রোডমার্চে ঐক্যফ্রন্ট: জনগণ ঘুরে দাঁড়ালে পালানোর পথ পাবেন না -আ স ম রব
জাতীয়
ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে গণজোয়ার দেখে সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন
মন্তব্য করে ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ৩০শে ডিসেম্বর
শুধু ভোট দিলে হবে না। কেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। আমরা জান দেব কিন্তু ভোট
ছিনিয়ে নিতে দেবো না। জনগণ রুখে দাঁড়ালে সরকার পালিয়েও রক্ষা পাবে না।
গতকাল ময়মনসিংহের উদ্দেশে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী রোডমার্চে বিভিন্নস্থানে পথসভায় দেয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতারা দুপুরের পর উত্তরা থেকে এ রোডমার্চ শুরু করেন। পথে গাজীপুরের টঙ্গি, মাওনা, ময়মনসিংহের ত্রিশাল এবং ময়মনসিংহ শহরে নির্বাচনী পথসভায় বক্তব্য রাখেন। রোর্ডমার্চে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ নেতারা অংশ নেন।
পথসভায় স্থানীয় নেতাকর্মী ও ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
গাজীপুর মাওনা চৌরাস্তায় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকীর নির্বাচনী পথসভায় আ স ম রব পুলিশের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে আমাদের কর্মীদের গায়ে হাত দেবেন না। তাদের কাউকে গ্রেপ্তার করবেন না। যদি কাউকে গ্রেপ্তার করেন ভয়াবহ অবস্থা হয়ে যাবে। জনগণ যদি রুখে দাঁড়ায় তার পরিণতির জন্য আমরা দায়ী থাকবো না। এ সময় তিনি বলেন, শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ড দেখে কবর থেকে বঙ্গবন্ধু কান্নাকাটি করছেন। বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক নয়।
সভায় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, গাজীপুরে বাড়ি ছিল তাজউদ্দিন আহমেদের। আর কোনো দিন এই গাজীপুর থেকে প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না। প্রধামন্ত্রী হবে শেখ হাসিনার ছেলে তার ছেলে এবং তার ছেলে। তিনি বলেন, আমরা যদি নির্বাচনের মাঠে নাও থাকতে পারি আপনারা ভোটকেন্দ্র পাহারা দেবেন। ওরা কতজনকে গ্রেপ্তার করবে। আমি জীবনে অনেকগুলো নির্বাচন দেখেছি। কাদের সিদ্দিকী বলেন, পুলিশকে ভুল বুঝবেন না। ওরা এখন আপনাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজাখুঁজি করবে। আপনারা ধরা দেবেন না। ওরা ২০ তারিখের পর আর খোঁজাখুঁজি করবে না। সরকারি কর্মকর্তারা শেখ হাসিনার কথা শুনছে না। পুলিশও কথা শুনবে না। এই মাইট্টা পুলিশ দিয়ে শেখ হাসিনা আমাদের সঙ্গে পারবে না। তিনি বলেন, চোরের দশদিন সাউদের একদিন। এবার সময় সাউদের। খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ৩০ তারিখ নির্বাচন ৩১ বা ১লা জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে বের করে আনবো। সেদিন আপনারা বিজয়ের হাসি হাসবেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে মানুষের জোয়ার দেখে সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। কোথাও প্রচারণা চালাতে দিচ্ছে না। প্রার্থীদেরকেও গ্রেপ্তার করছে। আমরা এখন একটা যুদ্ধের মধ্যে আছি। যে যুদ্ধ নিরস্ত্র জনতার সঙ্গে সশস্ত্র