মেক্সিকো নয়, যুক্তরাষ্ট্রেই আশ্রয় চান অভিবাসীরা
যুক্তরাষ্ট্রে
আশ্রয়প্রার্থী মধ্য আমেরিকার অনেক শরণার্থীকে তাঁদের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে
যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিতর্কিত মার্কিন অভিবাসন নীতিবিরোধী নেতাদের
সমর্থনে এত দিন মেক্সিকোর অন্যতম সহিংসতাপ্রবণ এক শহরে অপেক্ষা করতে বাধ্য
হন তাঁরা। অবশেষে অভিবাসীরা গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি
পেয়েছেন বলে রয়টার্সের খবরে জানানো হয়।
তীরের কাছাকাছি উপুড় হয়ে পড়ে থাকা এল সালভাদরের নাগরিক অস্কার (২৫) ও তাঁর দুই বছর বয়সী মেয়ে ভ্যালেরিয়ার মরদেহের ছবি সম্প্রতি সারা বিশ্বে আলোড়ন তুলেছে। এ ঘটনার সূত্র ধরে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভ অভিবাসন সমস্যা সমাধানে ৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজের অনুমোদন দেয়। যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে উপচে পড়া শরণার্থীদের সাহায্য করতে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
অভিবাসন নীতি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের সদস্যরা। এই নীতি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের কাছ থেকে আবেদনের ছাড়পত্রের জন্য অপেক্ষারত শরণার্থীদের মেক্সিকো সীমান্তে পাঠানো হয়। একে রিমেইন ইন মেক্সিকো বা মাইগ্রেন্ট প্রোটেকশন প্রটোকলস (এমপিপি) বলা হয়। ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্যোগে জানুয়ারি মাস থেকে অভিবাসন সুরক্ষামূলক এ কর্মসূচি চালু করা হয়। তবে মার্কিন ট্রাম্পবিরোধী নেতা, অধিকার রক্ষা দল এবং অন্যরা কর্মসূচিটির তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এমপিপির কারণে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার শরণার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই এল সালভাদর, গুয়াতেমালা ও হন্ডুরাসের নাগরিক।
মেক্সিকোর সঙ্গে একটি চুক্তির মাধ্যমে ‘সীমান্তে শরণার্থীর স্রোত আটকানোর ব্যবস্থা’ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত মাসে ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন, সীমান্তে অবৈধ শরণার্থীদের প্রবেশ ঠেকাতে মেক্সিকো ব্যবস্থা না নিলে মেক্সিকো থেকে আমদানি করা পণ্যে প্রতি মাসে ৫ শতাংশ হারে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হবে। পরে মেক্সিকো চুক্তি করে দেশজুড়ে, বিশেষত মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করতে রাজি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী মর্যাদাপ্রত্যাশীদের মেক্সিকোতে পাঠানো এবং এ-সংক্রান্ত আইনি লড়াই শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের সেখানেই অপেক্ষমাণ রাখার কর্মসূচিও বিস্তৃত করবে ওয়াশিংটন। এর জের ধরে এমপিপি চুক্তি ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন শহরে। শরণার্থীরা কিউবাসহ অন্যান্য দেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করছেন।
হন্ডুরাসের সহিংসতা থেকে বাঁচতে ছোট তিনটি শিশুসহ সালভাদরের এক যুবককে নিয়ে পালিয়েছিলেন এক তরুণ দম্পতি। সিউদাদ জুয়ারেজ হয়ে বহু কষ্টে এল পাসোতে পৌঁছান তাঁরা। তাঁদের হয়ে সীমান্তে অবস্থানরত কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ জানান টেক্সাসের এল পাসোর বিশপ মার্ক সেইজ। প্রাথমিকভাবে কর্মকর্তারা বিশপের কথা রাখলেও পরে জানিয়ে দেন, অভিবাসন প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বাইরেই অবস্থান করতে হবে পরিবারটির।
বিশপ মার্ক সেইজ অভিবাসন প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, হন্ডুরাসের পরিবারটি প্রায় তিন মাস ধরে সীমান্তে অপেক্ষা করছে। ৩, ৫ এবং ৯ বছর বয়সী তিনটি শিশুকে নিয়ে পরিবারটিকে সীমান্তে এভাবে ফেলে রাখার বিষয়টি ভীষণ অমানবিক।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশে খোলা চিঠি লেখে গির্জার ধর্মপ্রচারক জোট। তারা বলেছে, অভিবাসন নীতির খপ্পরে পড়ে নির্মম সহিংসতা আর পাচারের সাক্ষী হচ্ছে শিশুরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অভিবাসন সুবিধাজনিত প্রতিবেদনে পুরো প্রক্রিয়াটিকে ‘নির্দয়’ বলে মন্তব্য করা হয়েছে। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ধর্মপ্রচারক জোট।
