উন্মুক্ত আসনের রাজনীতির নেপথ্যে কী?
রাজনীতিতে
শেষ কথা বলে কিছু নেই। এ কথা সত্য প্রমাণ করতেই যেন, মনোনয়ন প্রত্যাহারের
দিন শেষ হয়ে যাওয়ার পরও রহস্য রেখে দিলো জোট রাজনীতি। সুনির্দিষ্ট করে
বললে, ক্ষমতাসীন মহাজোট। ২৯টি আসনে সমঝোতার পাশাপাশি আরো ১৪৫টি আসনে
নির্বাচন করবে জাতীয় পার্টি। তিনটি আসন পাওয়া বিকল্পধারাও আরো ৩২টি আসনে
প্রার্থী রেখে দিয়েছে। জাসদ মহাজোটের কাছ থেকে পাওয়া তিনটি আসনের পাশাপাশি
প্রার্থী দিয়েছে আরো চারটি আসনে। রাজনৈতিক মহলে এ নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।
কেন এই বিশেষ ব্যবস্থা।
কী এর নেপথ্যে।
এরশাদ বাংলাদেশের রাজনীতিতে বরাবরই রহস্য পুরুষ। প্রতিটি নির্বাচনের আগেই তিনি রহস্য তৈরি করেন। ইচ্ছায়-অনিচ্ছায়। এবার তিনি ঠিক কী করছেন তা বলা মুশকিল। মাঝে মাঝে তিনি হাসপাতালে যান।
কখনো প্রকাশ্যে আসেন, আবার কখনো চলে যান পর্দার আড়ালে। একবার মহাসচিব পরিবর্তন করেন, আবার বাদ দেয়া মহাসচিবকে মঞ্চে ফেরান। তার রাজনীতি বুঝা সত্যিই মুশকিল। কেন তিনি ১৪৫ আসনে প্রার্থী রেখে দিলেন তা অপার রহস্য। অনেক পর্যবেক্ষক বলছেন, বিএনপি জোট নির্বাচনে আসবে না- এমনটাই ধারণা ছিল ক্ষমতাসীন মহলের। বিরোধী জোট নির্বাচনে আসায় শেষ পর্যন্ত অনেক কৌশলে পরিবর্তন আনতে হচ্ছে। কয়দিন আগে জাপার নবনিযুক্ত মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টকশোতে সংযুক্ত হয়ে ইঙ্গিত দেন, বিএনপি যদি নির্বাচন থেকে সরে যায় তবে জাপা মনোনয়ন দাখিল করা সব আসনেই নির্বাচন করবে। বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন থেকে সরে যায়নি। তবে বিএনপি ভবিষ্যতে যদি ভোটের লড়াই থেকে পিছুটান দেয়, তারপরও যেন একতরফা নির্বাচনের তকমা নিতে না হয় সেজন্য এতবেশি সংখ্যক আসন উন্মুক্ত রাখা হয়েছে বলে কোনো কোনো বিশ্লেষক মনে করেন। একই কারণে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনও ২৯৮ আসনে প্রার্থী দিয়েছে।
মহাজোটের অন্তর্ভুক্ত দলগুলোর বেশি সংখ্যক আসনে প্রার্থী দেয়ার নেপথ্যে আরেকটি কারণও আলোচনায় রয়েছে। একাধিক প্রার্থী থাকার সুযোগে প্রতিটি কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল বেশি সংখ্যক এজেন্ট নিয়োগের সুযোগ পাবে। সরকারি কৌশলের অংশ হিসেবেই জাতীয় পার্টি এত বেশি সংখ্যক আসনে প্রার্থী দিয়েছেন কি-না এ নিয়ে অবশ্য বিশ্লেষকদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, সরকার হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চাওয়া অনুযায়ী আসন বণ্টন না করার কারণেই তিনি এতগুলো আসনে প্রার্থী দিয়ে রেখেছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সামনের কয়েকটি দিন প্রতিদিনই ভোটের রাজনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আজ থেকে ভোট রাজনীতি মাঠে গড়াচ্ছে। আসন বণ্টন নিয়ে দুটি প্রধান দল এবং জোটেই অসন্তোষ রয়ে গেছে। ক্ষমতাসীন দল নানামুখী চাপ প্রয়োগ করে বিদ্রোহীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু শরিকদের অনেকেই প্রাপ্ত আসন নিয়ে সন্তুষ্ট নন। বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিতরা ঢাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছেন, কার্যালয়ে তালা দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। তবে দলটির নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, ২/১ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। বিএনপির এখন পর্যন্ত প্রধান দুশ্চিন্তা রয়ে গেছে নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে পরিপূর্ণভাবে প্রচারণায় নামতে পারেন কি-না তা নিয়ে।