জনতার। তিনি বলেন, সরকার আমাদের দুর্নীতিবাজ বলে আখ্যা দেয়। কিন্তু ওরা ব্যাংক ডাকাতি করেছে। হাজার হাজার টন কয়লা খেয়ে ফেলেছে। ওরা এখন ডাকাতদের দল। ভোটচোরদের দল। ওদের মানুষ ভোট দেবে না। এতকিছুর পরও ওরা আমাদের দিকে দুর্নীতিবাজ বলে আঙ্গুল তোলে। সে আঙ্গুলে কয়দিন পর গজব পড়বে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ৩০শে ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন পর্যন্ত আপনারা মাটি কামড়ে পড়ে থাকবেন। গত পাঁচবছর ধরে আপনারা ঘরে থাকতে পারেন না। ১৫ দিনও ঘরে থাকবেন না। আমরা জবাব দেব ৩০ তারিখ। তিনি বলেন, ৬৯-এর গণ অভ্যুত্থান, ৯০-এর স্বৈরাচার আন্দোলনে জনতার জয় হয়েছে। এবারো ঐক্যফ্রন্টের জয় হবে। এই নির্বাচন খালেদা জিয়ার মুক্তির নির্বাচন। এই নির্বাচনে জেতার কোনো বিকল্প নেই। আপনারা প্রত্যেকে একটা করে ভোট দেবেন। আপনার ভোটেই খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে। তিনি বলেন, প্রত্যেকটা কেন্দ্রের জন্য কমিটি করবেন। এমন লোককে এজেন্ট করবেন যাদের ধমক দিলে ভয় পাবে না। নির্বাচন শেষে ফলাফল লিখিত স্লিপ নিয়ে কেন্দ্র থেকে বের হবে। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আজকের পর থেকে কোনো নেতার কাছে বলবেন না ‘আমরা ভোট দিতে পারবো তো’। নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবেন আমাকে ভোট দিতেই হবে।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আপনাদের জয় হয়ে গেছে। আজকে যে মাঠে আপনাদের সভা করার অনুমতি দিয়েছিল সেটা সরকারের লোকজন দখল করে নিয়েছে। এই সংক্ষিপ্ত সময়ে আপনার এত বড় আয়োজন করলেন। জায়গা আরো থাকলে আরো অনেক বেশি মানুষ হতো। তিনি বলেন, ৩০ তারিখ নির্বাচন ২রা জানুয়ারিতে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে। এই মুক্তি হবে ন্যায় বিচারের মাধ্যমে। এই সরকারের আত্মবিশ্বাস ছিল না বলেই হাসিনার অধীনে নির্বাচন চেয়েছে। আমরা তাতেও রাজি হয়েছি। কোনোভাবেই মাঠ ছাড়বো না ঘোষণা দিয়েছি। এতে সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এ সময় তিনি বলেন, পাকিস্তানি ও বৃটিশ আমল দেখেছি। কিন্তু এবারের নির্বাচনের মতো এত সহিংসতা কখনো দেখিনি। প্রতিদিনই ধানের শীষের প্রতীকের পার্থীর ওপর হামলা হচ্ছে। এ জন্য রোববার থেকেই সব রাস্তায় রাস্তায় সেনাবাহিনী নামাতে হবে। তারা শুধু টহল দিলেই চলবে। কাউকে গ্রেপ্তার করতে হবে না।
এদিকে, টঙ্গীতে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় রব বলেন, ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে বিরোধী দল যারাই থাকুক না কেন তাদের ওপর কোনো অত্যাচার নির্যাতন করা হবে না। দেশের বাইরে যেতে চাইলে সে সুযোগও দেয়া হবে। এ ছাড়া ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে বিরোধী দলকে সঙ্গে নিয়েই রাষ্ট্রপরিচালনা করবো এটা আমাদের ওয়াদা। কোনো ভয় নেই। শেখ হাসিনা বিএনপির গণজোয়ার দেখে ভয় পেয়েছে। তাই তারা নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে। গণগ্রেপ্তার, গায়েবি মামলা বন্ধ করুন। জনগণ ক্ষেপে গেলে কোনো রক্ষা পাবেন না।
