াও মেডিক্যাল ক্যাম্প পরিচালনা করা হয়েছে।
দাতব্য প্রতিষ্ঠানের খাবারের অপেক্ষায় লাইন ধরে দাঁড়ানো বেতনহীন বিদেশি কর্মীরা |
No comments