বিএনপি নেতাদের অনেকেই আশঙ্কা করছেন, গ্রেপ্তার আর দমনপীড়ন আরো তীব্র হতে পারে। ভোটের প্রকৃতি কেমন হবে তা ১৫ই ডিসেম্বরের পর স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকার একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
কী এর নেপথ্যে।
এরশাদ বাংলাদেশের রাজনীতিতে বরাবরই রহস্য পুরুষ। প্রতিটি নির্বাচনের আগেই তিনি রহস্য তৈরি করেন। ইচ্ছায়-অনিচ্ছায়। এবার তিনি ঠিক কী করছেন তা বলা মুশকিল। মাঝে মাঝে তিনি হাসপাতালে যান।
কখনো প্রকাশ্যে আসেন, আবার কখনো চলে যান পর্দার আড়ালে। একবার মহাসচিব পরিবর্তন করেন, আবার বাদ দেয়া মহাসচিবকে মঞ্চে ফেরান। তার রাজনীতি বুঝা সত্যিই মুশকিল। কেন তিনি ১৪৫ আসনে প্রার্থী রেখে দিলেন তা অপার রহস্য। অনেক পর্যবেক্ষক বলছেন, বিএনপি জোট নির্বাচনে আসবে না- এমনটাই ধারণা ছিল ক্ষমতাসীন মহলের। বিরোধী জোট নির্বাচনে আসায় শেষ পর্যন্ত অনেক কৌশলে পরিবর্তন আনতে হচ্ছে। কয়দিন আগে জাপার নবনিযুক্ত মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টকশোতে সংযুক্ত হয়ে ইঙ্গিত দেন, বিএনপি যদি নির্বাচন থেকে সরে যায় তবে জাপা মনোনয়ন দাখিল করা সব আসনেই নির্বাচন করবে। বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন থেকে সরে যায়নি। তবে বিএনপি ভবিষ্যতে যদি ভোটের লড়াই থেকে পিছুটান দেয়, তারপরও যেন একতরফা নির্বাচনের তকমা নিতে না হয় সেজন্য এতবেশি সংখ্যক আসন উন্মুক্ত রাখা হয়েছে বলে কোনো কোনো বিশ্লেষক মনে করেন। একই কারণে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনও ২৯৮ আসনে প্রার্থী দিয়েছে।
মহাজোটের অন্তর্ভুক্ত দলগুলোর বেশি সংখ্যক আসনে প্রার্থী দেয়ার নেপথ্যে আরেকটি কারণও আলোচনায় রয়েছে। একাধিক প্রার্থী থাকার সুযোগে প্রতিটি কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল বেশি সংখ্যক এজেন্ট নিয়োগের সুযোগ পাবে। সরকারি কৌশলের অংশ হিসেবেই জাতীয় পার্টি এত বেশি সংখ্যক আসনে প্রার্থী দিয়েছেন কি-না এ নিয়ে অবশ্য বিশ্লেষকদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, সরকার হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চাওয়া অনুযায়ী আসন বণ্টন না করার কারণেই তিনি এতগুলো আসনে প্রার্থী দিয়ে রেখেছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সামনের কয়েকটি দিন প্রতিদিনই ভোটের রাজনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আজ থেকে ভোট রাজনীতি মাঠে গড়াচ্ছে। আসন বণ্টন নিয়ে দুটি প্রধান দল এবং জোটেই অসন্তোষ রয়ে গেছে। ক্ষমতাসীন দল নানামুখী চাপ প্রয়োগ করে বিদ্রোহীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু শরিকদের অনেকেই প্রাপ্ত আসন নিয়ে সন্তুষ্ট নন। বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিতরা ঢাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছেন, কার্যালয়ে তালা দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। তবে দলটির নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, ২/১ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। বিএনপির এখন পর্যন্ত প্রধান দুশ্চিন্তা রয়ে গেছে নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে পরিপূর্ণভাবে প্রচারণায় নামতে পারেন কি-না তা নিয়ে।
বিএনপি নেতাদের অনেকেই আশঙ্কা করছেন, গ্রেপ্তার আর দমনপীড়ন আরো তীব্র হতে পারে। ভোটের প্রকৃতি কেমন হবে তা ১৫ই ডিসেম্বরের পর স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকার একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
No comments