গাজীপুর-২ আসনের ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত বিএনপির প্রার্থী আলহাজ সালাহ উদ্দিন সরকারের নির্বাচনী জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি। প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে রব বলেন, আপনারা নির্বাচন কমিশনের মতো হুকুমের গোলাম হবেন না। নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ান। এ জন্য আপনাদের চাকরি চলে গেলেও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে আপনাদের চাকরি আবারো ফিরে পাবেন। বর্তমান সরকারের হুকুমে যদি পুলিশ বাহিনী এদেশের মা-বোনের ওপর হামলা করে, নিরীহ মানুষকে হয়রানি করে, আপনাদেরকে শান্তি মিশনে আর ডাকবে না। সুতরাং আপনারা জনগণের পক্ষে কাজ করুন। রব বলেন, সরকারের ছুটির ঘণ্টা বেজে উঠেছে। পালিয়ে গিয়েও সরকার নিজেদের রক্ষা করতে পারবে না। আল্লাহর গজব নাজিল হবে তাদের ওপর। তিনি বলেন, যে বাহিনীর লোকেরা শেখ মুজিবকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের জেলে পাঠিয়েছিল সেই বাহিনীর লোকদের হাতে শেখ হাসিনা নৌকা তুলে দিয়েছে। এর পরিণাম শেখ হাসিনাকে ভোগ করতেই হবে।
শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচিত হলে শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি করা হবে। তিনি বলেন, গরু কোরবানি দেয়ার পর কিছুক্ষণ লাফালাফি করে গরুর মৃত্যু হয়। সরকারের অবস্থা এখন কোরবানির গরুর মতো হয়ে গেছে। সরকার সুযোগ খুঁজছে নির্বাচন থেকে পালিয়ে যাওয়ার। নির্বাচনের আগে বা পরে যখনই আপনারা পালিয়ে যেতে চান, চলে যান। আমরা আপনাদের ওপর কোন অত্যাচার করবো না। গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ হাসান উদ্দিন সরকার সভায় সভাপতিত্ব করেন। আমরা কথা দিয়েছি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচিত হলে যারা হেরে যাবে তাদেরকে নিয়ে আমরা সরকার গঠন করবো। আমরা ইনশাল্লাহ জয় লাভ করবো।
গতকাল ময়মনসিংহের উদ্দেশে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী রোডমার্চে বিভিন্নস্থানে পথসভায় দেয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতারা দুপুরের পর উত্তরা থেকে এ রোডমার্চ শুরু করেন। পথে গাজীপুরের টঙ্গি, মাওনা, ময়মনসিংহের ত্রিশাল এবং ময়মনসিংহ শহরে নির্বাচনী পথসভায় বক্তব্য রাখেন। রোর্ডমার্চে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ নেতারা অংশ নেন।
পথসভায় স্থানীয় নেতাকর্মী ও ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
গাজীপুর মাওনা চৌরাস্তায় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকীর নির্বাচনী পথসভায় আ স ম রব পুলিশের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে আমাদের কর্মীদের গায়ে হাত দেবেন না। তাদের কাউকে গ্রেপ্তার করবেন না। যদি কাউকে গ্রেপ্তার করেন ভয়াবহ অবস্থা হয়ে যাবে। জনগণ যদি রুখে দাঁড়ায় তার পরিণতির জন্য আমরা দায়ী থাকবো না। এ সময় তিনি বলেন, শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ড দেখে কবর থেকে বঙ্গবন্ধু কান্নাকাটি করছেন। বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক নয়।
