রাষ্ট্রযন্ত্র আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করছে: ফখরুল
বিএনপি
মহাসচিব ও বগুড়া সদর আসনের প্রার্থী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আবারো
সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনী দায়িত্বে মোতায়েনের জোর
দাবি জানিয়েছেন। বলেছেন, নির্বাচন কমিশন সরকারের নির্দেশনা ছাড়া কোনো কাজ
করতে পারছে না। তারা ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত হয়েছে। তারা সব দলের জন্য
নির্বাচনী সমতল ভূমি তৈরি করতে পারে নি। দেশে সমতল ভূমি নেই, সম্পূর্ণ
খানাখন্দে ভরা।
আমরা সেই খানাখন্দের মধ্যে নির্বাচনে আছি। রাষ্ট্রযন্ত্র আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করছে। তাই সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তিনি শনিবার বগুড়া শহরের পৌর পার্কের উডবার্ন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২৩ দলীয় জোট মনোনীত জেলার ৭টি আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থীদের নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বগুড়া পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবুর রহমান, জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চান, বগুড়া-১ আসনের প্রার্থী কাজী রফিকুল ইসলাম, বগুড়া-৩ আসনের আবদুল মুহিত তালুকদার, বগুড়া-৪ আসনের আলহাজ মোশারফ হোসেন, বগুড়া-৫ আসনের গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, বগুড়া-৭ আসনের মোর্শেদ মিলটন।
তবে বগুড়া-২ আসনের প্রার্থী নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না ঢাকায় অবস্থানের কারণে অনুপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা আলী আজগর তালুকদার হেনা, মাহবুবুর রহমান বকুল, মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, সিপার আল বখতিয়ার, মোশাররফ হোসেন চৌধুরী, হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, পরিমল চন্দ্র দাস, অ্যাডভোকেট নাজমুল হুদা পাপন, শাহাবুল আলম পিপলু, ছাত্রদলের আবু হাসান প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল বলেন, বগুড়া হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের এলাকা। এখানে সারা দেশের ন্যায় ধানের শীষের গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ধানের শীষের জন্য মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। গণতন্ত্রের জন্য বগুড়ার মানুষ এক হয়েছে। তাই যতই ষড়যন্ত্র করা হোক না কেন জনগণ রুখে দাঁড়ালে কোনো অপশক্তি জিততে পারবে না। পরাজয়ের ভয়ে সরকার জনগণকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়ার অপচেষ্টা করছে। তিনি বলেন, মানুষ পরিবর্তন চায়। জনগণ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোট দিতে পারলে গণতন্ত্রের বিজয় হবেই।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১০ বছর পর দেশে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে যাচ্ছে। কিন্তু এই নির্বাচন নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। তিনি বলেন, যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আওয়ামী লীগ আন্দোলন করেছিল, ক্ষমতায় গিয়ে মেজরিটির জোরে সেই ব্যবস্থা বাতিল করেছে। এর পর থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে।
সর্বশেষ সরকারের সঙ্গে সংলাপে গ্রেপ্তার বন্ধ ও প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকার যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল তাও রক্ষা করা হয়নি। বর্তমানে সারা দেশে প্রার্থী ও কর্মীদের ওপর হামলা, মামলা চলছে। একদিকে পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র, অপরদিকে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে আছি। আমরা শেষ পর্যন্ত দেখবো। সংবাদ সম্মেলনের পর মির্জা ফখরুল তার নির্বাচনী এলাকা বগুড়া সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে প্রচারণায় অংশ নেন। তিনি সাবগ্রাম ইউনিয়ন থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে রাজাপুর, লাহিড়ীপাড়া, গোকুল, নুনগোলা, নিশিন্দারা, নামুজা ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে পথসভা ও গণসংযোগ করেন। তার কথা শুনতে ব্যাপক লোকসমাগম ঘটে প্রতিটি পয়েন্টে। সেই সঙ্গে তাকে দেখে অনেকে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
আমরা সেই খানাখন্দের মধ্যে নির্বাচনে আছি। রাষ্ট্রযন্ত্র আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করছে। তাই সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তিনি শনিবার বগুড়া শহরের পৌর পার্কের উডবার্ন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২৩ দলীয় জোট মনোনীত জেলার ৭টি আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থীদের নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বগুড়া পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবুর রহমান, জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চান, বগুড়া-১ আসনের প্রার্থী কাজী রফিকুল ইসলাম, বগুড়া-৩ আসনের আবদুল মুহিত তালুকদার, বগুড়া-৪ আসনের আলহাজ মোশারফ হোসেন, বগুড়া-৫ আসনের গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, বগুড়া-৭ আসনের মোর্শেদ মিলটন।
তবে বগুড়া-২ আসনের প্রার্থী নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না ঢাকায় অবস্থানের কারণে অনুপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা আলী আজগর তালুকদার হেনা, মাহবুবুর রহমান বকুল, মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, সিপার আল বখতিয়ার, মোশাররফ হোসেন চৌধুরী, হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, পরিমল চন্দ্র দাস, অ্যাডভোকেট নাজমুল হুদা পাপন, শাহাবুল আলম পিপলু, ছাত্রদলের আবু হাসান প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল বলেন, বগুড়া হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের এলাকা। এখানে সারা দেশের ন্যায় ধানের শীষের গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ধানের শীষের জন্য মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। গণতন্ত্রের জন্য বগুড়ার মানুষ এক হয়েছে। তাই যতই ষড়যন্ত্র করা হোক না কেন জনগণ রুখে দাঁড়ালে কোনো অপশক্তি জিততে পারবে না। পরাজয়ের ভয়ে সরকার জনগণকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়ার অপচেষ্টা করছে। তিনি বলেন, মানুষ পরিবর্তন চায়। জনগণ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোট দিতে পারলে গণতন্ত্রের বিজয় হবেই।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১০ বছর পর দেশে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে যাচ্ছে। কিন্তু এই নির্বাচন নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। তিনি বলেন, যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আওয়ামী লীগ আন্দোলন করেছিল, ক্ষমতায় গিয়ে মেজরিটির জোরে সেই ব্যবস্থা বাতিল করেছে। এর পর থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে।
সর্বশেষ সরকারের সঙ্গে সংলাপে গ্রেপ্তার বন্ধ ও প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকার যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল তাও রক্ষা করা হয়নি। বর্তমানে সারা দেশে প্রার্থী ও কর্মীদের ওপর হামলা, মামলা চলছে। একদিকে পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র, অপরদিকে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে আছি। আমরা শেষ পর্যন্ত দেখবো। সংবাদ সম্মেলনের পর মির্জা ফখরুল তার নির্বাচনী এলাকা বগুড়া সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে প্রচারণায় অংশ নেন। তিনি সাবগ্রাম ইউনিয়ন থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে রাজাপুর, লাহিড়ীপাড়া, গোকুল, নুনগোলা, নিশিন্দারা, নামুজা ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে পথসভা ও গণসংযোগ করেন। তার কথা শুনতে ব্যাপক লোকসমাগম ঘটে প্রতিটি পয়েন্টে। সেই সঙ্গে তাকে দেখে অনেকে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
No comments