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অধিকার রক্ষা করতেই হবে। তবে অভিযোগ রয়েছে, উত্তরাঞ্চলের সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে মেক্সিকো তেমন বাধা দেয় না। এ নিয়ে মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে টানাপোড়েনও আছে।
তীরের কাছাকাছি উপুড় হয়ে পড়ে থাকা এল সালভাদরের নাগরিক অস্কার (২৫) ও তাঁর দুই বছর বয়সী মেয়ে ভ্যালেরিয়ার মরদেহের ছবি সম্প্রতি সারা বিশ্বে আলোড়ন তুলেছে। এ ঘটনার সূত্র ধরে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভ অভিবাসন সমস্যা সমাধানে ৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজের অনুমোদন দেয়। যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে উপচে পড়া শরণার্থীদের সাহায্য করতে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
অভিবাসন নীতি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের সদস্যরা। এই নীতি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের কাছ থেকে আবেদনের ছাড়পত্রের জন্য অপেক্ষারত শরণার্থীদের মেক্সিকো সীমান্তে পাঠানো হয়। একে রিমেইন ইন মেক্সিকো বা মাইগ্রেন্ট প্রোটেকশন প্রটোকলস (এমপিপি) বলা হয়। ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্যোগে জানুয়ারি মাস থেকে অভিবাসন সুরক্ষামূলক এ কর্মসূচি চালু করা হয়। তবে মার্কিন ট্রাম্পবিরোধী নেতা, অধিকার রক্ষা দল এবং অন্যরা কর্মসূচিটির তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এমপিপির কারণে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার শরণার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই এল সালভাদর, গুয়াতেমালা ও হন্ডুরাসের নাগরিক।
মেক্সিকোর সঙ্গে একটি চুক্তির মাধ্যমে ‘সীমান্তে শরণার্থীর স্রোত আটকানোর ব্যবস্থা’ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত মাসে ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন, সীমান্তে অবৈধ শরণার্থীদের প্রবেশ ঠেকাতে মেক্সিকো ব্যবস্থা না নিলে মেক্সিকো থেকে আমদানি করা পণ্যে প্রতি মাসে ৫ শতাংশ হারে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হবে। পরে মেক্সিকো চুক্তি করে দেশজুড়ে, বিশেষত মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করতে রাজি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী মর্যাদাপ্রত্যাশীদের মেক্সিকোতে পাঠানো এবং এ-সংক্রান্ত আইনি লড়াই শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের সেখানেই অপেক্ষমাণ রাখার কর্মসূচিও বিস্তৃত করবে ওয়াশিংটন। এর জের ধরে এমপিপি চুক্তি ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন শহরে। শরণার্থীরা কিউবাসহ অন্যান্য দেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করছেন।
হন্ডুরাসের সহিংসতা থেকে বাঁচতে ছোট তিনটি শিশুসহ সালভাদরের এক যুবককে নিয়ে পালিয়েছিলেন এক তরুণ দম্পতি। সিউদাদ জুয়ারেজ হয়ে বহু কষ্টে এল পাসোতে পৌঁছান তাঁরা। তাঁদের হয়ে সীমান্তে অবস্থানরত কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ জানান টেক্সাসের এল পাসোর বিশপ মার্ক সেইজ। প্রাথমিকভাবে কর্মকর্তারা বিশপের কথা রাখলেও পরে জানিয়ে দেন, অভিবাসন প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বাইরেই অবস্থান করতে হবে পরিবারটির।
বিশপ মার্ক সেইজ অভিবাসন প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, হন্ডুরাসের পরিবারটি প্রায় তিন মাস ধরে সীমান্তে অপেক্ষা করছে। ৩, ৫ এবং ৯ বছর বয়সী তিনটি শিশুকে নিয়ে পরিবারটিকে সীমান্তে এভাবে ফেলে রাখার বিষয়টি ভীষণ অমানবিক।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশে খোলা চিঠি লেখে গির্জার ধর্মপ্রচারক জোট। তারা বলেছে, অভিবাসন নীতির খপ্পরে পড়ে নির্মম সহিংসতা আর পাচারের সাক্ষী হচ্ছে শিশুরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অভিবাসন সুবিধাজনিত প্রতিবেদনে পুরো প্রক্রিয়াটিকে ‘নির্দয়’ বলে মন্তব্য করা হয়েছে। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ধর্মপ্রচারক জোট।
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অধিকার রক্ষা করতেই হবে। তবে অভিযোগ রয়েছে, উত্তরাঞ্চলের সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে মেক্সিকো তেমন বাধা দেয় না। এ নিয়ে মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে টানাপোড়েনও আছে।
ট্রাম্পের অভিবাসন সুরক্ষা নীতির ত্রুটিতে মেক্সিকো সীমান্তে মানবেতর জীবন যাপন করছেন শরণার্থীরা। ছবি: রয়টার্স। |
No comments