সভায় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, গাজীপুরে বাড়ি ছিল তাজউদ্দিন আহমেদের। আর কোনো দিন এই গাজীপুর থেকে প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না। প্রধামন্ত্রী হবে শেখ হাসিনার ছেলে তার ছেলে এবং তার ছেলে। তিনি বলেন, আমরা যদি নির্বাচনের মাঠে নাও থাকতে পারি আপনারা ভোটকেন্দ্র পাহারা দেবেন। ওরা কতজনকে গ্রেপ্তার করবে। আমি জীবনে অনেকগুলো নির্বাচন দেখেছি। কাদের সিদ্দিকী বলেন, পুলিশকে ভুল বুঝবেন না। ওরা এখন আপনাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজাখুঁজি করবে। আপনারা ধরা দেবেন না। ওরা ২০ তারিখের পর আর খোঁজাখুঁজি করবে না। সরকারি কর্মকর্তারা শেখ হাসিনার কথা শুনছে না। পুলিশও কথা শুনবে না। এই মাইট্টা পুলিশ দিয়ে শেখ হাসিনা আমাদের সঙ্গে পারবে না। তিনি বলেন, চোরের দশদিন সাউদের একদিন। এবার সময় সাউদের। খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ৩০ তারিখ নির্বাচন ৩১ বা ১লা জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে বের করে আনবো। সেদিন আপনারা বিজয়ের হাসি হাসবেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে মানুষের জোয়ার দেখে সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। কোথাও প্রচারণা চালাতে দিচ্ছে না। প্রার্থীদেরকেও গ্রেপ্তার করছে। আমরা এখন একটা যুদ্ধের মধ্যে আছি। যে যুদ্ধ নিরস্ত্র জনতার সঙ্গে সশস্ত্র জনতার। তিনি বলেন, সরকার আমাদের দুর্নীতিবাজ বলে আখ্যা দেয়। কিন্তু ওরা ব্যাংক ডাকাতি করেছে। হাজার হাজার টন কয়লা খেয়ে ফেলেছে। ওরা এখন ডাকাতদের দল। ভোটচোরদের দল। ওদের মানুষ ভোট দেবে না। এতকিছুর পরও ওরা আমাদের দিকে দুর্নীতিবাজ বলে আঙ্গুল তোলে। সে আঙ্গুলে কয়দিন পর গজব পড়বে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ৩০শে ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন পর্যন্ত আপনারা মাটি কামড়ে পড়ে থাকবেন। গত পাঁচবছর ধরে আপনারা ঘরে থাকতে পারেন না। ১৫ দিনও ঘরে থাকবেন না। আমরা জবাব দেব ৩০ তারিখ। তিনি বলেন, ৬৯-এর গণ অভ্যুত্থান, ৯০-এর স্বৈরাচার আন্দোলনে জনতার জয় হয়েছে। এবারো ঐক্যফ্রন্টের জয় হবে। এই নির্বাচন খালেদা জিয়ার মুক্তির নির্বাচন। এই নির্বাচনে জেতার কোনো বিকল্প নেই। আপনারা প্রত্যেকে একটা করে ভোট দেবেন। আপনার ভোটেই খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে। তিনি বলেন, প্রত্যেকটা কেন্দ্রের জন্য কমিটি করবেন। এমন লোককে এজেন্ট করবেন যাদের ধমক দিলে ভয় পাবে না। নির্বাচন শেষে ফলাফল লিখিত স্লিপ নিয়ে কেন্দ্র থেকে বের হবে। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আজকের পর থেকে কোনো নেতার কাছে বলবেন না ‘আমরা ভোট দিতে পারবো তো’। নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবেন আমাকে ভোট দিতেই হবে।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আপনাদের জয় হয়ে গেছে। আজকে যে মাঠে আপনাদের সভা করার অনুমতি দিয়েছিল সেটা সরকারের লোকজন দখল করে নিয়েছে। এই সংক্ষিপ্ত সময়ে আপনার এত বড় আয়োজন করলেন। জায়গা আরো থাকলে আরো অনেক বেশি মানুষ হতো। তিনি বলেন, ৩০ তারিখ নির্বাচন ২রা জানুয়ারিতে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে। এই মুক্তি হবে ন্যায় বিচারের মাধ্যমে। এই সরকারের আত্মবিশ্বাস ছিল না বলেই হাসিনার অধীনে নির্বাচন চেয়েছে। আমরা তাতেও রাজি হয়েছি। কোনোভাবেই মাঠ ছাড়বো না ঘোষণা দিয়েছি। এতে সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এ সময় তিনি বলেন, পাকিস্তানি ও বৃটিশ আমল দেখেছি। কিন্তু এবারের নির্বাচনের মতো এত সহিংসতা কখনো দেখিনি। প্রতিদিনই ধানের শীষের প্রতীকের পার্থীর ওপর হামলা হচ্ছে। এ জন্য রোববার থেকেই সব রাস্তায় রাস্তায় সেনাবাহিনী নামাতে হবে। তারা শুধু টহল দিলেই চলবে। কাউকে গ্রেপ্তার করতে হবে না।
এদিকে, টঙ্গীতে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় রব বলেন, ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে বিরোধী দল যারাই থাকুক না কেন তাদের ওপর কোনো অত্যাচার নির্যাতন করা হবে না। দেশের বাইরে যেতে চাইলে সে সুযোগও দেয়া হবে। এ ছাড়া ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে বিরোধী দলকে সঙ্গে নিয়েই রাষ্ট্রপরিচালনা করবো এটা আমাদের ওয়াদা। কোনো ভয় নেই। শেখ হাসিনা বিএনপির গণজোয়ার দেখে ভয় পেয়েছে। তাই তারা নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে। গণগ্রেপ্তার, গায়েবি মামলা বন্ধ করুন। জনগণ ক্ষেপে গেলে কোনো রক্ষা পাবেন না।
গাজীপুর-২ আসনের ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত বিএনপির প্রার্থী আলহাজ সালাহ উদ্দিন সরকারের নির্বাচনী জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি। প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে রব বলেন, আপনারা নির্বাচন কমিশনের মতো হুকুমের গোলাম হবেন না। নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ান। এ জন্য আপনাদের চাকরি চলে গেলেও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে আপনাদের চাকরি আবারো ফিরে পাবেন। বর্তমান সরকারের হুকুমে যদি পুলিশ বাহিনী এদেশের মা-বোনের ওপর হামলা করে, নিরীহ মানুষকে হয়রানি করে, আপনাদেরকে শান্তি মিশনে আর ডাকবে না। সুতরাং আপনারা জনগণের পক্ষে কাজ করুন। রব বলেন, সরকারের ছুটির ঘণ্টা বেজে উঠেছে। পালিয়ে গিয়েও সরকার নিজেদের রক্ষা করতে পারবে না। আল্লাহর গজব নাজিল হবে তাদের ওপর। তিনি বলেন, যে বাহিনীর লোকেরা শেখ মুজিবকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের জেলে পাঠিয়েছিল সেই বাহিনীর লোকদের হাতে শেখ হাসিনা নৌকা তুলে দিয়েছে। এর পরিণাম শেখ হাসিনাকে ভোগ করতেই হবে।
শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচিত হলে শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি করা হবে। তিনি বলেন, গরু কোরবানি দেয়ার পর কিছুক্ষণ লাফালাফি করে গরুর মৃত্যু হয়। সরকারের অবস্থা এখন কোরবানির গরুর মতো হয়ে গেছে। সরকার সুযোগ খুঁজছে নির্বাচন থেকে পালিয়ে যাওয়ার। নির্বাচনের আগে বা পরে যখনই আপনারা পালিয়ে যেতে চান, চলে যান। আমরা আপনাদের ওপর কোন অত্যাচার করবো না। গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ হাসান উদ্দিন সরকার সভায় সভাপতিত্ব করেন। আমরা কথা দিয়েছি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচিত হলে যারা হেরে যাবে তাদেরকে নিয়ে আমরা সরকার গঠন করবো। আমরা ইনশাল্লাহ জয় লাভ করবো।
No comments